#archive 2016
কংক্লুশন: একজন মুকাল্লিদের উচিৎ না আরেকজন মুকাল্লিদের এনকার করা।
.
https://www.youtube.com/watch?v=G4PQTfd7Zdg
https://www.youtube.com/watch?v=fElN-GDD6Ho
- "দ্বীন শেষ হয়ে যাচ্ছে" এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হবার কারন নেই। যুগে যুগে দ্বীনকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।
- "কেউ যদি বলে মানুষ ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে, তবে বরং সেই ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে" হাদিস।
- ক্রুসেডাররা বিজয়ী হতে হতে এবং মুসলিম দেশগুলো দখল করতে করতে, এক পর্যায়ে তাদের একজন নিজ দেশে চিঠি লিখেছিলো "আমরা মদিনা শহর থেকে আর শত কিলোমিটার দূরে, আর কিছুদিন মাঝেই রওজা থেকে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর লাশ মুবারক তুলে ফেলবো, ইসলাম শেষ হয়ে যাবে।"
সেটা হয়ে নি। বরং এর পর তারা পরাজিত হতে হতে ইউরোপের অর্ধেক হারিয়ে ফেলেছিলো মুসলিমদের কাছে।
- ১৯৭৯ সালে জুহাইমানের মক্কা ঘেরাওয়ের সময় তার দলের সবাই স্বপ্নে দেখেছিলো কাহতানি হলো মাহদি। তাদের অনেকে রাসুলুল্লাহ ﷺ কেও স্বপ্নে দেখেছিলো বলে জানিয়েছিলো।
_____
ভিডিওর প্রথমের গজলটার অর্থ:
ইয়া আইয়ুহাল মুসতাকনা বিন নুরি জামালিহি।
ইয়া কাওসাইনি মাহবুবু রাববিল মাশরিকাইনি।
যিনি পুর্ন হয়েছেন উনার নূরের সৌন্দর্যে।
যিনি মাহবুবের থেকে ধনুক পরিমান কাছাকাছি এসেছিলেন, যিনি দুই পূর্বের রব।
ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের চমৎকার বয়ান। উনি বলছেন ইসলাম গনতন্ত্র শুধু সমর্থন করে তা না, বরং ইসলাম যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা দিয়েছে সেটা গনতন্ত্রের সবচেয়ে কাছা কাছি।
তাই এখন দুটো ফতোয়া পাওয়া গেলো। আমাদের ফেসবুক মুফতিদের বিভিন্ন যুক্তি প্রমান নোট দিয়ে "গনতন্ত্র কুফর" ফতোয়া।
আর ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের "ইসলাম গনতন্ত্র শুধু সমর্থন করে না, বরং ইসলামি ব্যবস্থা গনতন্ত্রের সবচেয়ে কাছাকাছি" ফতোয়া।
https://www.youtube.com/watch?v=mtAStok49dc
ফেসবুক মুফতিদের উপর আমার কোনো আস্থা নেই।
তাই আমি ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের কথাকে গ্রহন করলাম।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে হকের উপর রাখুন। এবং তাকফিরিদের কুফর ফতোয়ার ভয়ে পথভ্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
অর্থাৎ,
প্রত্যেক ইবাদতকারীর মাঝে একটা উদ্যম আছে।
এবং প্রত্যেক উদ্যমের মাঝে হাল ছেড়ে দেয়া আছে।
এর পরে সে হয় সুন্নাহর উপর স্থির হয়
অথবা বিদআহর উপর স্থির হয়।
শেষে যার অভ্যাস হয়ে যায় সুন্নাহর উপর থাকা সে হিদায়া পেলো
আর যার অভ্যাস এটা এর ব্যতিক্রম হয়, সে ধ্বংশ হয়ে গেলো।
Reference: http://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php?bk_no=970&pid=401075&hid=86
ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের লেকচার থেকে কালেকটেড।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
উম্মাহর এই ফিতনার সময় উনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিলো।
আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে উনাকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
এখন আমরা শুধু আশা করতে পারি, ইমাম আওলাকীর মত উনিও হয়তো যা বলার সব বলে দিয়ে গিয়েছেন। এর পর আল্লাহ তায়ালা উনাকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন।
.
