Archive 1604995316

তর্ক : #archive 2018 Mar-Sep

12-Mar-2018 08:14:24

"খোদার কসম জাকির নায়েকের মত শয়তানও ছাড় পাবে না..."


উলামা ওয়াজির বা বয়ানকারিদের আমি দেখেছি "খোদার কসম" ব্যবহার করেন অনিশ্চিৎ কিছু বর্ননা করার ক্ষেত্রে।

"খোদার কসম হাশরের ময়দান কায়েম হবে..." কেউ বলেন না। এটা সবাই জানে।

কিন্তু "খোদার কসম এই ঘটনার প্রতিবাদ না করলে হাশরে আমরা কেউ ছাড় পাবো না..." এটা কমন উক্তি। যদিও এর ইলম তার নিশ্চিৎ জানা নেই।


আরবদের মাঝে প্রতি কথায় "ওয়াল্লাহ" বলা প্রচলিত। এক সময় ভাবতাম এটা কি ঠিক? পরে জেনেছি "লা ইউয়াখিজুকুমুল্লাহ বিল লাগউই ফি আইমানিকুম..." সুরা বাকারার আয়াত, তোমাদের নির্থক কছমের জন্য তোমাদের ধরা হবে না। কিন্তু ধরা হবে তোমাদের অন্তর যে কসম করেছে তার উপর।

এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে তারা এরকম বলে।


কসম খাওয়ার সমস্যাটা শুধু দুই এক জনের মাঝে না, বরং মুসলিমদের সব দলের মাঝে দেখেছি যারা খুবই এনার্জি দিয়ে মটিভেশনাল স্পিচ দেন।

তর্কের সময় রেগে গেলে এটা আরো এক্সট্রিমে উঠে যায় "স্বয়ং নবিও যদি..."।

এগুলো থেকে বাচার উপায় হলো কোনো তর্কেই জান প্রান দিয়ে জিতার চেষ্টা নিজে না করা।

নাস্তিকদের সাথে প্রচন্ড আক্রমানাত্মক তর্ক করতে করতে, কিছু বছর পরে নিজে নাস্তিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাও একাধিক আছে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।

12-Mar-2018 21:47:31

তাসাউফের লাইনে অনেক কিছু পোষ্ট করতে ইচ্ছে করে, কিন্তু এর পরই চিন্তে করি সমস্যাগুলো।

১। এমন অনেক ফলোয়ার জুটে যাবে যাদের সাথে আমার এগ্রিমেন্টের থেকে ডিসএগ্রিমেন্ট বেশি।

২। এরা যখন পরে আবিষ্কার করবে আমি তাদের দলে না, তখন তারা আমার এত বড় শত্রু হয়ে যাবে যেটা বন্ধু না হলে হতো না।

৩। প্রতিটা কথার কিছু মার্জিন-লিমিট-সিমা-শর্ত আছে। এর সবকিছু প্রতিটা পোষ্টে ব্যখ্যা করতে গেলে, বইয়ের মত লম্বা হয়ে যায়। তাই করি না।

কিন্তু না দিলে কেউ না কেউ এগুলো নিয়ে তর্ক জুড়াবে,
"ঐ ক্ষেত্রে তাহলে আপনি কি বলবেন?..."
আমি কিছু জবাব দিলে,
"তাহলে আপনি যে বললেন সেই। আপনার কথা তাহলে ঠিক না ...."

৪। ৪০% পসিবিলিটি আছে আমি যদি এই লাইনে পোষ্ট দিতে থাকি তবে এটা একটা মুভমেন্টের মত হয়ে যাবে, আমি চাই বা না চাই। এর পর ইন্টারেস্টেডরা যেই পথ পরিভ্রমন করবে সেটা কি অভারঅল ভালো হবে নাকি মন্দ?

