অজু গোসল:
আজকে জুম্মার দিন যেহেতু গোসল করা সুন্নাহ।
____
যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম, তখন আমার ধারনা ছিলো গোসল করার পরে তারপর ওজু করতে হবে নামাজের জন্য।
পরে জেনেছি ব্যপারটা উল্টো। গোসলের আগে অজু করতে হয়, এবং এটা সুন্নাহ। মানে গোসল করার আগে প্রথমে ওজু করে তার পর গোসল।
____
এখন প্রশ্ন হলো: গোসল করার আগে বা পরে যদি কেউ ওজু না করে, তাহলে কি তার নামাজ হবে?
মনে আছে একবার গোসল করে ঈদের নামাজে গিয়ে ফিরে এসেছিলাম কারন গোসলের পরে ভুলে ওজু করিনি বলে।
এই ব্যপারে হানাফি-সালাফি মতে পার্থক্য পেয়েছি।
হানাফি মাজহাবে: নামাজ হবে। গোসল করলেই ওজু হয়ে যাবে, যেহেতু ওজুর ফরজ অংশগুলোতে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ওজুর জন্য নিয়ত করা শর্ত না।
সালাফি আলেমদের মতে [সৌদি আলেম]: নামাজ হবে না। আবার ওজু করে আসতে হবে। ওজুর হুকুম গোসল দ্বারা পূর্ন হয় না।
এক মত অন্য মত থেকে বেশি ঠিক -- সেরকম কিছু বলছি না। বলছি শুধু মতে পার্থক্য আছে। যে-যেই আলম/মাজহাব অনুসরন করে সে উনার মত অনুসরন করবে।
____
ওজুর ব্যপারে সর্বশেষ যে মতটা শুনেছি সেটা হলো কুরআনিস্টদের কাছে। তাদের মতে ওজুর সময় পা ধোয়ার হুকুম নেই। পা শুধু মসেহ করলেই হবে।
কেন? কারন কোরআন শরিফে ওজুর নিয়মে বলা আছে "নামাজের আগে মুখ আর হাত ধোও এর পর মাথা মসেহ করো এবং পা।"
"মাথা মসেহ করো এবং পা" এর অর্থ মাথা ও পা দুটোই মসেহ করার কথা বলা হয়েছে।
তাদের ব্যখ্যাটা ভুল। রাসুলুল্লাহ ﷺ ওজুর সময় পা ধুতেন, মসেহ করতেন না।
#HabibDiff