http://www.sheershanewsbd.com/2016/05/11/127271
নামাজ রোজার ফতোয়া না। এগুলো শিখে নিয়েছিলাম ছাত্রাবস্থায়। এর মাঝে ইসলামে এমন কোনো পরিবর্তন হয় নি যে নামাজের ফতোয়া বদলে যাবে।
ফতোয়া লাগে পলিটিক্যল একটিভিটি, খাওয়ারিজি, নাহি আনিল মুনকার, তাকফির, হুকুমত এসব ব্যপারে। এবং এসব ব্যপারে আমি উনাকে পেয়েছিলাম কোরআন হাদিস পড়ে নিজে যা বুঝতাম, তার সবচেয়ে কাছাকাছি কথা বলতে।
এসব এব্যপারে ফতোয়া দেবার লোকের অভাব আছে তা না। নেটে শত শত পিডিএফ আছে। সমস্যা হলো এগুলোতে আমি তকলিদ করি না। এবং বুগিজুগি দেখলে সরে পড়ি।
ফিতনার মাঝে সঠিক পথ দেখাতে পারে, এমন আলেম খুব কম।
যেহেতু অধিকাংশ লিখাই এখন আমাকে sarcastically লিখতে হয় তাই নিকট জনেরা confused হচ্ছেন এবং mixed message পাচ্ছেন। তাদের জন্য মূলতঃ এই লিখা। কাউকে উস্কে দেবার জন্য না।
_____
এই ব্যপারে আমার অবস্থান হলো ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গিরের "ইসলামের ইতিহাসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ: একটি পর্যালোচনা" লিখায় যা বলা হয়েছে এক্সক্টলি সেটা।
এর প্রথম ভার্শনটা এখানে পাবেন
http://habibur.com/article/id.4a17b466-45a6-483d-a117-7431b29af6e1/
এর পর এর ব্যখ্যা আরো বাড়িয়ে বই করা হয়েছে। তবে বেসিক পয়েন্টগুলো একই আছে।
এই আর্টিক্যল পড়ার আগেও আমার অবস্থান একই ছিলো। কিন্তু এই লিখাটায় কিছু গোপন না করে স্পস্ট করে সবকিছু উনি তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তায়ালা উনাকে ক্ষমা করুন।
_____
বেসিকেলি এই গ্রুপগুলোর কমন শিক্ষা হলো তিনটা:
১। গনতন্ত্র কুফর
২। বর্তমান যুগে শাসক যারা আছে তারা "তাগুত"
৩। "ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ" -- হুকুমত শুধু আল্লাহর জন্য।
নেটে তাদের লিখা পড়লে এটা ক্লিয়ার হওয়া যায়। এবং কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে বাংলায় তাদের যে ভিডিও রিলিজ করা হয়েছে সেখানেও এই তিনটা বিষয় নিয়ে বলা হয়েছে।
এই ব্যপারে আমার অবস্থান হলো
১। অধিকাংশ আলেমগন গনতন্ত্রকে কুফর বলেন না, এবং আমি তাদের পক্ষে।
২। প্রায় সকল মূলধারার তফসিরে তাগুত বলতে শয়তানকে বুঝানো হয়েছে। এবং আমি এই ব্যখ্যা গ্রহন করি।
৩। এক্সক্টলি এই আয়াতটা প্রথম যুগের খাওয়ারিজদেরও কমন বুলি ছিলো। এবং এটা দিয়ে তারা ঐ যুগের শাসকদেরও কাফির প্রমান করতো। আমি এই আয়াতকে সত্য মানি, এবং এর ব্যখ্যা গ্রহন করি মুলধারার আলামদের ব্যখ্যা। যেমন ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির উনার একটা লেকচারে এই ব্যপারে যা বলেছেন।
নেটে এই গ্রুপগুলোর সমর্থকরা এগ্রাসিভলি এই শিক্ষাগুলোকে ডিফেন্ড করেন। কারন তাদের দলের অস্তিত্ব এবং তাদের কাজের justification এই তিনটা শিক্ষার উপর দাড়িয়ে আছে।
তাই এর বিপরতি কিছু লিখলে তারা আপনাকে আক্রমন করে পারলে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে।
প্রমান চাইলে, কিছু লিখে দেখুন কি অবস্থা হয়।
_____
তবে প্রতিটা দলেরই ভালো মন্দ আছে। তাই আইডোলোজিক্যালি কোনো দলের কিছু শিক্ষার সাথে দ্বিমত পোষন করলেও আমি পারতঃ পক্ষে সুন্নি কোনো দলকে বাতেল বলি না। এর পরেও যার মাঝে যতটুকু ভালো আছে তার থেকে ততটুকু ভালো শিক্ষা নেই।
এবং এই দলগুলোর থেকে আমি পুলিশকে রবং আরো বেশি করাপ্ট, ও তাদের থেকেও বড় খুনি বলে বিশ্বাস করি। তাই তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে সমর্থন করার কোনো কারন নেই।
তাহলে এই দলগুলোকে আমি খাওয়ারিজ মনে করি কি?
জিনিসটা কমপ্লিকেটেড। তাই এখানে এটা নিয়ে আর কোনো ব্যখ্যা দিলাম না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই ফিতনার যুগে সত্য পথের উপর রাখুন।
এ যুগে এখন আর এটা নেই। দ্বিনের জন্য যদি কয়েক জন একত্রিত হয়, তবে এখন একজন শুধু preach করতে থাকে অন্যরা শুধু শুনতে থাকে। এটাকেই এখন বলা হয় "হালাকা"।
এখানে আন্তরের কথা শেয়ার করা নেই, অন্যের আবেগের কথা শুনা নেই।
যদি কোনো বৈঠকে কনভারশেসন হয়, তবে সেটা চলে যায় মাসলার দিকে, তর্কের দিকে, হক-নাহক বের করার দিকে।
এর কোনোটাই খারাপ না। কিন্তু ঐ মজমাটায় যখন রাসুলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞাসা করেছিলেন তোমারা কি আলোচনা করছো? তারা জবাব দিয়েছিলো আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ঈমান দ্বারা যে সম্মানিত করেছেন, তার আলোচনা করছি, শুকরিয়া করছি।
.
https://www.youtube.com/watch?v=W3LvdwOJuU8
১
"সালাফি মত থেকে আপনি এক্সট্রিম মতগুলো লিখছেন কেন? সঠিক মতগুলোকে না লিখে?"
প্রথম কথা হলো কোনটা সঠিক সেটা ডিটেক্ট করার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি না। মূলধারার মতটা আমি লিখে দিচ্ছি শুধু।
মূলধারা মত বলতে আমি সৌদি আলেমদের কথা। islamqa তে দেয়া ফতোয়া আর বাংলাদেশের প্রখ্যাত সালাফি টিভি আলেমদের কথা। এগুলোকে সোর্স ধরছি।
কোথাও যদি মূলধারার মতটা আমি ভুল লিখি তবে বলে দিলে কারেক্ট করে দেবো, ইনশাল্লাহ।
২
"আপনার কথা ভুল। কারন, ইমাম আবু হানিফা বলেছিলেন ____"
হানাফি মত বলতে আমি ইমাম আবু হানিফার মত বুঝাচ্ছি না। বরং বর্তমানে হানাফি আলেমদের অধিকাংশের সম্মিলিত মত বুঝাচ্ছি। হানাফি রুলিং বলতে যা বুঝায় তার মাঝে খুব কমই ইমাম আবু হানিফার সরাসরি কথা আছে। একটা বড় অংশ পরবর্তি আলেমদের কথা। এবং কিছু ব্যপারে উনার মতের উল্টো কোনো মত হানাফিরা গ্রহন করেছে।
৩
"সুরা ফাতিহা নিয়ে আপনি যেটা লিখলেন সেটা সঠিক সালাফি মত না। এক্সট্রিম মত। ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের লেকচারে উনি বলেছেন_____"
নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ার ব্যপারে সালাফি মত আমি লিখেছি এখান থেকে।
https://islamqa.info/en/10995
এখানে অনেক কথা আছে। শেষ কংক্লুশন পড়ে দেখেন। ইমামের পেছনে সকলকে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে ইমাম জোরে পড়ুক বা আস্তে।
The correct scholarly opinion is that it is obligatory to recite al-Faatihah when praying alone and it is obligatory upon the imam and those whom he is leading both in prayers where Qur’aan is to be recited out loud and when it is to be recited silently, because of the soundness and specific nature of the texts which indicate that. The aayah (interpretation of the meaning):
এটাই সালাফি মত। এবং আমি বহু বছর ধরে তাই শুনে আসছি তাদের কাছ থেকে।
