"এখন কি করবো? কিছু নসিহা করেন।"
উত্তর,
১। পাচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে পড়া।
২। রেগুলার তাহাজ্জুদ পড়া। অল্প হলেও। রাত ১টা থেকে ফজর পর্যন্ত সময়।
৩। সকালে সন্ধায় তসবিহাত-দোয়া পড়া।
৪। প্রতিদিন কোরআন শরিফের চর্চা করা।
৫। ওজুর সাথে মেছওয়াক করা।
এতটুকু রেগুলার করতে দেখবেন অনেক কষ্ট হচ্ছে। এর পরও করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন।
জাজাকাল্লাহ।
এটা হানাফি ফিকাহ অনুযায়ি।
.
https://twitter.com/Darulfiqh/status/916595453973712896
প্রশ্ন:
শীতকালে আমার হাত-পা ফেটে যায়। তাই শীতকাল এলে হাত-পায়ে বেশি করে তেল বা লোশন মাখতে হয়। জানার বিষয় হল, অযু করার সময় যেহেতু পানি তেল লোশনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাই এতে কি অযু শুদ্ধ হবে?
উত্তর:
হ্যাঁ, তেল বা লোশন ব্যবহারের পর তৈলাক্ত অঙ্গসমূহে স্বাভাবিকভাবে পানি পৌঁছালেই অযু হয়ে যাবে। তৈলাক্ততা দূর করে পানি পৌঁছানো জরুরি নয়।
-আদ্দুররুল মুখতার ১/১৫৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ পৃ. ৭০
মাসিক আল-কাউসার।
- মোবাইলে যখন কোরআন শরিফের আয়াত ভেসে উঠে, তখন স্ক্রিনের ঐ জায়গাটা ওজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে না। অন্য জায়গায় করা যাবে।
২
এরকম ওজু ছাড়া কোরআন শরিফ [আরবরা যাকে বলে মুসহাফ] স্পর্শ করা যাবে না।
কিন্তু ধর্মিয় বাংলা বই, এর মাঝে মাঝে কোরআন শরিফের আয়াত আছে, সেগুলো?
এই বিষয়ে এই মাসলায় কিছু উল্লেখ করা হয় নি, তাই আমিও কিছু বললাম না।
জেনে নিবেন।
না ভুল। বাসায় এসে খেয়ে শেষ করে এর পর মসজিদে যাবেন। টয়লেটের প্রয়োজন হলেও বাসায় চলে আসবেন। ওজু করার দরকার হলেও তাই।
"তাতে কি এতেকাফ থাকবে?'
থাকবে।
"কিন্তু দুর্বল হয়ে যাবে নিশ্চই? কম সোয়াবের। ভাঙ্গাচুরা?"
না। পূর্ন। কারন রাসুলুল্লাহ ﷺ এভাবে এতেকাফ করতেন। বাসায় এসে খেয়ে, টয়লেট, ওজু।
পথে বা বাসায় এই প্রয়োজনগুলো বাদে অন্য কোনো কাজের জন্য অপেক্ষা করা বা দেরি করা যাবে না।
"এটা কি আপনি নিজে বানিয়ে বলছেন?"
না। হানাফি অবস্থান বলছি। হানাফি-দেওবন্দি মত।
কেউ এই বিষয়ে দ্বিমত করে থাকলে জানাবেন।
এই মুহুর্তে আমাদের কাজ বস্তুতঃ ইবাদতে নিজেদের মশগুল রাখা। কিছু দিন পরে "বিশৃংখলা" [ বা যে নামে ডাকেন ] আরম্ভ হয়ে গেলে আর সময় পাবেন না।
প্লাস/ ফিতনার সময় ইবাদতের সোয়াব পঞ্চাশ জন শহিদের সমান বলা আছে। সে সময় নিজেকে ঘরে বেধে রাখা খুবই মুশকিল যেহেতু। আর আমি যাই করি না কেন ফিতনা বাড়বে।
এখন সেই ফিতনা কিনা সেটায় প্রশ্ন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ৫০ শহিদের সোয়াব না পেলেও নরমাল আমলের সোয়াব পেতে থাকবো। "বিশৃংখলা" আরম্ভ হয়ে গেলে পরে এই সুযোগটা আর পাবো না। ব্যস্ততার আগে ইবাদত।
১। পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে।
২। তাহাজ্জুদ। ৪ রাকাত স্টেন্ডার্ড। ৪ পৃষ্ঠা করে ১৬ পৃষ্ঠা।
৩। কোরআন তিলওয়াত, মুখস্ত, আরবি শিক্ষা।
৪। সকাল সন্ধা তসবিহ, কমন কিছু দোয়া, ওজিফা।
৫। ওজুর আগে মিসওয়াক।
গুনাহ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখি।
তর্ক থেকে বাচিয়ে রাখি। নিজে যেটা ঠিক মনে করি সেটার উপর আমল করি অন্যটাকে আক্রমন না করে।
"যদি দ্বিন শেষ হয়ে যেতে থাকে আমার চোখের সামনে?"
