বরং এগুলো রাসুলুল্লাহ ﷺ এর যুগে অবতির্ন হয়েছিলো। উনি দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কি ভাবে এর উপর আমল করতে হবে। উনার পরে সাহাবীগন এর আরো ব্যখ্যা করেছেন। এর পর ১০০ বছর পর থেকে ফকিহ গন পয়েন্ট টু পযেন্ট সব লিখে গিয়েছেন "এই হলে এই করবে"। আমরা সেগুলো অনুসরন করি।
এর পর আমাদের বাপ দাদারা ছোটবেলা আমাদের এগুলো শিখিয়েছেন ফরজ-ওয়াজিব-হারাম-হালাল হিসাবে। প্লাস মসজিদের খুতবা বা অন্যান্য সময়ে ইমামরা এই একই কথা পূনরাবৃত্তি করে স্বরন করিয়ে দিয়েছেন।
তাই "কোরআন শরিফে এই করার হুকুম আছে যেটা মানুষ জানে না বলে করছে না" -- এই ধরনের উক্তি যারা করে তাদের কথা গ্রহন করার আগে সতর্ক থাকতে হয়।
সন্দেহের জায়গায়,
প্রথমতঃ তফসির দেখেন। সে যে আয়াতের যে ব্যখ্যা করছে, সেটা কি মূলধারার তফসিরের কিতাবেও একই ব্যখ্যা লিখা আছে?
যদি সে বলে "এই তফসিরে কিতাবে লিখা নেই সেটা পড়বেন না, কিন্তু অমুকের তফসিরে লিখা আছে ওটা দেখেন" তবে সে তার পছন্দমত তফসিরের কিতাব বাছাই করছে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঐ তফসিরেরও শুধু একটা শব্দ বা লাইন নিয়ে তার উপর নিজের লম্বা ব্যখ্যা টেনে নিজের মত প্রমানের চেষ্টা করছেন।
দ্বিতীয়তঃ দেখেন, শরিয়ার কিতাবেও কি তাই লিখা আছে যে জিনিসগুলোর ব্যপারে সে বলছে এটাই আল্লাহর হুকুম, এভাবে করতে হবে? যদি তার উত্তর হয় "শরিয়ার কিতাব এই বিষয়গুলো এখন আমাদের সময়ে প্রযোজ্য না কারন ___ এই ____ ওই ___ সেই কারনে।" তবে সে পরিস্থিতি এখন ভিন্ন ধরে নিয়ে, নিজে নিজে চিন্তা করে ফিকাহ বাহির করছেন।
এ ফিকাহ তার জন্য প্রযোজ্য, কিন্তু আপামর জনসাধারন বা আমার উপর প্রযোজ্য না।
এটা ভালো।
১
কিন্তু তাদের পরে এখন নতুন যে জেনারেশন আসছে তারা কিন্তু কড়া করে তর্ক করতে পছন্দ করে। এই নতুন জেনারেশনের চোখে যারা এই ভাবে তর্ক করে না তারা "দ্বীন রক্ষার জন্য সোচ্চার না। গা বাচিয়ে চলে।"
২
জেনারেশন প্রতি পাচ বছর পর পর সাইকেল খেয়ে চলে। সাধারনতঃ ভার্সিটির ফার্সট ইয়ারে একজন তর্কের লেভেলে থাকে। পাশ করে যাবার পর চাকরি-ব্যবসায় ঢুকার পর, সেকেন্ড লেভেল, সন্ধি। বিয়ের পর থার্ড লেভেল, কমপ্রোমাইজ। এর পর ...
৩
এটাই নিয়ম যে ফার্সট ইয়ারে আমি আমার পূর্ববর্তিদের গালি দেবো। তাদের মুনাফেক মনে করবো। তাদের ব্যর্থতা, নিস্তব্দতার জন্য কাপুরুষ বলবো।
এবং এর ২০ বছর পর আমি ঐ অবস্থানে থাকবো যাদেরকে আমি ২০ বছর আগে গালি দিয়ে এসেছি।
এক্সপশেন কম।
৪
ইন্টারমিডিয়েটের পর এখন ৩০ বছর। পাচ বছরে এক জেনারেশন দেখলে, এরকম সাইকেল কয়বার দেখলাম?
