বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই বসে থ্রি-জির NET – এ
মোল্লারে কন “বলতো দেখি ব্লগ-টা কি তা ঘেঁটে”?
নেটওয়ার্ক কেন ওঠে নামে, বিলটা কেন আসে?
বৃদ্ধ হুজুর অবাক হয়ে ফ্যাল ফ্যালিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, 'সারা জনম মরলিরে রে তুই খাঁটি,
এ জ্ঞান বিনা জীবনটা তোর চারি আনাই মাটি।'
খানিক বাদে কহেন বাবু, 'বলতো দেখি ভেবে,
ডাইনলোডের এ ফাইলখানা কেমনে আসে নেমে?
বলতো কেন NET সাগরের ব্লগে ভরা জ্ঞানী?
মোল্লা সে কয়, 'আরে মশাই অত কি আর জানি?'
বাবু বলেন, 'এই বয়সে জানিসনেও তা কি?
জীবনটা তোর নেহাত খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি।'
আবার ভেবে কহেন বাবু, 'বলতো ওরে বুড়ো,
বলতো কেন নীল দেখা যায় “সামু ব্লগের” চূড়ো?
বলতো দেখি ব্লগের কোডে এরর লাগে কেন?
মোল্লা বলে, 'আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?'
বাবু বলেন, 'বলবো কি আর বলবো তোরে কি তা,
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।
খানিক বাদে শিঙ্গা বেজে দুনিয়া উঠে দুলে,
বাবু দেখেন সবকটারে নিচ্ছে খোদা তুলে।
মোল্লারে কন, একি আপদ ওরে ওহে মোল্লা,
হবে নাকি বিচার এবার এবার? মিলবে নাকি গোল্লা?
মোল্লা শুধায়, 'দ্বীন বোঝেন?' মাথা নাড়েন বাবু,
মূর্খ হুজুর বলে, 'মশাই, এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে।