Archive 1606183473

খন্দকার জাহাঙ্গির স্যার

#archive 2017

30-Jun-2017 07:48:34

এক্সট্রিমিজমের বিপক্ষে - ৩ : তবে জিহাদ কখন করবো?


হানাফি-দেওবন্দি মতের অনুসারী হলে -- মাদ্রাসার পর মাদ্রাসা থেকে যখন মুফতি-উলামারা জিহাদের ডাক দেবে এবং এর পক্ষে ফতোয়া প্রকাশ করবে তখন।

যেভাবে রাশিয়া-আফগান যুদ্ধের সময় হয়েছিলো।
এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় হয়েছিলো।

এই দেশে এটা হয় নি।


সালাফি-আহলে হাদিসের অনুসারী হলে যখন সরকার জিহাদের ডাক দেবে তখন। রেফারেন্স ইউটুব সার্চ করলে বহু পাবেন, অথবা খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের নোটে।

বাংলাদেশ সরকার জিহাদের ডাক দেয় নি।


"তার আগ পর্যন্ত?"
ঐ কাজ করেন যা উলামারা করছে। ইলম চর্চা করেন। নামাজ-রোজা-ইবাদতে মশগুল থাকেন।

"কিন্তু আমি সোয়াব থেকে বঞ্চিত হবো না?"
আপনি মুসলিম হত্যার গুনাহ থেকে বেচে যাবেন।

#HabibExtremism

02-Jul-2017 13:38:54


ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের "ইসলামের ইতিহাসে জঙ্গিবাদ" এর লিংক এখানে।

দশ বছর পুরানো এই আর্টিক্যলের উপর লিখিত সবচেয়ে কঠিন রিফিউটেশন আমার কাছে চলে এসেছে। নিচে পড়তে পারবেন।

মূল লিখা:
https://www.facebook.com/notes/sanjir-habib/ইসলামের-ইতিহাসে-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-একটি-পর্যালোচনা-ডঃ-খন্দকার-জাহাঙ্গির/10156325275414167/

রিভোকেশন:
https://www.facebook.com/notes/abu-yunus/ইসলামের-নামে-জঙ্গিবাদ-১-৬-আপডেট-হবে/307244129723830/

দুটোই পড়ে দেখেন। যেটার কথা আপনার কাছে বেশি সলিড মনে হয় সেটা গ্রহন করেন।

আপনি এই দিক বা ঐ দিকে যে দিকে যান, আমার কোনো লাভ বা ক্ষতি নেই।
কারন যার জবাব তাকে দিতে হবে। যার পরিনতি তার।


Q. "ভাই আমি মূল আর্টিক্যলটা পড়িনি। সময় নেই বা নেট স্লো। বরং বিষয়টা বুঝার জন্য আমি তর্ক ফলো করি। তাই আপনি যদি এটার জবাব দিতেন তবে আমাদের বুঝেতে সুবিধা হতো কার কথা ঠিক।"

A. ভাবিয়ে তুললো। :-)


যে কোনো রিফিউটেশন আমি দেখি, উনি কি

  • বক্তার মূল পয়েন্টেকে ভুল প্রমান করছেন?
    নাকি,
  • শাখা প্রাশাখায় ভুল খুজে নিয়ে বলছেন "যার শাখায় এরকম ভুল থাকে তার মূল কথা আমরা গ্রহন করি না!" অতএব পরিত্যেজ্য।

    আমি প্রথমটা এক্সেপ্ট করি। দ্বিতীয়টা না।

    তবে সবাই এরকম করে না। অনেকে দ্বিতীয়টা পছন্দ করে। আমি তাদের খারাপ বলছি না। Just different.


    যারা আমার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি না শুনে, বরং নিজেরা জাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য একটু সহজ করে দিচ্ছি।

    রিফিউটেশনটা লিখা হয়েছে বিশাল একটা PDF বইয়ের উপর যেটা আমি পড়ি নি।
    আমি যেটা শেয়ার করেছি সেটা সংক্ষিপ্ত প্রথম ভার্শন।

    রিফিউটেশন লিখা ৬ টা পয়েন্টের মাঝে ৫ টা পযেন্টই আমার শেয়ার করা আর্টিক্যলে নেই।


    "তার পরও যদি আরো রিফিউটেশন লিখা হয়? যেমন আপনার শেয়ার্ড অর্টিক্যলের উপর?"

