বুঝতে পারলাম গতকাল ধ্বংশস্তুপে যে আগুন লেগেছিল, সেটা লেগেছিল অতিরিক্ত অক্সজেন সাপ্লাই দেবার কারনে।
-- quote --
"আমরাই যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছি, সাধারণ মানুষই উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছেন, উদ্ধার কাজের খুব সাধারণ কিছু কথা জানা থাকা প্রয়োজন।
(কথাগুলি শিকাগো ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এর অ্যাসিস্ট্যান্ট চীফ প্যারামেডিক ক্লার্ক স্ত্যটান এর কাছ থেকে নেয়া)
1. অক্সিজেন সংকট, তাই এটা দিয়েই শুরু করি-
কোন ধ্বংসস্তুপের কোন আবদ্ধ জায়গায় অক্সিজেন এর অভাব দেখা দিলে, কখনোই ১০০% অক্সিজেন সাপ্লাই দিবেন না। অক্সিজেন দাহ্য হবার কারনে, ১০০% অক্সিজেন দিলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা আছে। ১০০% অক্সিজেন এর বদলে ফ্রেশ এয়ার সাপ্লাই করুন। যে কোন এয়ার ব্লোয়ার এ কাপড় ব্যাবহার করে এয়ার ফিল্টার করা যায়।
2. প্রথমেই জানা প্রয়োজন বিল্ডিং ধসটা কোন ধরনের। সাভারের বিল্ডিং ধস ছিল ইমপ্লসন। এক্ষেত্রে মানুষজনকে ধ্বংসস্তুপের সাইড থেকে উদ্ধার না করে উপর থেকে উদ্ধার করা উচিৎ, যাতে নতুন কোন ধসের ঘটনা না ঘটে। সাইড থেকে উদ্ধার করতে গেলে আপনাকে অনেক দেয়াল/পিলার সরাতে হতে পারে, যেইগুলির উপর ভর করে ধ্বংসাবশেষ টিকে আছে। এইগুলি সরালে নতুন করে ধস নামতে পারে।
3. প্রতি এক ঘণ্টা পরপর, দুই – তিন মিনিটের জন্য উদ্ধার কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে নিরব থাকা উচিৎ, যাতে আটকে পড়া মানুষ আহবান – সাড়া – শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
4. মানুষজন আটকে পড়া জায়গাগুলো ব্যারিকেড টেপ দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা উচিৎ, যাতে কোনভাবেই সেই জায়গা পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
5. প্রচুর দড়ি প্রয়োজন হবে একটা সময়। এবং এই দড়ি গুলি স্লিপ কাভার দেয়া থাকতে হবে যাতে ধারালো কংক্রিটে ঘষা খেয়ে ছিরে না যায়।
6. প্রচুর পরিমানে ডাক্তার এবং ওষুধের সরবারহ থাকতে হবে, প্রচুর... এমনো হয় যে, উদ্ধার করার পরেও মানুষ অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
7. অযথা কাউকে ভিড় বাড়াতে দিবেন না। সংবাদপত্রের লোকদের জন্য আলাদা কোন জায়গায় মিডিয়া সেল করুন। নিউজ কাভারের চাইতে মানুষ বাচান বেশি দরকার।"
এবং যেকোন কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকুন। মনে রাখবেন, কখনোই হাল ছাড়া যাবে না। ১২ দিন পরও ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে জীবিত মানুষ উদ্ধারের উদাহরণ আছে। এত সহজে মরতে দেব না কাউকে, কাউকে না