Archive 1606004480

#archive জানাজা

29-Apr-2015 13:58:31

১/ আমার মৃত্যুর পর যেন মসজিদের মাইকে কোনো ঘোষনাই না করা হয়। এমনও না যে "একটি শোক সংবাদ.... ... মরহুমের জানাজা হবে...."

২/ জানাজায় দাড়িয়ে কোনো কথাই যেন না বলা হয়। এও না যে, "ওমুক আপনাদের মাঝে ছিলো, তার পাওনা থাকলে..." এইসব হাবিজাবি কথা।

৩/ মোবাইল করে আত্মিয়দের মৃত্যুর খবরও যেন না দেয়া হয়। শুধূ মাত্র দাফন কাফনের জন্য যাদের সাহায্য লাগবে তাদের ছাড়া।

পরে মানুষ বাসায় এসে যদি জিজ্ঞাসা করে "ওমুক আছে?", তখন জানিয়ে দেবে, "না উনি তো নেই। মারা গিয়েছেন।"

____________________
হুযাইফা রা: বর্ননা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ ﷺ "নাআই" করতে নিষেধ করেছেন।

ইমাম তিরমিযি মতে এটা হাসান সহি

http://sunnah.com/bulugh/3/24

[ নাআই হলো কারো মৃত্যুর খবর ঘোষনা করা। ]

আবদুল্লাহ বর্ননা করেছেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "নাআই" থেকে সাবধান, কারন নাআই হলো জাহিলিয়াতের আমল। আবুল্লাহ বলেন "নাআই" হলো মৃত্যুর খবর ঘোষনা করা।

তিরমিযি। দারুসাসালাম পাবলিকেশনের মতে জয়িফ।

http://sunnah.com/tirmidhi/10/20

হুযাইফা রা: এর পরিবারের কেউ মারা গেলে উনি বলতেন, কাউকে এই খবর দিও না। কারন আমি ভয় করি তাহলে এটা "নাআই" হয়ে যাবে। আমি আমার এই দুই কানে শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ "নাআই" করতে নিষেধ করেছেন।

- ইবনে মাযা
দারুসসালাম পাবলিকেশনের মতে জয়িফ।

http://sunnah.com/urn/1288260

01-May-2016 00:04:25

হানাফি মাজহাবে জানাজার নিয়ম:

প্রথম তকবিরের পরে: নামাজের সানা পড়া, "সোবাহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়াতাবারা কাছমুকা..."।

দ্বিতীয় তকবিরের পরে: দুরুদে ইব্রাহিম পড়া, "আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়ালা আলি মুহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিম..."।

তৃতীয় তকবিরের পর: নিচের দোয়াটা পড়া।

اَلَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا
হে আল্লাহ আপনি মাফ করেন, আমাদের জীবিত আর মৃতদের
وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا
যারা এখানে আছে, আর এখানে নেই তাদের
وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا
ছোট আর বড়দের
وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا
পুরুষ আর মহিলাদের
اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَه‘ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِْسْلاَمِ
হে আল্লাহ আমাদের মাঝে যাদের আপনি জীবিত রাখেন, তাদের ইসলামের উপর জীবিত রাখেন
وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَ الاِْيْمَانِ
আর যাদের আপনি মৃত্যু দেন, তাদের ঈমানের সাথে মৃত্যু দেন
بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-
বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

এর পর চতুর্থ তকবিরের পর আর কোনো কিছু না পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।

____
হাম্বলি মাজহাবে, সৌদি আরবে কাবা শরিফের ইমামরা যেভাবে পড়েন:

উপরের মত। শুধু পার্থক্য হলো:

প্রথম তকবিরের পর সানার বদলে সুরা ফাতেহা পড়তে হবে।
সালাম ফিরানোর সময় এক দিকে সালাম ফিরাতে হবে।