    তবুও আমাকে ট্যগ করার দরকার নেই। আপনি যেটা ভালো মনে করেন সেটা আপনি অনুসরন করবেন। আমি কে?

    তবে বড় কোনো আলেম যদি এ ব্যপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেন পক্ষে বা বিপক্ষে -- আমাকে জানাবেন।

  • 17-Aug-2017 08:04:21

    কোরবানী নিয়ে ড: খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের ৭ মিনিটের বয়ান।

    বলছেন,

  • কোরবানী হজ্জের একটা অংশ।

    - গোস্ত-রক্ত আল্লাহর কাছে যায় না, যায় আপনার অন্তরের তাকওয়া। তাই নিয়ত ঠিক করতে হবে, দেখানোর জন্য না করে।

    - তিন ভাগের একভাগে লিমিট না করে পারলে বেশি দান করার চেষ্টা করবেন।

    - "ভাগে কোরবানী দিলে হবে না", এটা ভুল ফতোয়া। এবং সৌদি আলেমরাও এরকম কোনো কথা বলেন না।

    - বেনামাজীর সাথে ভাগ দেবেন না। কারন কোরবানী সুন্নাহ বা ওয়াজিব, কিন্তু নামজ ফরজ। বেনামাজীর কোরবানী যেন যার শরিরে কাপড় নেই তার মাথায় পাগড়ি পড়া।

    - যে বলে "আমি নামাজ পড়ি না এটা খারাপ" তার হয়তো ঈমান আছে, কিন্তু যে বলে "নামাজ না পড়লেও আমি নামাজির থেকে ভালো" তার ঈমান নেই।

    - কেউ হটাৎ নামাজ আরম্ভ করলে তাকে খোটা দেবেন না, "এই কারনে নামাজ আরম্ভ করেছে।" সে নামাজ আরম্ভ করলেই ভালো।

    - সুদখোরের তৌবা ১ বছর চেক করে দেখতে হয়, সে সত্যি সুদ বন্ধ করেছে কিনা। কিন্তু নামাজে এই শর্ত না। আরম্ভ করলেই হলো।

    - আমাদের উদ্দেশ্য হবে বেনামাজীকে সমাজচ্যুত করা না। বরং তাকে নামাজী বানিয়ে সমাজে আনা।

    - এক গ্রামে বেনামাজীর জানাজা নিয়ে গন্ডোগল হয়েছিলো। এর ভালো ফল পড়ে এবং এর পর নামাজীর সংখ্যা বেড়ে যায়।

    https://www.youtube.com/watch?v=F9iXGwGqq5k&spfreload=10

  • 19-Nov-2017 18:36:44

    শিয়ারা এখন মেইন স্ট্রিম। keep watching করেও খেয়াল করতে পারলাম না কখন কিভাব এটা হলো।

    হটাৎ করে দেখি,

    ইন্টারন্যশনাল যে ফোরামগুলো আগে সুন্নিদের দখলে ছিলো সেগুলোতে এখন শিয়া শায়েখদের লেকচার।

    ফেসবুকে কোনো শিয়া ছিলো না। এখন স্টেটাসে স্টেটাসে।

    জাহাঙ্গির স্যার মারা যাবার আগে দেশে ৩ লক্ষ শিয়া হবার হিসাব দিয়েছিলেন। এখন কত জানি না।

    09-Jan-2018 01:33:19

    বুখারি শরিফে যেরকম আছে, হুবহু সেভাবে নামাজ পড়ার চেষ্টা করছিলাম একবার।


    ছাত্রাবস্থায়। দুই রাকাত নফল নামাজে পড়বো। হুবহু সেভাবে যেভাবে হাদিসে পড়ছি। কিতাব খুলে বসলাম।

