Archive 1605082681

তর্ক : #archive 2019 Mar-Dec.

03-Mar-2019 23:01:57

এখন যে সময়। যে যেই পথে আছেন সেই পথেই চলেন। উপদেশ দাতা, লেকচার পন্থি, বিরোধিতাকারী এদের ব্লক করে দেন।

তার কথা-পথ আপনার থেকে বেশি সঠিক না।
আপনার কথা-পথ তার থেকে বেশি সঠিক না।

তাই এখন তর্কে লিপ্ত হওয়া ভুল। সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু ক্লিয়ার হবে।

কিছু লোক থাকবেই যারা তর্ক করা ওয়াজিব মনে করে এগিয়ে আসে। তর্ক করার উপর তার জান্নাত, কারন সে "সৎ কাজের আদেশ দিচ্ছে, অসৎ কাজের নিষেধ।" এটা না করলে সে গুনাহগার হয়ে জাহান্নামে যাবে।

তাদেরকে preemptively ব্লক করে দিতে হবে। এখানে নম্রতা দেখানো দুর্বলতা এবং পরবর্তিতে পথভ্রষ্টতার কারন।

ব্লক করার পরে তার আবেগ-অভিযোগ নিয়ে সে আল্লাহর কাছে যেতে পারে।

সত্য হলো,
আমার জবাব আমাকে দিতে হবে।
ঐ সময়ে তার সাহায্য পাওয়া যাবে না।

05-Mar-2019 12:44:50

দ্বিনি বিষয় তর্ক :

- এটা খারাপ কাজ।

  • যদি কাউকে একা কোনো জায়গায় নিয়ে উপদেশ দিলে সে শুনবে মনে হয় তবে দেয়া যায়। নয়তো উপদেশ না দিয়ে চুপ থাকা ভালো যদিও সে ভুলে।
  • হাদিস : দ্বিনি বিষয়ে কোনো জাতি তর্কে লিপ্ত হলে তারা পথভ্রষ্ট হয়।
  • লোকমান হাকিমের উপদেশ তার ছেলেকে : দ্বিনি বিষয়ে আলেমদের সাথে তর্ক করো না। তবে আলেমরা তোমাকে শত্রু হিসাবে দেখবে।

    - এমন কি কারো কথা ভুল আর মিথ্যা হলেও প্রতিবাদ না করে চুপ থাকা একটা বড় সবর।

  • এই ক্ষেত্রে জিহাদে কাফেরদের আক্রমনে সবরের সোয়াব পাওয়া যায়।

    দাউদ তায়ী একা একি থাকা আরম্ভ করলেন। ইমাম আবু হানিফা জিজ্ঞাসা করলেন তুমি একা থাকো কেন?

    বললেন : নফসকে দমন করতে আর দ্বিনি বিষয় তর্ক থেকে দূরে থাকতে।
    আবু হানিফা বললেন : তুমি ঐ সব তর্কের মজমায় যাও কিন্তু চুপ চাপ শুধু শুনবে, কোনো কথা না বলে।

    দাউদ তায়ি বললেন : আমি এটাই করি। কিন্তু এটা আরো কষ্টকর। এর থেকে বড় সবর আর নেই।

    - কোনো এলাকায় দ্বিনি তর্ক আরম্ভ হলো। ঐ এলাকার নেতারা যদি এখানে একটা পজিশন নেবার আশায় বলে "দ্বিনি বিষয়ে তর্ক করা সোয়াবের কাজ" তবে বুঝতে হবে সে এলাকায় বড় কোনো আযাব আসছে।

  • মানুষের অহংকার আর এগ্রাসিভনেস তাকে দ্বিনি বিষয়ে তর্কে নিয়ে যায়।
  • কিন্তু সাধারন মানুষ মনে করে দ্বিন নিয়ে তর্ক করছে? অনেক সোয়াবের কাজ।
  • এ থেকে আস্তে আস্তে তারা তর্ক ঝগড়ার নেশায় পড়ে যায় যেটা থেকে আর চুপ থাকতে পারে না। তর্কে আনন্দ পায়।

