Archive 1605973363

#archive ওজু 2015, 2016

21-Feb-2015 13:38:07

[শুধু হানাফিদের জন্য]

ওয়াসার কলে পানিতে প্রচন্ড বাজে গন্ধ, ওজু হবে কি?
এ ধরনের মাসলা মাসায়েলের জন্য বেস্ট বই হলো "বেহেস্তি জেওর"। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজে একবার পড়ে নিলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যকে জিজ্ঞাসা করতে হবে না। আপনার পরিবারকেও আপনি নিজে শিখাতে পারবেন। এই বইয়ের কোনো মাসলা যদি এ সময়ে বদলিয়ে গিয়ে থাকে, তবে সেটা অন্যরা আপনাকে জানিয়ে দেবে।

সরকার চাদ দেখার ঘোষনা নিয়ে উল্টো পাল্টা করে ফেলেছে। এখন কি করবো?
বিচার শাষন রাস্ট্র এসব নিয়ম কানুন জানার জন্য "ফতোয়ায়ে আলমগিরীর" বাংলা অনুবাদটা আমার কাছে ভালো মনে হয়। এবইয়ে এসব আরো ডিটেলস লিখা আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান যুগে আলেমদের মত ভিন্ন ভিন্ন করে ছাপানো হয়। কনসিসটেন্সি জন্য ফতোয়া আলমগিরি পড়ে নিলে বেসিক নিয়মটা জানা থাকবে।

শরিয়ার আরো এডভান্স জানার জন্য "হিদায়া"র বাংলা অনুবাদ পড়তে পারেন। তবে এটা অনেক হাই লেভেলের যেটার সবকিছু হয়তো সবার জানার দরকার নেই।

11-Feb-2016 18:14:14

ওজুর মাসলা:

[হানাফি মাজহাব অনুসারীদের জন্য। বেহেস্তি জেওর থেকে]

১৭৷ শুইয়া শুইয়া সামান্য কিছু ঘুমাইলেও ওযু টুটিয়া যইবে, আর যদি কোন বেড়া বা দেওয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়া বসিয়া বসিয়া ঘুমাইয়া থাকে, তবে যদি নিদ্রা এত গাঢ় হইয়৷ থাকে যে, ঐ বেড়া বা দেওয়াল সেখানে না থাকিলে ঘুমের ঝোকে পড়িয়া যাইত, তবে ওযু টুটিয়া যইবে৷ নামায়ে দাড়ান অবস্থায় ঘুমাইলে ওযু যায় না, সেজ্দা অবস্থায় ঘুম আসিলে ওযু টুটিয়া যইবে৷ - রদ্দুল মােহ্তার

১৮৷ নামাজের বাহিরে কোন বেড়া বা দেওয়ালে হেলান না দিয়া চুতড় দৃঢ়ভাবে চাপিয়া বসিয়া ঘুমাইলে তাহাতে ওযু যইবে না৷ - কবীরী

১৯৷ বসিয়া বসিয়া ঘুমের এমন তন্দ্র৷ আসিয়াছে যে, পড়িয়া গিয়াছে, তবে যদি পড়িবা মাত্রই সজাগ হইয়া থাকে, তবে ওযু যইবে না৷ আর যদি কিছুমাত্রও বিলন্বে জাগিয়া থাকে, তবে ওযু যইবে৷ আর যদি শুধু বসিয়া বসিয়া ঝিমাইতে থাকে, না পড়ে তবে ওযু যাইবে না৷ - শামী

19-Feb-2016 08:36:36

অজু গোসল:

আজকে জুম্মার দিন যেহেতু গোসল করা সুন্নাহ।
____
যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম, তখন আমার ধারনা ছিলো গোসল করার পরে তারপর ওজু করতে হবে নামাজের জন্য।

পরে জেনেছি ব্যপারটা উল্টো। গোসলের আগে অজু করতে হয়, এবং এটা সুন্নাহ। মানে গোসল করার আগে প্রথমে ওজু করে তার পর গোসল।
____
এখন প্রশ্ন হলো: গোসল করার আগে বা পরে যদি কেউ ওজু না করে, তাহলে কি তার নামাজ হবে?