এবং দোয়ার সময় উল্লেখিত দোয়া ছাড়াও আরো অনেক দোয়া পড়েন।

06-Aug-2016 14:05:41

হাদিস - ৩৪
রিবয়ি বলেছেন:
আমি শুনেছি হুজাইফা রা: এর জানাজায় এক লোক বলছেন:
আমি এই খাটিয়ার লোকের কাছে শুনেছি উনি বলেছেন:
আমার অল্প কস্টও নেই।
কারন আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে শুনেছি:
তোমাদের যদি হত্যা করা হয়, তবে তোমরা আমার ঘরে প্রবেশ করবে।

এ জন্য, তারা যদি আমার ঘরে প্রবেশ করে তবে আমি তাদেরকে বলবো:
আসো! আমার আর তোমার গুনাহ নিয়ে ফিরে যাও।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা - ৩৬৪৪৪ ]
http://library.islamweb.net/hadith/display_hbook.php?indexstartno=0&hflag=&pid=58353&bk_no=96&startno=33

____
বুঝলাম বলা হচ্ছে,
ফিতনার সময় যাকে হত্যা করা হবে সে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর হিফাজতে যাবে।
এবং যাকে হত্যা করা হলো, তার গুনাহর বোঝা খুনিকে দিয়ে দেয়া হবে।

01-Sep-2016 00:11:54

"আমি অনুরোধ করে গেলাম তুমি আমার জানাজা পড়াবে" -- এই ধরনের আবেগ ধর্মি কথার কোনো দাম নেই।

শরিয়তে বলা আছে কে জানাজা পড়াবে এবং সেভাবেই পড়ানো হবে। মৃত ব্যক্তি যাই বলে যাক না কেন।

08-Feb-2017 10:27:08

মাজহাবগত পার্থক্য - ১০


জানাজা: দৃশ্যমান পার্থক্য দুটো। তবে সুরা ফাতিহা পড়া-নাপড়া নিয়ে মতভেদটায় জোর দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি।

সালাফি: জানাজার নামাজের প্রথম তকবিরের পরে সুরা ফাতিহা পড়তে হয়।
হানাফি: প্রথম তকবিরের পরে সানা [সুবহানাকা আল্লা হুম্মা...] পড়তে হয়।

সালাফি: নামাজের শেষে এক দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা হয়।
হানাফি: দুই দিকে সালাম ফিরাতে হয়।

এর বাইরে সালাফিরা ৩য় তকবিরের পরে অনেক দোয়া পড়েন। এ জন্য শেষ তকবিরের আগে বেশ দেরি হয়। হানাফিরা সাধারনতঃ রেগুলার যে দোয়াটা আছে সেটা পড়েন।

জানাজার নিয়ম এখানে লিখেছিলাম:
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10153569104268176


তাইমুম: এখানে সালাফিদের নিয়ম হানাফিদের থেকে অনেক সহজ। তবে এগুলো নিয়ে তর্ক হয় না। যে যার মত করে।

তাইমুমের নিয়ম ডিটেলস এখানে লিখেছিলাম।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10153616823283176

বড় পার্থক্য হলো
সালাফি: হাত মুছার সময় শুধু কব্জি পর্যন্ত মুছা হয়।
হানাফি: কুনুই পর্যন্ত মুছা হয়। এর সাথে আংগুল খেলাল করা হয়। কুনুই পর্যন্ত মুছা ফরজ।


ইকামত: পার্থক্য হলো

সালাফি: ইকামতের সময় আজানের শব্দগুলো যতবার বলা হয় তার অর্ধেক বার ইকামতে বলা হয়।
হানাফি: আজানের শব্দগুলো যতবার বলা হয় ততবারই ইকামতে বলা হয়।

#HabibDiff

09-Mar-2017 07:36:52

ট্রেন্ড : জানাজা

কোনো ওয়াক্তে মসজিদে গিয়ে যদি দেখি মুসুল্লির সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে দ্বিগুন, এবং অর্ধেক মুসুল্লিদের মাথায় টুপি নেই, বুঝি নামাজের পরে জানাজা আছে।


৪০ বছর আগে এই মসজিদে বছরে একটা/দুটো জানাজা হতো। নামাজের আগে ইমামকে বলতে হতো জানাজার নিয়ম।

