১
বলা হয়েছে, "বিশ্বাসিদের মানুষ অবিশ্বাস করবে, অবিশ্বাসীদের বিশ্বাস করবে"
তাই নিজে দ্বিনের উপর চলার জন্য অন্য মুসলিমদের থেকে সোশিয়াল সাপোর্টের প্রয়োজনকে যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনা। আর নিজের বিশ্বাসের ভেলিডেশন অন্যের কাছে না খুজা।
সহজ করে বললে:
২
বলা হয়েছে, "ফিতনার সময় তুমি ঐ জিনিসটা আকড়িয়ে থাকো যার উপর তুমি ফিতনার আগে ছিলে।"
ফিতনা আরম্ভ হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। এর আগে আমি যার উপর ছিলাম সেটাকে আকড়ে ধরে থাকতে হবে।
প্রতিটা দলের, প্রতিটা ব্যক্তির, প্রতিটা মানহাজের নতুন নতুন ব্যখ্যা শুনার দরকার নেই। বা এর ভুলগুলো বের করে কোনটা ঠিক সেটা প্রামান করা আমার দরকার নেই।
৩
বলা হয়েছে, "ঐ সময়ের আমল ৫০ জন সাহাবীর আমলের সমান"
এই সময়টা আলোচনা-সমালোচনা-সাপোর্ট-বিরোধিতার তর্কের বদলে আমলে সালেহতে লেগে থাকা। কোরআন শরিফ শিখতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, জিকির দোয়াতে লেগে থাকতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য সহজ করুন।
এ ব্যপারে পড়ে নিজের কংক্লুশনে পৌছেছিলাম। কিন্তু সেটা লিখলাম না। মুফতি তাকি উথমানির সাথে অধিকাংশ ব্যপারে আমার মত মিলে।
এখন বর্তমানে তর্ক:
বাংলাদেশ দারুল কুফর নাকি দারুল আমান। দারুল কুফর/হরব হলে সুদ খাওয়া _____ এবং আরো অনেক কিছু। দারুল আমান হলে এগুলো করা যাবে না।
২
একটা কারন আছে কেন নতুন নতুন তর্ক আমাকে আর টানে না। এগুলো দেখে এসেছি। একবার দুই বার না, অনেক বার। দশ বছর অন্তর অন্তর প্রতিবার একই তর্ক নতুন করে, বিভিন্ন পোষাকে।
প্রতিটা নতুন জেনারেশন এসে মনে করছে "আমাদের আগের জেনারেশনের সবাই ভুল। আমরা inner zen আবিষ্কার করেছি! আমরাই সঠিক। প্লিজ শুনেন! আপনার দৃষ্টি ভঙ্গি বদলিয়ে যাবে।"
৩
এর পর দল আসে দল যায়।
And quiet flows the Don.
বুড়িগংগায় পানি বহে যায় আগের মত।
১
আথারি মতবাদ ঠিক নাকি আশারি? আখিরাতে এই প্রশ্নের সম্মুখিন হবার ভয় করি না।
তবে এ নিয়ে যদি আমি তর্কে লিপ্ত হই আর এমন কথা বলি যা আল্লাহ তায়ালা বলেন নি -- তবে সে ব্যপারে আমি আখিরাতে ভয় করি।
২
আকিদার বিষয়গুলোর মাঝে শুধু "কদরের" ব্যপারে ভয় করি। এর বিশ্বাস আমার ঠিক আছে কিনা। এ এমন যে এই ব্যপারে কারো কাছে মুখ খোলাও উপায় নেই, "দেখেন তো এই বিশ্বাস ঠিক আছে কিনা?" তাই শুধু আল্লাহর উপর ভরসা।
আকিদার বাকিগুলোর ব্যপারে সারা জীবন ধরে যা শুনে আসছি তাই। নতুন কথায় আশংকা বেশি।
৩
ধরা খেলে আমি আমলের ব্যপারে ধরা খাবার আশংকা করছি।
আর আকিদার ব্যপারে বাড়া বাড়ি করে থাকলে সেটা।
এটা ভুল ধারনা। তর্ক করতে চায় এমন হয়তো হাজার হাজার আইডি আছে ফেসবুকে। কিন্তু তর্ক করতে হয় এক জন এক জন করে। আর সবাই চায় তার সাথে করি।
এই হাজার হাজার লোকের সাথে তর্ক করার মত সময় আমার নেই।
তবে প্রতি মাসে দু-চার জন যাদের সাথে তর্ক করেছি এর আগ পর্যন্ত, এর পর দেখেছি তারা সবাই তাদের স্টেটাস মুছে দিয়েছে। এর মাঝে x,y,z-বাবাজিও আছেন।
এটা বুঝায় তর্কে সময় দেয়া অর্থহীন।
যেমন,
: আপনি বললেন সবার ভালো থেকে নেন। তো শিয়াদের থেকেও নিবেন?
