সালাফিদের মাঝে একটা পরিবর্তন চোখে পড়ার মত:
'৮০ দশক পর্যন্ত তাদেরা মতে মাজহাব মানা ছিল হারাম। তকলিদ করা [অন্ধ মাজহাবের অনুসরন] কেউ কেউ বলত কুফরি।
'৯০ এর পর থেকে মাজহাবের অনুসরনকারীদের প্রতি আক্রমন কমে আসে। তাদের মতে তখনো মাজহাবের অনুসরব খারাপ। কিন্তু অনুসরনকারীদের তারা আর ভ্রান্ত বলতো না।
২০০০ এর আগে পর্যন্ত islamqa.com এর ফতোয়া কোন মাজহাবের ইমামের নাম চোখে পড়ে নি। মোটা মুটি এই সময়ে ইবনে বা'জ রাহিমাহুল্লার মৃত্যু হয় [আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাত নসিব করুন]। তার পরে তাদের ফতোয়ায় মাজহাবের ইমামদের মতামত আসা শুরু করে। তবে উনার মৃত্যুর সাথে এর সম্পর্ক আছে কিনা আমি জানি না। সরাসরি কোরআন বা হাদিস থেকে যে সকল ফতোয়ার কোন কনক্লুশনে আসা যেত না, সে গুলোতে চার ইমামেরই মতই লিখা আরম্ভ হয়। প্রথম প্রথম সালাফিদের ফতোয়ায় ইমামদের নাম শুনে আমি বেশ অবাক হতাম।
এখন এই ২০১০ এ দেখছি তারা অধিকাংশই নিজেদেরকে হাম্বলি মাজহাব আনুসারি হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে। এবং তাদের বড় অংশের মতে মাজহাবের অনুসরন সত্যি সত্যি নিষিদ্ধ না!
বস্তুত তাদের তর্ক এখন দূ জাগায় এসে ঠেকেছে। এক, কবর পুজারি। আর দুই আল্লাহ তায়ালা কোথায় আছেন আর কোথায় নেই সে ব্যপারে তাদের মতকে প্রচিষ্ঠা করা। কবর পুজারিরা ভ্রান্ত এ ব্যপারে মুসলিমদের মাঝে দ্বিমত নেই। তাদের সাথেও কেউ এ নিয়ে যুক্তি তর্ক করে না।
তাই আমার মনে হচ্ছে এ মুহুর্তে তাদের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হল: আল্লাহ তায়ালা কোথায় আছেন আর কোথায় নেই এই প্রশ্নটা তুলে অন্য মুসলিমদের সাথে একটা তর্ক আরম্ভ করা।
- Comments:
- They say: showing a picture of food, to the hungry, is a form of torture.