ঘড়ি:
এক সময়ে, যৌতুক দিতে হতো "ঘড়ি, সাইকেল আর রেডিও।"
কমন ডায়লগ
"চিনা" মানে এখানে ঘড়ির কাটা দেখে সময় বলতে পারা।
___
এক সময়ে, ঘড়ির সময় ঠিক করতে হলে কাছের রেল স্টেশনে গিয়ে দেয়ালের বিশাল ঘড়ি দেখে সময় ঠিক করতে হতো। তখন কারো ঘড়ি স্লো বলতে বুঝাতো ১৫ মিনিট পেছনে।
এর পর টিভি, রেডিও আসার পর "৮টার খবরের" সময় ধরে ঘড়ি ঠিক করা হতো। স্লো মানে তখন ৫ মিনিট।
এর পর মোবাইল আসার পর এখন আমাদের মোবাইলের ঘড়ি টাওয়ারের সাথে synced থাকে। সঠিক সময়ের দুই এক সেকেন্ডের বেশি এদিক সেদিক হয় না।
___
হাত ঘড়ির বাজার রম রমা ছিলো ২০০০ সাল পর্যন্ত। এর পর মোবাইল ফোনের প্রচলন বেড়ে যাবার পর এক বছরের মাঝে বাজার পড়ে যায়।
___
এক সময়ে, হাত ঘড়িতে প্রতি দিন স্প্রিংয়ে "চাবি" দিতে হতো। নয়তো পরদিন ঘড়ি বন্ধ।
এর পর আসলো "অটোমেটিক" ঘড়ি। হাতের নাড়া চাড়া থেকে এটা পাওয়ার পেতো। তবে এক দিন না পড়লেই ঘড়ি বন্ধ। এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রীয় ঘড়ি ছিলো সিকো ভাইভ।
এর পর ব্যটারি ঘড়ি। বছরে একবার ব্যটারি বদলাতে হয়।
এর পর সোলার। ১০ বছরে একবার।
এখন? মোবাইল। আগের মত প্রতিদিন চার্জ দিতে হয়। নয়তো ঘড়ি বন্ধ।
Full cycle complete. :-D
___
ঐ সময়ে, সিকো ভাইভ কেনার মত টাকা আমার ছিলো না। কিনে পড়তাম কেসিও। এর মাঝে সবচেয়ে সস্তা ব্রান্ড ছিলো F91.
পরে খবর বেরুলো আমাদের এই জনপ্রীয় ব্রান্ড এখন "টেরোরিস্ট ওয়াজ" হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে পশ্চিমে। এয়ারপোর্টে এই ঘড়ি পড়ে থাকলে তাকে স্পেশাল সার্চ করা হয়। :-D
___
ছাত্রাবস্থায় নামাজের জন্য সবসময় ঘড়ি লাগতো। কিন্তু ঘড়ি সবসময় থাকতো না। হয়তো বেটারি শেষ। নতুন ঘড়ি কেনার পয়সা নেই।
তাই সূর্য আর চাদের পজিশন দেখে সময় বের করতে হতো। এভাবে একুরেসি ছিলো ৩০ মিনিট।