৫। এই লাইনের মন্দগুলোরও রেসপন্সিবিলিটি নিতে হবে। "আপনি না এই লাইনে ছিলেন?" আমি মন্দটার সাথে থাকি বা না থাকি।

৬। এর পর ফলোয়ারদের ৫০% সালাফি ঘরানার। এর সাথে তাসাউফ মিল খায় না। সাপে-নেউলে সম্পর্ক। চলবে তাদের পক্ষ থেকে মুখোশ উন্মোচনের পালা আর আমার পক্ষ থেকে ব্লক। দিনের শেষে কি বাকি থাকবে সেটা প্রশ্ন।

৭। আর তাসাউফের বিষয়গুলো করতে হয় গোপনে। আমার মত শো-অফ মার্কা পাবলিক এই লাইনে কতটুকু কি করতে পারবে সেটাও প্রশ্ন।

Wondering.

13-Mar-2018 21:12:19

ফেসবুকে যাদের ফলো করি তাদের ৯০% এখন তর্কা তর্কিতে ব্যস্ত।

এখন চলছে,

চরমোনাই-জমিয়ত : জমিয়ত কওমি মাদ্রাসার ওলামাদের রাজনৈতিক সংগঠন। উনাদের সম্পর্কে আমার তেমন কিছু জানা নেই যদিও

চরমোনাই-আহলে হাদিস : পুরানো যুদ্ধ।

জিহাদিষ্ট-কওমি উলামা : যদিও এতদিন জিহাদিষ্টদের দাবি ছিলো কওমি উলামারা সবাই তাদের পক্ষে।

আর তবলিগের তিন পক্ষ : মুশফিক স্যারের পক্ষকে ধরে।

জিহাদিষ্ট-মডারেট : মাঝে মাঝে আমি চিন্তায় পড়ে যাই মডারেট যুদ্ধে ক্যটালিষ্ট আমি নিজে ছিলাম কিনা। Note to self, don't overestimate yourself.

এর থেকে বরং প্রচলিত রাজনীতির ফ্রন্ট বেশ ঠান্ডা। পরিনিত। এক তরফা বিএনপি। বিরোধিদের সাথে নাস্তিকতার ট্যগ লেগে যাবার পর এখন তাদের আর নেটে দেখা যায় না। আমাদের লতিফ সিদ্দিকিও নাকি নিয়মিত নামাজ ধরেছেন।

14-Mar-2018 13:12:06

সমালোচনা:


চাইলে যে কোনো কিছুকে কোরআন হাদিসে আছে বা নেই প্রমান করতে পারেন।

ডঃ খন্দকার জাহাঙ্গির এর একটা নিয়ম বলছিলেন "ওয়ালা তাকরাবু আল ফাওয়াহিশ..." "তোমরা ফাহেশার কাছে যেও না..." আপনি বলবেন এই কাজটা ফাহেশা। কোরআন থেকে দলিল হয়ে গেলো। স্যারের কথা। এরকম করা উচিৎ না সেন্সে বুঝিয়েছেন।

অথবা পক্ষে "ফাসআলু আহলাদ জিকরি ইন কুনতুম লা.." না জানলে আহলে জিকিরদের জিজ্ঞাসা করো। এটা থেকেও বহু লোককে বহু কিছু প্রামান করতে দেখেছি।


ব্যসিক্যলি যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে "এটা কি কোরআন হাদিসে আছে?" তখন একে আমি ডুয়েল হিসাবে দেখি -- সে যতটুকু কোরআন হাদিস থেকে বেশি বেশি ভিন্ন ভিন্ন অর্থ তৈরি করতে রাজি আছে বনাম আমি কতটুকু রাজি আছি এর মাঝে।

এই ডুয়েলে আমি সাধারনতঃ পরাজয় মেনে নেই। এগুলো নিয়ে juggle খেলে বিজয়ে আমার লাভ নেই।


কিন্তু যদি সরা সরি কোরআন হাদিসে থাকে?