Explains: তাদের এগুলো দেখে আমি রাগ করি না কেন। বরং হাসি।
১
এক সময়ে দেশে দ্বোয়ালিন আর জোয়ালিন পন্থিদের মাঝে রায়ট লাগতো। সেই জেনারেশনটা আমি দেখি নি, কিন্তু তার ফলআউট দেখেছি, শেষ অংশটা।
এখন হয়তো এটাকে বলা হবে এক্সট্রিম ইনটলারেন্স। হয়তো এর একটা ঠিক, কিন্তু এর উপর রায়ট লাগনোটা বেঠিক।
২
ছোট বেলায় আমি একটা মিক্সড সোসাইটিতে বড় হয়েছি। অন্য ধর্মিদের সাথে ফ্রেন্ডশিপের সময় বড়দের বলতে শুনতাম : ভাই মুসলিমই বলেন, হিন্দুই বলেন খৃষ্টানই বলেন, আমরা সবাই কিন্তু ঐ এক স্রষ্টাকে মানি। ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। অন্য পক্ষ জবাব দিতো হ্যা, ঠিক বলেছেন।
এটা হয়তো এক্সট্রিম টলারেন্স। যেটা বেঠিক।
৩
আচ্ছা, দুই এক্সট্রিমের মাঝে ব্যলেন্সটা কোথায়? কোন জায়গায় দাগ টানবো যে এটা আমরা টলারেট করবো এর বাইরে না?
উত্তর : "দ্বীন যখন বিকৃত হয়..."
যোয়ালিন পড়াটাকে দ্বিনের বিকৃতি হিসাবে প্রেজেন্ট করা যায়।
"বিন্দু মাত্র বিকৃতি আমরা সহ্য করবো না..."
চরমোনাই আর আহলে হাদিসের মাঝে রায়ট চলতে থাকবে।
যতক্ষন না বাংলার বুকে শুধু একটা দল থাকে।
"আহলে সুন্নাহর বাইরে গেলে..."
কাদের আহলে সুন্নাহর ডেফিনিশ আপনি গ্রহন করেন?
বেরলভিদের মতে তারা "সুন্নি জামাত।"
আর সালাফিদের মতে দেওবন্দিরা আহলে সুন্নাহর বাইরে। islamqa ফতোয়া আছে।
"অন্য ব্যপারে ছাড় দেয়া যায়, কিন্তু আকিদার ব্যপার হলে..."
আমরা আশারি বনাম আথারি তর্কের দিকে যাচ্ছি।
"ভাই এত কিছু বুঝি না, কোরআনে যা আছে আমরা যদি শুধু এতটুকু....."
আপনি কি মনে করেছেন আশারি বনাম আথারি তর্কে শুধু এক পক্ষের সমর্থনে আয়াত কোরআন শরিফে আছে?
৪
এখন সত্য হলো দ্বিনের বিকৃতির মাঝে চুপ থাকাটা বেঠিক। বিকৃতি বাড়বে।
আবার সোচ্চার হয়ে বহু জনকে ফিতনায় পড়ে যেতে দেখেছি। যখন তর্কের পয়েন্টটা এত গুরুত্বপূর্ন হয়ে যায় যে সেটা না মানলে বিরোধি পক্ষকে মুসলিমই কাউন্ট করা হয় না। তার নামাজ রোজা কিছুর কোনো দাম নেই। সে কাফের তাই মুসলিমদের সম্মান, রক্ত, নিরাপত্তার হুকুম গুলো তার উপর বর্তায় না।
সময় বলে দেয় কোনটা ঠিক। কিন্তু আমরা তো ভবিষ্যতে বাস করছি না, করছি বর্তমানে। ভবিষ্যতে জানলেও আমি বর্তমানে ফিরে এসে আমার কাজগুলোকে ঠিক করতে পারবো না।
৫
এখানে সমাধান দেয়া হয় নি। শুধু সমস্যাটা হাইলাইট করা হয়েছে।
ফিতনার সময় ইবাদত করা, হিজরত করে আমার কাছে আসার সমতুল্য।
الْعِبَادَةُ فِي الْهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إِلَىَّ
(সহীহ মুসলিম)
ইবাদতের সংগা, আমার অনুবাদ, ফিতনার সংগা বা আমার উপস্থাপনা বা উদ্দ্যেশ্য নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে। এটা understandable.