শেষ হবে না। শান্ত থাকেন। ১৪০০ বছর টিকে আছে এই দ্বিন। শেষ হয়ে যাচ্ছে মনে করে অস্থির হয়ে আমি যাই করি তাতেই দ্বিনের আরো ক্ষতি হবে।
ফিতনার সময় যত ইনএকটিভ থাকতে পারবেন তত বেশি সোয়াব পাবেন একটিভ লোকদের থেকে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হকের উপর রাখুন।
"মডারেট মোজলেমদের" জন্য এই পোষ্ট ছিলো। যারা কোনো দলের পক্ষে এখনো কাজ করছেন না।
প্রতি নামাজের আগে মেসওয়াক করা।
- রাসুলুল্লাহ ﷺ বাহির থেকে এসে যখনই ঘরে ঢুকতেন, মিসওয়াক করতেন।
তাহাজ্জুদকে ফরজ করে দেয়া হতো কিন্তু উম্মাহর কষ্টের জন্য করা হয় নি যেমন -- তেমনি অন্য হাদিসে আছে মেসওয়াক করাকে প্রতিবার ওজুর সময় ফরজ করে দেয়া হতো কিন্তু উম্মাহর কষ্টের জন্য করা হয় নি।
১০ সুন্নাহর কথা স্পষ্ট করে বলা আছে হাদিসে, এর একটা মিসওয়াক।
অন্য হাদিসে ৪ টা সুন্নাহ নবীদের, এর একটা মিসওয়াক।
তাই প্রতি নামাজের আগে ওজুর সময় মিসওয়াক করতে হবে।
FAQs:
"মিসওয়াক কোথায় পাবো?"
রাস্তায় যে কোনো মসজিদের কাছে দেখবেন এখন ক্যমিক্যল দেয়া প্যক প্লাসটিক কভারে মিসওয়াক পাওয়া যায় ১০ টাকায়। একটা কিনলে ১ মাস যাবে।
"হারিয়ে যায়"
বাথরুমের শেলফে রাখেন, বা যেখানে আপনি ওজু করেন সেখানে। পকেটে না।
"পেষ্ট ব্রাস ব্যবহার করলে হবে না?"
প্রতি নামাজের আগে বা ওজুর আগে আপনি ব্রাশ করতে পারবেন না।
বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালা নৈকট্যের জন্য এটা দরকার। মুখে গন্ধ যেন না থাকে। নামাজে আপনার তিলওয়াত মুখ থেকে বের হচ্ছে যেহেতু। এই তিলওয়াত আল্লাহর কাছে চলে যায়।
উনি ﷺ মৃত্যুর আগে মিসওয়াক করেই মারা গিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
আছে : নিচে লিষ্টটা।
উল্লেখ্য আগে আমি প্রতিটা পোষ্টের নিচে কমেন্টে FAQ দিয়ে যেগুলোর বিষয়ে কেউ না কেউ আপত্তি করতে পারবে সেগুলো আগেই বলে দিতাম "দেখেন এগুলো আমি জানি, বলার দরকার নেই। জেনেই লিখেছি" -- এই সেন্সে।
এখন আর সেটা করছি না। বলে দিচ্ছি #মডারেট_মোজলেম দের জন্য। এর পর যারা আপত্তি জানাতে পারতো তারা আর আপত্তি জানায় না। কারন <বুঝতে পারছেন কারন কি>। :-)
এখানে এই সিম্পল একটা পোষ্টের আপত্তির বিষয়গুলো। যেগুলো জানি কিন্তু সব টানতে গেলে স্টেটাস অপ্রাসংগিক আর বড় হয়ে যাবে বলে বলি না।
প্রথমতঃ বাথরুমে ওজু করার ব্যপারে বলেছি। অনেকের মতে এটা মাকরুহ। অনুচিৎ। অন্য জায়গায় ওজু করা উচিৎ।
দ্বিতীয়তঃ ব্রাশ করলে মিসওয়াক করা হবে কিনা?
