এক বন্ধু হটাৎ বল উঠলো, "হে আল্লাহ তুমি যদি সত্যি থেকে থাকো তবে ঐ খানে এখন বজ্রপাত ফেল!" বলে আংগুল দিয়ে ফুটপাথের পাশে ঘাসের একটা জায়গা দেখালো। এর পর বিকট শব্দে সেখানে বজ্রপাত হল। এক্সাকটলি সে জায়গায় না, তবে তার একটু সাইডে।
এ ঘটনার চার বছর পর। ওই ছেলে এই ফোরামে পোষ্টিং দিয়েছে। কিন্তু সে তখনো নাস্তিক। তার জিজ্ঞাসা অন্যদের: "বুঝতে পারছি ওটা বাই চান্স হয়েছিল, তার পরও মাঝে মাঝে আমার রাতে আশংকা জাগে যদি আল্লাহ সত্যি থেকে থাকে তবে কি আমার অনন্তকাল আযাব হবে?"
বললো, "কী?", stunned! নিরবতার পর বললো, "দাড়াও কালকেই আমি তোমাকে হামিদুর রাহমান স্যারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।"
No idea এই "স্যার"টা কে, আর উনার কাছে জঙ্গির কি ট্রিটমেন্ট আছে।
২০০০ সাল থেকে আমি এই এক্সপেরিমন্টগুলো ফলো করছিল। দেখেছি নাস্তিকরা পরিক্ষার এই ফলাফলগুলোকে অস্বিকার করার অথবা "many world interpretation" এর নামে তাদের উচু গলা ফিরে পাবার কি প্রানান্তর চেষ্টা চালাচ্ছে।
Quantum Mechanics এর এই শেষ টেষ্টগুলো প্রমান করে এই মহাবিশ্ব বোধ সম্পন্ন কোনো এক জন দ্বারা পরিচালিত, এবং ঐ জন এর অতীত ভবিষ্যতের সব কিছু জানেন, এবং সব কিছু নিয়ন্ত্রন করেন। অন্যকেউ ঘুরিয়ে পেচিয়ে যেভাবে এই কথাটা বলুক না কেন।
(ভিডিও প্রথম কমেন্টে)
পশ্চিমা বিশ্বের মুসলিমদের মাঝে এটা আরম্ভ হয় হলো ১৬ বছরের আশে পাশে। এ সময়ে সে কনভিন্সড হয়ে যায় যে স্রষ্টা বলে কেউ নেই। মদ আর শুকরের মাংস খাওয়া আরম্ভ করে।
২০ এর পর। এসময় তার অন্তরে কিছু ভয় ঢুকে। যদি আল্লাহ তায়ালা থাকে? তবে কি আমাকে অনন্তকাল আগুনে পুড়তে হবে? এই ভয় থেকে মানুষের সাথে তর্ক করতে থাকে। অনেকটা নিজেকে সঠিক প্রমান করার জন্য।
৩০ এর পর। এগনস্টিক হয়ে যায়। স্রষ্টা আছেন কি নেই আমি জানি না। এবং জানার দরকার নেই। মদ জেনা এসব চলতে থাকে অবাধে।
৪০ এর পর আল্লাহ তায়ালা আছেন
নাস্তিকদের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছি। এর উপর এই লিখা।
অধিকাংশ নাস্তিকদের ক্ষেত্রে এটা আরম্ভ হয় ১৬ বছর বয়সের দিকে। তখন তার মাঝে সন্দেহ ঢুকে। আশে পাশের নাস্তিকদের কাছে এটা প্রকাশ করে। এর পর তাদের কথায় সে নাস্তিকতায় প্রবেশ করে।
কিন্তু তখনো তার মাঝে একটা আশংকা রয়ে যায়। "যদি ইসলামের কথাগুলোই ঠিক হয়ে থাকে তবে আমাকে কি অনন্তকাল আগুনে পুড়তে হবে?" মাঝে মাঝে রাতে আতংকে উঠে বসে। কিন্তু এই অনুভুতিটা বেশি দিন থাকে না।
৩০ বছর বয়সের দিকে মদ আর ফুর্তির মাঝে ঐ অনুভুতিগুলো চাপা পড়ে যায়। এর পর চেপে বসে মৃত্যুর ভয়। "মৃত্যু মানেই শেষ? মৃত্যুর পর আমার এই চেতনার কোনো অস্তিত্ব এই মহাবিশ্বে থাকবে না? চুরি-ডাকাতি-জুলুম করে যে লোক পার পেয়ে যাচ্ছে, মৃত্যু হয়ে গেলে ঐ লোকের অপরাধের আর কোনো বিচার নেই?"
