Post# 1344422460

8-Aug-2012 4:41 pm


গল্পের মত একটি ঘটনা:

মক্কার মসজিদুল হারাম। নতুন বছরের প্রথম দিন। সকাল। হজ্জ শেষ। তবে হাজ্বীরা এখনো আছে। প্রায় ১ লাখ মুসুল্লি নিয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন মক্কার শরিফে ইমাম। এর পর প্রতিদিনের মতই জানাজা পড়ানোর জন্য লাইন ধরে কফিন নিয়ে আসা হল। এর পরের ঘটনাগুলো দ্রুত ঘটতে থাকে।

লাশ বহনকারীরা কফিন খুলে ফেলে ভিতর থেকে নামাতে থাকে একের পর এক অস্ত্র। ঘোষনা করে, "ইমাম মেহদীর আবির্ভাদ হয়েছে, এই সৌদি সরকার ইসলামের ধংসকারী, পশ্চিমা বেহায়াপনার আমদানিকারী, আমেরিকার দালাল"। ৪০০ অস্ত্রধারী, মেশিন গান, বোমা, গেস মাস্ক নিয়ে পুরো হারাম শরিফ ঘেরাও করে ফেলে। সব গুলো গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ভিতরের সব পুলিশকে গুলি করে মেরে ফেলে। কেটে দেয় সবগুলো টেলিফোন লাইন। হাজ্বীদের নিয়ে বন্ধী করে মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ডে।

খবর পেয়ে চলে আসে সৌদি আর্মি আর ন্যশেনাল ফোর্স। তারা প্রথমেই শহরের দখল নিয়ে নেয়। সব লোককে বাহির করে দেয়। বিকেল মধ্যেই খালি করে ফেলে পুরো শহর।

কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। কোরআন শরিফ আর হাদিস অনুসারে একেবার স্পস্ট ভাবেই হারাম শরিফে সব ধরনের যুদ্ধ, হত্যা, রক্তপাত হারাম। এমনকি কোন পাখি মারা বা গাছ পর্যন্ত উপড়ানো যায় না। আল্লাহর ভয় সব মুসলিমের মাঝেই আছে। সৈন্যরা বন্দুক তাক করতেই আপত্তি জানায়। ফতোয়া নেবার জন্য দ্রুত যায় দেশের সবচেয়ে বড় মুফতি বিন বা'জে এর নিকট। উনি অনুমতি দিলেন হারাম শরীফে হত্যার জন্য যুদ্ধ করার পক্ষে।

দুপুরের দিকে ১০০ জন সৈন্য চেষ্টা চালায় মসজিদের গেট দিয়ে ঢোকার। কিন্তু দখলকারিরা মসজিদের উচু মিম্বর, টাওয়ারে দাড়িয়ে গুলি করে তাদের অনেককে মেরে ফেলার পর তারা ফিরে আসে। হেলিকপ্টার দিয়ে রশি দিয়ে কাবার চত্তরে তওয়াফের জায়গায় ট্রুপার নামানো চেষ্টা হয়। সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলে দখলকারীরা। বোঝা যায় এদের মোকাবেলা করার মত দক্ষতা সৌদি আর্মির নেই।

ও দিকে সারা পৃথিবীর মুসলিমদের মাঝে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়েছে। খোমেনি ঘোষনা দিয়েছে এটা আমেরিকার কাজ। পাকিস্তানে আমেরিকান এম্বেসিকে পুড়িয়ে দেয় জনতা। হত্যা করে দুজন আমেরিকানকে। ইরানে আমেরিকান এম্বেসি তছনছ করে ফেলা হয়।

8-Aug-2012 4:41 pm

Published
8-Aug-2012