শিয়াদের এখন পোয়াবারো। দুনিয়া জুড়ে। ছোট বেলায় আমার ধারনা ছিলো বাংলাদেশে শিয়া নেই। সত্যি তখন তেমন কেউ ছিলো না।
এই শিয়ারা প্রায় সবাই পরে হয়েছে। সবাই কন্ভার্টেড। ইরানী দুতাবাসের বই, টাকা, অনুদান আর প্রাচারের মাধ্যমে।
কিয়ামত আসবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তোমাদের পরবর্তিরা পূর্ববর্তিদের লানত না করে। আমি বিশ্বাস করি এখানে শিয়াদের কথা বলা হচ্ছে যারা আবু-বকর, ওমর, আয়িশা রা: সহ অন্যান্য সাহাবাদের লানত করাকে সোয়াবের মনে করে।
কিন্তু শিয়ারাতো আগেই ছিলো?
ছিলো কিন্তু এত বেশি না। ৪০০ বছর আগেও ইরান ছিলো সুন্নিদের কেন্দ্র। প্রায় সবাই সুন্নি। এর পর শিয়ারা ক্ষমতা দখল। দলে দলে মানুষকে কনভার্ট করেছে।
১৯৮০ র আগেও ইরানের সরকার ছিলো সেকুলার। এর পর খোমেনির নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে যার নাম দেয় "ইসলামি রেভুলেশন"।
৮০র পর এই দেশের ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টাকারী একটা দল তাদের প্রতি একটা সফট কর্নার দেখায় তাদের আদলে একটা "ইসলামি রেভুলেশনের" আশায়।
ঐ সময়ে একটা বিতর্কিত বই বেরোয় "শিয়া-সুন্নি ঐক্য"। তাদের এক্টিভিস্টদের জিজ্ঞাসা করলেও তারা বলতো শিয়া হলো একটা মাজহাবের মত, আমাদের যেমন চার মাজহাব।
এর পর বহু পানি গড়িয়েছে।
"রাফেজি" কথাটা ঐ সময়ে একটা গালি ছিলো। যেটা শিয়ারা অস্বিকার করতো। এখন ফেসবুকে বাংলাদেশের শিয়ারাও নিজেদের নামের আগে রাফেজি লাগায়।
এর পর গতকাল খবর আসলো ঐ চারজনের মাঝে একজন পুলিশ রিমান্ডে মারা গিয়েছে। তার পরিচয় হাফিজুর রহমান, শিবির করতো।
বুঝলাম অরিজিনাল হত্যাকারীদের কেউ ধরা পড়ে নি। বিড়াল পিটিয়ে বাঘ স্বিকার করানোর চেস্টা চলেছে। নিরিহ আরেক ছেলে মারা গিয়েছে।
আর জাতী ব্যস্ত এক হিন্দু শিক্ষকের কানে ধরা নিয়ে।
____
মনে করেছিলাম জুলুম অত্যাচারের কথা আর লিখবো না, শুনবো না, পড়বো না। যেহেতু সত্যি আমার এখানে কিছু করার নেই। তার পরও কেন যেন এটা নিয়ে কিছু না লিখে পারলাম না।
লানত দিবো? মনে পড়লো আল্লাহ সৃস্ট কোনো কিছুকে লানত দেয়া নিষেধ।
বলবো, "একদিন এর বিচার হবে! তোরা ধ্বংশ হয়ে যাবি" ?
মনে পড়লো এই কথাটা অনেক বার বলা হয়েছে গত কয়েক বছরে। কিছু হয় নি, এখনো।
আল্লাহ তায়ালা যখন চান, তখন করবেন, যা চান। এর সাথে আমাদের ইমোশোনাল কথার কোনো সম্পর্ক নেই।
____
"যদি তোমরা মুমিন হও বিজয় তোমাদের হবেই।" এই প্রতিশ্রুতির উপর যুগ যুগ ধরে অপেক্ষায় আছে এক দল, বিজয়ের জন্য।
কখনো তারা এটা চিন্তা করছে না, হয়তো এই বিজয় আর কখনোই আসবে না। কারন আমরা মুমিন না? মুমিন হওয়াটা শর্ত ছিলো। পূর্ব বঙ্গের মুসলিমদের কথা স্বরন করেই বলছি।
মুসলিম কোনো জনপদ এর আগে কাফিরদের হাতে ধ্বংশ হয়ে যায় নি তা না। আর এ উপমহাদেশের মুসলিমদের শেষ পরিনতি আমাদের ভালো করে জানিয়ে দেয়া আছে।
নিরাশ হওয়া ভালো না। তবে বাস্তববাদী হওয়া ভালো।
I can't change the tide, neither can I alter destiny.
