১৯৭৯ সালে ইরানে খোমেনির রেভুলেশন হয়। শাহ সরকারকে সরিয়ে দিয়ে শিয়ারা ক্ষমতায় আসে। এর পর আরম্ভ হয় সেনাবাহিনীর সংস্কার। সব উচ্চ পদস্থ আফিসারদের মৃত্যুদন্ড বা সরিয়ে দেয়া হয়। সেনা বাহিনী অফ গার্ড চলে যায়।
পাশের ইরাক ছিলো ইরানের শত্রু। কিন্তু কিছু বলতে পারতো না, কারন ইরান ছিলো সামরিক দিক থেকে ইরাকের থেকে অনেক শক্তিশালী।
কিন্তু ইরানী সেনাবাহিনীতে যখন এই purge চলছিলো তখন সাদ্দাম এটাকে সুযোগ মনে করে ইরান আক্রমন করে বসে। যুদ্ধ আরম্ভ হয়।
______
দুটো শত্রু দেশ যখন সমানে সমানে থাকে তখন সাধারনতঃ যুদ্ধ হয় না। দুই দিকই জানে সে জিততে পারবে না।
এর মাঝে একটা শত্রু দেশ যদি দুর্বল হয়ে যায়, তখন পাওয়ার ব্যলেন্সটা নস্ট হয়ে যায়। তখনই যুদ্ধ অরম্ভ করার মোক্ষম সময়।
______
পৃথিবীর পাওয়ার ব্যলেন্সটা কেমন যেন এখন নস্ট হয়ে যাচ্ছে।
আমেরিকা সামাজিক-সামরিক-নৈতিক সব দিয়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
রাশিয়া-চীনকে হটাৎ শক্তিশালী দেখাচ্ছে।
ইইউ, ন্যটো দুটোই দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে।
তুরস্ক সেনাবাহিনীর এই মহুর্তে ঐ রকম আনবেলেন্সড অবস্থা যেটা ইরান রেভুলেশনের পর-পর হয়েছিলো।