Post# 1468280527

12-Jul-2016 5:42 am


ফজরের নামাজে মুসুল্লির সংখ্যা:

যেটা দেখেছি: বছরের এই সময়ে, মানে জুন-জুলাই মাসে মুসুল্লি সবচেয়ে কম থাকে। প্রথমতঃ বৃস্টি। এর পর জামাত ধরতে হলে এখন ঘুম থেকে জাগতে হবে সকাল সাড়ে চারটায়। অনেকে এটা পারে না।

এর পর বর্ষা কালটা কেটে যেতে থাকলে মুসুল্লি বাড়তে থাকে।

অক্টবর নভেম্বেরের দিকে জামাত সকাল ৬ টার দিকে চলে আসে, এবং মুসুল্লি তখন থাকে সবচেয়ে বেশি। বর্ষাকালের ৩-৪ গুন বেশি।

এর পর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে প্রচন্ড শীত পড়ে। কুয়াশায় মুসুল্লি আবার কমে যায়।

শীতকাল কেটে গেলে মুসুল্লি আবার বাড়তে থাকে। বর্ষাকাল পর্যন্ত। এর পর আবার কমে আগের মত।

_______
পুরো রমজান মাসে ফজরের নামাজে মুসুল্লি থাকে সবচেয়ে বেশি। ঈদের দিন ফজরেও অনেক নামাজী থাকে, রমজানের ধাক্কায়। কিন্তু ঈদের ঠিক পরের দিন ধপ করে কমে যায়। হয়তো রাত জেগে অনুস্ঠান করে সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারে না।

এইভাবে কোরবানীর ঈদের পরের দিনগুলোতে মুসুল্লি থাকে সবচেয়ে কম। ইমাম মুয়াজ্জিনরা চলে যায় ছুটিতে। একবার নামাজের ১০ মিনিট আগে গিয়ে দেখি মসজিদ তখনো বন্ধ।

________
রমজানে যারা সব নামাজ জামাতের সাথে পড়েছেন, এবং ঈদের ধকলেও জামাতে হাজির থেকেছেন, তারা যদি সাবধানতার সাথে আরো চার দিন জামাতের সাথে সব নামাজ পড়তে পারেন তবে ৪০ দিন জামাতের সাথে নামাজ পড়ার সোয়াব পাবেন।

তবে শর্ত হলো সবগুলো জামাতের প্রথম তকবিরের থেকে জয়েন করতে হবে। প্রথম তকবিরের সময় হলো দ্বিতীয় তকবিরের, মানে ইমাম রুকুতে যাবার পূর্ব পর্যন্ত।

৪০ দিন এভাবে নামাজ পড়তে পারলে মুনাফেকি আর জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ তাকে দেয়া হয়। সহি হাদিসে আছে।

_______
Update 1:

অনেকে ৪০ দিনের হাদিসটা সহি কিনা জানতে চাচ্ছে। তাদের জন্য

এটা তিরমিজিতে আছে। এখানে ইংরেজি অনুবাদ সহ পাবেন।
http://sunnah.com/tirmidhi/2/93
দারুসসালাম পাবলিকশনের মতে এটা জয়িফ।

আর শায়েখ আলবানীর মতে হাদিসটা সহি। এই লিংকে বলা হয়েছে।
https://islamqa.info/ar/176657 وصححه الشيخ الألباني رحمه الله
উপরের কথাটায় এটা বলা হয়েছে।

আমি সহি বলেছি কারন, মসজিদে নববীতে এক আরব শায়েখের বয়ানে শুনছিলাম উনি এই হাদিসটাকে এটা সহি বলেছিলেন, -- এজন্য উনার কথাটাকে গ্রহন করে।

এ গেলো সালাফিদের জন্য।

আর হানাফিদের জন্য সহি জয়িফ সব হাদিস সোয়াবের জন্য আমলযোগ্য। মওজু না হলেই হলো।

12-Jul-2016 5:42 am

Published
12-Jul-2016