Post# 1454658767

5-Feb-2016 1:52 pm


"ইনশাল্লাহ":

১। সুরা কাহাফ নাজিলের সাথে "ইনশাল্লাহ" বলার একটা ইতিহাস আছে। এবং এখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন আপনি ভবিষ্যতে কোনো কাজ করবেন বললে ইনশাল্লাহ না বলে ছাড়বেন না।

২। সাধারন মানুষ ধারনা করে ইনশাল্লাহ বলা মানে "করবই" এরকম বুঝায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরিত। এটা অনিশ্চয়তা বুঝায়। করবো যদি আল্লাহ চান। মানে না করলে বুঝে নেবেন আল্লাহ তায়ালা চান নি।

৩। মুমিনের ওয়াদা হলো বাইন্ডিং। কসম করে কিছু বলে না করলে হানাফি মাজহাবে কসমের কাফফারা দিতে হয়। কিন্তু যদি কসমের সাথে ইনশাল্লাহ বলে তবে কিছু লাগবে না। ইনশাল্লাহ বলার কারনে এটা আর ওয়াদা হলো না। :-P

৪। বিয়ের সময় যদি কেউ বলে "ইনশাল্লাহ কবুল করলাম?" তাহলে বিয়ে হবে নাকি হবে না এই বিষয়ে শরিয়াহর বইগুলোতে লম্বা আলোচনা আছে। তখন ইনশাল্লাহ না বলে, বলতে হয় আলহামদুলিল্লাহ। :-D

৫। প্রেকটিসিং মুসলিমরা এগুলো জানে। এবং এভাবে তারা কাজ করে। এ থেকে অনেকে বলে হুজুরদের যদি দেখেন বলে ইনশাল্লাহ তবে বুঝবেন করতে পারবে না। :-)

৬। ২০০০ দশকের কোনো এক সময় পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় বড় খেলোয়াড়রা সব তবলিগে ঢুকে গিয়েছে। খেলার থেকে তবলিগের দিকে তাদের মনোযোগ বেশি। অবভিয়াসলি বিশ্বকাপে খুবই খারাপ করলো।

তাদের বিদেশি কোচ এই সবকিছু দেখে তাদের অবস্থা বিশ্লেষন করে একটা বই লিখলেন। তারা খেলা ছেড়ে তবলিগে মনোযোগ দেবার কারনে কি হচ্ছে তার উপর। বইটার নাম দিলেন "ইনশাল্লাহ"। কেন সেটা উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায়।

উনার টার্গেট ছিলো বিশ্বকাপের পর পরই বইটা ছাপাবেন। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষ হবার সাথে সাথে উনি মারা গেলেন ঐ হোটেলেই।

আমি এবং অনেকে ঐ সময়ে আশংকায় ছিলাম বইটা ছাপালে কি না কি জানি তবলিগের ভেতরের খবর বাইরে চলে আসে।

উনি মারা যাবার পর আমি সন্দেহ করেছিলাম, পাকিস্তানের খেলোয়ারাই মেরে ফেললো কিনা। কন্সপাইরেসি থিউরি? কিন্তু ডিটেলস পড়ে বুঝলাম যে, না! উনি করিডোর দিয়ে হাটতে হাটতে হটাৎ করে স্ট্রোক করে রক্তপাত হয়ে মারা গিয়েছেন। কন্সপাইরেসির কোনো সুযোগ নেই।

বুঝলাম আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করেছেন :-P "ইনশাল্লাহ" বইটা এর পর ছাপানো হয়েছিলো বলে আর খবর পাই নি। :-D

    Comments:
  • ওটা আর ছাপানো হয় নি সম্ভবতঃ। উনি লিখে শেষ করে যান নি।
  • অকে :-P Noted.
  • আপনার নামে "Messenger" আছে।

5-Feb-2016 1:52 pm

Published
5-Feb-2016