১
ফেসবুকে ছেলেপেলেদের ডিপ্রেশন দেখে মনে করেছিলাম একটা মটিভেশনাল স্পিচ দেবো।
কিন্তু সম্প্রতি মটিভেশনাল স্পিচ দেয়া ফেসবুকের এক সেলিব্রিতির মুখোশ নিয়ে যে ভাবে টানা টানি আরম্ভ হয়েছে, সেটা দেখে আর সাহস করতে পারছি না।
আমার মুখোশ নিয়ে টানা টানি আরম্ভ করলে আমি শেষ।
উনার মত আমিও কার ইনবক্সে কি বলেছিলাম সব বেরিয়ে আসার আশংকা আছে :V :V
২
- প্রথম উপায় হলো: ভালো মানুষী ভাব না নেয়া। যদি আপনাকে সবাই এভরেজ মনে করে তবে কেউ আপনার পেছনে লাগবে না। So don't try to stand tall.
- Good. আর কিছু?
- দ্বিতীয় একটা উপায় হলো "কনট্রোলড রিলিজ"। নিজের কিছু দোষ ফাস করে দেন, যেটা নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে যাবে। আপনার আসল মুখোশ ততক্ষন নিরাপদ।
- নিজের দোষ?
- সত্যিকারে দোষ না। যেমন চাকরির ইন্টারভিউয়ে যখন জিজ্ঞাসা করে "আপনার একটা দোষের কথা বলেন" তখন প্রচলিত নিয়ম হলো নিজের কোনো ভালো গুনকে দোষের ষ্টাইলে বলা, "স্যার, আমি অতিরিক্ত কাজ পাগল", বা "মানুষকে আমি খুব বেশি বিশ্বাস করি" এই স্টাইলে।
- হুম!
- যেমন বলবেন: "ভাই আমি গনতন্ত্রকে কুফর মনে করি না", বা "আমি BNP সাপোর্টার!" মাথাটা একটু উচু করে।
- তাতে লাভ কি?
- তারা এটা নিয়েই আপনার জন্য কুফর ফতোয়া কংক্লুশনে পৌছে যাবে। আপনার আসল মুখশের দিকে আর যাবার প্রয়োজন বোধ করবে না।
হুম। জিজ্ঞাসা করতে চাইছিলাম এত বুদ্ধি নিয়ে আপনি ঘুমান কিভাবে? করলাম না। ফালতু কোনো উত্তর দেবে।
৩
তবে কথা মনে হয় ভুল বলে নি।
কিছু আবর্জনা ফেসবুকে ফেলা আমার জন্য এখন জরুরী।
মুখোশ রক্ষার্থে। :V :V :V
//fun post.
- Comments:
- Likers' attention.