৪০ বছর বয়সের দিকে আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বের উপর বিশ্বাস বেশ শক্ত করে ফিরে আসে। কিন্তু মদ ফুর্তি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহকে গ্রহন করতে সে রাজি না। তাই সম্পর্কটাকে সে আল্লাহ তায়ালার সাথে তার শত্রুতার দিকে নিয়ে যায়। "যে খোদা, উনার উপর বিশ্বাস না করার কারনে, মানুষকে অনন্তকাল আগুনে পুড়াতে পারেন, তার বিরুদ্ধে আমি বিদ্রোহ করলাম।" ৬০ বছরের দিকে প্রায় সব নাস্তিকের বিশ্বাস এ দিকে চলে যায়।
৭০ এর পরে গিয়ে, কড়া নাস্তিকও আস্তিক হয়ে যায়। মৃত্যুই তার শেষ -- এই ভয় তাকে আতংকে ফেলে দেয়। কোনো ভাবেই সে এটা মানতে রাজি না। "মৃত্যু মানুষের শেষ না। স্রষ্টা একজন আছেন। কিন্তু ধর্মগ্রন্থে যে স্রষ্টার কথা বলা হয় উনি সেই স্রষ্টা না।"
অবশেষে হাসপাতালের মৃত্যু শয্যায় শুয়ে তার পুরো জীবন তাকে আঘাত করে। "হায় আমি কি করলাম। এখন আমাকে অনন্তকাল আগুনে পুড়তে হবে। আমার আর কোনো উদ্ধার নেই।" এই অবস্থায় তার মনে দ্বীন আর ধর্ম নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না।
আমেরিকার এক নার্স বলছিলো, এত বেশি নাস্তিককে আমি মৃত্যু শয্যায় হায় হায় করতে দেখেছি যে এটাকে এখন আমরা কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়।
\--- --- ---
নাস্তিকদের আমি ঘৃনা করি না। তবে তাদের মত পরিনতি থেকে আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে হিফাজত চাই।
শেষে নাস্তিকের চ্যলেঞ্জ,
_______________
২/ বৃটেনে এক মৌলাবাদী মুসলিম নেতার সাক্ষাতকার।
প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করলেন
______________
আমি দেখছি মিশরের হিজাব বিহীন উপস্থাপিকা ইসলামের উপর অধিক আছেন, বৃটেনের মৌলবাদী নেতার থেকে।
আমিরাতে একটা সেমিনার হয়ে গেলো এই আইনগুলোর উপর। হামজা ইউসুফ এই আইনগুলো রিভিউ করার পক্ষ নিলেন কারন এখন যুগটা ভিন্ন। And something just died inside me.