    - আনাস রা: এর কথা : দ্বিন নিয়ে তর্ক করা কোনো দ্বিনি কাজ না।

  • আগের বুজু্র্গরা এজন্য দ্বিন নিয়ে তর্ক করতে নিষেধ করেছেন।

    এজন্য কেউ বিদায়াত করলে বা কোরআন হাদিসের বিরোধি কিছু করলেও তার সাথে তর্ক না করে তাকে বুঝাতে চেষ্টা করতেন। সে যদি না শুনে তবে তার পেছনে আর না লেগে তারা চলে আসতেন।

    [ গাজ্জালির কিমিয়ায়ে সাদাত থেকে ] পৃষ্ঠাগুলোর ছবি কমেন্টে।

  • 12-Mar-2019 14:42:09

    "অপ্রয়োজনীয়" কমেন্ট করলে সমস্যা কি?

    এই ফিড চলে যাবে আপানার ফ্রেন্ড ফলোয়ারদের কাছে যারা দৌড়ে আসবে আরো তর্ক করার জন্য। আমি সামাল দিতে পারবো না, কারন আমার কমেন্ট গ্লোবাল করা। যেখানে অধিকাংশ আইডি কমেন্ট ফ্রেন্ড অনলি করে রাখে।

    21-Mar-2019 08:16:41

    ৯০ পর্যন্ত ছিলো "তকলিদ করা হারাম।"

    ২০০০ এর দিকে "হারাম না কিন্তু সবচেয়ে সহিটা পেলে সেটাই অনুসরন করতে হবে। অন্যটা করলে হবে না।"

    আজকে দেখলাম :
    শায়েখ ইমাম হোসেন : "আমাদের উদ্যেশ্য চার মাজহাবকে একত্রিত করা"
    শায়েখ মতিউর রহমান মাদানি : "চার মাজহাবই আহলে সুন্নাহর ভেতর। মদিনা ভার্সিটিতে চার মাজহাবই পড়ায়।"

    তাই পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন চলছে।

    আমরা যারা এর আগে "মাজহাবীয় গোড়ামি" নিয়ে অনেক তর্ক করে ফেলেছি তাদের আফসোস করার সময়।

    যে আলেমের কথায় আপনি বাকি আলেমদের বিররুদ্ধে জিহাদে নেমে যাচ্ছেন তিনি নিজের কথা কিছু দিন পরে বদলাতে পারেন। বা তিনি মারা যাবার পরে পরের জন এসে বলতে পারেন, "আগের জন বরং ভুল করেছিলেন। উনার কথা যে ঠিক না সেটা আপনার বুঝা উচিৎ ছিলো। এটা না বুঝার কি আছে?"

    30-Mar-2019 21:28:05

    "জিহাদি" চ্যপ্টার ক্লোজ করে "সুন্নি" ধারা কিছু খুলে দেখলাম কি অবস্থা। দেখলাম সেখানে আরো বিভৎস অবস্থা। কাটা-কাটি কয়েক মাস আগে যা দেখেছিলাম এখন তার ১০ গুন বেশি। তখন ছিলো যুদ্ধের ইন্ট্রোডাকশন, এখন পুরোদস্তুর। আর এমন সব বিষয় নিয়ে যেগুলো একেবারে "ফান্ডামেন্টাল"। কিন্তু এখন "ব্যখ্যা" ভিন্ন।

    এগুলো নিয়ে দুই একটা পোষ্ট দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পোষ্ট দিলেই ঐ ধারা থেকে বহু ফলোয়ার জমে যাবে তর্ক জমানোর জন্য। শেষে আবারো ব্লক।

    কেউ আমারে বুদ্ধি দেন কোন দিকে যাবো।

    31-Mar-2019 06:53:56

    দ্বিন নিয়ে তর্ক এখন একটা comical level এ পৌছে গিয়েছে। The only reason you might want to follow it is for the entertainment value.