মনে আছে একবার গোসল করে ঈদের নামাজে গিয়ে ফিরে এসেছিলাম কারন গোসলের পরে ভুলে ওজু করিনি বলে।

এই ব্যপারে হানাফি-সালাফি মতে পার্থক্য পেয়েছি।

হানাফি মাজহাবে: নামাজ হবে। গোসল করলেই ওজু হয়ে যাবে, যেহেতু ওজুর ফরজ অংশগুলোতে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ওজুর জন্য নিয়ত করা শর্ত না।

সালাফি আলেমদের মতে [সৌদি আলেম]: নামাজ হবে না। আবার ওজু করে আসতে হবে। ওজুর হুকুম গোসল দ্বারা পূর্ন হয় না।

এক মত অন্য মত থেকে বেশি ঠিক -- সেরকম কিছু বলছি না। বলছি শুধু মতে পার্থক্য আছে। যে-যেই আলম/মাজহাব অনুসরন করে সে উনার মত অনুসরন করবে।
____
ওজুর ব্যপারে সর্বশেষ যে মতটা শুনেছি সেটা হলো কুরআনিস্টদের কাছে। তাদের মতে ওজুর সময় পা ধোয়ার হুকুম নেই। পা শুধু মসেহ করলেই হবে।

কেন? কারন কোরআন শরিফে ওজুর নিয়মে বলা আছে "নামাজের আগে মুখ আর হাত ধোও এর পর মাথা মসেহ করো এবং পা।"

"মাথা মসেহ করো এবং পা" এর অর্থ মাথা ও পা দুটোই মসেহ করার কথা বলা হয়েছে।

তাদের ব্যখ্যাটা ভুল। রাসুলুল্লাহ ﷺ ওজুর সময় পা ধুতেন, মসেহ করতেন না।

#HabibDiff

24-Feb-2016 05:37:22

  • উনার ওজু হয় নি, তোয়াফও হয় নি, হজ্জও হয় নি। অথচ এত খরচ করে হজ্জে আসলেন।

    - ব্যপার কি? উনি হারাম খেতেন? বাপ মার অনুমতি না নিয়ে হজ্জে গিয়েছিলেন?

    - সেগুলো না। বরং উনি ওজু করার সময়ে ঘাড় মসেহ করেছিলেন, সেকারনে।
    .
    https://www.youtube.com/watch?v=Ib8S_i2xI_M

  • 28-Feb-2016 18:28:26

    "নামাজ কায়েম" এর অর্থ মূলধারার তফসির কিতাবগুলোতে যা লিখা আছে:

    তফসিরে ইবনে কাসির থেকে।

    অনুবাদকৃত অংশের আরবী লিংক।
    http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=58&idto=58&bk_no=49&ID=62

    [ নিচেরটা আমার ট্রেইনি অনুবাদ। প্রফেশনাল অনুবাদের জন্য অনুবাদ বই দেখুন ]

    ويقيمون الصلاة ومما رزقناهم ينفقون قال ابن عباس : ( ويقيمون الصلاة أي : يقيمون الصلاة
    بفروضها .
    ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন "য়াকিমুনাস সলাত..." এর অর্থ নামাজ কায়েম করা এর ফরজগুলো সহ।

    وقال الضحاك ، عن ابن عباس : إقامة الصلاة إتمام الركوع والسجود والتلاوة والخشوع والإقبال عليها وفيها .
    দ্বাহাক বলেছেন ইবনে আব্বাস থেকে: নামাজ কায়েম অর্থ হলো পরিপূর্ন রুকু, সিজদা, তিলওয়াত, খুশু [ভয়ের সাথে নামাজ পড়া] ও কিবলা মুখি হওয়া বাহির এবং ভেতর থেকে।

    وقال قتادة : إقامة الصلاة : المحافظة على مواقيتها ، ووضوئها ، وركوعها وسجودها .

    কাতাদা বলেছেন: কায়েম করার অর্থ নামাজের ওয়াক্ত, ওজু, রুকু এবং সিজদাকে ঠিক রাখা।

    وقال مقاتل بن حيان : إقامتها : المحافظة على مواقيتها ، وإسباغ الطهور فيها ، وتمام ركوعها وسجودها ، وتلاوة القرآن فيها ، والتشهد والصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم فهذا إقامتها .