কিন্তু কি পরিক্ষায় আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফেলেছিলেন? এবং ঐ সময়ে আমার কি করা উচিৎ ছিলো? এর পর আমি কি করেছি? সেটা লিখে রাখা হবে।
আমরা কেউ এই পরিক্ষার হলে খুব বেশিক্ষন থাকছি না।
একটা উদাহরন দিয়ে বুঝাই:
আব্দুল্লাহ অমার নিউ ফেসবুক ফ্রেন্ড। একই মতাদর্শ, একই পথ। কিন্তু কিছু দিন তার ফিড দেখে বুঝলাম সে আমাদের বিরোধিদের ছোট বড় সব দোষ বের করে আক্রমন করে, মানে "মুখোশ উন্মোচনে" ব্যস্ত।
আমি চিন্তা করলাম, সে যদিও এখন আমার বন্ধু, কিন্তু সে যে সকল পয়েন্ট নিয়ে মানুষকে আক্রমন করছে, তার থেকে বড় দোষ আমার মাঝে আছে। আমি তার পক্ষে তাই হয়তো সে আমাকে কিছু বলছে না, কিন্তু একটু মতানৈক্য হলেই সে আমাকে এর থেকে আরো বেশি আক্রমন করবে। "ছুপা", "ঘরের শত্রু বিভিষন", "উনি হলেন গোপনে ..." এরকম।
এটা বুঝে আমি তাকে আনফ্রেন্ড বা আনফলো করে রাখলাম।
যদিও সে আমার বন্ধু, কিন্তু শত্রুর সাথে ব্যবহার দেখে বন্ধুকে চেনা যায়।
______
খুজলে লানত দেবার পক্ষে হাদিস বের করে কেউ প্রমান করতে পারবে লানত দেয়া হলো ক্ষেত্র বিশেষে সুন্নাহ। আবার খুজলে এর বিপক্ষের হাদিস দিয়েও কেউ প্রমান করতে পারবে লানত দেয়া খারাপ।
কে কোনটা অনুসরন করে এটা দেখে তার দিক চেনা যায়।
সুন্নি আলেমগন লানত দেয়াকে নিরুৎসাহিত করেন।
আবার শিয়ারা এব্যপারে উৎসাহিত করে। শিয়াদের স্টেটাস, অর্টিক্যলে আমি আবু-বকর, ওমর রা: এর নামের শেষে লিখে La. বা "লা" দেখতে পাই। লানতের সংক্ষিপ্ত।
মজলুম অবস্থায় কেউ জালেমকে লানত দিলো এটা ভিন্ন কথা।
কিন্তু কেউ ভুল পথে চলছে, বা ভুল কথা প্রচার করছে এ রকম দাবি করে বিভ্রান্তকে লানত দিলে এটা অন্য দিকে যায়।
এবং এধরনের কাজ আমি বেরলভিদের করতে দেখেছি সবচেয়ে বেশি। এবং তাদের একাংশ এটা করাকে সুন্নাহ মনে করে। এটা একটা পয়েন্ট যেখানে শিয়া আর বেরলভিদের মাঝে মিল আমার চোখে পড়ে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সত্যের পথে রাখুন।
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلَا اللَّعَّانِ وَلَا الْفَاحِشِ وَلَا الْبَذِيءِ
মু'মিন গালি দেয় না, লানত করে না, আশ্লিল কথা বলে না, কর্কশ কথা বলে না।