তবুও সমস্যা আছে দেখেন নামাজের কত রকম নিয়ম আছে এর পরও তর্ক।

বলবে, "আপনি কি ফিকহুল হাদিস পড়েছেন? না পড়েন নি। জেনে এর পর তর্ক করতে আসবেন।"
রিমাইন্ডার, প্রশ্নটা ছিলো "এগুলো কি কোরআন হাদিসে আছে?"


"তবে কি কোরআন হাদিস থেকে কিছু নেবো না?"

নেবো। সরাসরি যদি নিতে হয় তবে নিজে যা বুঝি ততটুকু নেবো।
ইন এনি কেইস, এগুলো নিয়ে তর্ক করবো না।


"আচ্ছা। তাসাউফের ব্যপারগুলো কি কোরআন হাদিসে আছে?"
১ নং পয়েন্ট দ্রষ্টব্য। চাইলে প্রামান করা যায় আছে। চাইলে প্রমান করা যায় নেই।

বেশি তর্ক করলে আমার ঐ রকম হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে যাদের ব্যপারে বলা আছে, তারা কোরআন তিলওয়াত করবে কিন্তু মুখ থেকে সেটা অন্তর পর্যন্ত নামবে না।

16-Mar-2018 00:59:04

সারকাজম-ডাবলস্পিক দিয়ে অস্পষ্ট করে লিখতাম বলে তর্ক জমতো না। যার বুঝার বুঝতো। যারা বুঝতো না তারা তর্ক করার জন্য এগুতো না।

গত কয়েকদিন ধরে ডাইরেক্ট কথা বলা আরম্ভ করেছি। তর্ক আবার জমে উঠছে। এখন এটাকে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য আমাকে আবার ব্লকে যেতে হবে।

যদি বলেন "ভাই, ছেড়ে দিলেই তো হয়। ইগনোর করেন।"

তাবে ফারায়েজি ভাইয়ের আগের পোষ্টগুলো দেখেছেন? সব ছবি দিয়ে দিয়ে গালা গালি চলতো? সে অবস্থার দিকে যেতে থাকবে আস্তে আস্তে, যদি প্রথমেই না আটকাই।

এখন আবার চরমোনাই নিয়ে যেহেতু আলোচনা করছি তাই বিপদ আরো বেশি। তাদের তরফ থেকে আক্রমন হয় আরো মারাত্মক।

সব পক্ষকে খুশি করার উপায় নেই। কেউ না কেউ রাগ করবে। এবং এদের মাঝে কেউ অনেক দিন চুপ থাকলেও কোনো না কোনো এক দিন কারো জমাট রাগ বিষ্ফোরিত হবে।

সে জন্য ব্লক করতে হয় ভাই। তাতে দুই পক্ষই শান্তিতে থাকে। এখানে পার্সোনাল কিছু নেই। আমার সাইড থেকে ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। ক্ষোভ নেই।

21-Mar-2018 23:30:13

পরের সমালোচনা বেশি হয়ে যাচ্ছে।
এখন নিজের সমালোচনা বেশি করতে হবে।
Feeling Like : শুধু তাসাউফের উপর পোষ্ট দিতে হবে।


অধিকাংশ বিতর্কিত বিষয়ে আপনি চাইলে দুই পক্ষেই যুক্তি দেখাতে পারবেন। শেষে জিনিসটা অনেকটাই চলে আসে gut feeling এর উপর। বা anchoring bias.


অতিরিক্ত তর্ক নিজের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে তর্ক যদি হয় offensive টাইপের। দ্বিনের জন্যও ক্ষতিকর, দুনিয়ার জন্যও। "তারা যা ঠিক মনে করে সেটা তারা করুক" বলে ছেড়ে দিতে হয়।


তবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখতে হয়।
এর পর কেউ যদি তর্কে নামে?
আমি জবাব না দিয়ে চুপ থাকতে পারবো না?