    মনে করেন নতুন ফারেগ আলেম। ইউটুবে কিছু ভিডিও পোষ্ট করতে হবে প্রতিষ্ঠিত আলেমদের আক্রমন করে। রাতা রাতি জনপ্রীয়তা পেয়ে যাবেন। এর পর ওয়াজ-মাহফিল কামাই সেই জনপ্রীয়তার সূত্র ধরে। আগে যা করতে ১০ বছর লাগতো, সেটা এখন ১০ মাস।


    আলেম না? তবে ইউটুবের বদলে ফেসবুকে আসতে হবে। কিছু "সেলিব্রিতি" টারগেট করে এদের আক্রমন করেন। দুই দিন পরে আপনিও সেলিব্রিতি।


    হাজার হাজার লোক এখন উপরের দুই পথের পথিক। এবং এই ভিড় প্রতিদিন গুনিতক হারে বাড়ছে।

    তাই দ্বিনের ব্যপারগুলো দূরে থাক। Think positive. অন্য কিছু নিয়ে পড়তে হবে।

    31-Mar-2019 11:37:16

    দ্বিনি ইখতেলাফি-বিতর্কিত বিষয়ে আমার অবস্থান :

    "অধিকাংশের" মত ঠিক।
    এর পর আর কারো যুক্তি-দলিল দেখি না।

    19-Apr-2019 14:42:05

    ইসলামের কোনো বিতর্কিত বিষয়ে "সঠিক কোনটা?" এই প্রশ্ন আমাকে করে লাভ নেই।

    আপনার দল-মত জানালে আমি বলতে পারবো আপনার দলের মতে কোনটা সঠিক।

    এর বাইরে প্রকৃত "সঠিকটা কি" সেটা জানার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। কারন আমি "অধিকাংশ আলেমের মত" অনুসরন করি। সেটা সঠিক না ভুল সে ব্যপারে স্বেচ্ছায় "অজ্ঞ" থেকে, এবং "সঠিক" টা জানতে না চেয়ে।

    তাই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য যুক্তি হলো : "অধিকাংশের মত এই।"

    অগ্রহনযোগ্য যুক্তি : "অধিকাংশের মত যাই হোক না কেন, সঠিকটা হলো ঐ, কারন কোরআন হাদিসে তাই আছে।"

    কোরআন হাদিস পড়ে আপনার বুঝ আর অধিকাংশের বুঝ মিলে না -- এতটুকুই যথেষ্ট আপনার কথা প্রত্যাখান করার জন্য - কোরআন হাদিসে যাই থাকুক না কেন, সেটা না পড়েই।

    এটা আমার অবস্থান।

    20-Apr-2019 07:48:31

    সহজ সরল মানুষ ধর্মিয় বা চেতনার অনেক কিছুতে আপত্তি পায়। উত্তেজিত হয়ে যায়। অন্যকেও উত্তেজিত করে তুলতে চায়, কারন সে একা কেবল উত্তেজিত হবে নাকি? "এটা জানা এবং প্রতিবাদ করা সবার দায়িত্ব"।

    যারা এগুলো দেখে উত্তেজিত হয় না, তাদেরকে সে মনে করে "দালাল" "এজেন্ট"। এর সাথে সাথে সে কম্পেয়ার করতে ভালো বাসে "ঐ বিষয় নিয়ে তো তখন আপনি সেই বলেছিলেন, এখন এইটা নিয়ে চুপ কেন?"