: সবাই বলতে সুন্নিদের বুঝিয়েছি।
: তো? সালাফিরা বলে দেওবন্দিরা আহলে সুন্নাহর বাইরে। দেওবন্দিদের অনেকে বলে সালাফিরা আহলে সুন্নাহ না। কাকে সুন্নি ধরবেন?
: মানে যে নিজেকে সুন্নি দাবি করে, আরকি।
: কাদিয়ানিরাও নিজেদের সুন্নি দাবি করে। তাদের থেকেও শিক্ষা নেন?
এভাবে তর্ক দুই ঘন্টা পর্যন্ত চালানো যাবে।
চার লাইনের একটা স্টেটাসের সব রেঞ্জ আর লিমিট যদি ডিফাইন আর এক্সপ্লেন করতে থাকি তবে এর সাথে আরো ২০০ লাইন দিতে হবে টিকা আর ব্যখ্যা।
তবে যারা বুঝার তারা রেঞ্জ আর লিমিট বুঝে কি বলছি বুঝে নেয়।
যে কারনে তর্কে জড়াই না। কমেন্টের প্রশ্নের জবাব দেই না। এবং অধিকাংশ কমেন্ট মুছে দেই। "জানতে চাই" "জানার জন্য জিজ্ঞাসা করেছি" টাইপের কমেন্ট হলেও।
১
: আপনার দলের সাথে কোনো আলেম আছে? নাকি আলেম নেই?
: নেই মানে? অনেক আছে। নাম আমি দিচ্ছি না সিকিউরিটির জন্য....
: মানলাম। আপনারা ক্ষমতায় গেলেও কি তারা আপনাদের সাথে থাকবে? নাকি চলে যাবে?
: চলে যাবে কেন? আছে সবসময়।
: তখন কি তাদের দরবারী বলা যাবে?
২
খতিব ওবায়দুল হকের চাকরি ছিলো সরকারি। সরকার গাড়িও দিয়েছিলো। কেউ উনাকে দরবারি বলেনি।
এই উপমহাদেশে এখন ফিকাহগত ব্যপার শেষ ফতোয়া আসে তাকি উথমানি সাহেব থেকে। একজন রিসেন্ট কওমি আলেমকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উনি বললেন মাদ্রাসায় তাকি সাহেবের ফতোয়ার বই পড়ায়। তাকি উথমানি আর উনার পিতা মুফতি শফি সাহেবের পরিচয় দেয়া হয় উনাদের সরকারি চাকরি দিয়ে।
"থামেন ভাই, কিছুক্ষন পরে আপনি মাসুদ সাহেবের পক্ষে সাফাই গাইবেন।"
৩
তবে কে দরবারী কে দরবারী না?
