Copy-Paste from সাইমুম সাদী ভাই: [সত্য ঘটনা]
বসে আছি শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে। সিলেট থেকে উপবন নামক ট্রেন আসবে। আমি ঢাকা যাব।
কিন্তু রাত একটা পেরিয়ে দুইটার কাছাকাছি। ট্রেনের খবর নেই। অগত্যা ছোট্ট একটা চায়ের স্টলে ঢুকে বসে পড়লাম। চায়ের জন্য অর্ডার দেব ভাবছি। ঠিক এ সময়ই ঘটনাটা ঘটল।
'ভাই একটা বিড়ি দেন। ইন্ডিয়ান পাতার বিড়ি হলেই চলবে।' এই কথা বলেই লোকটি হাতটা মেলে ধরল চোখের সামনে।
হতভম্ভ আমি কয়েকটা কারণে। প্রথমত, লোকটির পোষাক পরিচ্ছদে গরিবি হাল হলেও চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট। দ্বীতিয়ত, টাকা না চেয়ে বিড়ি চাইল কেন? তৃতীয়ত, আমাকে কি দেখতে বিড়িখোর মনে হয়?
আমি চিন্তায় ডুবে গেলাম এক মুহুর্ত।
লোকটা কেমন করে যেন আমার মনের কথা বুঝে ফেলল। বলল, যা ভাবছেন মোটেই তা না। আপনি হুজুর মানুষ। মোটেই বিড়িখোর না। কিন্তু...
কিন্তু কি? প্রশ্ন করলাম আমি
বলল, আপনার পাঞ্জাবীর ডান পকেটে পাতার বিড়ির একটি ছোট্ট প্যাকেট রয়েছে।
হাত দিলাম পাঞ্জাবীর পকেটে। একটা শক্ত গোল প্যাকেটের মত কি যেন ঠেকলো হাতে। বের করে আনলাম। একটা পাতার বিড়ির প্যাকেট বেরিয়ে এল।
এবার আমি তো পুরাই মদন। এই প্যাকেট কেমনে এল আমার পকেটে? আমি তো বিড়ি খাইই না। কিনিও নি। তাহলে?
লোকটি হেসে ফেলল। বলল, আপনার কোন দোষ নেই। হবিগঞ্জ থেকে আসা সিএনজি থেকে নেমে স্টেশনে ঢুকার সময় জটলার মাঝে আমি ওটা আপনার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। এখন ওটা দেন চলে যাই।
আমি প্যাকেটটা তার হাতে দিলাম।
সে চলে যেতে যেতে বলল, মনে রাখবেন, সচরাচর যা আমরা দেখতে পাই তা ঘটেনা। আর যা ঘটে তা দেখতে পাইনা। সূত্রটা মনে রাইখেন। কাজে লাগবে।
- Comments:
- আমার না। নিচে যার নাম লিখা ঐ ভদ্রলোকের স্টেটাস কপি করেছি।