    সহজ সরল মানুষদের সাথে তর্ক করে লাভ নেই।

    তার আক্রমন গন্ডির মাঝে আমি না পড়লেই হলো।
    দুরত্ব রাখতে হবে।

    03-May-2019 21:14:25

    "প্রেডিকশন" নিয়ে তর্ক করা অর্থহীন। আপনি বললেন ওটা হবে, আমি বললাম সেটা হবে। এর পর হেসে "ঠিক আছে দেখি কোনটা হয়" শেষ।

    এটা না করে খারাপ :

    "আপনি আমার উল্টো প্রেডিকশন দিলেন কেন? আপনি আমার শত্রু। শত্রুতা করার জন্যই আমি যা বলি তার উল্টো কথা বলেন।"

    একে বলে "লুকিং ফর শত্রুজ" সিমটম। আখিরুজ্জামানের প্রেডিকশন নিয়ে এরকম হচ্ছিলো এক সময়।

    "আপনারা দুইজনে বসে বরং সমাধান করেন, কার কথা ঠিক?"

    কেমনে সমাধান করবো? সমাধান তো যখন ঘটবে তখন বুঝা যাবে যা ঘটলো সেটা দেখে কোনটা ঠিক। একে বলা যায় "তর্ক পছন্দ করি" সিমটম। তর্ক কাজে হোক বা অকাজে।

    "প্রেডিকশন করা কি জায়েজ? আপনি গায়বি ইলমের দাবি করছেন না?"

    এটা লুকিং ফর ফতোয়া।

    এরকম আরো বহু হাবি-জাবি বহু ইশু টেনে বের করা যায় নন-ইশু থেকে।
    বের করতে "চাইলে"।

    07-May-2019 22:57:17

    কালবিন সালিম :


    প্রশান্ত অন্তর? পবিত্র অন্তর!
    সেই অন্তর যেটা নিয়ে আল্লাহর কাছে মানুষ দাড়ায়।


    তর্কে প্রবেশ করলে আমল ছুটে যায়। যার পক্ষে আমি যুক্তি দেখাচ্ছি, তার আমালও আমার মাঝে থাকবে না। যে পক্ষেই আমি থাকি না কেন।

    প্রশান্ত অন্তর নিয়ে আল্লাহর সামনে দাড়াতে হয়।


    সৃষ্টির সমস্ত জটিলতা উনি জানেন। মানুষের ভেতর বাহির উনি জানেন। আমার আর সবার না বলা কথা উনি জানেন।

    আত্মতুষ্টিতে উনার সন্তুষ্টি নেই।
    উনার সৃষ্টির উপর বিষ্মিত হয়ে যদি উনার প্রশংসা করি -- তাতে উনার সন্তুষ্টি।

    04-Jun-2019 12:37:30

    রমজান প্রায় শেষ। ক্ষমা চাবার সময়।

    কিন্তু সেই পুরানো দোষ। পাপি যখন বলতে থাকে "আমি কোনো পাপ করি নি। বরং দুনিয়াটাই খারাপ..." তখন যে অবস্থা হয় আমার অবস্থাও একই।

    যেমন ফেসবুকে শত্রু মিত্র কাউকে গালি দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। কেউ রাগ দেখাতে থাকলে, বা তর্ক বাড়াতে থাকলে তাকে বরং ব্লক করে দিয়েছি। কারন তার রাগের উপর আমি নিজেকে পরিবর্তিত করবো না। তার কথা যদি আমার কাছে ভুল মনে হয় তবে তাকে নিজের উস্তাদও বানাবো না।

    কিন্তু ব্লক করাটা কোনো অপরাধ কিনা, যে জন্য ক্ষমা চাওয়ার কারন আছে -- সেটা প্রশ্ন। কাউকে খারাপ কথা বলে থাকলে চাইতে পারতাম। কিন্তু আমার মনে হয় আমি বলি নি :-)

    যা বলছিলাম, অপরাধি যখন মনে করে "আমি দোষি না, বরং দুনিয়াটাই খারাপ"।

    04-Jun-2019 16:57:02

    ভাইয়েরা, তর্কে আমার আগ্রহ নেই। তর্ক জাগলে "হকের পক্ষে আওয়াজ" না তুলে আমি চুপ করে যাবো। যে যেটা হক মনে করে সে সেটা অনুসরন করতে পারে। আমাকে বুঝাতে আসলে ব্লক করে দেবো।