    "... উনি কিবলা মুখি হয়ে দাড়ালেন।" -- আমিও দাড়ালাম।
    "... যেন সবগুলো অঙ্গ কিবলা মুখি হয়।" -- আমি দুই পা সোজা করলাম। আংগুলগুলো যেন কিবলা মুখি হয়।

    "... তকবির বলে দুই হাত উপরে তুলে নিচে নামিয়ে আনলেন যতক্ষন না হাড়ের জোড়াগুলো তার স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।" -- তকবির বলে হাত নামালাম। কোথায় হাত বাধবো? হানাফিদের মত নাভির কাছে বাধলাম। লিখা "হাড়ের জোড়াগুলো তার স্বাভাবিক অবস্থানে আসে।" হাতের টাইটনেস কমিয়ে দিলাম। কাধ দুটো শুধু এক ইঞ্জি নিচে নামলো আর কোনো পরিবর্তন নেই।

    এর পর হাত তুলে বুকের কাছে বাধলাম। এখন কাধ আলগা করলেও কিছু হয় না।

    "হাড়ের জোড়াগুলো তার স্বাভাবিক অবস্থানে আসে" কথাটার অর্থ কি?


    পড়লাম "নামাজে কোনো সমস্যা হলে ছেলেরা সোবহানাল্লাহ বলবে। আর মহিলারা হাত দিয়ে নিজের উরুর উপর মেরে শব্দ করবে। কারন এতে হাত সবচেয়ে কম নাড়াতে হয়।"

    প্রশ্ন জাগলো, হাত সরিয়ে উরুতে মারবে? সবচেয়ে কম নড়তে হবে সম্ভবত এক হাত দিয়ে অন্য হাতের উপর মারলে।


    পড়লাম "শয়তান যদি কাউকে নামাজে ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে তবে সে তর্জনি দিয়ে উরুতে চাপ দেবে।"

    ওয়াসওয়াসা আমার প্রায়ই হয়। এটা করতে হবে। প্রশ্ন : নিয়ত বাধা অবস্থায় হাত নিচে নামাবো? সম্ভবতঃ এটা নামাজে বসা অবস্থায় করার জন্য যখন হাত উরুর উপর। কিন্তু ওয়াসওয়াসা তো দাড়িয়ে কিরাত পড়ার সময় হয়?!

    দাড়ানো অবস্থায় তিনবার হাত সরালে নামাজ ভেঙ্গে যাবে, পড়েছিলাম।


    এর ১০ বছর পরে। হজ্জে গেলাম।

    দেখলাম আফ্রিকার সবাই হাত নামিয়ে নামাজ পড়ে। হাত নামানোর দুটো ধরন আছে। টান করে নিচে নামিয়ে রাখা মিলিটারি স্টাইলে। এটা তাদের মাঝে যারা ক্লিন শেইভড তারা করে। আর দাড়ি ওয়ালা আলেমরা হাত এমন ভাবে ঝুলিয়ে রাখে যেন বাস স্টেন্ডে সাধারন ভাবে দাড়িয়ে থাকলে আমরা রাখি।

    বেয়াদবি? ক্লিন শেইভড ওয়ালারাই বরং কিছুটা সম্মানের সাথে হাত টেনে নিচে নামিয়ে রাখে।


    আরো ১০ বছর পরে।

    ইউটিউবে মালিকি মাজহাবের একজন আলেমের লেকচার শুনছিলাম। বললেন মালিকিরা হাত ছেড়ে নামাজ পড়ে।

    এর দলিল? হাদিস আছে তকবির বলে হাত রাসুলুল্লাহ ﷺ নিচে নামিয়ে আনতেন যতক্ষন না হাড়ের জোড়াগুলো তার স্বভাবিক অবস্থানে ফিরে আসে। কোথাও হাত বাধার কথা নেই। তাই হাত ছেড়ে সোজা টেনে নিচে না নামিয়ে, বরং স্বাভাবিক ভাবে ঝুলিয়ে রাখার কথা এখানে বলা হয়েছে। বাধার কথা থাকলে হাদিসে থাকতো এইখানে বেধেছেন।

