হাসান বসরী:
১। তিনি বলেন: এক ব্যক্তি বিশ বছর ইবাদতে নিমগ্ন ছিলেন, অথচ, তার প্রতিবেশী বিষয়টা জানত না৷ আবার এক ব্যক্তি একা রাত কিংবা এক রাতের কিছু সময় নামায পড়ে সকাল বেলা তার প্রতিবেশীর উপর, বাহাদুরী দেখায়৷ লোকজন এসে জড়ো হয়ে তার আলোচনা করতে শুরু করে৷ ফলে, তার চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে আসে৷ সে তা যথাসম্ভব দমন করার চেষ্টা করে৷ তাতে সফল হয়ে সে জনতাকে ত্যাগ করে চলে যায়৷
২। তিনি বলেন: এক ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আযীয-এর নিকট দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলল৷ ফলে তিনি তাকে ঘুষি মেরে বললেন "নিশ্চয় এর মধ্যে ফেতনা রয়েছে৷"
৩। তাবারানীও তার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: ক্ষমার আশা ও রহমতের প্রত্যাশা একদল মানুষকে উদাসীন করে ফেলে৷ ফলে তারা কোন নেক আমল ছাড়াই দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করে৷ তাদের কেউ বলত: আমি মহান আল্লাহর সম্পর্কে উত্তম ধারণা পোষণ করি এবং মহান আল্লাহর রহমতের আশা রাখি৷ অথচ, সে মিথ্যা বলেছে৷ যদি সে মহান আল্লাহর সম্বন্ধে ভাল ধারণা-ই পোষণ করত, তাহলে অবশ্যই সে মহান আল্লাহর জন্য ভাল আমল করত৷ যদি সে মহান আল্লাহর রহমতের আশা করত, তাহলে অবশ্যই নেক আমলের মাধ্যমে সে তার অম্বেষণ করত৷ কেউ যদি পাথেয় ও পানি ছাড়া বিজন মরু এলাকায় প্রবেশ করে, তাহলে তার ধ্বংস অনিবার্য৷
৪। তিনি বলেন: তোমরা এই অস্তরগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় কর৷ কেননা, এগুলো দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে৷ আর এই নফ্সগুলােকে ঘৃণা কর৷ কেননা, এগুলো চরম গােচনীয়ভাবে কবৃয করা হবে৷ মালিক ইবৃন দীনাব বলেন, আমি হাসানকে জিজ্ঞাসা করলাম৪ আলিম যখন দুনিয়াকে ভালবাসবে, তখন ~ তার পরিণতি কী হবে ? তিনি বললেন° আত্মার মৃত্যু৷ কেননা, তিনি যখন দুনিয়া অম্বেষণ করবেন, অনেষণ করবেন আখিরাতের আমলের বিনিময়ে৷ তখনই তার থেকে ইলমের বরকত বিদুরিত হয়ে যাবে এবং তার নিকট ইলমের বাহ্যিক রুপটাই শুধু অবঙ্খিষ্টি থাকবে৷