    কারন আমার বুঝ আমি নিজে বুঝার চেষ্টা করি। যার থেকে বুঝার চেষ্টা করি তার থেকে। আপনার থেকে না।

    কিন্তু আপনার ফাইট আপনি চালিয়ে যেতে পারেন।
    শুধু আমাকে বাইরে রাখেন।

    10-Jun-2019 12:20:18

    অনেক মত অনেক পথ।

    আমার এক মত, আরেক জনের ভিন্ন মত।

    কি করবো? তর্ক করবো? দরকার কি? সে তার মত নিয়ে থাকতে পারে না? আমি আমার?

    "নবিনরা তবে শিখবে কি করে?"

    ঠেকায় পড়ে। আমরা যেভাবে শিখেছি। ঘাটে ঘাটে পানি খেয়ে। শেষে যার অন্তরের টান যেদিকে সে সেই ঘাটে ভিড়বে।

    "কিন্তু এগুলো কি আমার আখিরাতের মুক্তির জন্য যথেষ্ট?"

    আখিরাতের মুক্তির জন্য ইসলামের মূল কথাগুলো যথেষ্ট। শাহাদাহ, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত। বাকিগুলো এক্সট্রা। কারো সময় সুযোগ ইচ্ছা থাকলে করবে।

    11-Jun-2019 21:34:18

    "আমার দ্বিনের সত্যতা নির্ভর করে আপনাকে ভুল প্রমান করার মাঝে"


    একজন নাস্তিক ইসলাম বিরোধি কথা বললো। তাকে ভুল প্রমান করার মাঝে আমার দ্বিনের সত্যতা নির্ভর করে না। তার কথায় আমার কিছু যায় আসে না। আখিরাতে আমার পরিনতি তার পরিনতির সংগে একসাথে বাধা না।

    আমি তাকে পুরোপুরিই ইগনোর করে নিজের বিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারি।


    কাউকে বললাম "তুই জাহান্নামে যাবি, তুই যদি জান্নাতে যাস তবে সেই জান্নাতে আমি যাইতে চাই না।"

    এখন আমার জান্নাতে যাওয়া তার পরিনতির উপর শর্তাধিন। তাম্বিউল গাফেলিনে এরকম একটা ঘটনার কথা বর্নিত আছে। শেষে যাকে বলেছিলো সে জান্নাতি হয়, যে বলেছিলো সে জাহান্নামি। তার এ রকম কড়া কসম খাওয়ার কারনে।


    কোনো "মুসলিমকে" "তাগুত" ডেকে হত্যা করলাম। এখন আমার জান্নাত তার উপর শর্তাধিন। সে জান্নাতি হলে আমি জাহান্নামি।

    আমার ভয় আমার দ্বন্ধ থেকে আমি বাকি জীবন সবার সাথে তর্ক করতে থাকবো।

    নাস্তিকরা এখানে গৌন। বরং আমার দ্বিনের সত্যতা নির্ভর করে যারা আমার দাবি ভুল বলে তাদেরকে ভুল প্রমান করার মাঝে।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের খারাপ পরিনতি থেকে হিফাজত করুন।

    16-Jun-2019 15:38:18

    দল-মত এই মুহুর্তে বহু। মাইজভান্ডারি থেকে জিহাদি অন্ততঃ ২৫-৩০টা দল। এর উপর কিছুদিন আগে ইয়াসির কাজি সাহেব আবার জানালেন সালাফিদের মাঝে ৭ ভাগ। আখিরুজ্জামান-কোরআনিয়ান এগুলো এখনো হিসাবে আনি নি। এগুলোতেও হাজার মত পথ। শিয়া-হিজবুত তৌহিদ-আহমদি এগুলো বাদ দিলেও।

