কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত আলেগন বর্তমানে মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসুদকে নেতা বানিয়ে উনাকে কেন্দ্র করে ঘুরছেন।
ঐ মাদ্রাসাগুলোর কিছু সমস্যা উনি উপস্থাপন করেছিলেন একটা সাক্ষাতকারে। আশা করছি উনি নেতৃত্বে আসার কারনে এই সমস্যাগুলো এখন সমাধান হবে। এবং কওমি মাদ্রাসার ছেলেরা স্বাধিনতার ঘোষক শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এখন বেশি বেশি করে পড়তে পারবে।
______
রাজু আলাউদ্দিন: আরেকটা জিনিস হলো, এখন প্রচলিত যে মাদ্রাসা আছে সেখানে যারা শিক্ষাদান করছেন, তাদের যোগ্যতার বিষয়টা জানতে চাই। মাদ্রাসাতে যে ধরনের বই, যে ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে– সমাজে এই শিক্ষা কি ধরনের ভূমিকা রাখছে?
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ: একজন মাদ্রাসাছাত্রের প্রধান কাজ হলো নীতি ও নৈতিকতা বোধকে জাগ্রত করা, সমাজের প্রাণকে জাগ্রত করা। এখন ব্যাপার হলো, আমাদের দেশের মাদ্রাসাগুলো এতটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক, যতটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হলে, এদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলবো না, তাতে উনারা আবার গোসা হবেন।
রাজু আলাউদ্দিন: আমি একটা জিনিস দেখেছি, সেটা হলো কওমি মাদ্রাসার বইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবর রহমানের নামই নেই।
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ: অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি আবার বলছেন আমরা জেনেশুনেই এটা লিখছি।
রাজু আলাউদ্দিন: আমি সেটাই তো বলছি, সরকারের নিয়ন্ত্রণ যদি থাকত তাহলে কিন্তু এটা ঘটতে পারে না।
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ: সেটাই বললাম, এই মাদ্রাসাগুলো যারা চালাচ্ছে তাদের ইচ্ছামতোই এগুলো চলছে। যার কারণে এই মাদ্রাসা ওই মাদ্রাসার মধ্যে মিল খুব কম।
রাজু আলাউদ্দিন: মানে ‘স্টেট উইদিন স্টেট’, রাষ্ট্রের মধ্যে ওরা আরেকটা রাষ্ট্রের কল্পনা করে ওরা নিজেদের ইচ্ছেমতো চালাচ্ছে?
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ: শুধু এইটুকুই না, আপনি আশ্চর্য হবেন এটা জেনে যে, পারিবারিক চিন্তা যেমন হয়, মাদ্রাসাও তেমন; কয়েকটি মাদ্রাসা মিলে একটি পরিবার।