    আর উরুতে হাত দিয়ে বাড়ি দিলে সবচেয়ে কম নড়াচড়া হয়? এটাও তখন সম্ভব যখন হাত ছেড়ে নামাজ পড়ে। তখন হাত যেহেতু উরুর কাছেই থাকে। বাধা থাকলে হাতের উপর হাত মারলে বরং কম নড়া হতো।

    আর আংগুল দিয়ে উরুতে চাপ দেয়া? হাত যেহেতু ছাড়া তাই উরু আপনার আংগুলের কাছে। সেখানেই চাপ দিতে হবে।

    সবগুলোই মিলে যায়। That explains it.


    ড: খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের একটা বই দেখলাম "নামাজে হাত বাধবো কোথায়?" পড়লাম দেখতে এই বিষয়ে উনি কোনো আলোকপাত করেছেন কিনা। না, উপরে যা বললাম তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো কথা নেই।

    তাহলে হাত বাধার কি কোনো হাদিস নেই? আছে, অন্য হাদিসের কিতাবে।
    আমি বুখারি শরিফে যেভাবে লিখা আছে সেটা ফলো করতে চেয়েছিলাম শুধু।

    শিক্ষা?
    ব্যখ্যাটা গুরুত্বপূর্ন। যেহেতু ব্যখ্যা দিয়ে অর্থ বদলিয়ে দেয়া যায়।


    প্রাসংগিক হাদিসগুলো কোট করছি না। কারন এতে মনে হবে এই পোষ্টটা যেন আমি অতি সিরিয়াসলি দিচ্ছি। যেন দলিল দিয়ে প্রচলিত ধারার বিপরতি নতুন কিছু প্রমান করার চেষ্টা করছি।

    যেটা আমি করছি না।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের হক পথে রাখুন।

    22-Feb-2018 15:36:07

    বুঝলাম আমি এখন চরমোনাই পন্থি কারন উনাদের মত আমিও গণতন্ত্রকে কুফর মনে করি না।

    সে হিসাবে ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যার পন্থিও বলা যায, কারন উনিও কুফর বলতেন না। কিংবা মুফতি তাকি উথমানী। যিনি কমুনিজমকে কুফর বলতেন, কিন্তু গনতন্ত্রকে বলতেন না।

    কিন্তু কওমি উলামাদের কি মত? হাফেজি হুজুর যেহেতু বটগাছ মার্কা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলেন ১৯৮২ সালে তাই উনি কুফর বলতেন না, ধরে নিলাম।

    কিন্তু উনি এখন নেই। উনার খলিফারা আছেন। খলিফাদের মাঝে মুফতি মনসুরুল হক সাহেব বলেছেন গনতন্ত্র কুফর, একটা আলাদা ধর্মের মত। কিন্তু উনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে কম খারাপ দলকে ভোট দেবার জন্য উৎসাহিত করেছেন ঘরে বসে না থেকে।

    বাকি আলেমদের মত কি? লুৎফুর ফারাজী ভাই? উনার মত: ইসলাম সম্মত না। কিন্তু কংক্লুশন ভোট দেয়া জায়েজ আছে, "তীব্র প্রয়োজন হারামকে হালাল করে দেয়"।

    বিভিন্ন দল-মত-আকিদা-মানহাজের অনুসারীদের মত কি? এগুলোর উপর একটা সিরিজ পোষ্ট লিখতে হবে।

    Feeling like.