কিন্তু সেই তর্ক নিচের কমেন্টে না জমালে খুশি হবো। কারন তর্কে তর্ক বাড়বে।
ব্যখ্যাতেও তর্ক বাড়বে।
এজন্য আমাকে অধিকাংশ কমেন্ট মুছে দিতে হয়। শুধু দুটো কমেন্ট রেখে।
কিন্তু পার্থক্য কি ছিলো, সেটা আমি আজো জানি না।
২
তবে তারা জানতো। তাদের রেগুলার "হালাকা" বসতো। বর্তমানের PDF এর বদলে তাদের ছিলো রাশিয়া থেকে ছাপানো বাংলা বই। "অ আ ক খ পুজিবাদ কি?" আমাদের ভাইয়েরা এখন যেমন পড়ে "গনতন্ত্র কি?"
৩
তাদের স্বপ্ন ছিলো বিপ্লব। এই সব আন্দোলন করে সমাজে পরিবর্তন আসে না। সব ভেঙ্গে নতুন করে গড়তে হবে। "সামন্তবাদী বর্জুয়া" ছিলো তাদের ভিলেন। এখন যেটা রিপ্লেস করেছে তাগুত্ব দিয়ে।
৪
আমার কাছে এই দু দলের ইমোশন একই লাগে। তাদের নিজেদের পাম্পড আপ রাখার প্রচেষ্টা। সমাজ বিরোধি ঘৃনা। সে রকম টার্মোলজি। সেগুলো দিয়ে নবিনদের এক্সইটেড রাখা।
৫
ছেলেরা এইসব দলে ঢুকে নিজেদের একটা আলাদা আইডেন্টিটি খুজে পেতো।
একটা পারপাজ, যার জন্য জীবন দিতে হয়।
এখন কনভেনশনাল পলিটিক্সে ঢু মারলাম। বিএনপি-আওয়ামি। পড়ে বুঝা যায় ৯০%-এর বয়স ৩০ এর উপর। কমেন্টে তর্ক চললেও, মার্জিত।
অশ্লিল গালি গালাজ, "জুতা মার" "মুইততা দে" এই ধরনের কমেন্ট মেইনস্ট্রিম পলিটিক্স নিয়ে যারা বলছেন তাদের পোষ্টে চোখে পড়ে নাই। ইসলামি কোনো বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়ে দেখেন, কিছুদিনের মাঝে এধরনের পাবলিক জুটে যাবে। এবং এরা পিছ ছাড়বে না। ব্লক করলে ফেইক আইডি তৈরি করে আবার আপনার পিছে।
Pondering.