এখন সপ্তাহে কয়েকটা করে জানাজা থাকে। কিছু দিন আগে জোহর আসর দুই ওয়াক্তেই জানাজা। এক দিন জোহরেই দুই জানাজা। তাই একটা অন্য মসজিদে পাঠালো।

For comparison: মক্কা/মদিনায় প্রতি ওয়াক্তেই জানাজা থাকে।


৮০ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিলো ৯ কোটি। এখন ১৫ কোটি। জনসংখ্যা দ্বিগুন হয় নি। তবে শহরায়ন বাড়ছে।

মৃত্যু চোখে পড়ছে বেশি।

#HabibTrend

05-Oct-2017 08:59:24

একই ব্যক্তির একাধিকবার জানাজার নামাজ পড়া।

প্রশ্ন

আমাদের দেশে বর্তমানে দেখা একই ব্যক্তির একাধিকবার জানাজার নামাজ পড়া হয়। আমার প্রশ্ন হল জানাজার একাধিক জামাত করা জায়েজ আছে কি?

উত্তর

না, জানাজার একাধিক জামাত করা জায়েজ নেই। তবে যদি মৃতব্যক্তির অলি (নিকটতম অভিভাবক) এর অনুমতি ব্যতিত অন্য কেউ জামাত আদায় করে তাহলে অলির জন্য ২য় বার জানাজার নামাজ পড়া যায়েয আছে।

সুত্রঃ মাবসুত(সারাখসি) -১/১২৬, তাতারখানিয়া-২/১৩৫, মাওসুয়া-১৬/৪০, গুনইয়া-৫৩৭, আলমগিরি-১/১৬৩, রহিমিয়া-৭/৪১।

__________________

জানাজার নামাযে কখন হাত ছাড়তে হবে? সালামের আগে না পরে?

প্রশ্ন

জানাজার নামাযে কখন হাত ছাড়তে হবে? সালামের আগে না পরে?

উত্তর

জানাজার নামাজে হাত ছাড়ার ৩ টি পদ্ধতি রয়েছে।
১-প্রথমে হাত ছেড়ে পরে সালাম ফিরানো।
২-ডানদিকে সালাম ফিরানোর সময় ডানহাত ও বামদিকে সালাম ফিরানোর সময় বাম হাত ছাড়া।
৩- সালাম ফিরানোর পরে উভয় হাত ছাড়া।
তবে প্রথমটি উত্তম। (-প্রথমে হাত ছেড়ে পরে সালাম ফিরানো)।

সুত্রঃ খুলাসাতুল ফতোয়া-১/১২৫, সে’আয়া-২/২২৫, শামি-১/৪৮৭, হেদায়া-১/১০২, আহসানুল ফতোয়া-৪/২২৭, মাহমুদিয়া-১৩/১০৪

___________________

গায়েবানা জানাযা কি জায়েজ?

প্রশ্ন

গায়েবানা জানাযা কি জায়েজ? আমার এক বন্ধু বলেছে রাসুল সা; নাকি গায়েবানা জানাযা পড়েছেন?

উত্তর

না, গায়েবানা জানাযা জায়েয নেই। তবে রাসুল ﷺ গায়েবানা জানাযা পড়েছেন এ কথা হাদীসে বর্নিত হয়েছে সেটা কেবল নাজ্জাসির উপর ছিলো এবং এটা তার বৈশিষ্ট্য ছিল। অত এব বিচ্ছিন্ন এই ঘিটনার উপর ভিত্তি করে গায়েবানা জানাযার বৈধতা সঠিক নয়। কারন এই ঘটনা ছাড়া রাসুল সা; ও সাহাবারা কখনো গায়েবানা জানাযা পড়েন নি। অথচ অনেক সাহাবি মদিনার বাহিরে ইন্তেকাল করেছেন এবং তাদের দাফন ও হুজুরের অনুপস্থিতে মদিনার বাহিরে হয়েছিল।