These are dark times. সত্যবাদিকে সমাজ অবিশ্বাস করবে, মিথ্যাবাদিকে সমাজ বিশ্বাস করবে। রাসুলুল্লাহ ﷺ সত্য কথা বলেছেন।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি: আল্লাহ এক।
ঘটনা ১। এক ভাই বলেছেন: "কিছুদিন আগে আমি এক জার্মান নাস্তিকের জানাজা পড়েছি। সে প্রায় ৭০ বৎসর বয়সে ইসলাম গ্রহন করে। এর মাত্র কিছু মাস পরই তার মৃত্যু হয়। ইনশাল্লাহ তার স্থান জান্নাতে।"
ঘটনা ২। এক বোন বলেছেন: "মুসলমান থেকে যারা নাস্তিক হয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে এক ভাই ইউটিউবে আক্রমনাত্বক বক্তব্য দিত। যারা নাস্তিক হয়ে গিয়েছে তারা এর আগেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমান ছিল না, সে বলত। কিছু দিন পর ওই ভাই নিজেই নাস্তিক হয়ে যায়। এবং ইউটিউবে তার নাস্তিকতার পক্ষে বক্তব্য দিয়ে ভিডিও আপলোড করে।"
অংক করে প্রমাণ করে দিলেন যে, ইশ্বর = ০^২ এবং আত্মা = ০^১।"
- হুমায়ন আহমেদ
এখন আমি আতংকে আছি শাহবাগীদের প্রতি আমার অসমর্থন ঘৃনার পর্যায়ে চলে গিয়েছে কিনা সেটা নিয়ে । সে ক্ষেত্র আশংকা আছে আল্লাহ তায়ালা আমাকে না তাদের মত করে ফেলেন। অথচ তাদের প্রথম উদ্দ্যেশ্য হয়তো ছিল মহৎ। তাদের ব্লগার পিতাদের অতীত পাপের বোঝা তাদেরকে পরাজিত করেছে। যেমন কিনা জামাতিদের পিতাদের অতীত পাপ বোঝা তাদের ধ্বংশ করেছে।
এ নিয়মের রিফ্লেকশন আমি সব জাগায় দেখতে পারছি। 'অসাম্রদায়িক'রা সাম্প্রদায়ীকতার বিরুদ্ধে প্রচন্ড ঘৃনা প্রকাশ করতে করতে সেই গ্রুপ এখন আর একটি সাম্প্রদায়িক দলে পরিনত হয়েছে। 'জামাত'কে আরেকটি প্রতিপক্ষ সম্প্রদায় বানিয়ে তাদের কতল করাটা এই 'অসাম্প্রদায়িক' দল জায়িজ ফেলেছে। জামাতের মাঝে কে দোষি কে নির্দোষি সেটা ফেক্টর না। জামাত সম্প্রদায় ভুক্ত হলেই তাদের কতল কর।
অনেকটা এ উপমহাদেশের 'বিধর্মিদের' কতল করার ইতিহাসের মত। কারন হয়তো কোন এক জন হিন্দু বা মুসলিম অন্য সম্প্রদায়ের কাউকে মেরেছে। তাই তাদের সব হিন্দু বা সব মুসলিমদের কতল কর। এটার নামই সাম্প্রাদায়িকাতা।
Haters will always hate.
আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইছি আমার অন্তরে ঘৃনা আসা থেকে । আশ্রয় চাইছি উনার অপছন্দের লোকদের মত হওয়া থেকে।
আমিন।
কি জানলাম? নাস্তিক, শাহবাগী, আওয়ামী, কমুনিস্ট, মাজার ব্যবসায়ী এরা সব একদল। তাদের ধর্ম তাদের জন্য।
আমার ধর্ম ভিন্ন। তাদের থেকে আমার শেখার কিছু নেই। তাদেরকে শেখানোর মত আমারও কিছু নেই।
- ... একটা কুকুরকে পানি খাওয়ানোর জন্য এক মহিলাকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে বেহেস্ত দিয়েছেন, আর আপনি বলছেন নাস্তিকরা দোজোখে ... ...
- ব্যপার সেটা না।
- তাহলে কি?
- ব্যপার হলো, নাস্তিকদের কাছ থেকে আমি ইসলাম শিখি না।
কোরআন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বললেও না।
"কিছু কথা আছে স্পষ্টতই ব্লাসফেমি। যেমন থাবা বাবা বা উনিশ বছর।
কিন্ত সমস্যা হলো সাকসেসফুলি একটা ব্লাসফেমি চার্জ সেটেল করার পর জনগন এত সেন্সেটিভ হয়ে থাকে যে যেগুলো ব্লাসফেমি না সেগুলোতেও তারা ব্লাসফেমি খুজে পায়।"
"যেমন?"
লোকটা সন্দেহের চোখে তাকালো আমি নাস্তিকদের পক্ষে ওকালতি করছি কিনা।
"যেমন মনে করেন পাকিস্তানে জুনায়েদ জামশেদ অথবা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়াতে যা হচ্ছে।"
"এগুলো ব্লাসফেমি কিনা সেই স্বিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে কে বলছে?"
এবার আমার আতংকিত হবার পালা। উনি আবার আমার কথার মাঝে ব্লাসফেমি খুজে পান কিনা!