    সবার সাথে তর্ক করার মতো সময় নেই।
    সবার সাথে তর্ক করার দরকার নেই।

    চাকরি ব্যবসা অন্য কাজ আছে।
    যদিও এই দলগুলোর সবাই আমাকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর জন্য তর্ক করতে চাচ্ছে।

    কেউ যদি তর্ক করতে অতি আগ্রহ দেখায় তবে বুঝায় সে নিজে দ্বন্ধে আছে নিজের অবস্থান নিয়ে। আপনাকে হারাতে পারলে সে স্বান্তনা পায় "না আমি ঠিক।"

    তর্ক আলেমদের উপর ছেড়ে দিন।

    23-Jul-2019 16:22:34

    মিলাদ কিয়ামের ব্যপারে ফারাজি সাহেব বনাম রাজারবগির বাহাস হয় নি। প্রশাসন অনুমতি দেয় নি বলে।

    এর পর নিজে দেখতে চাচ্ছিলাম আসলে কি। দেওবন্দিদের দলিল দরকার নেই। রাজারবাগিদের দলিল খুজছিলাম। যে দলিল তারা পেশ করবে সেগুলোর আলোচনা নিশ্চই নেটে আছে?

    পেলাম এখানে
    https://www.facebook.com/photo.php?fbid=2317155261945863&set=a.1555857541408976&type=3&theater

    এখানে দলিল দেয়া হয়েছে ইমাম সুয়ুতিকে। এটা ভালো, গ্রহনযোগ্য। উনার বই "সুবুলুলহুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহুআলাই হি ওয়া সাল্লাম"। তর্ক থেকে জানি বইয়ের কোটেশন আউট অফ কনটেক্সট বলা একটা সচারচর ব্যপার। আসল বই নিজে পড়ে দেখতে হয়।

    দেখতে চাইলাম। খোজ লাগালাম। বইটার আরবি বানান বের করে সার্চ দিলাম। سبل الهدى في مولد المصطفى

    কিছু পেলাম না। এই নামে নিশ্চই বই আছে। কিন্তু নেটে নেই। গুগুল সার্চেও নেই।

    15-Dec-2019 14:15:26

    আবার ইসলামি পোষ্টে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু তার আগে ফলোয়ার লিষ্ট ইসলামিষ্ট মুক্ত করতে হবে। নয়তো আবার স্টেটাস হয় যাবে কেওস, তর্ক, আক্রমন, গালা-গালির কেন্দ্র।

    আপনি ২০ বছর ধরে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর জীবনি বর্ননা করতে পারেন।
    অথবা যারা বর্ননা করে তাদের দোষ ধরে বেড়াতে পারেন ২০ বছর ধরে।

    আমি প্রথমটা হতে চাই।
    ইসলামিষ্ট বলতে বুঝি ২য় টা।

    দু পক্ষই সোয়াবের নিয়তে করে। "দ্বিনকে রক্ষার জন্য।"

    16-Dec-2019 02:24:07

    এই সব "নজদি-ওহাবি-খারেজি"-দের তর্ক আর ভালো লাগে না দেখে আমাদের "সুন্নি" ভাইদের কি অবস্থা দেখতে গিয়েছিলাম। পরিকল্পনা শুধু তাদের সাথে বসে জিকির করবো আর রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মহব্বতের আলোচনা।

    ঠিক? স্বপ্ন।

    সেখানে গিয়ে দেখলাম এখন তর্ক আরো অনেক বেশি। আগে আমি বলতাম তাদের ৯০% কথাই ছিলো আক্রমন। "ওহাবি-খারেজি"-দের বিরুদ্ধে। সেটা এখন বেড়ে ৯৮% কথা। কিন্তু এখন আর তাদের কোনো কথা "ওহাবি"দের বিরুদ্ধে না। বরং নিজেদের মাঝে দলে দলে।