দলিল;
আদ দুররুল মুখতার ২/২০৮,[সাইদ] বাদায়ে ২/৪৮, [দারুক কিতাব], আলমগিরি ১/১৬৪ আমিরিয়া, হাসিয়াতুত তাহতাবি পৃ; ৫৮২, ফেখুল হানাফি ১/৩৩৯, দারুল আহসানুল ফতোয়া ৪/২০০,

উত্তর দিয়েছেন: মুফতি মেরাজ তাহসিন।

09-Mar-2018 01:29:07

সরকারী ভাবে এদের জানাজা হবে। যেহেতু তখন জানাজা করাটাকে একটা চ্যলেঞ্জ-যুদ্ধ হিসাবে দেখা হয়। এবং পাশের মসজিদের ইমাম সাহেবও জানাজা পড়াবেন। যেহেতু এই এক জানাজা না পড়ালে উনার চাকরি চলে যাবে "একটি জানাজা, সারা জীবনের কান্না"।

কিন্তু আপনি আমি মুসলিম আম পাবলিকদের উচিৎ হবে এ থেকে বিরত থাকা।

উল্লেখ্য রাজিব হায়দার [থাবা বাবার] জানাজা হয়েছিলো :
১। পাশের মসজিদে মাগরিবের আজান দেবার কিছুক্ষন পরে। মাগরিবের নামাজ না পড়ে।
২। কেউ ওজু না করে। শাহবাগের মোড়ে ওজুর ব্যবস্থা ছিলো না।
৩। ছেলে মেয়ে একত্রে মিলে মিশে দাড়িয়ে। ছেলে মেয়ে কাধে কাধ লাগিয়ে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে। হিন্দু মুসলিম এক সাথে।
৪। কিবলা মুখি হবার বদলে লাশকে ঘিরে সবাই গোল হয়ে দাড়িয়ে।
৫। চার তকবিরের বদলে তিন তকবিরে।

ঐ সময়ে আমি এই জানাজার কাছে ছিলাম। কিন্তু মাগরিবের আজান দিয়ে দিয়েছিলো বলে নামাজ পড়তে চলে গিয়েছিলাম। তাই তামাশা দেখার সুযোগ হয় নি।

10-Jan-2019 08:52:24

সাদ সাহেবের জানাজা পড়ানোর দৃশ্য। এই একটা শট উনি হক না বাতিল সেটা বুঝার দিকে অনেক দূর নেবে [৮০%]।

এর ব্যাপারে মাওলানা জিয়া [এতায়েতি] যখন উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো তখন উনি জবাব দিয়েছিলেন "[প্রতি তকবিরে হাত তুলেছিলাম কিনা] বলতে পারবো না। এমন কিছু আমার মনে নেই"

মাওঃ জিয়ার কংক্লুশন এই ভিডিওটা তাই ফেইক। প্রথম তকবিরের হাত তুলাকে জোড়া লাগিয়ে পরের তিনবার হাত তুলা কম্পাইল করা হয়েছে।

ভিডিওটা ফেইক না রিয়েল এটা ২০%।

এর পর রিয়েল/সত্য হলে এর পরের ব্যখ্যা।

10-Jan-2019 12:30:03

জানাজার নামাজে প্রতি তকবিরে মাওলানা সা'দ হাফি: এর হাত তুলা ফেইক না, ধরে নিচ্ছি।


১। ফেইক হলে এত দিনে এটা নিয়ে পোষ্ট আসতো।
২। জোড়া দেয়া ভিডিও হলে "repeated frame" দেখা যেতো ভিডিওতে, যেটা এই ভিডিওতে নেই। বা আমার চোখে পড়ে নি।
৩। ভিডিও প্রথম যারা প্রকাশ করেছে তারা এই ব্যপারটা হাইলাইট করে প্রকাশ করে নি। পরে ধরা পড়েছে। তাই "অসৎ উদ্যেশ্য" আসছে না।