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلاَ اللِّعَانِ، وَلاَ الْفَاحِشِ، وَلاَ الْبَذِي
মু'মিনরা লানতকারি হয় না।
لاَ يَنْبَغِي لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يَكُونَ لَعَّانًا
সিদ্দিকরা লানতকারি হয় না।
لاَ يَنْبَغِي لِلصِّدِّيقِ أَنْ يَكُونَ لَعَّانًا
আমাকে লানতকারী হিসাবে পাঠানো হয় নি, রহমত হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
إِنِّي لَمْ أُبْعَثْ لَعَّانًا، وَلَكِنْ بُعِثْتُ رَحْمَةً
২
শেষে পথ যদি দুটো থাকে তবে যার অন্তর যে দিকে টানে সে ঐ দিকে যাবে।
এটা সত্যি যে যারা লানত দেয়াকে সুন্নাহ মনে করে দেয়, তারা শেষে যেভাবে লানতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, রাসুলুল্লাহ ﷺ ঐ রকম কিছু করেন নি।
টেকনিক্যলি স্পিকিং ১৯৯০ এর দিকে আহলে হাদিসের ৯০% ও ছিলো হানাফিদের আক্রমন। তবে গালা-গালি ছিলো ছুন্নিদের থেকে অনেক মাত্রায় কম। বা ছিলো না।
[ প্লাস নোট : এটা "দ্বিনের জন্য" সব গ্রুপ করছে। যেটা সম্ভবতঃ তাদের দৃষ্টিতে জায়েজ। বা সু্ন্নাহ। বা অন্য কিছু। যার দলিল-প্রমান তাদের কাছে আছে। ]
কারো থেকে কিছু শিখতে হলে তার খারাপগুলো সহ্য করে ভালো গুলো থেকে শিখতে হয়। এটা আমি বিশ্বাস করি।
তাই আক্রমান গুলো বাদ দিয়ে ভালো গুলো বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখনো।
FAQ : "কিন্তু, আপনি এগুলো শুনছেন কেন? কি স্বার্থে? কি শিখতে?"
তাসাউফ শিখতে। কি করে অন্তর পরিষ্কার রাখা যায় সেটা।
"গালা গালি থেকে?"
... ভাবিয়ে তুললো।
আলেমদের থেকে অন্তরের পরিচ্ছন্নতা খুজি না। যদি ইলম শিখতে যাই তবে গালাগালি ইগনোর করতে পারি।
পীরদের আমি সবচেয়ে বেশি লানত দিতে দেখেছি। অন্য যে কোনো ক্লাসের মুসলিমদের থেকে। অথচ আমার ধারনা ছিলো এর উল্টো হবার কথা। কেন এরকম জানা নেই।
ফেসবুকে কোনো আইডিকে যদি দেখি লানত দিতে, ধরে নেই সে সম্ভবতঃ পীর-মুরিদি লাইনের সাথে সম্পৃক্ত।
আমার উম্মতের আবদালদের আলামত হলো তারা কখনো লানত দেয় না।
وقال يزيد بن هارون : الأبدال هم أهل العلم
ইয়াজিদ হারুন বলছেন : আবদালরা হলেন আলেম।
وقال الإمام أحمد : إن لم يكونوا أصحاب الحديث فمن هم؟
ইমাম আহমেদ বলেন : তারা যদি আহলে হাদিস না হয় তবে আর কে হবে?
