Post# 1455207441

11-Feb-2016 10:17 pm


শুক্রবার। সুরা কাহাফ পড়ার দিন।

সুরা কাহাফে জুলকারনাইন আর ইয়াজুজ মাজুজের যে ঘটনা উল্লেখ আছে তার উপর ইবনে কাসিরের একটা ঘটন বর্ননা: আল বিদায়া ওযান নিহায়া হতে।
_____
আল্লামা ইবনে কাসীর (র) বলেন, আমাদের ওস্তাদ হাফিয আবু আব্দুল্লাহ আয যাহবী ২২ হিজ়রী সনে এ ঘটনাটি ঘটেছিল বলে উল্লেখ করেছেন "কিতাব মাসালিক আল মালিক" এর লেখক।

সালাম আত তারজুমান হতেও অনুরূপ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন৷ সালাম আত তারজুমান তৎকালীন মুসলিম জাহানের খলীফা আল-ওয়ালিক বিআমরিল্লাহ ইবন আল মুতাসিম প্রেরণ করেছিলেন৷

ঘটনাটি নিম্নরূপ

একদিন খলীফ৷ স্বপ্নে দেখেন যে, ৰাধটি যেন ইতিমধ্যে খুলে পড়েছে৷ তখন তিনি সালামকে প্রেরণ করেন৷ এবং তার প্রতি সাহায্য ও সহায়তা করার জন্যে অন্যান্য প্রশাসকের কাছে পত্র লিখেন৷ খাদ্য খাবার বহন করার জন্যে তার সাথে দুহাজ৷র খচ্চর প্রেরণ করেন৷ তারা রওয়ানা হয়ে গেল ও সামুরা হয়ে তিফগীস রাজ্যের প্রশাসক ইসহাক পর্যন্ত অগ্রসর হলো৷

ইসহ৷ক তাদের সাহায্য সহায়তা করার জন্যে অ৷স-স৷রীরেয় প্রশাসকের কাছে, পত্র লিখেন৷ অ৷স-সারীরের প্রশাসক ও তাদের সাহায্য ও সহায়তার জান্য অড়াল-লানের প্রশাসকের কাছে পত্র লিখেন৷ তিনিও তাদের সাহায্য সহায়তা করার জান্যকুবসান শাহের কাছে পত্র লিখেন৷ তিনি আবার তাদের সাহায্য সহায়তার জন্যে অ৷ল-খাযিরের প্রশাসকের কাছে পত্র লিখেন এবং সালামের সাথে তার পাঁচ সন্তানকে সাহায্য সহায়তার জন্যে প্রেরণ করেন৷

তারা ১৬ দিন পর্যন্ত রাস্তা চলছিল৷

তারপর তারা একটি দৃর্গন্ধমর কালো ভূখন্ডে পৌঁছলেন৷ তথায় তারা মৃরুভূমির আচ করতে লাগলেন৷ উক্ত ভূমিতে তারা ১০ দিন পরিভ্রমণ করেন৷ তারপর তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মাদায়েন এ পৌঁছলেন৷ তারা ২৭ দিন যাবত ওখানে হাটাহাটি করেন যেখানে ইয়াজ্বজ ও মাজুজ অনুপ্রবেশ করত৷ তখন থেকে আজ পর্যন্ত এ এলাকা ধ্বংস তূপে পরিণত হয়ে আছে৷

এরপর তারা বাধের কাছে একটি দৃর্ণে পৌছলেন, তারা সেখানে এমন একটি সম্প্রদায়ের সাক্ষাৎ পেলেন যারা আরবী ও ফার্সি- ভাষা জানেন এবং তারা কুরআনুল করীম হিফজ করেছেন৷ তাদের রয়েছে মাদ্রাসা, মক্তব, মসজিদ ইত্যাদি৷

তারা অগন্তুকদেরকে দেখে খুশি হলেন এবং তাদেরকে প্রশ্ন - করতে ল৷গলেন যে, তারা কোথা থেকে আগমন করেছেন৷ তারা উল্লেখ করেন যে, তারা আমীরুল মু মিনীন আল ওয়াসিক বিল্পাহ হতে এসেছেন৷ কিন্তু তারা তাকে একদম জানে না বলে জানান৷

এরপর তারা একটি তৃণলতাহীন মসৃণ পাহাড়ে পৌঁছলেন৷ আর সেখানে বাধটি ছিল লৌহ নির্মিত ইটের যা তামায় ঢাকা। বাধটি সেখানে এত উঁচু যে, যে পর্যন্ত নজর যায় না৷ তার মধ্যে ছিল লৌহ নির্মিত বেলকনী বা ঝুল বারান্দা৷ বাধের মধ্যখানে ছিল দুটি বন্ধ বাতাওয়ালা একটি বড় দরজা৷ বাতা দুটি চওড়ায় ছিল একশ হাত, লম্বায় ছিল একশ’ হাত এবং পুরুতে ছিল পাচ হাত৷ তাতে ছিল একটি তালা যা ছিল সাত হাত লম্বা এবং প্রস্থ ছিল ছড়ানাে দুই বাহুর মধ্যবর্তী ব্যবধান। আরো অনেক তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে৷

এ স্থানে অনেক পাহারাদার রয়েছে৷ তারা প্রতিদিন দরজা বন্ধ করার সময় যে শব্দ করে তাতে খুব বড়, ও বিকট আওয়ায শুনা য৷য়৷ কথিত আছে যে, এ দরজার পেছনে রয়েছে বহু পাহারাদার ও হেফ৷জতকারী৷ এ দরজাটির কাছে রয়েছে দুটি বড় দুর্গ। এ দুটোর মধ্যে রয়েছে মিঠা পানির একটি কূয়া আবার একটির মধ্যে রয়েছে মাগারিফ সম্প্রদায়ের স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ, লোহার ইট ইত্যাদি৷ ইটের দৈর্ঘ ও প্রস্থ হচ্ছে দেড় হাতে দেড় হাত এবং উচ্চতা হচ্ছে এক বিঘত।

তারা আরো উল্লেখ করেন যে, তারা এ শহরসমূহের বাসিন্দাদেৱ প্রশ্ন করেন যে, তারা কি ইয়াজুজ ও মাজুজের মধ্যে কাউকে কোন দিন দেখেছে৷ তখন তারা সংবাদ দিল যে, তারা তাদের মধ্য হতে একদিন কয়েকজনকে বেলকনীতে দেখেছে৷ এরপর এত জোরে বাতাস বইতে লাগল যে, ইয়াজুজ ও ম৷জুজদের কয়েকজন তাদের কাছে ছিটকিয়ে পড়ল, তখন দেখা গেল তাদের মধ্যে হতে একজনের দৈর্ঘ হলো এক বিঘত কিংবা অর্ধ বিঘত৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত৷

11-Feb-2016 10:17 pm

Published
11-Feb-2016