    মুকাতিল বিন হাইয়ান বলেছেন: কায়েম করা অর্থ: নামাজের ওয়াক্তকে ঠিক রাখা, আগে থেকে পবিত্র হওয়া, রুকু আর সিজদাকে পূর্ন করা, কোরআন তিলওয়াত করা, তাশহাদু পড়া, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দূরূদ পড়া -- আর এটাই নামাজ কায়েম করার অর্থ।

    وقال علي بن أبي طلحة ، وغيره عن ابن عباس : ( ومما رزقناهم ينفقون قال : زكاة أموالهم .

    <শেষ। এর পর পরবর্তি প্রসংগ নিয়ে আলোচনা>

    এর পর তফসিরে তাবারি দেখলাম। সেখানেও একই কথা বলা আছে। তবে রেফারেন্স আরো কম। সবচেয়ে লম্বা বর্ননা চোখে পড়লো এটাই।

    এগুলো এখানে আরেকবার দিলাম না।
    _____

  • কি বুঝলাম?

    নামাজ কায়েম করা বলতে নামাজ পড়া বুঝায়। এর বাইরে কিছু না। কিভাবে পড়তে হবে এর উপর তফসিরের কিতাবে শুধু ব্যখ্যা আছে।

    - "নামাজ কায়েম" বলতে কি তাহলে সমাজে নামাজ প্রতিস্ঠা করা বুঝায় না?

    বুঝাতে পারে। সেটা ভিন্ন ব্যখ্যা। তবে মূলধারার তফসিরের কিতাবে আমি সেরকম কোনো কথা পাইনি। এবং মূলধারার ব্যখ্যাকে আমার নিজের জন্য যথেস্ট মনে করি। এর বাইরের ব্যখ্যা হলো যে গ্রহন করে তার।

    - এর বাইরের ব্যখ্যা তাহলে কে করেছে?

    কোনো ধারনা নেই। অন্য কোনো তফসির গ্রন্থ থেকে আসতে পারে। যেমন তফসির ফি দ্বিলালির কোরআন বা তাফহিমুল কোরআন। দুটোই ১৯৫০ সালের দিকে লিখা। তবে বইগুলোর লিখকগন মুসলিম ব্রাদারহুডের দ্বারা অনুপ্রানিত। এটা ভাল বা খারাপ তা বলছি না।

    তবে সত্যি কথা হলো সেগুলো আমি পড়ে দেখি নি। এবং এই মুহুর্তে সেগুলো পড়ার ইচ্ছে বা সময় নেই। কারন কারো ভুল ধরা আমার উদ্যেশ্য না। উদ্যেশ্য আমি নিজে আল্লাহর হুকুম পালন করছি কিনা সেটা চেক করে দেখা।

    এর জন্য মূলধারার তফসিরগুলো দেখা দরকার ছিলো। এবং ততটুকু অমি দেখেছি বলে বিশ্বাস করি।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর রাখুন।

  • 10-Mar-2016 07:06:31

    ইলম:

    Scene 1:

  • ৪০ বছর ধরে ওজু করছে। জিজ্ঞাসা করলাম ভাই বলেন তো ওজুর ফরজ কয়টা? বললো জানে না। তাহলে কিসের ওজু করলো এতদিন?

    - তাহলে বলছেন কেউ যদি নিয়ম মত ওজু করে, তার পরও তার ওজু হবে না যদি না সে ওজুর ফরজ কয়টা সেটা না জানে?

    - কিভাবে হবে?
    ____

    Scene 2:

    - আমেরিকাতে ১০ বছর থেকে এসে ফটা-ফট ইংরেজি বলে। তাকে ডাইকা জিজ্ঞাসা করলাম বলেন তো টেন্স কয় প্রকার? বলে জানে না। তাহলে কিসের ইংরেজি বলে?

    - মানে আপনি বলছেন কেউ টেন্স কয় প্রকার না জানলে সে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে না?

    - কিভাবে পারবে?
    ____

    Scene 3:

  • মানুষ এখন কত বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে গ্রামে আসে। একদিন এক প্রফেসরকে জিজ্ঞাসা করলাম বলেন তো আকবরের বার ভুইয়ার নাম কি? বলে জানে না। এরা কিসের শিক্ষিত?