^^^ উপরের এই তিনটা মতই আমি পেয়েছি।
তৃতীয়তঃ রাসুলুল্লাহ ﷺ এর "মৃত্যু" লিখেছি। শব্দটা "ওফাত" হবে। এবং এর উপর লম্বা ব্যখ্যা বিশ্লেষন যা কিছু পড়েছি।
সব কিছুতেই ইখতেলাফ আছে। জ্ঞানি গুনি কেউ আপনাকে পেলেই হলো। বাতেল প্রমান করা কয়েক মিনিটের ব্যপার।
শুধু আমার মতো মডারেট মোজলেমরা এগুলো কোনোটাই কিছু মনে করে না। :-)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন।
বাসার জামাতে সবাইকে একত্রিত করার জন্য যত দেরি করবেন, পরের ওয়াক্তে সবাই একত্রিত হতে তত আরো বেশি দেরি করবে। নিজের টাইম ঠিক রাখতে হবে। বাকিরা ইনশাল্লাহ ঐ সময়ে চলে আসবে। ঐ টাইম হলো ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে।
মোবাইলে নামাজের এপগুলোতে ওয়াক্ত হলে আযান দেয়, সময় দেখায় এরকম আছে। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
বাসায় কমপক্ষে একামত দিতে হবে। আল্লাহু আবার ধ্বনি যেন উচ্চারিত হয়।
২
সরকারি জুলুমে ধর্য্য ধরি। সরকারের বিরোধিতা না করে।
مَنْ أَهَانَ سُلْطَانَ اللَّهِ فِي الأَرْضِ أَهَانَهُ اللَّهُ
যে দুনিয়াতে আল্লাহর সুলতানকে অপমানিত করলো আল্লাহ তাকে অপমানিত করবেন।
গত ৪০ বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে জুম্মার খুতবায় ইমাম সাহেব এটা আমাদের স্বরন করিয়ে দিতো। কমন খুতবা সারা দেশে। এখন জুম্মা যেহেতু বন্ধ, নিজেকে নিজে স্বরন করাতে হবে।
এখানে পাবেন হাদিসটা :
https://sunnah.com/tirmidhi/33/67
এটা আমাদের মানহাজি ভাইদের জন্য না। তাদের ভিন্ন ব্যখ্যা আছে।
জাজাকাল্লাহ।
মিসওয়াক করি। প্রতি বার ওজু করার সময়।
মিসওয়াক এমনি জরুরি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এই সময়ে এটা আরো বেশি জরুরি।
এলাকার বিক্রেতাদের যদি না পান তবে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে দেখেন কেউ ডেলিভার করতে পার কিনা। বেশি করে কিনে রাখেন। যেমন, সামনের ৫ মাসের জন্য।
১
ওজিফা আদায়ের বেষ্ট উপায় হলো নামাজের আগে পরে মসজিদে বসে পশ্চিম মুখি হয়ে। কিন্তু সব শর্ত না। ওজু না থাকলেও চলে, পশ্চিম মুখি হবারও দরকার নেই। এখন মসজিদও না। কিন্তু বসে পড়তে হবে। এটা মিনিমাল। শুয়ে না।
২
রাতে তাহাজ্জুদ পড়ার আগে গোসল করে নেবার উপদেশ দিতেন আশরাফ আলি থানভি উনার মুরদিদের। ভারতের উত্তরে শীত আর গ্রাম অঞ্চলে এটা কষ্টকর ছিলো। আমাদের শহরে এখন অত কষ্টকর না।
কেন? তার উত্তর নিচে।
(collected)
আল্লামা মুযানী বলেনঃ একবার আমার মনে উদ্ভট কিছু (তাকদীর/আল্লাহকে নিয়ে) প্রশ্নের আনাগোনা শুরু হয়। আমি চিন্তা করতে লাগলাম- যদি এমন কেউ থাকে, যে আমার অন্তরে জেগে উঠা প্রশ্ন দূর করে দিতে পারে! এবং তাওহীদের ব্যাপারে আমার চিন্তাকে পরিশুদ্ধ করতে পারে! তাহলে সেটা কেবল ইমাম শাফিয়ীই আছেন।
আমি তার কাছে গেলাম। তিনি তখন মিসরের একটি মসজিদে অবস্থান করছিলেন। আমি বললামঃ তাওহীদের ব্যাপারে আমার মনে উদ্ভট কিছু সমস্যার উদয় হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, এ বিষয়ে আপনার মত এত সুন্দর করে আর কেউ জানে না। সুতরাং ঐ প্রশ্নের উত্তরটা কী, যা আপনার জানা আছে?
তিনি এতে খুব রাগ হলেন। বললেন,
তুমি জানো এটা কোন শহর?
: জী!
: এটা সেই শহর, যেখানে ফেরাউনকে আল্লাহ ডুবিয়ে মেরেছেন। তোমার কাছে কী এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এসব প্রশ্ন করতে আদেশ দিয়েছেন?
: জী না!
: কোনো সাহাবী কি এ বিষয়ে কখনো আলাপ আলোচনা করেছেন?
: জী না!
: তুমি কী জানো আসমানে কতগুলো তারা?
: জী না!
: তার মধ্যে কোন তারাটা কোন গুণের? কোন পরিচয়ের? তার উদয়স্থল ও কক্ষপথ সম্পর্কে? এবং কী দিয়ে এগুলোকে সৃষ্টি করা হয়েছে?