বুঝতে হবে সা'দ সাহেব হক পন্থি হতে হলে উনাকে মুজাদ্দিদ হতে হবে। সাধারন ভাবে শুধু "হক" হলে চলবে না। কারন উনি প্রতিষ্ঠিত অনেক কিছুর বিরোধিতা করছেন। হয় অধিকাংশ দেওবন্দি আলেম ঠিক, নয়তো সা'দ সাহেব মুজাদ্দিদ। দুটোর একটা।


"আমার মনে নেই, জানি না" এই কথাগুলো সাহায্য করছে না।

এর উপর ওজাহাতিদের দাবি সা'দ সাহেব এক সময় "পাগল হয়ে গিয়েছিলেন" "বিষ খাওয়ানো হয়েছিলো" এধরনের। তারা এ থেকে আরো সরব হবে।

ওজাহাতিদের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও কিছু করে এর পর সেটা "মনে নেই" বলা মুজাদ্দিদ হবার পক্ষে সহায়ক না।


উল্টো দিক থেকে দেখি। কোন ক্ষেত্রে সা'দ সাহেব

১। জানাজায় হাত তুলতে পারেন?
২। তুলেছিলেন যে, সে কথাটা এড়াতে পারেন।
৩। একই সাথে মুজাদ্দিদ হতে পারেন?

প্রথমতঃ আমি দেখছি একটা ক্ষেত্রে :
"দেওবন্দি শিক্ষা ভুল। আহলে হাদিস/সালাফি শিক্ষা ঠিক" - এই ক্ষেত্রে।


এর পর দেখতে হবে উনার অন্যান্য কাজেও কি এই জিনিসটা রিফ্লেক্ট করে? নাকি এর অন্য কোনো ব্যখ্যা আছে?

উনি ফাজায়েলে আমল বাদ দিয়ে মুন্তাখাব হাদিস চালু করেছেন - এটা একটা ইন্ডিকেটর।

উনার অনুসারিরা ক্রমেই আহলে হাদিসের পক্ষে যুক্তি দেখাচ্ছেন এবং দেওবন্দের মূল শিক্ষাগুলোর বিপক্ষে কথা বলছেন - এটা আরেকটা ইন্ডিকেটর।

10-Jan-2019 17:05:09


ভুলে জানাজার নামাজে সা'দ সাহেব হাত তুলে থাকলে, এবং পরবর্তিতে সেটা সফ্টলি অস্বিকার করলে, উনি মুজাদ্দেদ না। এবং "মুজাদ্দেদ" না হলেই উনি ভুল পথে আছেন।

এবং ওজাহাতিদের মত এই। উনি স্বজ্ঞানে নেই। সেক্ষেত্রে লিড দেয়ার মত অবস্থায় উনি নেই।

কিন্তু এই রাস্তাটা আমি বাদ দিলাম। ধরে নিলাম স্বজ্ঞানে করেছেন।


কিন্তু উনি আহলে হাদিস শিক্ষা পাননি। তবে হাদিস পড়েছেন। সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে উনি "বিদ্রোহী" ব্যক্তিত্বের। প্রতিষ্ঠিত নিয়মকে চ্যলেঞ্জ করতে ভালোবাসেন। "এটাই কি ঠিক?" একেবারে মূলে গিয়ে প্রশ্ন করতে। যেরকম আমাদের আহলে হাদিস ভাইয়েরা করেন।

যদি এটাই উনার ব্যক্তিত্ব হয় তবে পথভ্রষ্টতার সম্ভাবনা অনেক। যেহেতু উনাকে আর গাইড করার মতো কেউ নেই। যখন যা বুঝেন।

মুজাদ্দিদ হলে ভিন্ন কথা, as usual.


ধরে নেই উনি মুজাদ্দিদ এবং সঠিক। তবে হাত তোলার কথা অস্বিকার করেছেন কেন?