ডেফিনিশন কিতাবে আছে। আমিও জানি আপনিও জানেন।
তবে সেগুলো কিতাবে থাক। ট্যগটাকে অস্ত্র করি। বিরোধি মতকে ঘায়েল করার জন্য।
সব যখন বাতেল। তখন সেই শুন্য মাঠে আমার মতকে প্রতিষ্ঠা করা সহজ। বাজারে যেহেতু দোকান আমারটাই।
এই জিনিসগুলো মনে রেখে তর্ক করি না।
১
কোরআন নিয়ে তর্কে মু'মিন হেরে যায়। মুনাফিক জিতে যায়। হাদিসের কথা।
তাই হেরে গিয়ে আমি মু'মিন থাকতে চাই।
২
হযরত ওমর রা: এর কাছে দুজন যদি এইরকম প্রশ্ন নিয়ে আসতো, কোরআনে আমরা এই কথা পেয়েছি আবার ঐ কথাও পেয়েছি, মিলাবো কিভাবে? সমাধান করে দিন -- তবে উনি প্রশ্নকারি দুজনকেই চাবুক দিয়ে পিটাতেন।
তাই প্রশ্ন করে আমি চুবক পিটার যোগ্য হতে চাই না।
৩
রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার দেখেছিলেন দু জন কোরআন নিয়ে তর্ক করছে। উনি প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, তোমাদের আগের কওম এই কারনে ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিলো। বরং এই রকম তর্ক আসলে বলবে, আমরা আল্লাহর আয়াত সবগুলোতেই বিশ্বাস করি। যে অর্থে উনি নাজিল করেছেন সে অর্থে।
আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ কে রাগাতে চাই না।
//part-1
//হাদিসগুলো সৃতি থেকে লিখা। রেফারেন্স খুজে নিন।
কেউ কিছু বললো। জবাব দিতে হবে। রেফারেন্স খুজতে যাই। খুজার সময় মন হয়,
১
সেই হাদিস যেখানে : তর্কে জিতার জন্য যে ইলম অর্জন করে তাকে হুশিয়ার করা হয়েছে।
২
সেই হাদিস যেখানে : মজমায় প্রশংসা পাবার জন্য যে ইলম অর্জন করে তাকে হুশিয়ার করা হয়েছে। ফেসবুক আমাদের মজমা।
৩
সেই হাদিস যেখানে : যে চায় তার কাথাই সবাই শুনুক-মানুক তাকে হুশিয়ার করা হয়েছে।
এর পর হাত গুটিয়ে ফেলি।
যা জানা শুধু নিজের প্রয়োজনে জানা।
তর্কে জবাব দেবার জন্য না।
হাশরের মাঠে জিতলেই হলো।
বাকিগুলোতে পরাজয়ের কষ্ট এর পর আর মনে থাকবে না, ইনশাল্লাহ।
বিভিন্ন আইডিওলজি এখন প্রচলিত আছে। সব রিফিউট করতে নামলে আমিও "রিফিউটেশন বাবা" হয়ে যাবো। তাই কোট করে ছেড়ে দিচ্ছি।
১
"আনুষ্ঠানিক ইবাদতের মূল্য নেই"
কোরআনে 'আকিমুস সালাতের' কথা বলা আছে। সালাত বলতে প্রচলিত নামাজ বুঝায় না, বরং সমস্ত ভালো কাজ বুঝায়। তাই এই সমস্ত আনুষ্ঠানিক ইবাদতের কোনো মূল্য নেই।
২
"সুদের ব্যবসা এই দেশে জায়েজ"
যেহেতু এটা দারুল হরব। এবং দারুল হরবে সুদ খাওয়ার ব্যপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
এই আইডলোজির ফলোয়ারদের সংখ্যা এই দেশে বিশাল। চিন্তা করতে পারবেন না কত বড়। এরা কিন্তু মডারেট না, ইসলামিষ্ট।
৩
"এ দেশে ব্যংক ডাকাতি জায়েজ"
যেহেতু এই তাগুত সরকার আর এর অনুসারিরা কাফের। এবং চুক্তিবদ্ধ কাফের ছাড়া বাকিদের হত্যা করা এবং তাদের সম্পদ লুট করা জায়েজ।
নেটে যাদের সর্বোচ্চ তকওয়াধারী মনে করি তাদের একটা বড় অংশ এই আইডোলজি ফলো করে।