: জী না!
: যে সৃষ্টিকে তুমি নিজ চোখে দেখছো, তার সম্পর্কেই তুমি কিছু জানো না, আর তুমি কি না তার স্রষ্টা তথা আল্লাহর ইলম এর ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছো!
এরপর তিনি অজু সম্পর্কিত কিছু মাস'আলা জিজ্ঞেস করলেন। আমি সেখানেও ভুল করি। এ সম্পর্কিত আরো চারটি মাস'আলা জিজ্ঞেস করলেন। আমি সেগুলোরও সদুত্তর দিতে পারিনি। এবার তিনি বললেন, অন্তত দিনে পাঁচবার যেই জিনিসটার প্রতি তুমি মুখাপেক্ষী, সেই ইলম হাছিল না করে তুমি পড়ে আছো আল্লাহর ইলম নিয়ে!
যখনি তোমার মনে এমন কোনো কিছুর উদয় হবে, তখন আল্লাহর দিকে রুজু হবে। এবং আল্লাহর এই কথার দিকেঃ
وَإِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وٰحِدٌ ۖ لَّآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيمُ
"তোমাদের উপাস্য হচ্ছেন এক আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নেই। তিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু।"
সুতরাং স্রষ্টার ব্যাপারে সৃষ্টির মাধ্যমে নিদর্শন গ্রহণ করবে। এমন ইলমের পিছনে পড়িও না, যে পর্যন্ত বিবেক বুদ্ধি পৌঁছতে পারে না।
মুযানী বলেন, এরপর আমি তাওবা করে এমন প্রশ্ন থেকে ফিরে আসি।
এটা বাথরুমে কল ছেড়ে পারবেন না। বরং গ্লাসে পানি নিয়ে বারান্দায় বসে ওজু করে প্রেকটিশ করতে হবে। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু এর পর প্রেকটিশ হয়ে যাবে।
অল্প পানি দিয়ে ওজু করলে ওজুর নূরটা দেখবেন বাড়ছে। এটা একটা অনুভুতি। সপ্লেশ করে ওজু করে যেটা পাওয়া যায় না।
লক্ষনীয়, হানাফি মাজহাবে কেবল হাত পা পানি দিয়ে মুছলে ওজু হবে না। কিন্তু এতটুকু অল্প পানি দিয়ে ধুলেন ধোয়ার পরে কুনুই বেয়ে এক দুই ফোটা পানি পড়েছে তবেই ওজু হবে। বিস্তারিত পাবেন বেহেস্তি জেওরে।
যেহেতু আমরা স্পলেশ করে ওজু করে অভ্যস্ত। প্রথম দিকে প্রচুর পানি লাগবে বারান্দায় ওজু করতেও। এর পর মাসে মাসে এটা কমে আসবে। শেষে দেখবেন খুব অল্প পানিতেও ওজু করে ফেলছেন। এবং এতে আরো পবিত্র লাগছে।
কতটুকু পানি দিয়ে ওজু করা সুন্নাহ? এতে মাজহাব গত মত :
হানাফি : ৪ গ্লাস পানি। শাফি, মালেকি, হাম্বলি : ২ গ্লাস পানি।
সফরের সময় এই জিনিটা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। প্লেনে সিটে বসেও ওজু করে ফেলতে পারবেন এবং নিজের কাপড়ে কয়েক ফোটা পানি পড়বে শুধু, *যদি* আগে থেকে কম পানিতে ওজু করা সবসময়ের অভ্যাস হয়ে থাকে।
এটার আরম্ভটা হবে কয়েক গ্লাস পানি নিয়ে বারান্দায় বসে ওজু করা দ্বারা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
১
বাসায় ওজু করে মসজিদে রওনা হওয়া। মসজিদে গিয়ে সেখানকার ওজুখানায় ওজু না করে।
বাসায় ওজু করে যে মসজিদে রওনা হলো সে যেন ইহরাম বেঝে হজ্জের জন্য রওনা হলো।
প্রথম দিকে মসজিদে নববিতে ওজুর কোনো ব্যবস্থাও ছিলো না। সবাই বাসায় ওজু করে আসতো।
২
আরো উত্তম। বাসায় সুন্নাহ পড়ে এর পর মসজিদে যাওয়া। সোয়াব বেশি। আর বাসায় ফরজের বাইরের নামাজগুলো পড়ার জন্য উৎসাহিত করা আছে হাদিসে।
৩
আরো উত্তম। আজান দেবার আগে ওজু করে নেয়া। তখনই মসজিদে যেতে হবে শর্ত না। কিন্তু জামাতের ৪৫ মিনিট আগে ওজু করে তৈরি হয়ে আমি আমার কাজ করতে পারি। যে সময় যাওয়াকে উত্তম মনে করি সে সময় আমি রওনা হলাম।