এখন তাদের থেকে দূরে সরে এসে বাইরে বেরিয়ে দেখি এই বিশাল দুনিয়ায় এই আদর্শের বাইরে আরো কত মানুষ আছে। "সবাই কাফের" পন্থিদেরই এখন বরং মনে হচ্ছে সংখ্যায় লঘু।
২
ফিতনার সময়। প্রত্যেকে ইসলামের খুটিনাটি বিষয় দ্বন্ধে তর্কে ব্যস্ত। এক দিকে যুদ্ধ কমবে তো অন্য দিকে বাড়বে। এখন বেষ্ট হলো সবাইকে তার পথ ছেড়ে দেয়া। তাদের রাস্তা থেকে কয়েক ধাপ সাইডে সরে দাড়ানো। যেন সে তার পথে চলতে পারে। আমাকে বাধা না মনে করে।
৩
আপনার যদি টুপি দাড়ি থাকে তবে অন্য একজন ইসলামিষ্টের সাথে বসলে প্রথমেই সে আপনার দল-মত-আকিদা-মানহাজ বুঝার চেষ্টা করবে। যদি আপনি চেপে যান, মিডল গ্রাউন্ড নেন, বা নিউট্রাল ভাব দেখান তবে সে মনে করবে আপনি ছুপা, এজেন্ট অথবা নিদেন পক্ষে কাপুরুষ। কোনো একটা অসৎ উদ্যেশ্য নিয়ে ঘুরছেন।
আপনি কোনো দলের কাছে গ্রহনযোগ্য হবেন না। যদি না এক্সপ্লিসিটলি তাদের আইডলজির সাথে ১০০% ঐক্যের ঘোষনা দেন। সেটা না করলে তারা আপনাকে শত্রু পক্ষ মনে করবে। আপনার মুখোশ উন্মোচনের জন্য সর্বক্ষন আপনার দোষ খুজতে থাকবে। একটা সার্বক্ষনিক অবিশ্বাস।
৪
কিন্তু আপনি নিজে "আধুনিক ড্রেস" পড়ে একজন ইসলামি এক্টিভিস্টটের সামনে বসে যদি সুধি স্টাইলে বলেন:
: আচ্ছা আপনাদের ইসলামে কি বলে যে ....
: আমাদের ইসলাম মানে? ইসলাম আপনার না?
: হ্যা হ্যা! দুজনেরই ইসলাম। মানে জানতে চাচ্ছিলাম, ইসলামে কি আছে, যে ছেলেরা চারটা ...?
দেখবেন কি করে সে আপনাকে জড়িয়ে ধরে।
আপনার অজ্ঞতার জন্য। সে আপনার কাছে নিরাপদ বোধ করবে।
৫
"কিন্তু দ্বিনদ্বার হতে হবে না?"
হবে। গোপনে। আল্লাহর কাছে।
"আর দাওয়াহ?"
বেসিক ইসলামি কাজের জন্য। ডিপ লেভেলে না।
ইসলামিষ্টদের মাঝে দাওয়াহর দরকার নেই। তাদের মাঝে বেসিকগুলো আছে।
কিন্তু যখন তারা কুফর ফতোয়া নিয়ে আসে
তখন বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই।
আমি দেখছি তাদের পথ আগুনের দিকে,
এর পরও এত উল্লাস, এত হাক! সন্দেহে পড়ে যাই।
#পথহারা
এর পর বুঝি এসব পড়ে পাবলিক আরো কনফিউজড হবে। যদি ইতিমধ্যে যথেষ্ট কনফিউজড না হয়ে থাকে।
২
কোনআন শরিফের আয়াত নিয়ে তর্কের খারাপ দিক হলো তর্ক-ব্যখ্যায় ডুবে গেলে ঐ আয়াতের রুহানিয়াত চলে যায়। "মূত্যুর সময় আল্লাহ আশে পাশের লোক থেকেও ঐ মৃতপ্রায় লোকের বেশি কাছে থাকেন" -- শকিং। চিন্তার বিষয় ভয় পাওয়ার বিষয়।
কিন্তু তর্কটা "ইসতেওয়া", "আরশ", "খালেক-মাখলুক মিলে না" এই সব দিকে নিয়ে যান -- এর পর এই আয়াত পড়লে আপনার ফোকাস চলে যাবে ঐ তর্কের দিকে।
এই সব তর্ক না জেনে, এই আয়াত পড়লে অন্তরে যে প্রভাব পড়তো সেটা আর থাকবে না।
৩