এগুলো তারা নরমালি বলে না। চেপে ধরে কথা বের করতে হয়। অধিকাংশ সময় তারা তাকিয়া ফলো করে।
প্রতিটা আইডলজির সাথে সংশ্লিষ্ঠ দলের নাম দিতে পারতাম। কিন্তু দিলাম না তর্ক এড়াতে।
Being serious, ফেইসবুকে সেইফ থাকার ভালো পদ্ধতি হলো এগ্রাসিভদের মার্সিলেসলি ব্লক করা। ৯০% ঝামেলা চলে যায়।
ভুল পদ্ধতি হলো তাদের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া।
ছাত্র কালে আমাদের তর্ক ঘুরতো কমুনিজম বনাম গনতন্ত্র নিয়ে।
ইসলামিষ্টরা ছিলো গনতন্ত্রের পক্ষে। ইসলাম বিদ্বেষিরা কমুনিষ্ট। কমুনিষ্টরা রাশিয়ার পক্ষে। গনতন্ত্রীরা আমেরিকার।
বিটিভিতে ছিলো কমুনিষ্টদের জয় জয়কার। পত্রিকাতে, বিভিন্ন সভা সমিতি আলোচনা সভায় সব জায়গায় তাদের আধিপত্য। বিরোধিদের গালি দিতো: পুজিবাদি, বর্জুয়া, শোষক, ধনিক, বনিক, সামন্তবাদী বলে। যারা গরিবের রক্ত চুষে বড়লোক হয়। সবগুলো শব্দের অর্থও আমি জানি না। তারা জানতো। তাদের সার্কেল হতো যাকে বলে 'হালাকা'।
তাদের দিন শেষ হয়েছে।
যদিও যু্ক্তি তর্ক আর আবেগের কথায় তারা সবসময় এগিয়ে থাকতো।
Lesson for us.
Same goes for conspiracy theories.
Prediction, hypothesis, rumors এসবে সিরিয়াসনেস আরো কম।
তাই এগুলো নিয়ে সিরিয়াস তর্কে নামা অর্থহীন। মোহামেডান-আবাহনির তর্কের মত।
আমি বিশ্বাস করি "এটা ঠিক"। কিন্তু আমার মনে সন্দেহ আছে। তাই মানুষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি "এটাই তো ঠিক, তাই না?"
যে এটাকে ঠিক বলতে অস্বিকার করবে তাকে গালি দেই। বলি নির্বোধ, সে কিছু জানে না, অজ্ঞ। তাকে হেয় করি। এ দিয়ে শান্তি খুজি।
গালিগুলো তার দোষে আমি তাকে দেই না। আমার মানসিক দুর্বলতার জন্য দেই। কারন আমার বিশ্বাসের ব্যপারে আমার অন্তরে সব সময় একটা সন্দেহ আছে। খচ মচ করে।
২
ডিজিটাল যুগ। মানুষ সোশিয়াল ভেলিডেশন খুজে ফেসবুকের পোষ্টে পোষ্টে। দ্বিমত দেখলে গালি দেয়। তার অন্তরে অস্বস্তি। মানুষের কাছ থেকে নিজ মতের পক্ষে স্বিকৃতি না শুনলে, অশান্তি দূর হয় না।
৩
ফেসবুকে যে এসে তর্ক জুড়ায় আমি ধরে নেই সে নিজের মতের ব্যপারে সন্দেহে আছে।
আকিদার জন্য আমাদের মতো আম-দের এতটুকু যথেষ্ট যে,
আমানতু বিল্লাহি - আল্লাহকে বিশ্বাস করি।
ওয়া মালাইকাতিহি - উনার ফিরিস্তাদের।
ওয়া কুতুবিহি - উনার কিতাব সমুহতে।
ওয়া রাসুলিহি - উনার রসুলদের।
ওয়াল ইয়ামুল আখিরি - আখিরাতে।
ওয়াল কাদরি, খাইরিহি... ... - তকদিরে, ভালো মন্দ আল্লাহ থেকে আসে।
ওয়া বা'সা বা'দাল মাউত - মৃত্যুর পরে আবার জীবিত হওয়াতে।
আর দ্বিতীয়তঃ
আমানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বি আসমায়িহী ওয়া ছিফাতিহী ওয়াক্বাবিলতু জামিয়া আহ্কামিহী ও আরকানিহী।
আমি আল্লাহর নাম আর গুন যেরকম সে রকম ভাবে আল্লাহতে বিশ্বাস করলাম। এবং উনার সমস্ত হুকুম নিয়ম মেনে নিলাম।
প্রশ্ন: "কিন্তু কেউ যদি... ... ..."
