Archive 1607102656

কষ্ট : #archive - part 1

09-Jun-2012 10:49:26

رواه الترمذي وابن ماجه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : (الْمُؤْمِنُ الَّذِي يُخَالِطُ النَّاسَ وَيَصْبِرُ عَلَى أَذَاهُمْ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ الْمُؤْمِنِ الَّذِي لا يُخَالِطُ النَّاسَ وَلا يَصْبِرُ عَلَى أَذَاهُمْ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লিম বলেছেন "মুমিন যে কিনা মানুষের সাথে মিশে আর তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধর্য্য ধরে সে ওই মুমিন থেকে ভাল যে মানুষের সাথে মিশেও না, আর তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধর্য্যও ধরে না।

08-Feb-2013 11:04:27

কোন মানুষকে কষ্ট দিবে না, কিন্তু যে কোন মুসলিমের দেয়া কষ্ট নিরবে গ্রহন করবে। কোন মুসলিমের দেয়া গালির উত্তর দিবে না। পাল্টা রাগ দেখাবে না। তুমি হলে কষ্টের Receiver. মৃত্যুর সময় এ রকম লক্ষ কষ্ট বুকে নিয়ে তুমি তোমার রবের নিকট রওনা হবে।

মনে রেখো, দিনের শেষে কোন মজলুমের পাওনা বাকি থাকবে না। কিন্তু পাওনাটা জীবিত অবস্থায় ফিরত চাবে না। মৃত্যুর পর ফিরত চাবে।

15-Feb-2013 05:45:34

যতটুকু তোমার সামর্থ্য আছে মানুষকে সাহায্য করবে। মানুষের দরকার বুঝে নিয়ে ছোট খাট সাহায্য করার অভ্যাস গড়ে তুলবে। উপকার করলে যদি নিজের ক্ষতি না হয়, তবে তোমাকে যারা অপছন্দ করে তাদেরকেও সাহায্য করবে। ভিক্ষুক হাত পাতলে ভিক্ষা দেবে, যদিও ভিক্ষুকের পাচ তালা বাড়ি থাকুক না। খোড়া, অন্ধদের বাছাই করে বেশি দিবে না, তারাদের সবাই দেয়।

মনে রাখবে, যাকে দেখে তুমি কষ্টে আছে মনে করছো, সে তোমার ধারনার থেকে অনেক আনন্দে আছে। আর যাদের দেখে অনেক আনন্দে আছে মনে করছো, তারা তোমার ধারনার থেকে অনেক কষ্টে আছে।

- Anonymous source.

02-Mar-2013 03:06:28

এক লোক শুনে ইসমে আজম পড়ে আল্লাহর কাছে যা চাওয়া হয়, আল্লাহ তায়ালা দিয়ে দেন। পীর বুজুর্গরা ওটা পড়েই নাকি অদৃশ্য হয়ে যায়। নামটা গোপন। যারা জানে তারা শেক্ষায় না। আল্লাহ তায়ালা যাকে জানানো দরকার জানান।

সে ভাবে তাহলে এত পরিশ্রম কিসের জন্য? ইসমে আজম জেনে দোয়া করে গাড়ি বাড়ি সব পাওয়া যাবে।

ইবাদৎ ধরলো। দিনে ব্যবসা করে, রাতে ইবাদৎ করে। দিন যায় বছর যায়। এক সময় দুনিয়ার মোহ কমে আসে। গাড়ি বাড়ি খুব দরকার? আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য জান্নাতে এগুলো অলরেডি তৈরি করে অপেক্ষা করছেন। দুই বিলিয়ন বছর থাকার পরও যেখানে কিছুই শেষ হবে না।

তার পরও ইসমে আজমটা জরুরি। দুনিয়াতে এত জুলুম। আমি মানুষের সেবা করবো।

দিন যায়, বছর যায়। উপলব্ধি করতে থাকে তার রবের ইচ্ছের বাইরে কোন কষ্ট আসে না। কোন জালেম জুলুম করতে পারে না।

ইবাদতে তার পিঠ ঝুকে আসে। সে দেখতে পারে পরাজিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা জালিমদের কিভাবে বিজয়ী করছেন। আবার অহংকার মুক্ত করার জন্য বিজয়ীদের পরাজিত করছেন।

30-Sep-2015 16:09:36

দুঃখ দুর্দশা, কষ্টের কথা আলোচনা করলে বাড়ে;
চুপ থাকলে কমে;
ধৈর্য ধরলে মিটে;
আর এ অবস্থাতেও আল্লাহর শুকুর আদায় করলে উত্তম বিকল্প চলে আসে!