    06-Mar-2018 06:56:09

    কওমি অঙ্গনে তিনটা মেঘ দেখতে পারছি। এর কিছু হয়তো মিটে যাবে কিছু যাবে না। শেষে কি থাকবে আল্লাহ জানেন।

    ১। সরকারি-করন। সার্টিফিকেট। সরকারি স্বিকৃতি। সরকারি সিলেবাস। রাজনৈতিক নেতাদের মাদ্রাসা, মাহফিল, মসজিদ নিয়ন্ত্রনে নেয়া। অথচ দেওবন্দের প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো সরকারি প্রভাবের বাইরে থেকে ইলম চর্চার জন্য।

    ২। সালাফি-করন। যেখানে মাজহাবে - হানাফি। মানহাজে - সালাফি। আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের বর্ননা। ফেসবুকে কওমি মাদ্রাসা ফারেগ নতুন আলেমদের বর্ননা। ঐখানে অবস্থান রত ছাত্রদের বর্ননা। এগুলোর নিদর্শন।

    ৩। এক্সট্রিমিজম। ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যার বলে গিয়েছিলেন "... এই সব রাজশাহিতে পাবেন যেখানে প্রায় কোনো মাদ্রাসা নেই। কিন্তু চট্রগ্রাম বা দেশের ঐ দিকে পাবেন না যেখানে এক মাদ্রাসার ছাদ থেকে অন্য মাদ্রাসা দেখা যায়।" এই কথা এখন আর সত্য না। এই ধারায় লিড দিচ্ছে এখন আলেমরা। যারা সবাই কওমি ফারেগ। ৫ বছর আগেও যা ছিলো সালাফিদের একক আধিপত্যে।

    ট্রেন্ডটা বর্ননা করলাম। এগুলো ভালো না মন্দ সেটা যার যার আকিদার ব্যপার। আর "আকিদার ব্যপারে তকলিদ নেই"। ঠিক?

    14-Mar-2018 07:12:06

    সমালোচনা:


    চাইলে যে কোনো কিছুকে কোরআন হাদিসে আছে বা নেই প্রমান করতে পারেন।

    ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির এর একটা নিয়ম বলছিলেন "ওয়ালা তাকরাবু আল ফাওয়াহিশ..." "তোমরা ফাহেশার কাছে যেও না..." আপনি বলবেন এই কাজটা ফাহেশা। কোরআন থেকে দলিল হয়ে গেলো। স্যারের কথা। এরকম করা উচিৎ না সেন্সে বুঝিয়েছেন।

    অথবা পক্ষে "ফাসআলু আহলাদ জিকরি ইন কুনতুম লা.." না জানলে আহলে জিকিরদের জিজ্ঞাসা করো। এটা থেকেও বহু লোককে বহু কিছু প্রামান করতে দেখেছি।


    ব্যসিক্যলি যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে "এটা কি কোরআন হাদিসে আছে?" তখন একে আমি ডুয়েল হিসাবে দেখি -- সে যতটুকু কোরআন হাদিস থেকে বেশি বেশি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তৈরি করতে রাজি আছে বনাম আমি কতটুকু রাজি আছি এর মাঝে।

    এই ডুয়েলে আমি সাধারনতঃ পরাজয় মেনে নেই। এগুলো নিয়ে juggle খেলে বিজয়ে আমার লাভ নেই।


    কিন্তু যদি সরা সরি কোরআন হাদিসে থাকে?

    তবুও সমস্যা আছে দেখেন নামাজের কত রকম নিয়ম আছে এর পরও তর্ক।

    বলবে, "আপনি কি ফিকহুল হাদিস পড়েছেন? না পড়েন নি। জেনে এর পর তর্ক করতে আসবেন।"
    রিমাইন্ডার, প্রশ্নটা ছিলো "এগুলো কি কোরআন হাদিসে আছে?"


    "তবে কি কোরআন হাদিস থেকে কিছু নেবো না?"

    নেবো। সরাসরি যদি নিতে হয় তবে নিজে যা বুঝি ততটুকু নেবো।
    ইন এনি কেইস, এগুলো নিয়ে তর্ক করবো না।


    "আচ্ছা। তাসাউফের ব্যপারগুলো কি কোরআন হাদিসে আছে?"
    ১ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য। চাইলে প্রামান করা যায় আছে। চাইলে প্রমান করা যায় নেই।

    বেশি তর্ক করলে আমার ঐ রকম হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে যাদের ব্যপারে বলা আছে, তারা কোরআন তিলওয়াত করবে কিন্তু মুখ থেকে সেটা অন্তর পর্যন্ত নামবে না।

    Published
    24-Nov-2020