উত্তর : আলেমরা দেখবেন। তাদের এই বিষয়ে সমাধান করা আছে।
The point is এর থেকে বেশি কিছুর স্বিকৃতি দেবার জন্য নেটে যদি কেউ আপনাকে চেপে ধরে, তবে চুপ থেকে পালান।
সে তার মতবাদগুলোকে যত বিশ্বাসের সাথে জোর গলায় প্রচার করছে দলিল দিয়ে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে এই ইলম হাশরে আমার বিন্দু মাত্র কাজে আসবে। উল্টো তার কথায় স্বিকৃতি দেয়া বা বিরোধিতা করার মাধ্যমে আমার ধরা খেয়ে যাবার আশংকা আছে। যেটা তার সাথে তর্কে গেলেই আমি পড়ে যাবো।
আল্লাহ তায়ালা এই ফিতনার সময় আমাদের হিফাজত করুন।
তাসাউফ সংক্রান্ত ব্যপারে বিভিন্ন মাজহাব-মানহাজের অবস্থান তাই জানিয়ে দিচ্ছি। যদিও এটা আপনি অলরেডি জানেন বা আপনার মাজহাব-মানহাজের অবস্থান আপনার নিজের জানা থাকা উচিৎ। আমার কাছ থেকে না জেনে।
এনিওয়ে আপনার মাজহাব-মানহাজ জেনে আপনি এ ধরনের স্টেটাসগুলো পড়া থেকে বিরত থাকেন। আবারো জানাচ্ছি, আমি নিজে হানাফি-দেওবন্দি মত অনুসরন করি এবং তাদের মাঝে বিতর্কের ক্ষেত্রে অধিকাংশের মত অনুসরনের করার চেষ্টা করি।
তাসাউফ সংক্রান্ত বিষয়ে মত:
সালাফি: আগা থেকে গোড়ে এ সংক্রান্ত সব কিছু বিদায়াত ও পথভ্রষ্টতা। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কুফর। মুসলিমদের জন্য কোরআন হাদিস যথেষ্ট হওয়া উচিৎ।
জামাত-ইখওয়ান : এই সব কিছু বিদায়াৎ, অপ্রয়োজনীয় এবং উম্মাহকে দ্বিনের আসল কাজ থেকে ফিরানোর চক্রান্ত। রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের এগুলো শিক্ষা দেবার জন্য আসেন নি।
হানাফি : নিষিদ্ধ না।
দেওবন্দি : নিষিদ্ধ না।
শাফি : এখানে দেখলাম হানাফিদের থেকে অনেক বেশি তাসাউফের চর্চা। তাই যারা বলে "শুধু মাত্র আমাদের উপমহাদেশে এই সব হয়..." তাদের কথা ভুল।
২
হাদীসে বলা হয়েছে হেদায়াত লাভ করার পর কোন সম্প্রদায় পথভ্রষ্ট হয়নি। কিন্তু তখন হয়েছে, যখন তারা কলহ ও বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছে ৷ এর পর রসুলুল্লাহ (সাঃ) এই আয়াত তেলওয়াত করলেন : তারা কেবল কলহের জন্যই আপনার এ নাম বর্ণনা করে ৷ তারা তো কলহপ্রিয় সম্প্রদায় ৷
"ফা আম্মা আল্লাদিনা ফি কুলুবিহিম জাইগুন।" (যাদের অন্তর বক্র) এ আয়াতের তফসীর প্রসঙ্গে বর্ণিত হ্যাদীসে আছে, এরা হচ্ছে ঝগড়াটে লোক।
"ওয়াহদারহুম আই ইয়াফতিনুন" এদের থেকে বেচে থাকুন যেন এরা আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
৩
জনৈক বুজুর্গ বলেন শেষ যমানায় কিছু লোক হবে যাদের উপর আমলের দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে এবং ঝগড়া বিতর্কের দরজা খুলে যাবে।
এক হাদিসে আছে তোমরা এমন জামানায় আছো যাতে আমলের দরজা খোলা আছে। আচিরেই এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি হবে যাদের অন্তরে বিবাদ ঢেলে দেয়া হবে।
মশহুর হাদিসে আছে : আল্লহর কাছে অধিক নিন্দনীয় হচ্ছে ঝগড়াটে ব্যক্তি।
এক রেওয়াতে আছে : যে সমপ্রদায় বাকপটুতা প্রাপ্ত হয় তারা আমল থেকে বঞ্চিত হয়।
৪
আলি ইবনে বসির হিম্মাি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা খলীল
ইবনে আহমেদের মৃত্যুর পর তাকে স্বপ্নে দেখে বললেন : আপনার চেয়ে
অধিক বুদ্ধিমান আমি কাউকে পাইনি ৷ এখন আপনার অবস্থা কি?