    - হুম। <বলার মত আর কিছু খুজে পেলাম না>

    /////////////
    সব ইলম আমার দরকার নেই। শুধু প্রয়োজনীয়টা হলেই হলো।

  • 25-May-2016 08:45:18

    তায়াম্মুম:

    অনেকের ধারনা পানি যেহেতু বর্তমানে যুগে সব জায়গায় আছে তাই তাইমুম শেখা দরকার নেই।

    দরকার আছে এটা বুঝতে পারা যায়, প্লেনে চড়ার পর। অথবা অসুস্থ হবার পর।

    তাই তাইয়াম্মুমের নিয়ম:

    ১। নিয়ত করতে হবে
    ২। একবার মুখ মসেহ করতে হবে।
    ৩। একবার করে দুই হাত মসেহ করতে হবে।

    এ তিনটাই তাইমুমের ফরজ।

    ওজুর সাথে পার্থক্য:

  • ওজুর মত এখানে পা বা মাথা মসেহ করা নেই।
  • ওজুতে তিনবার করে ধুতে হয়। কিন্তু তায়াম্মুমে একবার মসেহ করতে হয়।

    হানাফি মাজহাবে তাইমুমের নিয়ম এই ভিডিওতে পাবেন। পাকিস্তানের এক মুফতি দেখাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাদেশের কোনো আলেমের ভিডিও পাই নি।

    বেসিকেলি দুই হাত মাটিতে মেরে মুখের উপর থেকে নিচে একবার টানতে হবে।
    এর পর আবার মাটিতে মেরে ডান হাতের নিচ দিয়ে আংগুল থেকে কুনুই পর্যন্ত টানতে হবে। এর পর হাতের উপর দিয়ে আবার কুনুই থেকে কব্জি মসেহ করতে হবে।

    একই ভাবে বাম হাত। এর পর আংগুল খেলাল।

    হানাফি মাজহাবে তাইমুমের নিয়ম:
    https://www.youtube.com/watch?v=5qDcjV55A9M

    হাম্বলি মাজহাবে এটা আরো সহজ। একবার মাটিতে হাত মেরে মুখ আর দুই হাত কব্জি থেকে মসেহ করতে হবে। কুনুই থেকে না। ভিডিও এখানে।

    হাম্বলি মাজহাবে তাইমুম:
    https://www.youtube.com/watch?v=xVip469_4Kw

    আরো কিছু তথ্য:

  • কাপড়, প্লাসটিক বা মেটেলিক কিছুর উপর তাইমুম করা যাবে না।
  • মাটি পাথর বা সিমেন্টে দিয়ে করা যাবে।
  • ইটের দেয়ালে হাত মেরে তাইমুম করা যাবে। কিন্তু দেয়ালে প্লাসটিক পেইন্ট থাকলে হবে কিনা জানি না। কোনো মুফতির কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

    আরো জানার জন্য বেহস্তি জেওর বা অন্য যে কোনো ইসলামি ফতোয়ার বইয়ের তাইমুমের অধ্যায় দ্রস্টব্য।

  • 10-Jun-2016 09:03:25

    জুমার দিন একটা সময় আছে ঐ সময়ে যে দোয়াই করা হোক আল্লাহ তায়ালা ঐ দোয়াটা কবুল করেন।

    হাদিসে এতটুকু আছে। সময়টা বলে দেয়া নেই। তবে রাসুলুল্লাহ ﷺ হাত দিয়ে অল্প দেখিয়ে বুঝিয়েছেন, সময়টা খুব সংক্ষিপ্ত।

    ঐ সময়টা কখন, সে ব্যপারে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে।

    ____
    প্রথম মত হলো, এটা জুম্মার রাতে। ভোর রাত্রের দিকে।

    যেমন ইয়াকুব আ: যখন উনার ছেলেদের বলেছিলেন "ছাওফা আছতাগফিরু লাকুম রাব্বি" "শিগ্রই তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো।" সুরা ইউসুফ। অর্থাৎ উনি ঐমুহুর্তে তাদের জন্য ক্ষমা চান নি। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, উনি অপেক্ষা করেছিলেন পরবর্তি জুমার রাতের জন্য। তফসিরে তাবারি দ্রস্টব্য।