    গত বছর যখন তাদের ছেড়ে এসেছিলাম তখন দেখে এসেছিলাম রেজভি বনাম আলাউদ্দিন জিহাদি ও আইনুল হুদা সাহেব। এখন আর "ও" নেই দুইজনের মাঝে। আলাউদ্দিন জিহাদি আর আইনুল হুদা সাহেবের মাঝে লেগে গিয়েছে। জিহাদি সাহেব আইনুল হুদা সাহেবকে কাফের ফতোয়া দিয়ে দিয়ে বলেছেন "অটো বৌ তালাক"। অনেক কিছু পড়ার পরে এভিডেন্স হাজির করলেন ভিডিও "এই যে এখানে পড়েছেন এই কালেমা তাই কাফের।" শুনে দেখলাম আইনুল হুদা সাহেবের পড়া ঠিকই আছে।

    কিন্তু ... কিন্তু আমি আমার মত এখানে ঢুকাচ্ছি কেন? বরং দেখতে থাকি।

    বা এই তামাশা না দেখে একা থাকি।

    "কিন্তু একটা কমুনিটি লাগবে। কিছু সংগি, সাথি, উদ্বিপক, একে অপরকে উৎসাহ দাতা"

    এই জামানায় নেই। আমি আমার ফ্রেন্ড লিষ্ট থেকে ৩ জনকে বন্ধু বানাতে পারি আমরা একে অপরকে উৎসাহ দেবার জন্য। কিন্তু এরা প্রথমে এসেই তর্ক আরম্ভ করবে কমেন্টে। ব্লক করে দিলে বলবে "ভালো কথা শুনতে চেয়েছিলাম, তাও দিলেন না"। এর পরও তারাই বেলেন্সড, আমি "আনবেলেন্সড"।

    একটা সময় আসে যখন একা চলতে হয়। একা চলার পরও অভিযোগ শুনতে হয় "আপনি মূলধারা পন্থি আর মেজরিটি হলো বাতেল।"

    হয়তো ইসলাম নিয়ে আমরা খুব বেশি আলোচনা করছি। খুব বেশি চুল সমান পার্থক্য ব্যবচ্ছেদ করছি। তাতে নিজেদের মাঝে লেগে গিয়েছে।

    একটু ব্রেক দিয়ে অন্য দিকে মনোযোগ দেয়া ভালো। ইসলাম নিরাপদে থাকবে।

    20-Dec-2019 14:16:48

    এই পোষ্টটা আমার আত্মিয় নিকটজনদের জন্য।

    একটা শ্রেনির ছেলেপেলে আমাকে ফলো করে আমার দোষ ধরার জন্য। কারন, আমি কেন তাদের মানহাজ গ্রহন করি না। তাদেরকে খুশি রাখার জন্য আমাকে ফ্লিম রিভিউ আর গান পোষ্ট করতে হয়। এরা "হায়রে মডারেট" বলতে বলতে বগল বাজাতে বাজাতে চলে যায়। "দেখেন আমরা তার তুলনায় কত ভালো না?" বাকিরা "হ্যা সেটাই"।

    একাজে তারা খুশি হয় আমার দোষ পেয়েছে বলে, আমিও খুশি হই তারা চলে গিয়েছে বলে। দুই পক্ষই খুশি।

    এটা যদি না করতাম তবে তারা আমার ভালো পোষ্টগুলোর মাঝে দোষ খুজে পেতো। "হায়রে দেখেন এই হাদিস গোপন করে অন্য হাদিস বলে" "মন গড়া কোরআনের ব্যখ্যা করে" "হায়রে সুফি" তখন এই দ্বিন নিয়ে তর্ক আমার জন্য আরো ক্ষতিকর হতো। তাদের ভ্রান্তিতে আমিও ভ্রান্তিতে পড়ে যেতাম।

    যেমন,
    একটা ছেলে গিটার বাজাচ্ছে। এক দাওয়াতি কার্মি তাকে বললো "গিটার বাজিও না এগুলো হারাম।" এই কথাগুলো তার জন্য ভালো।