প্লাস, ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির সার রাহি: সালাফি হানাফি দুটোর মাঝা মাঝি কিছু করতে চাচ্ছিলেন। যে ক্ষেত্রে উনার কথার সাথে মূলধারা সৌদি আলেমগন কথা মিলে না, সে ক্ষেত্রে সৌদি আলেমদের কথাকে মূলধারা ধরেছি।
১
আমেরিকার মুসলিম ব্যন প্রতি দিনের খবরে আরো কঠিন হচ্ছে। আমেরিকায় হামলাগুলোতে যে যে দেশের নাগরিক ছিলো প্রতিটা দেশই ব্যনে পড়বে। তবে সিরিয়ার খৃষ্টানরা আমেরিকায় আসতে পারবে যখন ইচ্ছে।
২
খৃষ্টানদের কথা যখন উঠলো। খবরে প্রকাশ সিরিয়ান রিফুজিরা দলে দলে ইউরোপে গিয়ে খৃষ্টান হয়ে যাচ্ছে নাগরিকত্ব সহজে পাবার জন্য। একেবারে চার্চে দিয়ে বাপটাইজড হয়ে। অথচ এই ৮০র দশকেও বাংলাদেশে মিশনারীরা বলতো আমরা ১০ বছর চেষ্টা করেও ১ জন মুসলিমকে খৃষ্টান করতে পারি নি।
৩
বাংলাদেশের কথা যেহেতু আসলো। ড: খন্দকার জাহাঙ্গিরের একটা লেকচার আছে। উনি বলছিলেন উত্তর ও দক্ষিন বঙ্গে ৩ লক্ষ মানুষ খৃষ্টান হয়ে গিয়েছে। দেড় লক্ষ শিয়া হয়েছে। এর পর উনি বললেন এক তবলিগের জামাত এসেছিলো তাদেরকে ফেরানোর জন্য কিন্তু তাকে মসজিদে ঢুকতে দেয় নি পলিটিক্যল ইসলাম এবং পীরবাদ ইসলামের অনুসারিরা। বাধা দান কারীদের যুক্তি ছিলো "খৃষ্টান হলেও ফিরানো যাবে কিন্তু তবলিগে গেলে আর আমাদের দলে আনা যাবে না।" উনার কথা। ভিডিওটা খুজলে হয়তো পাবো ইনশাল্লাহ।
এটাও দুই বছর আগের কথা। এখন কি অবস্থা আল্লাহ জানেন।
৪
এই খবরগুলো আমরা জানা আরম্ভ করেছি যখন রিসেন্ট হত্যাকান্ডগুলোর খবর আসা আরম্ভ করেছিলো পেপারে। রিপোর্টাররা এই সব এলাকায় গির্জা আর শিয়া কিভাবে আসলো তার ইতিহাস টেনে কত বিশাল জনগোষ্ঠি কোন বছরে কনভার্টেড হয়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরছিলো। জাহাঙ্গির স্যারের কথাই ঠিক ছিলো।
৫
কোন বছরে কত কনভার্টেট হয়েছে? শিয়াদের প্রচারনা এই দেশে চলছে ৮০ সাল থেকে। ইরানের ফান্ডে। ঐ সময়ে এর সফলতার কোনো খবর আসে নি। উত্তর বঙ্গের যে লক্ষ শিয়া, এরা কনভার্টেড হয়েছে গত ৮ - ১০ বছরে। কি হয়েছিলো? মানুষ এখন কেন দলে দলে ধর্মচ্যুত হচ্ছে? এটা হলো সময়। আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ হলেন সময়।
৬
এখন আমেরিকাতে মুসলিমরা আসতে পারবে না শুধু খৃষ্টানরা আসতে পারবে। এর পর কি হবে ধারনা করা যায়। মানুষ ধারনা করেছিলো ট্রাম্প যা বলছে তত বেশি সে করবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো কথার থেকে অনেক বেশি সে করছে। খবর: আমেরিকার ইতিহাসে ১ সপ্তাহে এত বেশি পরিবর্তন হয় নি যতটুকু ট্রাম্পের প্রথম সপ্তাহে হলো।
৭
বড় বড় সব ঘটনা এখন ঘটছে আমেরিকাতে। মধ্যপ্রাচ্য অনেকটা থমকে আছে।
#FitnaNews
অন্য আলেমদের মতে সাধারন মানুষদের উচিৎ কোরআন বুঝে পড়া। এর পর যে প্রশ্ন আসবে সেগুলো সে আলেমদের কাছে গিয়ে ক্লিয়ার করে নেবে।
আমি এই দ্বিতীয় মত আনুসরন করি।
ড: খন্দকার জাহাঙ্গির স্যারের বয়ান এর উপর।
.