এই ক্ষেত্রে টেকনিক হলো হাইপোথেকিট্যেল এক্সট্রিমে চলে গিয়ে নেগেশন প্রুভ করা। তাই করলাম।
"যেমন মনে করেন কেউ বললো রাসুলুল্লাহ ﷺ মাটির তৈ.... কেউ কথাটাকে ব্লাসফেমি ধরবে কেউ ধরবে না। এই অবস্থায় জনগন কি করবে? কে স্বিদ্ধান্ত নেবে কোন কথাটা ব্লাসফেমি?"
"কেন ঐ কথাটা ঠিক, কোরআনে আছে...."
বলে উনি যে পক্ষে বিশ্বাস করেন ঐ পক্ষের দলিল দেয়া আরম্ভ করতে যাচ্ছেন। সমস্যা হলো দুই পক্ষের দলিল আমি যুগ যুগ ধরে শুনে আসছি। উনার কথায় নতুন কিছু জানার নেই।
কিন্তু আমার পয়েন্ট ছিলো দ্বিমুখি দলিলে মানুষ কি করবে সেটা। কোন দলিল উনি সঠিক মনে করছেন সেটা না।
But he is missing the point. প্রসংগে আসতে বললাম
"তাহলে বলছেন, কেউ যদি বলে উনি মাটির সৃষ্টি না, তাহলে ঐ লোককে ব্লাসফেমির দায়ে হত্যা করা যাবে?"
"এগুলোর সাথে ব্লাসফেমির সম্পর্ক নেই। এগুলো দলিল দিয়ে প্রমান...."
"তাহলে কে স্বিদ্ধান্ত নেবে কোন কথার সাথে ব্লাসফেমির সম্পর্ক আছে? কোনটার নেই? জনগন? আদালত? জনগন হলে কোন জনগন? দল হলে কোন দল?"
বলেই বুঝলাম কথাগুলো বেশি হাইলেভেলের হয়ে গিয়েছে।
উনি এখন সব ঝেড়ে ফেলবেন।
এবং তাই করলেন,
"দেখেন এত বেশি বুঝার দরকার নেই...."
বুঝলাম শুধুমাত্র আমার কথা আর সময় নষ্ট হলো।
কবে তোমার শিক্ষা হবে রে মন?
ট্রাম্পের শপথ পাঠ হয়েছে খ্রীষ্টানদের এক গির্জায়। বাইবেলের উপর হাত রেখে। এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে।
আমারদের দেশের মত "আমি শপথ করছি যে..." টাইপের ধর্মহীন নাস্তিকের কথা দিয়ে না।
"তাহলে ধর্মনিরেপক্ষতার দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা কোথায় গেলো?"
ঐ গীর্জার ভেতর পাশের মসজিদের ইমাম সাহেব এসে ট্রাম্পকে কোরআন শরিফের দুটো আয়াত পড়ে শুনিয়ে দিয়েছেন। এটাই তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা।
আমাদের দেশে রাস্ট্রিয় ধর্মনিরেপক্ষতা বলতে প্রচার করা হয় রাস্ট্রিয় নাস্তিকতাকে।
সমস্যা হলো কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন দিয়ে সম পরিমান মেটার আর এন্টি-মেটার তৈরি হবে। Matter মহাবিশ্বের চার দিকে সব জায়গায় আছে।
এন্টি-মেটার গুলো গেলো কোথায়?
অনেক রকম পরিক্ষা-চেষ্টা করলো তারা ব্যখ্যা বের করার। কিছু মিলাতে পারে নি বৈজ্ঞানিকরা এখনো। Fail.
.
http://www.independent.co.uk/news/science/universe-exist-cern-universe-matter-bizarre-behaviour-scientists-a8015216.html
ফিকাহর ইখতেলাফি বিষয়ে তর্ক করার জন্য আলেমরা আছেন। আমাদের সবার এগুলো নিয়ে তর্ক করার দরকার নেই।
সাইন্টিফিক রিসার্চ? এর জন্যও লোক আছে।
এ ধরনের বিভিন্ন কাজের জন্য ডেডিকেটেড কিছু কর্মি আছেন, যারা ঐ কাজে ভালো। আমাদের নিজেদের ঐ কাজে যাবার দরকার নেই। আবার যারা ঐ সব কাজে ডেডিকেটেড আছেন তাদেরকে নিষেধ বা নিরুৎসাহিত করার দরকার নেই।
বিভিন্ন কাজের জন্য কিছু লোক লাগবে, এবং তারা আছেন।