"সরাসরি অস্বিকার করেন নি। সফটলি অস্বিকার করেছেন। ফিতনা এড়ানোর জন্য। তবলিগের সবাই দেওবন্দি যেহেতু তাই এখনই সব বদলানো যাবে না। আস্তে আস্তে করতে হবে। এবং উনি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু 'সঠিক' টা পালন করার চেষ্টা করেন। ফিতনা এড়িয়ে।"

Makes sense. সে ক্ষেত্রে হানাফি/দেওবন্দি শিক্ষা ভুল।

এটাকেও একটা সফট টোন দেয়া যায়। "সব সময় দেওবন্দি/হানাফিরা ভুলে ছিলো না। আগে কোনো এক সময় পর্যন্ত ঠিক ছিলো। এর পর ভুল পথে গিয়েছে।"

বিশ্বাসের মূলে ঝাকুনি। Question everything.


এই worst case scenario টা ধরি। কারন আমি দেখতে পারছি মুখে সবাই এই এক্সট্রিমটা আস্বিকার করতে করতে বাস্তবে সবাই ঐ দিকেই ছুটছে। কতদূর যাবে সেটা অজ্ঞাত।

দেওবন্দ যদি ভুল হয়? তবে?

- প্রথমে আমি দেখবো কোন ধরনের লোক কোন পক্ষে যাচ্ছে সেটা।

  • দ্বিতীয়তঃ দেখবো নতুন এই পথের পরিনতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা।
  • তৃতীয়তঃ আমি নিজের যুক্তি বোধের উপর নির্ভর করার বদলে একটা divine guidance খুজবো।
  • 22-Dec-2019 08:13:06

    "স্যার আবেদের জানাজা সম্পন্ন।"

    নিজের ঈমানকে জানান দিন। যে আপনি মুসলিম। পাচ ওয়াক্ত নামাজ প্রকাশ্যে পড়েন, মসজিদে গিয়ে সবার সামনে পড়েন, আজান দিয়ে পড়েন যেন মানুষ জানে। মানুষকে সালাম দিন। কথায় আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাল্লাহ বলেন।

    রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে গিয়েছিলেন প্রতিটা পাথরের সামনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়তে। প্রতিটা টিলা, বস্তু এগুলো আমার ঈমানের সাক্ষ্য। ঈমানের প্রকাশ। হজ্জে যান লাব্বায়েক ডাক দিন। আল্লাহর জন্য মাথা নেড়া করেন। আংগুল তুলে জোরে শাহাদাতের সাক্ষ্য দিন।

    সব সাক্ষি। ইসলাম গ্রহন করতে হয় এভাবে প্রকাশ্যে সাক্ষ্য দিয়ে।

    এর পর আর সমাজের অজানা থাকে না, কে মুসলিম।
    বাকিটা আল্লাহর হাতে।

    06-Mar-2020 08:38:05

    The faster you bury the dead, the more dignified it is. Even the popular claim of 24 hours is too long. Dead in the evening? Bury *before* dawn and don't wait for the daylight to break or to arrange a larger funeral [ জানাজা ]। Again, don't just leave the dead laying at any state and wait for anything. Continue your work to bury him non-stop and bury as soon as those works are done.

    Watching those "honorable persons" getting their funeral and burring delayed by 3 days or weeks because so many people and the government *has to* show respect to their body?

    That proves they are less dignified than the commons in the eye of God.

    02-Jun-2020 12:34:08

    আগে : জানাজার আগে মৃতের আত্মিয় ১০ মিনিট ধরে লেকচার দিতেন মৃত কত ভালো লোক ছিলেন এর উপর।

    এখন : গত দুই দিনে দুই জানাজা পড়লাম। কোনো লেকচার নেই।

    আগে : মাইকে ঘোষনা হতো "অমুত তমুক ভিআইপির নানি মারা গিয়েছেন"

    এখন : চারদিকে মারা যাচ্ছে কিন্তু কোনো ঘোষনা নেই।

    সবাই এখন চুপচাপ মারা যেতে চায়। পরিচয় না দিয়ে। এটাই সুন্নাহ। "কারো মৃত্যুর খবর প্রচার করো না, বরং জন্মের খবর প্রচার করো।"