https://www.youtube.com/watch?v=GCbGwW98m6M&spfreload=10
১
এখানে তর্কে জিতা আমার উদ্দ্যেশ্য না। তাই কমেন্ট অফ।
এই সিরিজের লিখা পড়ে দুই একজন যদি এই দিক থেকে ফিরে আসতে পারেন তবে ততটুকুই ভালো।
তাও যদি না হয় তবে আমার সন্তান-পরিবার-আত্মিয়-পরিচিতদের কেউ যেন এই ফাদে না পড়েন এর জন্য লিখা।
২
এর উপর সুন্দর গুছিয়ে লিখেছিলেন ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির স্যার। আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাত নসিব করুন।
উনার আর্টিক্যলের প্রথম ভার্শন প্রকাশিত হয়েছিলো ২০০৬ সালে, ইসলামি ফাউন্ডেশন পত্রিকায়।
এটার লিংক এখানে।
"ইসলামের ইতিহাসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ: একটি পর্যালোচনা"
ওয়েবে,
https://habibur.com/page/history-of-extremism/
ফেসবুক নোট,
https://www.facebook.com/notes/sanjir-habib/ইসলামের-ইতিহাসে-সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-একটি-পর্যালোচনা-ডঃ-খন্দকার-জাহাঙ্গির/10156325275414167/
পরবর্তিতে বই আকারে আরেকটু বড় করে ছাপানো হয়েছে। এর PDF আছে নেটে। সেটা খুজে নিয়ে পড়তে পারেন।
৩
আমি এটা অনেককে পড়তে দিয়েছি, যারা কনফিউশনে ছিলো।
নিজ গরজে বুকলেট আকারে প্রিন্ট করে একজনকে দিয়েছিলাম। উনি পড়ে বলেন, "আমার মাথা ঘুরছে। কিছু বুঝতে পারছি না।" অথচ উনি এর আগে মজলিশ-মজমায় বক্তব্য দিয়ে মানুষকে গরম করে তুলতেন কোরআন হাদিসের কোটেশন দিয়ে।
৪
ধর্য্য ধরে এটা পড়তে বলবো। এত বিশাল সেক্রিফাইস করার জন্য আপনি রাজি থাকলে আগে জেনে নিন এই সেক্রিফাইস জাষ্টিফাইড কিনা। এতটুকু সময় আপনার হবে, ইনশাল্লাহ।
৫
এর রিভোকেশন খুজছিলাম এক্সট্রিমিস্টদের পক্ষ থেকে। একটা চোখে পড়েছে ডঃ জাহাঙ্গির স্যার এক জায়গায় হাদিস অনুবাদ করতে গিয়ে "জিম্মি" শব্দটা বাদ দিয়েছেন। ওয়েল "জিম্মি" বসিয়ে দেন এর পর দেখেন পড়লে উনার বাকি সব পয়েন্ট বদলিয়ে যায় কিনা।
রিসেন্টলি আরেকটা রিভোকেশন পড়েছিলাম ওয়েবে। লিখক বলছিলেন "আমার মাথা আউলিয়ে গিয়েছে। স্যারের দেয়া ব্যখ্যা ফিকাহর কিতাবে নেই।"
তাই? ফিকাহর কিতাব আমি পড়েছি [বাংলা অনুবাদে] এবং সেখানে এটাই পেয়েছি যা উনি বলেছেন।
#HabibExtremism