খলিল বললেন : আমি যে কাজে ব্যাপৃত ছিলাম তার অবস্থা তো তুমি জেনেছ? এ কলেমাগুলো ছাড়া কোন কিছু আমার জন্যে উপকারী হয়নি :
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ল্লাহু আকবার।
- এহইয়া উলুমুদ্দিন।
১
সাইন্স-টেক নিয়ে পোষ্ট দেয়া যায়।
// যদিও কেউ কেউ বলবে "এ লোক বিজ্ঞান মনস্ক"
২
হাদিস কোট করে পোষ্ট দেয়া যায়।
// কিছু কিছু কমেন্ট পড়বে। "বাকি সব হাদিস গোপন রেখে, এটা পোষ্ট করেছেন কি উদ্দেশ্যে?"
৩
কোরআন শরিফের আয়াত পোষ্ট করা যায়।
// যদিও কেউ কেউ বলবে, "শেষ যুগের উম্মাহর ফিতনার কারন হবে এই সব ক্বারী-রাই"
এর বাইরে আর কোনো টপিক পেলাম না যেগুলোতে কোনো তর্ক নেই। এগুলো মোটা মুটি তর্ক ফ্রি। in spite of নিচে দেয়া কমেন্টস।
যে কোনো একটা ইশু নেন। বিতর্কিত হতে হবে তাও না। যে কোনো ইশু।
যেমন "খৃষ্টানরা কাফের কিনা?"
উনি বলবেন। হ্যা। আপনিও বললেন হ্যা। দুজনই একমত!
মিশন ফেইলড? না! মাত্র আরম্ভ। :V
এর পর জিজ্ঞাসা করেন, "যেই মুসলিমরা খৃষ্টানদের কাফের বলে না, সেই মুসলিমদের আপনি কাফের বলেন কিনা?"
উনি হয়তো আমতা আমতা করতে থাকবেন।
যদি বলেন "না" তবে উনি মুর্জিয়া, কাফের।
যদি এই লেভেলেও বলেন "হ্যা, যারা খৃষ্টানদের কাফের বলে না তারাও মুর্জিয়া কাফের।"
তবে জিজ্ঞাসা করেন "যে সকল মুসলিম এই সব মুর্জিয়াদের কাফের বলে মানে না তাদেরও উনি কাফের বলেন কিনা?"
উনি যদি এই লেভেলে বলেন "না, এত লোককে আমি কাফের বলি না।" তবে উনি নিজেও মুর্জিয়া, কাফের।
যদি বলেন: হ্যা।
তবে পরের লেভেলে, "খৃষ্টানদের কাফের বলে না X গ্রুপ, এবং এই অপরাধের পরেও X গ্রুপকে কাফের বলে না Y গ্রুপ। Y গ্রুপের এই অপরাধের পরও তাদেরকে কাফের বলে না Z গ্রুপ। আপনি কি Z গ্রুপকে কাফের মনে করেন নাকি করেন না?"
এক সময় উনি বলবেন: না, তারা কাফের না। তাহলে উনি নিজে কাফের।
আর সব হ্যা হ্যা করতে থাকলে শেষে দুনিয়াতে আমি আর আপনি বাদে বাকি সবাই কাফের।