    আবার,
    সেটা না করে এক ছেলে যদি মসজিদে বসে একা একা জিকির করে। তবে দাওয়াতি কর্মি তাকে গিয়ে বলবে "মসজিদে বসে তুমি যে জিকির করো, এটা নেক সুরতে শয়তানের ধোকা, শয়তান ৭০ হাজার প্রকারে মানুষকে ধোকা দেয়। তুমিতো মনে করছো তুমি ভালো কাজ করছো কিন্তু তুমি শয়তানের ধোকায় পড়ে আছো" -- এই কথাগুলো তার জন্য ক্ষতিকর। মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসে তার কথার অনুসারি হলে সত্য সত্য ঐ ছেলে ধোকায় পড়ে যাবে। ভালো জিনিসকে সে মন্দ জানবে, সব সময় দ্বন্ধে থাকবে "তবে কোনটা ঠিক?"।

    তাই ফ্লিম মুভি গান টিভি সবই ক্ষতিকর। কিন্তু ক্ষতির মাত্রা আছে। আমার পোষ্ট দেখে এগুলো জায়েজ কেউ মনে করবেন না। আপনি আগে এই ব্যপারে যা জানতেন সেটার উপর থাকেন।

    22-Dec-2019 22:35:54

    Desperately trying :

    নেটে দ্বিনি যত তর্ক, মারামারি, আক্রমন চলছে কোনোটার দিকে তাকাবো না ইনশাল্লাহ। Let them fight, burn and crash. শেষে কি দাড়িয়ে থাকে সেটা দেখার অপেক্ষায়।

    এবং এটা সোয়াবের আশায় করবো।

    এর প্রথম ধাপ : যারা এই দ্বন্ধগুলোর মাঝে আছে তাদের আনসাবসক্রাইব করা। অনেক করেছি। বাকি যা আছে সেগুলোও করতে হবে।

    "কিন্তু তাদের ভালো কথা...."

    ভালো কথা শুনতে হলে এমন লোকের কথা শুনতে হবে যে অন্যদের আক্রমন করে না।

    30-Dec-2019 18:31:11

    আনাস বিন মালিক রা: বলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন :

    হে ছেলে। তুমি যদি এমন ভাবে সকাল আর সন্ধা পার করতে পারো যে কাউকে প্রতারিত করার ইচ্ছা তোমার অন্তরে নেই তবে তাই করো।

    এর পর বললেন,

    হে ছেলে। এটা আমার সুন্নাহ। আর যে আমার সুন্নাহকে জিবিত করলো সে আমাকে ভালো বাসলো। যে আমাকে ভালোবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।

    "‏ يَا بُنَىَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تُصْبِحَ وَتُمْسِيَ لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لأَحَدٍ فَافْعَلْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِي ‏"‏ يَا بُنَىَّ وَذَلِكَ مِنْ سُنَّتِي وَمَنْ أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي ‏.‏ وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ ‏"‏

    ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

    আবু ইসা বলেছেন এই বর্ননায় হাদিসটা হাসান গরিব।

    তিরমিজি।
    https://sunnah.com/tirmidhi/41/34

    যারা সুন্নাহ নিয়ে তর্কে ব্যস্ত। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মহব্বত নিয়ে সংঘর্ষে আছেন তাদের জন্য একটা হাদিস যেখানে রসুলুল্লাহ ﷺ নিজে বলেছেন "এই কাজটা আমার সুন্নাহ"। সরাসরি এই কথা রাসুলুল্লাহ ﷺ খুব কম বলেছেন। বস্তুতঃ আমার চোখে শুধু এই হাদিসটাই পড়েছে। তাই সুন্নাহ কি সেটা বুঝার জন্য বার বার এই হদিসটার কথাই আমার মনে হয়।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জান্নাতে উনার সংগে যেন রাখেন।

    Published
    11-Nov-2020