এর অর্থ এই না যে "ঐটা অস্বিকার করছি", বা "এটা দাবি করছি"। কিন্তু বিশ্বাসের প্রতিটা বিন্দু ব্যখ্যা করতে পারা শর্ত না। শুধু অতটুকু সাক্ষ্য দেয়া যথেষ্ট যতটুকু সাক্ষের কথা রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন।
৪
ওমর রা: এর নিকট দুজন যদি প্রশ্ন নিয়ে আসতো "আমি কোরআনের এই ব্যখ্যা করছি, সে ঐ ব্যখ্যা -- সমাধান করে দেন" তবে উনি দুজনকেই বেত্রাঘাত করতেনে। কোনো ব্যখ্যা না করে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলে দিয়ে গিয়েছে এই ক্ষেত্রে তর্ক না করে বলো আমি কোরআনের সবকিছু বিশ্বাস করি, যে অর্থে আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন সেই অর্থে।
"মিনহু আয়াতুম মুহকামাতুন... ওয়া আখিরুম মুতাশাবিহাত..." সুরা আল-ইমরান এর ৭ নম্বর আয়াত। স্পষ্ট করে বলে দেয়া আছে কোরআনের সব কিছুর ব্যখ্যা সবার করতে পারা শর্ত না। ফিতনা বাজরা এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে।
৫
তাই অনেক কথা আছে যেগুলো আমার কানে না গেলেই আমি খুশি।
অনেক কথা আছে যেগুলো আমার অন্তর থেকে রুহানিয়াত তুলে নিয়ে যাবে।
যদিও আপনি বলছেন, এই সব না জানলে আমার "আকিদা সহি না।"
কোনোটা বেশি প্রচার পেলে ভয় -- অন্যরা বুঝবে তো?
রিএডিট করে তখন সারকাজমগুলো সরাতে হয়। :V
"এসব না করে, সরাসরি লিখা যায় না?"
যায়। তখন প্রতিটা লিখা বেশি বিতর্কিত হয়ে যাবে।
সাইলেন্ট রিডার আছে অনেক, যাদের জন্য লিখা।
তারা বুঝে। কমেন্ট করে না।
"ইয়ং যারা আপনাকে ফলো করে গাইডেন্সের জন্য?"
এদের ব্যপারে সত্যি অমি কনফিউজড কি করবো।
এটা বুঝতে হবে তারা ইমোশেনালি এখনো অনেক আনস্টেবল।
তাদের আইডলজি হটাৎ হটাৎ টার্ন নিবে,
ঘাটে ঘাটে ধাক্কা খাবে।
রাগবে, খুশি হবে, ভালো বলবে, গালি দেবে।
আস্তে আস্তে স্টেবেল হতে থাকবে, শিখে শিখে।
শুধু আমার ভালো কথায় কাজ হবে না।
কারন -- ভালো কথা তো সবাই বলে।
আমরা এইভাবেই শিখেছি। পোড় খেয়ে।
এই বয়সে তারা একটা আইডেন্টিটি খুজে।
একটা কাল্ট, একটা রিজন যেটা দিয়ে সে
অন্যদের উপর তার সুপেরিয়রিটি দেখতে পাবে।
যেটা দিয়ে সে বিশ্বাস করবে --
"বাকি সবাইকে ছাড়িয়ে আমি অনেক এগিয়ে যেতে পারবো।"
এর পর সে পোড় খায়। বিশ্বাস ভঙ্গতা দেখে, স্বার্থপরতা দেখে,
মুনাফেকি দেখে, স্বার্থহাসিল দেখে, কথার বৈপরিত্ব দেখে।
হয়তো নেতার এক কথার উপর সে জীবন দিয়ে দিচ্ছিলো,
পরের নেতা এসে বললো "ঐ কথাটা ঠিক না", তার বুঝা উচিৎ ছিলো।
একটা সময় আসে যখন সে কন্ট্রাডিকশনগুলো উপলব্ধি করতে পারে।
বাস্তব দুনিয়াতে ফিরে আসে।
কিন্তু এতে সময় লাগে।
এই ইন্টারমিডিয়েট পিরিয়ডে ইয়ংদের সব কথা টলারেট করে যেতে হয়।
ধর্য্য নিয়ে, সময় নিয়ে।
এর জন্য best man সম্ভবত আমি না।
আরো অনেকে আছেন এই কাজ করার জন্য।
Me feels.