    ____
    দ্বিতীয় মত হলো এটা জুম্মার দিন দুপুরে। ইমাম সাহেব যখন খুতবার জন্য মিম্বরে উঠতে থাকেন।

    একটি বিখ্যাত হাদিসে যেমন বর্নিত আছে রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার ঐ সময়ে তিনবার আমিন বলেছিলেন। পরবর্তিতে বলেছিলেন জিব্রিল আঃ ঐ সময়ে তিনটা দোয়া করেছিলো আমি আমিন বলেছি। রমজান পেয়ে যে গুনাহ মাফ করাতে পারলো না, রাসুলুল্লাহ ﷺ এর নাম নেবার পর যে দুরুদ শরিফ পাঠ করলো না, আর পিতা-মাতাকে পেয়েও জান্নাত পেলো না তাদের ধংশের জন্য।

    ____
    তৃতীয় মত হলো সময়টা জুম্মার দিন আসর থেকে মাগরিব এর মাঝে।

    যেমন এর পক্ষে একজন সাহাবি থেকে বর্নিত আছে। অন্য এক জন বললেন ঐ সময় তো নামাজ পড়া যায় না। তখন ঐ সাহাবী জবাব দিলেন ওজু করে নামাজের অপেক্ষা করা নামাজে পড়ার মতই।

    _____
    চতুর্থ মত হলো সময়টা ঘুরে। শবে কদরের রাত্রির মত।

    আল্লাহ তায়ালা আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে আর সমস্ত মু'মিন-মুসলিমদের ক্ষমা করুন।

    #HabibDua

    25-Jul-2016 10:46:56

  • নামাজের জন্য প্রয়োজন: টুপি, জায়নমাজ, ওজুর পানি, গামবুট আর ৪টি ছাতা।
  • ৪ টা কেন?
  • বৃস্টি পড়লে দেখবেন বাসার অন্য কেউ আপনার ছাতা নিয়ে দৌড় দিয়েছে। ব্যকআপ রাখার জন্য।
  • 13-Aug-2016 05:41:19

    হাদিস - ৮১
    ইবনে মাসউদ রা: আমাদের এগিয়ে নিয়ে চললেন। এর পর কাদিসিয়ার রাস্তায় নামলেন। বুস্তান শহরে প্রবেশ করলেন। উনার হাজত পূর্ন করলেন। এর পর উনি ওজু করলেন এবং মুজার উপর মসেহ করলেন। এর পর বের হলেন। উনার দাড়ি থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছিলো।

    আমরা উনাকে বললাম,
    : আমাদের সমাধান দিন। মানুষ ফিতনাতে পড়ে যাচ্ছে, এই দিকে আমরা আপনার সাক্ষাৎ পবো নাকি পাবো না সেটা জানি না।

    উনি বললেন,
    : আল্লাহকে ভয় করো। এবং সবর কর। যতক্ষন না বিপদ চলে যায়। অথবা অসৎ লোকদের থেকে পরিত্রান পাও। আর তোমাদের উপর হুকুম জামাতের সংগে থাকা। কারন আল্লাহ মুহাম্মদ ﷺ এর উম্মতকে পথভ্রস্টতার উপর জামাতবদ্ধ করেন না।

    [ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা - ৩৬৪৯১ ]
    http://habibur.com/shaiba/id.81/

    16-Nov-2016 14:11:40

    ইবাদত:
    মাঝ রাতে যখনই ঘুম ভাঙ্গে, তখন উঠে ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে ওজু করে ১২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয়া। প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন আর দ্বিতীয় রাকাত সুরা ইখলাস দিয়ে সংক্ষেপে।

    যে সুরা বাকারা দিয়ে সারা রাত নামাজ পড়ে তার মত সে হতে পারবে না। কিন্তু তার থেকে খুব বেশি পিছিয়েও থাকবে না ইনশাল্লাহ, কারন সুরা ইখলাছ পড়লে কোরআন শরিফের তিন ভাগের এক ভাগ পড়ার সোয়াব। সুরা কাফিরুন চার ভাগের একভাগ।

    03-Jan-2017 09:02:46

    মাজহাবগত পার্থক্য - ৩


    মোজার উপর মসেহ
    সালাফি: ওজু করার সময় সুতি বা নায়লনের প্রচলিত মুজা পড়া থাকলে এর উপর দিয়ে মসেহ জায়েজ। অর্থাৎ না খুলে এর উপর ভেজা হাত দিয়ে মুছে দিলে ওজু হয়ে যাবে।

