এতেকাফ নিয়ে আমার যে ভুল ধারনাগুলো ছিলো:
১
ধারনা ছিলো এতেকাফের উদ্যেশ্য হলো সারা রাত নামাজ পড়া আর সারা দিন ঘুমানো। পরে জানলাম সেটা না, বরং এতেকাফের উদ্যেশ্য হলো দুনিয়াদারী থেকে বিরত হয়ে মসজিদে আল্লাহর জন্য অবস্থান করা।
অবস্থান করাটা আসল। ফরজের বাইরে এক্সট্রা কোনো ইবাদত না করে সারা দিন ঘুমালেও এতেকাফ সঠিক।
২
ধারনা ছিলো এতেকাফ অবস্থায় দুনিয়াভি কোনো কথা না বলে চুপ থাকতে হয়। গ্রাম দেশে দেখেছি। মুখ প্রায় সিলাই করে রাখে। আকার ইংগিতে কথা বলে।
জানলাম এতেকাফ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সব কথাই বলা যায়। একদম চুপ করে বসে থাকা বরং মাকরুহ।
৩
ধারনা ছিলো এতেকাফ অবস্থায় বাসায় আসলে এতেকাফ শেষ। বাসা থেকে খাবার পৌছে দেবার মানুষ না থাকলে এতেকাফে বসা যাবে না।
পরে জানলাম এটা ভুল ধারনা। রাসুলুল্লাহ ﷺ খাবার খেতে, এবং টয়লেট করতে মসজিদ ছেড়ে বাসায় প্রবেশ করতেন। হানাফি মাজহাবেও এই সব প্রয়োজনে বাসায় আসা জায়েজ আছে।
৪
ধারনা ছিলো এতেকাফ কারীগন কাপড় ঘের দিয়ে এতেকাফ করে এটা খারাপ। কারন মসজিদের জায়গা দখল করে নিজেরা আরাম করছে।
পরে জানলাম, না বরং এটাই এতেকাফের নিয়ম। রাসুলুল্লাহ ﷺ মসজিদে নববীতে এতেকাফের সময় মসজিদের ভেতর তাবু টাংগাতেন। সাহাবা কিরামগনও নিজ নিজ ঘের দিয়ে টংগ এর মত করে এতেকাফ করতেন।
৫
ধারনা ছিলো এতেকাফ ভেঙ্গে গেলে সোয়াবটা পেলাম না, এটাই ক্ষতি। অন্য কোনো সমস্যা নেই।
পরে জানলাম, না বরং যতদিন এতেকাফ করার নিয়ত করে বসেছি তার আগে এতেকাফ ভেঙ্গে গেলে রমজানের পর এর কাজা করতে হবে। কাজা আদায় করতে হবে মসজিদে এতেকাফ করে এবং ঐ দিনগুলোতে রোজা রেখে। কারন এতেকাফ শুদ্ধ হবার জন্য রোজা রাখাও শর্ত। হিসাবটাও পূর্ন দিন ধরে করতে হবে। এক সন্ধা থেকে পরের দিন সন্ধে পর্যন্ত।
- Comments:
- অকে :-D