. وأحسن مما تقدم ما لأحمد من حديث شريح يعني ابن عبيد ، قال : ذكر أهل الشام عند علي رضي اللَّه عنه وهو بالعراق ، فقالوا : العنهم يا أمير المؤمنين ، قال : لا ، إني سمعت رسول اللَّه صلى اللَّه عليه وسلم ، يقول : " البدلاء يكونون بالشام وهم أربعون رجلا ، كلما مات رجل أبدل اللَّه مكانه رجلا يسقي بهم الغيث ، وينتصر بهم على الأعداء ، ويصرف عن أهل الشام بهم العذاب " ،
ইবনে আবিদ বলেন :
হযরত আলি রাঃ যখন ইরাকে ছিলেন তখন উনার কাছে সিরিয়াবাসিদের ব্যপারে কথা উঠে। উনাকে বলা হয় "তাদেরকে লানত করেন হে আমিরুল মু'মিনিন।"
আলি রা: বললেন, "না। কারন আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন : সিরিয়ায় আবদালরা থাকে। তারা ৪০ জন পুরুষ। তাদের কেউ মারা গেলে অন্য একজনকে আল্লাহ তায়ালা তার বদলে আনেন। তাদের কারনে বৃষ্টি দিয়ে সিক্ত করেন। তাদেরকে দিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য করেন। তাদের কারনে সিরিয়া বাসিদের আযাব থেকে পরিত্রান দেন।
ورجاله من رواة الصحيح ، إلا شريحا وهو ثقة ، وقد سمع ممن هو أقدم من علي ، ومع ذلك فقال الضياء المقدسي : إن رواية صفوان بن عبد اللَّه عن علي رضي اللَّه عنه من غير رفع : لا تسبوا أهل الشام جما غفيرا ، فإن فيها الأبدال ، قالها ثلاثا ، أولى ، أخرجها عبد الرزاق ، ومن طريقه البيهقي في الدلائل ، ورواها غيرهما ، بل أخرجها الحاكم في مستدركه مما صححه من قول علي نحوه
এই বর্ননাটা সহি। কিছু লিমিটেশনে। এর পর এর দলিলের ব্যাখ্যা উপরে আরবিতে। যারা রেফারেন্স খুজেন তাদের জন্য।
এরা যখন অগ্নি উপাসক ছিলো তখনও বীর জাতি ছিলো।
যতদিন সুন্নি ছিলো, দুনিয়া জয় করে ফিরেছে।
এর পর এখন শিয়া।
- অতিরিক্ত তর্ক
নিজে দেখি।
- বুখারি।
وَلَعْنُ الْمُؤْمِنِ كَقَتْلِهِ وَمَنْ رَمَى مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهُوَ كَقَتْلِهِ
5754 صحيح البخاري كتاب الأدب باب من كفر أخاه بغير تأويل فهو كما قال
মানুষকে গালি দেবো না। সে গালি দিলেও পাল্টা গালি না। সে আমাকে গালি দিলে তার গালির বিপরিতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ভালো কিছু দিয়ে দেবেন দ্রুতই। কিন্তু আমি গালি দিলে, তাকে যা নিয়ে গালি দিলাম সেটায় আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফেলে দেবেন। এই জিনিসটা জীবনে বহুবার দেখা। সামান্য বিষয়েও।
এটা নিজের অন্তর নিয়ন্ত্রনের ব্যপার। এক মুহুর্তের অসাবধানতায় সারা জীবনের কষ্ট।
দুনিয়াতে যারা বুজুর্গ হয়েছে তারা গালি খেয়ে খেয়ে হয়েছে। কেউ আক্রমনের বাইরে ছিলেন না। তাদের থেকে উত্তম নবি রসুলগন পর্যন্ত না। এটা থেকে আমার শিক্ষা। আমি তাদের অনুসরন করবো।
আর জনপ্রীয় কিন্তু গালির চর্চা করেছে তাদের পরিনতি হয়েছে ধ্বংশ। আমি তাদের অভ্যাসের অনুসরন করবো না।
"লানত দেয়া সুন্নাহ" "দ্বিনের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য গালি দেয়া সোয়াবের" "এই জায়গায় গালি দিলে জিহাদের সোয়াব" "অন্য মানুষের দ্বিন রক্ষার জন্য তাকে গালি" -- কথাগুলো যেন আমাকে প্রতারিত না করে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ প্রথমে কাফেরদের লানত দিতেন নামাজে। এর পর এর উপর আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করেন
لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذَّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ
এটা আপনার উপর না যে আল্লাহ তাদের মাফ করবেন নাকি আযাব দেবেন। তবে তারা অবশ্যই জালিম।
এর পর রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদের জন্য আর বদদোয়া করতেন না। এবং ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন শেষে তাদের অধিকাংশকেই আল্লাহ তায়ালা ইসলাম কবুল করান।
এর উপর বুখারি শরিফের একটা হাদিস। আরো অনেক আছে।
https://sunnah.com/bukhari/96/74
২
কাফেরদেরকে লানত দিয়ে দোয়া না করি। বরং কাফেরদের উপর বিজয়ের দোয়া করি।
৩
"হে আল্লাহ আমি যেন গুনাহ না করি" এমন দোয়া প্রচুর থাকার কথা ছিলো হাদিসে। নেই। আছে যা সবচেয়ে বেশি সেটা হলো "হে আল্লাহ আমার গুনাহ মাফ করেন।"
- এই সময় শিয়ারা লানত দেয় খুব বেশি।
কাউকে লানত না দেই। এতে আমার উপকার নেই। লানতের পক্ষে কেউ হাদিস দেখালে বিপক্ষেও হাদিস আছে অনেক। সেগুলোর উপর আমল করি।
নিচেরটা আগে "অনলি মি" করে রাখা একটা পোষ্ট। Released.