23-Mar-2018 00:49:00

যে কোনো রিফিউটেশনে আমি দেখি যে বিরোধিতা করছে সে কোর পয়েন্টটা নিয়ে আলোচনা করছে কিনা।

যদি করে তবে আলোচনা হবে সংক্ষিপ্ত। অন টু দা পয়েন্ট। দু সাইডই প্রতিপক্ষের মত বুঝতে পারবে। এর পর গ্রহন করলে করলো নয়তো আলোচনা শেষ।

যদি কোর পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা না করে তবে সে লাইন বাই লাইন রিফিউটেশনে লেগে যাবে। রিফিউটেশন হবে লম্বা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা।

লাইন বাই লাইন রিফিউটেশন বুঝায় নিচের যে কোনো একটা :

১। হয়, কোর পযেন্টটা [মূল বিষয়] বুঝার মত বিচক্ষনতা বিরোধিপক্ষের নেই। এটা কোনো দোষ না, সবাই মুসলিম, এবং সব মুসলিমকে বিচক্ষন হতে হবে এমন শর্ত নেই। কিন্ত যার এই বিচক্ষনতা আছে তার জন্য এই লাইন বাই লাইন রিফিউটেশন পড়ে কোনো লাভ নেই।

২। অথবা, মুল বিষয়টা সে ঠিকই বুঝে। কিন্তু সে চটুল। জানে লাইন বাই লাইন রিফিউটেশন লিখলে মানুষ ধারনা করে ঐ পক্ষের কথা একেবারে মিথ্যা। তর্কটা তার ফেবারে থাকে।

৩। অথবা, এটা তার অভ্যাস। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা।

25-Mar-2018 03:09:31


ইলমের একটা বেসিক লেভেল পর্যন্ত যা শিখবেন সেগুলো নিজের আমলের জন্য কাজে লাগবে।

অতটুকু হয়ে গেলে এর পর যা শিখবেন সেগুলো তর্কের জন্য।


অধিকাংশ তর্কে "কোনটা ঠিক" সেটা প্রথম কিছু দিনের পরে আর ফেকটর থাকে না।

বিপরিত মত "কত বড় ভুল" সেটা প্রতিষ্ঠা করা হয়ে যায় মূল ফ্যক্টর।


সত্যিকারে বড় ভুলগুলোর ব্যপারে উম্মাহর মাঝে ঐক্যমত আছে।

সেগুলো নিয়ে তর্ক হয় না। যেগুলো নিয়ে তর্ক হয় সেগুলোতে কম হোক বা বেশি হোক দুই পক্ষেরই কিছু যৌক্তিকতা আছে।

এগ্রাসিভলি তর্কে নামে গেলে বিপরতি পক্ষের যৌক্তিক অংশকেও অস্বিকার করে বসবেন।

07-May-2018 06:01:12


যে দলের বিপক্ষে আমি থাকি, সে দলের পক্ষের যুক্তিগুলো পোষ্ট করি। কারন এখানে আমার শেখার আছে। ব্যলেন্সের সুযোগ আছে।

পক্ষের পোষ্ট দেখে কেউ ভুল বুঝতে পারে আমি হয়তো কোনো আইডোলজি প্রমোট করছি ফেসবুকের আরো লাখো আইডি যেমন করে। তাই বিরোধিপক্ষ এসে তর্ক জুড়ে দেয়। এদেরকে আমি ব্লক করে দেই।


যুক্তির যে পক্ষকে ঠিক জানি তার বিপরিত কোনো পয়েন্ট অফ ভিউ পেলে সেটা শেয়ার করি। কারন "এভাবে তো ভেবে দেকি নি" সারপ্রাইজ এখানে আছে।

এখানেও অন্যদের ভুল বুঝার সুযোগ আছে।


যেটা সাধারনতঃ করি না তা হলো যেটাকে ঠিক জানি সেটাকেই প্রমোট করে তার পক্ষে যুক্তি দেখানো আর বিপক্ষের "মুখোশ উন্মোচন" করা। যদিও ফেসবুকের norm এটাই।

