বহির্বিশ্বে জিলহজ্জ মাস আরম্ভ হবে ইনশাল্লাহ সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ থেকে। এই দেশে সম্ভবতঃ ৩ তারিখ থেকে।
সংক্ষেপে: এই মাস আরম্ভ হবার আগে চুল নখ কেটে ফেলতে হবে। এর পর কোরবানীর আগে কাটা যাবে না। আর এই দশ দিনে ইবাদতের সোয়াব অন্যান্য দিন থেকে অনেক অনেক বেশি। এই দিনগুলোতে রোজা রাখার সোয়াবও অনেক তবে সুন্নাহ না।
জিলহজ্জ মাসের উপর কিছু হাদিস:
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার নিকট দিনসমূহের মধ্যে যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল অধিক প্রিয়। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও কি ঐরূপ উত্তম আমল নয়? তিনি বলেন না, আল্লাহ রাস্তায় জিহাদ করাও নয়। অবশ্য যে ব্যক্তি স্বীয় জান-মালসহ রাস্তায় বের হওয়ার পর, আর ফিরে আসে না, তার ব্যাপারটি আলাদা।
[ সুনানে আবু দাউদ - ২৪৩০ ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরবানী করার ইচ্ছা রাখে যুল-হাজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পর সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।
[ সুনান তিরমিজী - ১৫২৯ ]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এমন কোন দিন নাই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর নিকট যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের সিয়াম এক বছরের সিয়ামের সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল কাদরের ইবাদতের সমতুল্য।
- ইবনু মাজাহ ১৭২৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৫৮
[ ইমাম আবূ ঈসার মতে, এই হাদীসটি হাসান-গারীব ]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি কখনও রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কে যিলহাজ্জ মাসে দশদিন রোযা রাখতে দেখিনি।
[ সুনানে আবু দাউদ - ২৪৩১ ]