সবার জন্য এই দোয়াটা।
যাকে আল্লাহ তায়ালা যতটুকু তৌফিক দেবে সে ইনশাল্লাহ ততটুকু পড়বে।
২
হাদিস:
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যে দুঃখ বিপদে পড়বে সে এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার বিপদকে দূর করে দেবেন এবং সেটা উল্টিয়ে তাকে আনন্দিত করে দেবেন।
সাহাবা কিরামগন জিজ্ঞাসা করলেন
: আমরা কি এই দোয়া মুখস্ত করবো?
উনি ﷺ জবাব দিলেন,
: হ্যা, যে এটা শুনে তার উচিৎ দোয়াটা মুখস্ত করে নেয়া।
দোয়াটা:
اللِّهُمَّ إنِّي عَبْدُكَ ،
ابْنُ عَبْدِكَ ،
ابْنُ أَمَتِكَ ،
نَاصِيَتِي بِيَدِكَ ،
مَاضِ فِيَّ حُكْمُكَ ،
عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ ،
أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ ،
سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ ،
أَوْ أنْزَلْتَهُ فِي كِتَاَبِكَ ،
أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ ،
أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ ،
أنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي ،
وَ نُورَ صَدْرِي ،
وَ جَلاءَ حُزْنِي ،
وَ ذَهَابَ هَمِّي
হে আল্লাহ!
আমি আপনার গোলাম,
আমার আব্বা আপনার গোলাম, আমি উনার সন্তান,
আমার আম্মা আপনার গোলাম, আমি উনার সন্তান।
আপনি আমার মাথার চুল ধরে আছেন,
আপনার হুকুমেই আমার জীবন,
আপনার বিচারই ন্যয় বিচার।
আপনার কাছে চাইছি আপনার প্রতিটা নাম দিয়ে,
যে নাম আপনি নিজে নিজেকে দিয়েছেন,
যে নাম আপনি কিতাবে নাজিল করেছেন,
যে নাম আপনার যে কোনো সৃষ্টিকে জানিয়েছেন,
যে নাম আপনি একান্ত নিজের কাছে গায়বের ইলমে রেখেছেন।
কুরআনকে আমার অন্তরের ঝর্না করেন,
হৃদয়ের নূর করেন,
আমার কষ্টকে সরিয়ে দেন,
আমার দুঃখকে দূর করেন।।
৩
মসনদে আহমদ এবং আরো অনেক কিতাবে হাদিসটি এসেছে।
আলবানীর মতে এটা সহি।
আরবী বর্ননা এখানে,
http://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php?hflag=1&bk_no=891&pid=327908
ইংরেজি অনুবাদ,
http://dailyhadith.abuaminaelias.com/2011/12/05/hadith-of-supplication-whoever-says-this-allah-will-replace-his-affliction-with-happiness/
যারা আরবী পড়তে পারেন না, তারা উচ্চারন এখানে পাবেন,
https://habibur.com/other/article/id.0fd084f9-2162-4f99-b08d-3d6b21e9cb94/
#HabibDua
১। প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে বিছায় পড়ে কষ্টে কাতরাতে থাকলে। এর পর ১ সপ্তাহ বা ২ সপ্তাহ বাদে সুস্থ হবার পর।
২। রমজান মাসে ৩০ রোজা রাখালে। রমজানের একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়ে।
৩। হজ্জ বা উমরা করে আসলে। ফেরার পর।
যেটা বুঝি নি সেটা হলো, প্রতিটা জেনারেশনের জন্য ভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে।
আব্বার সময়ে,
কষ্ট ছিলো: প্রচন্ড দারিদ্রতা। বইয়ের অভাবে।
ভালো: ভর্তিতে কম্পিটিশন নেই, পাশ করলে সরকারী চাকরি।
২
আমাদের সময়ে,
কষ্ট ছিলো: ভর্তি কম্পিটিশন, চাকরি কম্পিটিশন।