অধিকাংশ সময়ে।

11-May-2018 23:11:20

যা বুঝলাম,

কারো সাথে মুসাহাফা করার আগে অন্য জনের মাজহাব-মানহাজ আগে আমাকে জেনে নিয়ে দুই হাত বা এক হাতে মুসাহাফা করতে হবে। নয়তো কোনটা ঠিক সেটার উপর সে আমাকে বিশাল লেকচার শুনানো আরম্ভ করতে পারে। আমাকে ১৫ মিনিট মাথা নাড়িয়ে হুম-হাম করে যেতে হবে তর্ক এড়ানোর জন্য।

দ্বিতীয়তঃ সবুজ টুপি? নাকি কালো টুপি? নাকি সাদা টুপি? নাকি পাচ কল্লি টুপি?

টুপি ছাড়া হয় না?

17-May-2018 14:15:11

ফেসবুকে যে কোনো প্রসংগে কিছু লিখলেই কেউ না কেউ প্রতিবাদ আক্রমন করবে।

এগুলো পড়লে বা শুনলে বা অনুসরন করলে বা এর দ্বারা প্রভাবিত হলে আপনি পথভ্রষ্ট হবেন। Be yourself. যেটা ঠিক বলে বিশ্বাস করেন সেটাতে স্থির থাকেন। তর্ক করার দরকার নেই। আপনার বিশ্বাস আমার বিশ্বাসের সাথে মিলতে হবে এমন শর্ত নেই। আপনি আপনার বিশ্বাসে স্থির থাকবেন, আমি আমার বিশ্বাসে।

এর পর কেউ খোচা মারা কথা বললে, বা আপনাকে push করতে থাকলে তার সাথে তর্ক না করে ব্লক করে দিন।

Your life will be so much easier.

18-May-2018 19:30:29

ভাইয়েরা, এই রমজান মাসে তর্ক করার আগ্রহ নেই। তাই যারা argue করতে চাচ্ছেন তাদের নিয়ে কি করা যায় কোনো বুদ্ধি দিলে উপকৃত হবো।

ব্লক করলে : আমাকে বলা হবে অহংকারি।
ডিলিট করলে : উনারা আবার কমেন্ট করবেন।
কিছু না করলে : আক্রমন বেড়ে মুখোশ উন্মোচন থেকে বেড়ে শেষে "এডমিনকে" গালাগালি।

Wondering what to do.

08-Jun-2018 14:53:07


সব সাইডে একটা ব্যলেন্স করে চলতে পারলে আমি দেখেছি সবচেয়ে শান্তিতে চলতে পারি। একটা দলের দিকে বেশি ঝুকে পড়লে সমস্যা। কারন দল কোনোটাই খুব বেশি দিন থাকে না।


আশারি-আথারি তর্কে এক পক্ষের কথা বেশি শুনে ফেলেছি। এখন কোনো এক দিকে "সাবসক্রাইবড" না হয়ে যাবার জন্য অন্য দিকের কিছু তথ্য স্বরনে আনতে ইচ্ছে করছে। Just to balance myself.


শুধু fact দেবো ইনশাল্লাহ। পর্যালোচনা ছাড়া।

09-Jun-2018 15:40:16

মানসিক শান্তির জন্য ব্লকের বিকল্প নেই।

তাকে বুঝিয়ে লাভ কি? পথে আনতে? কিন্তু সে তো পথেই আছে!

সমস্যা সে আমাকে বিপথগামি মনে করছে। কিন্তু তার তাথে তর্ক করে নিজেকে প্রমান করার দরকার নেই। সমাধান ব্লক। সমস্যা শেষ।

"ব্লক করতে পারেন, কিন্তু এই আকিদার উপর থাকলে আখিরাতে বুঝবেন..."

আখিরাতে আমি আরো বেশি সোয়াব পাবার নিয়তেই ব্লক করছি।

22-Sep-2018 03:04:51

প্রতিটা তর্কের উদ্দ্যেশ্যে হয় হককে প্রতিষ্ঠিত করা।
কিন্তু তর্ক করাকে প্রচন্ড ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
তবে হক প্রতিষ্ঠিত হবে কি করে?