    কভিডে আরেকটা সুন্নাহ কায়েম।

    01-Jul-2020 12:01:17

    আমি যদি মারা যাই তবে ঢাকায় কবরের জায়গা পেলে অন্য জেলায় নেবার দরকার নেই।

    আর "ঘোষনা হয়েছে জানাজার। বড় করে করবো" ধরে যেন এক ঘন্টাও দেরি না করা হয়।

    গোসল কাফন জানাজা দাফনের কাজ না থেমে চলবে। যত তারাতারি পারা যায়। রাত ১ টায় জানাজা তৈরি হলে ফজরের নামাজের জন্যও অপেক্ষা করবে না। হাজির যারা আছে তারা পড়লেই আদায় হলো।

    আর বুজুর্গদের জন্য নিচের হুকুম। আমি বুজুর্গও না।

    ওসিয়ত।

    15-Aug-2020 13:30:03

    ১। ছেলে বিদেশ থেকে আসবে, এজন্য লাশ তিন দিন কোল্ড স্টোরেজে ঢুকিয়ে না রাখি।

    ২। গার্ড অফ অনার ছাড়া এই লাশ দাফন নিষেধ এজন্য লাশ বাইরে ফেলে না রাখি। অবশ্য এখানে কিছু করার নেই। মুক্তিযোদ্ধার লাশ যেহেতু তাই দাফন করলেই পরিবারের জেল। লাশ বাইরে ফেলে রাখতে হবে।

    ৩। জানাজার জন্য মাইকিং করা হয়েছে সবাই আসরের পরে আসবে, এজন্য লাশ সকাল থেকে সারা দিন ফেলে না রাখি।

    তারাতারি দাফন দেই। মৃতেরও এতে শান্তি। জিবিতেরও সোয়াব।

    রেলিভেন্ট ফতোয়ার লিংক :
    https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=2708203716061443&id=100006155237973

    18-Aug-2020 06:08:49

    #আল্লাহর_বান্দা - ১০

    এক নেককার লোক। উনার ছেলে শহিদ হন। সে ছেলেকে কখনো স্বপ্নে দেখে না।

    ওমর বিন আব্দুল আজিজ একদিন মারা যান। সে রাতে নিজের ছেলেকে স্বপ্নে দেখেন। জিজ্ঞাসা করেন

    : তুমি মারা যাওনি?

    : না। আমাকে শহিদ করা হয়েছে। আমি জিবিত আছি। আল্লাহর থেকে রিজিক পাই।

    : তবে এতদিন দেখি নি কেন? আজকে যে?

    : আসমানের সমস্ত নবি, সিদ্দিক আর শহিদদের বলা হয়েছে উমর বিন আব্দুল আজিজের জানাজায় শরিক হতে। তাই এসেছি। ভাবলাম আপনার সাথে দেখা করে যাই।

    - মিনহাজুল আবেদিন।

    18-Sep-2020 17:29:32

    জানাজা একটাই।
    একাধিক জানাজায় মৃতের উপকার নেই। কেবল জিবিতদের আত্মতৃপ্তি।
    এর ক্ষতি হলো দাফনে অপ্রয়োজনে দেরি।

    এরকম শহিদ জিয়ার মৃত্যুর পরে গায়েবি জানাজার রেওয়াজ বেড়ে গিয়েছিলো। বিখ্যাত কেউ মারা গেলেই গায়েবি জানাজা।

    উলামারা এর বিরোধিতা করার পর আল্লাহ তায়ালা বন্ধ করে দিয়েছেন।

    এখন নতুন রেওয়াজ এর জায়গায় -- বহু জানাজা।

    মৃতের লাশ নিয়ে যত হই হুল্লুড় মিছিল মিটিং বক্ততা সম্মান সভা কম করবো তার কষ্ট তত কম। কিন্তু বিখ্যাতরা নিজেদের উপর এই জুলুম থেকে বাচতে পারে না।

    চুপচাপ দাফন। উনি উনার পরিনতিতে চলে গিয়েছেন। লাশ সামনে নিয়ে ভাষন, তোষনও না।

    Published
    22-Nov-2020