ভালো: বেসরকারী চাকরির বাজার খুলে গিয়েছিলো।
অভার অল আমাদের জেনারেশন আমার আব্বার থেকে কষ্ট কম করেছে।
৩
নতুন জেনারেশন আমাদের দেখে হুবহু একই কথা বলে, "আপনাদের সময় সব সহজ ছিলো।"
নতুন জেনারেশনের কষ্ট: পুরানো স্টাইলে চাকরি বা ভর্তি নেই।
ভালো: বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে, এখন ফ্রিলেন্সিং করা যায়।
জিনিস আরো সহজ হচ্ছে। প্রতি জেনারেশনে।
তবে পুরানো দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এর বিপরিতে নতুন দরজা খুলে।
এটা খুজে নেয়া হলো চ্যালেঞ্জ।
#HabibMotiv
১
"একদা ছিলো না জুতা চরন যুগলে....দেখি এক লোক পদ নাহি তার...জুতার শোক ঘুচিলো আমার।"
ছোটকালে শোনা কবিতা। জুতা নেই সেই শোক গিয়েছে পা নেই এমন একজনকে দেখে।
২
ফেসবুকে অন্যদের আনন্দের ছবি দেখে মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে। কেউ আত্মহত্যা করে।
নিজে অসুস্থ দুই সপ্তাহ ধরে। হাটা চলার শক্তি নেই।
এর পর একজনের এক্সরে দেখলাম ফেসবুকে, স্পাইনালে আঘাত।
বুঝলাম তার কষ্ট আমার থেকে আরো হাজার গুন বেশি।
৩
বড় লোকদের বড়লোকি দেখলে নামাজ পড়ার হুকুমের কথা আছে কোরআনে।
তবে অন্যের কষ্ট দেখলে, এই উত্তর পাওয়া যায়: why me?
বাইতুল মুকাররমে আগে লিখা দেখেছিলাম "ছবি তোলা নিষেধ"। এখন আছে কিনা জানি না।
দুটোর কোনোটাই সিকিউরিটির জন্য না।
এই পয়েন্টগুলো যেন টুরিষ্ট স্পটে কনভার্টেড না হয় তার জন্য।
২
এগুলোর থেকে হাজার গুন পবিত্র হলো রওজা শরিফ আর কাবা শরিফ।
প্রথম যখন ক্যমেরা মোবাই বের হলো তখন সেখানে "হারাম পুলিশ" সবাইকে বাধা দিতো ছবি তোলা থেকে। ৮০ হাজার টাকা দামের N93 আছার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে পুলিশ এরকম ঘটনার কথা পেপারে আসতো।
৩
এখন সৌদিতে "হারাম" পুলিশ নেই। যারা সব কিছুতে "হারাম হারাম" করতো বলে মানুষ অপছন্দ করতো।
তাই পবিত্র স্থানগুলোতে ক্যমেরা মোবাইল ভিডিও ছবি শুধু চলে তা না, বরং এগুলো এখন স্পেশাল ফিয়েচার।
শেষ যুগে ধনীরা হজ্জ করবে প্রমোদ ভ্রমনের জন্য, এই হাদিস হয়তো ফলতে চলছে।
৪
কাবা শরিফের একটা পয়েন্ট আছে যেখানে দাড়িয়ে কোনো লোক এমন কোনো দোয়া করে নি যেটা কবুল হয় নি। মানে সব দোয়াই কবুল। চাইলেই হলো। দুজন দাড়াতে পারে প্রচন্ড ভীড়।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন আমি ওখানে দোয়া করেছি কবুল হয়েছে।
যে সাহাবী হাদিসটা বর্ননা করেছেন উনিও বলেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
উনার থেকে আরম্ভ করে যত বর্ননাকারি ঐ হাদিস বর্ননা করেছেন সবাই বলেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
যে মুহাদ্দিস এটা লিখেছেন, তিনিও টিকা লিখেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
বাংলা অনুবাদকারী পর্যন্ত লিখেছেন আমি করেছি, কবুল হয়েছে।
এখন সেই জায়গায় গেলে দেখা যায়, মানুষ দাড়িয়ে ভিডিও করছে।
ইউটুবে খুজলে ভিডিওগুলো পাবেন। "মুলতাজাম" দিয়ে সার্চ দিলে।
৫
রওজা শরিফ।