    হানাফি: এটা শুধু মাত্র চামড়ার তৈরি মুজার উপর দিয়ে করলে হবে। প্রচলিত সুতি-নায়লনের মুজার উপর দিয়ে করলে ওজু হবে না।


    নামাজে কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়া
    সালাফি: নফল সুন্নাহ নামাজে জায়েজ।
    হানাফি: করা যাবে না। নামাজ ভেঙ্গে যাবে।


    সিজদায়ে সহু
    নামাজে ভুল হয়ে গেলে শেষ বৈঠকে যে দুটি সিজদা অতিরিক্ত করতে হয়
    সালাফি: সব কিছু পড়া শেষে, দুই দিকে সালাম ফিরানো আগে, দুই সিজদা করবে এর পর দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবে। সহু সিজদার আগে এক দিকে সালাম ফিরানো নেই।

    হানাফি: আত্তাহিয়াতু পড়ে এক দিকে সালাম ফিরিয়ে দুই সিজদা করবে। এর পর আবার আত্তাহিয়াতু সহ সব কিছু পড়ে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।

    #HabibDiff

    15-Jan-2017 09:30:19

    মাজহাবগত পার্থক্য - ৭ : ওজু


    সবচেয়ে বড় দুটো পার্থক্যের প্রথমটা হলো সালাফিরা নাইলনের মুজার উপর মসেহ করা জায়েজ মনে করে। হানাফিরা করে না, শুধু মাত্র চামড়ার মোজার উপর মসেহ জায়জে মনে করে।

    এটা নিয়ে সমস্যা হয় কারন মদিনা ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা সবাই কালো মুজা পড়ে থাকে এবং হজ্জের সময় উনারা বিভিন্ন জায়গায় নামাজ পড়ান। উনাদের পেছনে নামাজ হবে কিনা এ প্রশ্নটা তোলা হয়।


    দ্বিতীয় পার্থক্য হলো সালাফিদের মতে ওজুর সময়ে ঘাড় মসেহ বিদআহ। এর এক্সট্রিমে গিয়ে বলা হয় ওজু সময়ে ঘাড় মসেহ করলে ওজু, নামাজ, হজ্জ, তোয়াফ কিছুই হবে না। মতিউর রহমান মাদানী দা: বা: এর ভিডিও উল্লেখ যোগ্য, যার লিংক এখানে।

    https://www.youtube.com/watch?v=Ib8S_i2xI_M

    হানাফিদের মতে ঘাড় মসেহ বিদআহ না। বরং মোবাহ বা মুস্তাহাব। তবে সুন্নাহ না। এবং হানাফিরা সবাই ঘাড় মসেহ করে।


    এর বাইরে যে যার মতো আমল করে কিন্তু সমস্যা হয় না যেগুলোতে।

    নিয়ত:
    সালাফিদের মতে নিয়ত ফরজ। নিয়ত ছাড়া ওজু হবে না।
    হানাফি: নিয়ত ফরজ না। ওজুর ইচ্ছে ছাড়া যদি কেউ ওজুর অংগগুলো ধুয়ে ফেলে তবে তারও ওজু হয়ে যাবে।

    তবে নিয়ত মুখে বলার দরকার নেই কোনো মাজহাবেই।


    সালাফি মতে গোসল করলে ওজু হয় না। বরং গোসলের আগে মানুষ যে ওজু করে নেয় সেটার কারনে তার ওজু হবে। ঐ ওজু না করলে গোসলের পরে তাকে আবার ওজু করতে হবে।

    হানাফি মতে: গোসল করলে ওজু হয়ে যায়। ফরজ গোসল হোক বা সুন্নাহ।


    আরেকটা বড় পার্থক্য হলো
    সালাফি মতে: ওজুর কুলি আর নাকে পানি দেয়াও ফরজ, বা ওয়াজিব। না দিলে ওজু হবে না।

    হানাফি মতে: এদুটো সুন্নাহ। কেউ কোনো কারনে না করলে ওজু হবে।


    এর বাইরে ওজু ভাঙ্গার কারনে কিছু পার্থক্য আছে। যেটা আর এখানে লিখলাম না।

    #HabibDiff

    Published
    21-Nov-2020