১
করেন না। এটা উনার করুনা, আরবিতে রহমত। আমি সারা জীবনে যত মানুষের সাথে চিটিং বাটপারি করেছি এর জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাকে ধরলে আমি এতদিন ধ্বংশ হয়ে যেতাম।
উনি সুযোগ দেন, মাফ করেন। আমি মাফ না চাইলেও। যদিও কখনো চাইনি। এর পরও উনার করুনার কমতি নেই আমার উপর।
২
আমাদের এক মানুষের অন্য মানুষের প্রতি যতটুকু করুনা, আল্লাহর করুনা ঐ মানুষের উপর এর থেকে বেশি।
করুনা দিয়ে কোনো মানুষ উনাকে ক্রস করতে পারবে না। হাশরের ময়দানে এক লোক নিজের শেষ নেকিটা দিয়ে দেবে অন্য একজনকে "এক নেকি দিয়ে আমি তো আর মুক্তি পাচ্ছি না, তোমার এক নেকি শর্ট তুমি এটা নিয়ে চলে যাও।"
আল্লাহর থেকে বেশি রহমত কোন মানুষের? উনি দুজনকেই মাফ করবেন।
নিজের অন্তরে তাই সংগি মুসলিমদের প্রতি "গিল্লাহ" বা বিদ্বেষ না রাখি।
৩
এর পরও জালেমদের রক্ষা নেই। উনি প্রত্যেককে ধরবেন। কিন্তু তারা দুর্বলদের উপর জুলুম করলে আল্লাহর ধরেন। আমি যদি এত লানত, এত অভিশাপ, এত বদদোয়া করতে পারি -- তবে আমি দুর্বল না।
কাউকে আমি অপছন্দ করি -- এজন্য আল্লাহ তায়ালা তাকে ধরবেন না। আমি যতই চাই না কেন।
১
কথাটা সত্য হলেও খাবো না।
সত্য কথাটা সে অবিশ্বাস করলেও খাবো না।
সমাজের সবাই অবিশ্বাস করলেও খাবো না।
সবাই আমাকে মিথ্যাবাদি বললেও খাবো না।
২
কসম খাওয়া।
লানত দেয়া।
গালি দেয়া।
বা ধরেন খুন করা।
প্রথমবার করতে যে কারো অনেক খারাপ লাগবে। কিন্তু প্রথমবার করে ফেলার পরে নিজের "ইনোসেন্স" ভেঙ্গে যাবে। এর পর সেই কাজটা ডাল ভাত। নিজেও বুঝবে না কখন সিমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এর পর সেই পাপের বোঝা সারা জীবন।
৩
কসমের উদ্দেশ্য হলো অন্যকে বিশ্বাস করানো নিজের কথা।
অন্যকে নিজের কথা বিশ্বাস করিয়ে আমার লাভ নেই যদি এতে আমার ব্যক্তি স্বার্থ না থাকে।
বরং ছেড়ে দেই। সে বিশ্বাস করলে করলো, না করলে না করলো।
আমি চুপ করে যাই। আগে নিজেকে বাচাই।
৪
কোনো কথা বলে ফেলেছি। এখন সে বিশ্বাস না করলে আমি অপমানিত হবো?
কথা সত্য হলে আমি মুক্ত, সে বিশ্বাস না করলেও। তাই এর পর চুপ করে গুটিয়ে যাই, কসম খেয়ে তাকে বিশ্বাস না করিয়ে।
৫
আখিরাতের অপমান বড় অপমান।
দুনিয়ার অপমান মনে হয় "সারা জীবন সংগে থাকেবে"। বাস্তবে পরের বছর কেউ মনে রাখে না। আল্লাহ তায়ালা ভুলিয়ে দেন।