30-Nov-2015 08:57:44

অত্যান্ত নরম দিলের কোনো আল্লাহর বান্দা বা বান্দি। হয়তো মরুভুমির মাঝে কোনো কুড়ে ঘড়ে থাকে। অধিকাংশ সময় ইবাদত করে আর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর উপর সালাত সালাম পাঠায়।

তার উপর বিপদ আসে। অনেক বেশিই আসে। সে বুঝতে পারে এগুলো আল্লাহর তরফ থেকে পাঠানো। হাসে, ধর্য্য করে। অতি কষ্টে পড়লে ভ্রু কুচকে।

এ ধরনের মানুষের কাহিনী অমি অনেক পড়েছি। চিন্তে করতাম আমি যদি এদের মত হতে পারতাম!

তার পরও বিপদ আসলে আমি বিচলিত হয়ে যাই। বিপদ আসার আগেই ভ্রু কুচকে ফেলি। কতটুকু কষ্ট ধর্য্য ধরে সহ্য করাতে পারবো তার পরিধিও অনেক কম।

ধাক্কা খেয়ে বুঝতে পারি আমি তাদের মত না। আল্লাহ তায়ালা উনার নেক বান্দাদের সম্মান আরো বৃদ্ধি করুন।

21-Apr-2016 16:45:31

(Collected)

সুফি হওয়ার সর্বপ্রথম ৩টি ধাপ।

এক. অনাহারে থাকা ।
অনাহারে বলতে তাকে ক্ষুধার্ত থাকতে হবে। কারণ মানুষের যখন উদর পূর্ণ থাকে তখন ধর্মের কথা তার ওপরে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় কোনো বিষয় যতোটা আত্মস্থ করা যায় পূর্ণ উদরে তার সিকিভাগও আত্মস্থ হয় না।
ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়ায় বলা হয়েছে, ভরাপেটে ওয়াজকারীর ওয়াজে শ্রোতাদের ওপর কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না। তেমনি ভরাপেটে ওয়াজ শোনে যে শ্রোতা, তার ওপরও নসিহত কোনো প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে না।

ইমাম গাজ্জালি রহ. বলেন, যে ব্যক্তি দু’বেলা খাবার খায়, সে কখনো ক্ষুধার কষ্ট বুঝতে পারে না। আর যে ক্ষুধার কষ্ট অনুভব করেনি, সুফিত্ব তার জন্যে নয় ।

মানুষের যখন উদর পূর্ণ থাকে তখন তারা ধর্মকে তামাশার বস্তু বানিয়ে ফেলে।

দুই.
নেক আমল হোক বা না হোক, কোনোভাবেই গোনাহের কাজ করা যাবে না ।

তিন. কোনো সৃষ্টিকে কষ্ট না দেয়া ।
মানব প্রজাতি থেকে শুরু করে সমস্ত সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসাই আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার প্রধান উপায়।

___
শেষে একটা নোট: এসব পোস্ট দেবার অর্থ এই না যে আমি এসব করি। বরং একজনের ফেসবুকের পোস্ট আর তার ব্যক্তিগত জীবনে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকতে পারে। -হাবীব।

29-Aug-2016 07:51:37

মুসলিমদের দোষ গোপন রাখার ব্যপারে দুটো হাদিস:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

যে ব্যক্তি মুসলিম থেকে দুনিয়ার কোন একটি পেরশোনী দুর করবে
আল্লাহ তা'আলা তার আখিরাতের একটি পেরশোনী দুর করবেন।

যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের একটি দোষ গোপন রাখবে
আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখিরাতের তার দোষ ঢেকে রাখবেন।

আল্লাহ ততক্ষণ কোন বান্দার সাহায্যে থাকবেন
যতক্ষণ সে তার এক ভাইয়ের সাহায্যে ব্যস্ত থাকে।

- সুনান তিরমিজী - ১৪৩১

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই।

সে তার উপর যুলুম করবে না,
তাকে ধ্বংসের জন্য সমর্পণ করবে না।

যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজনে ব্যস্ত থাকে,
আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণে ব্যস্ত থাকেন।

যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দুঃখ দুর করে দেয়,
আল্লাহ তা'আলা তার কিয়ামতের দিনের কষ্ট দুর করে দিবেন।

যে ব্যক্তি কোন মসলমানের দোষ গোপন রাখে
আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।

- সুনান তিরমিজী - ১৪৩২

23-Nov-2016 16:23:44


মুআয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার কোন (মুসলিম) ভাইকে কোন গুনাহের জন্য লজ্জা দেয় তবে এই গুনাহে সে নিজে লিপ্ত না হওয়া পর্যন্ত মারা যাবে না।
সুনান তিরমিজী - ২৫০৭/হাসান-গারীব


ওয়াছিলা ইবন আশকা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের বিপদে আনন্দ প্রকাশ করবে না। তা হলে আল্লাহ তার উপরে রহম করবেন আর তোমাকে সে মুসীবতে পাকড়াও করবেন।
সুনান তিরমিজী - ২৫০৮/হাসান-গারীব


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের মাঝে যিনি লোকদের সাথে মেশেন না এবং লোকজনের দেয়া কষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করেন না তার থেকে উত্তম হলেন তিনি যিনি মানুষের সঙ্গে মেশেন এবং তাদের দেয়া কষ্টের উপর ধৈর্যধারণ করেন।
সুনান তিরমিজী - ২৫০৯

25-Nov-2016 14:29:56


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সবর হলো কষ্টের প্রথমে।
সুনান তিরমিজী - ৯৮৮/হাসান-সহীহ


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন মু'মিন যদি একটি কাঁটা বা এর চেয়েও ছোট কিছুতে আক্রান্ত হয় তবে আল্লাহ্ তাকে এর বিনিময়ে তার একটি স্তর বাড়িয়ে দেন ও একটি গুনাহ মাফ করে দেন।
সুনান তিরমিজী - ৯৬৮/হাসান-সহীহ


নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে মুলাকাত বা সাক্ষাৎ ভালবাসে আল্লাহও তার সাক্ষাতকে ভালোবাসেন। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহর সঙ্গে মুলাকাতকে অপছন্দ করে আল্লাহও তার সাক্ষাতকে অপছন্দ করেন।
সুনান তিরমিজী - ১০৬৬/হাসান-সহিহ

29-Nov-2016 11:01:04

মৃতু কামনা ও দুনিয়াতে কষ্ট কামনার ব্যপারে:


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং তা আসার পূর্বে যেন তার জন্য দু'আ না করে। কেননা তোমাদের কেউ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিন ব্যক্তির বয়স দীর্ঘায়িত হলে এতে তার কল্যাণই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
[ সহীহ মুসলিম - ৬৫৭৫ ]


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মুসলিমকে তার অসুস্থ অবস্থায় দেখার জন্য গেলেন। সে অসুখে কাতর হয়ে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি কোন দুআ করছিলে কিংবা আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে কিছু কামনা করছিলে? সে বললঃ হ্যাঁ। আমি বলছিলাম, হে আল্লাহ! আপনি আখিরাতে আমাকে যে শাস্তি দিবেন তা এই দুনিয়াতেই ত্বরান্বিত করে দিন।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! তোমার এমন শক্তি নেই যে, তা বহন করবে? অথবা (বললেন) তুমি তা বরদাশত করতে পারবে না। তুমি এরূপ বললে না কেন?

اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

হে আল্লাহ! আমাদের কল্যাণ দিন দুনিয়াতে এবং কল্যাণ দান করুন আখিরাতে। আর জাহান্নাম থেকে আমাদের নাজাত দিন।

তিনি (রাবী) বলেন, তখন তিনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করেন। আর আল্লাহ তাকে নিরাময় দান করেন।
[ সহীহ মুসলিম - ৬৫৯১ ]


কাতাদা আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন দু'আ দ্বারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক দু'আ করতেন? তিনি বললেন, তিনি যে দু'আ দ্বারা অধিক দুআ করতেন তা এই যে, তিনি বলতেনঃ

اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

"হে আল্লাহ! আমাদের দান করুন দুনিয়ায় কল্যাণ এবং পরকালে কল্যাণ। আর আমাদের রক্ষা কর জাহান্নামের আযাব থেকে।"

রাবী বলেন, আনাস (রাঃ) যখন কোন দু'আ করার ইচ্ছা করতেন তিনি এই দুআ (পাঠ) করতেন। যখন তিনি কোন কিছুর ব্যাপারে দুআ করার ইচ্ছা করতেন তখনও এই দুআ পড়তেন।
[ সহীহ মুসলিম - ৬৫৯৬ ]

_________
আরবী দোয়াগুলো আমাদের ছোটকালে শেখানো,

"রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাতও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আদাবান নার"

সেই দোয়াটাই। এই দোয়াটা কোরআন শরিফে আছে।

23-Dec-2016 08:45:57

আত্মহত্যা:


ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর যদি কাউকে পাশ করাতে চান তবে, সামান্য কিছু উত্তর দিলেও তাকে বেশি বেশি মার্ক দিয়ে পাশ করিয়ে দেন অনেক সময়ে।

এমন কি ভুল উত্তর লিখলেও সেটাতে টিক দিয়ে পূর্ন মার্ক দিয়ে দিতে পারেন। মায়া করে, ছেলেটা ফেল করে যাচ্ছে বলে।

একেবারে খালি খাতা জমা দিলে?
তাও খাতার মাথায় ৩৩ দিয়ে পাশ করিয়ে দিতে পারেন। কেউ বাধা দেবার নেই।

কিন্তু যদি আমি এত আপসেট, এত হতাশ, এত রাগাহ্নিত হই, প্রশ্ন উনি কঠিন করেছেন বলে যে খাতা পরিক্ষা-হলে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হল থেকে ধুম ধাম করে বেরিয়ে আসি। তবে উনি আমাকে পাশ করাবেন না।

যে মুহুর্তে কেউ আত্মহত্যা করলো সে মুহুর্তে সে যেন দুনিয়ার খাতা ছিড়ে টুকরো টুকরো করে বেরিয়ে গেলো। অথচ শুন্য খাতাতেও হয়তো আল্লাহ তায়ালা পাশ করিয়ে দিতেন।


"আমি কিভাবে মুখ দেখাবো?" - লজ্জায়।
"আমি মরবো কিন্তু তোরে ছাড়বো না" - রাগে।
"এটা না হলে আমার বাকি জীবন বেচে থাকার মানে নেই" - হতাশায়।
"এর থেকে আমি মরে শান্তি পেতে চাই" - কষ্টে।

অথচ ঐ গোলামকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছিলেন শুধু উনার ইবাদত করার জন্য।
দুনিয়াতে জন্ম দিয়ে পাঠিয়েছিলেন শুধু ইবাদতের জন্য।
নামাজ-রোজা যদি সে বাকি জীবনটা করে যেতো তবে তার সৃষ্টির উদ্যেশ্য পূর্ন হতো। এবং এর জন্যই আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন।

কিন্তু সে তার কাজ শেষ না করেই, আনরিলেটেড কিছু ইশুর জন্য তার খাতা ছিড়ে হল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।


আত্মহত্যা কখনোই যাষ্টিফাইয়েবেল না। অনেক কিছুর জন্যই শরিয়তে এক্সেপশন আছে। কিন্তু আত্মহত্যা করার অনুমতি দিয়ে কোনো এক্সেপশন নেই।

আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের শেষটা উত্তমের উপর করেন।

আল্লাহ তায়ালা কোনো বান্দাকে তার সাধ্যাতিত কষ্টে ফেলেন না।
আমাদের রব!
আগের যুগের উম্মতের কঠিন ভার আমাদের দিবেন না,
এমন ভার দেবেন না, যেটা বহন করতে পারবো না।
মাফ করেন,
ক্ষমা করেন,
করুনা করেন,
আপনিই আমাদের মাওলা,
আর কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেন।

28-Dec-2016 16:24:07

আবেদ ইবাদত করে যাবে।
তবে তার দাসত্বের পরিক্ষা হলো যখন তার উপর কষ্ট বিপদ আসে।

তখন কি সে বুঝতে পারে যে --
এই কষ্ট তার রবের তরফ থেকে পাঠানো?
তখনো কি সে তার রবের উপর ঐ রকম সন্তুষ্টি থাকে
যখন আনন্দের সময় ছিলো?

"কিন্তু কেউ যদি আমাকে প্রতারিত করে?"

আল্লাহ তায়ালা অন্য দিক থেকে তোমার ক্ষতিকে পূরন করে দেবেন।
প্রতারককে অন্য দিক থেকে ক্ষতি দিয়ে প্রতিশোধ নিয়ে দেবেন।

তোমার পরিক্ষা ছিলো ধর্য্য ধরা।
তার পরিক্ষা ছিলো তোমাকে প্রতারিত না করা।

সে তার পরিক্ষায় ফেল করেছে।
তুমি?

"হে আমাদের রব!
ভুলি বা ভুল করি -- আমাদের ধরবেন না
মাফ করেন, ক্ষমা করেন
রহম করেন।
আপনি আমাদের মাওলা।"

01-Jan-2017 06:38:54


এক লোক রাতে লম্বা সময় তাহাজ্জুদ পড়ে। এক সময় তার মনে হতে আরম্ভ করলো: এই লোকগুলো যারা সারা রাত ঘুমিয়ে কাটায় তারা এত গাফেল কেন?

আম-পাবলিক বুঝে না বুঝলাম, কিন্তু আলেম উলামা? এদের তাহাজ্জুদের নামাজ না পড়ার পেছনে কোনো যুক্তিই আসে না। শুধু এই কারন ছাড়া যে তাদের মাঝে ঐ রকম ঈমান নেই।


এক লোক বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে গরিব লোকদের দান করে। এক সময় মনে হতে থাকে এই যে ঘরে ঘরে মানুষ আনন্দ ফুর্তি করছে, তাদের কোনো দরদ নেই ঐ লোকদের প্রতি যারা না খেয়ে আছে।

এই শীতের রাতে যারা লেপের নিচে ঘুমাচ্ছে, তাদের দরদ নেই ঐ লোকদের প্রতি যারা এখন শীতে কষ্ট করছে।

এরা আছে নিজেদের স্বার্থে, এরা বিভ্রান্ত, পাপী।


একটা হাদিসে উল্লেখ করা আছে ভবিষ্যতের এক লোকের কথা যে কোরআন পড়তে পড়তে এত উপরে উঠে যাবে যে সে এক পর্যায়ে তলোয়ার নিয়ে তার প্রতিবেশির উপর আক্রমন করে বসবে। প্রতিবেশিদের কাফের ধারনা করে। কারন তার দৃষ্টিতে যারা তার মত এত সঠিক না তারা কাফের।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৎ পথে রাখুন।

11-Jan-2017 14:31:50

কোরআন শরিফে বর্নিত ৩ টি দোয়া:


আইয়ুব (আ:) এর দোয়া:
أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
আমি দুঃখকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।


ইউনুস (আ:) এর দুয়া
لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গুনাহগার।


যাকারিয়া (আ:) এর দোয়া
رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।

#HabibDua

Published
4-Dec-2020