বস্তুতঃ না-হককে প্রমান করার জন্য যদি আমাকে তর্কই করতে হয় তবে ঐ না-হকটা এত বেশি খারাপ না, যতটা আমি মনে করছি। সত্যিকারে না-হক প্রমান করার জন্য তর্ক লাগে না।

সমস্যাটা আমার মাঝে। তার মাঝে না।


সুরা বাকার পড়ছিলাম। খৃষ্টানরা বিপথগামি হলো কেন? আল্লাহ তায়ালা বলছেন স্পষ্ট কিতাব আসার পরে তারা নিজেদের মাঝে তর্কে লিপ্ত হয়েছিলো তাই।

হাদিস : রাসুলুল্লাহ ﷺ তর্ক করতে দেখে নিষেধ করলেন, রাগ করলেন বললেন তোমাদের আগের উম্মাহ ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিলো এই কারনে।

কোরআনের আর হাদিসে একই কথা রিপিট করা হলো।


"তর্ক না করলে বাতেল জিতে যাবে না? যারা জানে না তারা মিথ্যাকে সত্য বলে মনে করবে না?"

তর্ক না করেও সত্যকে জানিয়ে দেয়া যায়। অল্প কথায়। তর্ক করার অর্থ হলো নিজের মতকে অপ্রয়োজনে push করতে থাকা।


"তার ভুল কথার মাঝে চুপ থাকবো?"

কোরআন নিয়ে তর্কে মু'মিন হেরে যায়। মুনাফিক জিতে যায়। হেরে মু'মিন থাকা ভালো। জিতে মুনাফিক হবার আশংকা থেকে।

24-Sep-2018 22:09:56

ইলম :


দ্বিনী ইলমের প্রথম হলো মাসলা মাসায়েল। এগুলো কোনো কিতাব ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে জেনে নিতে হবে। কাউকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নেবার বদলে।

দ্বিতীয় ধাপ হলো কোরআন শিক্ষা। অর্থ বুঝে অল্প অল্প করে মুখস্ত করে যেতে হবে সামনের দিকে।

তৃতীয় ধাপে হলো জীবনী। রাসুলুল্লাহ ﷺ এবং সাহাব কিরামদের কথা শিক্ষা কাজ এগুলো জানা।


এর পর হাই লেভেলের এডুকেশন। অধিকাংশ লাগে মানুষের সাথে তর্ক করার জন্য। বা অন্যকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য। এগুলোতে কোনো উপকার নেই। যদি দেখি তফসিরের বই ঘাটছি পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি বের করে ফেসবুকে প্রমান দেখানোর জন্য, তবে বুঝতে হবে আমি এই ক্লাসে পড়ে গিয়েছি। যদিও এটাকে সোয়াবের মনে করছি।


উপকারি ইলমের একটা বড় অংশ হলো দোয়া শিক্ষা করা। কারন অনেক দোয়া আছে যেগুলো স্বল্প পরিচিত বা অপ্রচলিত কিন্তু অনেক সোয়াবের। জীবনকে পাল্টে দেবার মত। বিপদে সাহায্য পাবার উসিলা।

দোয়ার কিছু এসেছে কোরআন থেকে মু'মিনদেরকে আল্লাহ তায়ালার শিখিয়ে দেয়া। বা আগের যুগের নবীদের দোয়া।

কিছু হাদিস থেকে। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দোয়া। বা উনার সাহাবাদের দোয়া।

কিছু এসেছে পরবর্তি যুগের মু'মিনদের থেকে যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথায় আল্লাহ কাছে সাহায্য চেয়ে এসেছেন। এবং পেয়েছেন।

সবগুলোতে মানুষের উপকার আছে। এমন কি আমি নিজে বানিয়ে যে দোয়া করি সেগুলোতেও।

Published
10-Nov-2020