গেটের সামনে দাড়ালে ১০ ফুট দূরে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কবর দেখা যায়। সবুজ কাপড়ে ঢাকা।
সবাই সেখানে দাড়িয়ে সালাম দেয়। উনি প্রত্যেকের সালামের জবাব দেন। কেউ জবাব শুনতে পারে, কেউ পারে না। প্রচন্ড ভীড় অল্প অল্প করে পার হয়ে যেতে হয়।
তবে এখন সেখানে গেলে দেখা যায় সবাই রওজা শরিফের ভিডিও করছে।
৬
কমেন্টে একজন পাকিস্তানী বুজর্গের লেকচারের ইউটুব লিংক।
উনি বলছেন, বাংলাদেশে এক বুজুর্গের সাথে তার কথা হয়েছে। নাম রুহুল আমিন। উনি ৮৮ বার রাসুলুল্লাহ ﷺ কে স্বপ্নে দেখেছেন। উনাকে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যারা আমার রওজার কাছে এসে ছবি তোলে আর ভিডিও করে তারা আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।
https://www.youtube.com/watch?v=R4_xT7D7Ob4
৭
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উনার শত্রুদের একজন হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
উনার বন্ধুদের অন্তর্ভুক্ত যেন করেন।
ফিজিক্যলি যার নাক কাটা গিয়েছে, তার মত বিপদগ্রস্থ আমি না।
এর পরও আমার ছোটখাটো কষ্টগুলো আমাকে উত্তেজিত করে তুলে।
থাইলেন্ডে হয়তো কোনো বুদ্ধ পুজা করে।
মুসলিমদের মাঝে যারা আমার শত্রু -- তারা কেউ ঐ বুদ্ধের মত না।
#HabibFeels
"এখন কি করবো? কিছু নসিহা করেন।"
উত্তর,
১। পাচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে পড়া।
২। রেগুলার তাহাজ্জুদ পড়া। অল্প হলেও। রাত ১টা থেকে ফজর পর্যন্ত সময়।
৩। সকালে সন্ধায় তসবিহাত-দোয়া পড়া।
৪। প্রতিদিন কোরআন শরিফের চর্চা করা।
৫। ওজুর সাথে মেছওয়াক করা।
এতটুকু রেগুলার করতে দেখবেন অনেক কষ্ট হচ্ছে। এর পরও করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন।
জাজাকাল্লাহ।
যখন দেখি আল্লাহ তায়ালা আমার মত কনফিউজড, আমার মত অসহায় কাউকে
আমার থেকে আনেক বেশি কষ্টে রেখেছেন।
উনার কাছে আমরা ফিরে যাবো।
১
কখনো কি মুসলিমদের পথচ্যুতি দেখে কষ্ট পাও? আশংকা আসে? এত বড় পাপের পর আযাব আসতে দেরি নেই?
কখনো মুসলিমদের উপর আযাব দেখে কষ্ট পাও? জানতে চাও, কেন মুসলিমদের উপর কষ্ট আসছে?
২
কষ্ট আসলে তুমি কোনটা বলো? এ আমাদের পাপের শাস্তি, ঐ কাজ করেছিলাম বলে।
নাকি বলো, এগুলো পরিক্ষা। আমরা হকে আছি। সবর করতে হবে?
৩
সারা বছর আমি বলে এসেছি, ভালো রেজাল্ট করবো।
রেজাল্ট উল্টো। আমি দোষ চাপাই: "খাতা ভুল দেখেছে", "মার্ক কম দিয়েছে", "প্রাইভেট পড়ি নি বলে"।
আমি ঠিক আছি।
৪
হাশরের মাঠ।
কবর থেকে উঠে বহু হাজার মাইল হেটেছি।
রেজাল্ট দেবে।
ফেল করলে আবার চেষ্টা করার উপায় নেই।
দোষ চাপিয়ে মুক্ত হবার উপায় নেই।
আমার কামাই, আমার কাজ।
৫
পথহারা।
আল্লাহ কারো উপর তার সামর্থের থেকে বেশি ভার দেন না।
সুরা বাকারা ২৮৬ থেকে জানি।
কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য? বহু কষ্টের পরে।
সুরা বাকারা ২১৪ থেকে জানি।
সুসংবাদ তার জন্য, যে বিপদে পড়লে বলে "আমরা আল্লাহর জন্য। আল্লাহর কাছেই ফিরবো।"
জানি সুরা বাকারা ১৫৬ থেকে।