Archive 1604894780

তর্ক : #archive 2017 March

02-Mar-2017 14:37:00


জনৈক: "ভাই ১০০% ভালো কেউ না, আবার ১০০% খারাপও কেউ না... ...."

ফেসবুক ব্রিগেড: "কেউ না" বললে নবি রসুলদেরও বুঝায়। আর যে <এই> <এই> বললো সে কাফের। তাই এই উক্তিকারি কাফের।


প্রতিটা কথার একটা কনটেক্সট আছে, বাংলায় যাকে বলে "প্রসংগ"। এবং কনটেক্সটের মাঝে থেকে জেনারেল কোনো উক্তি করলেও তার উক্তিটা গ্লোবাল কনটেক্সটে ধরা হয় না। তার স্পসিফিক কনটেক্সটেই থাকে।

যদিও উক্তিটা জেনারেল।


দ্বিতীয়তঃ প্রতিটা জেনারেলাইজেশনের কিছু এক্সেপশন থাকে। জেনারেলাইজ করা হয় এক্সেপশনগুলোকে মেনে নিয়েই। এবং প্রতিটা উক্তিতে এক্সেপশনগুলোকে বলে দেয়া শর্ত না। উক্তিকারী রিজেনেবলি ধরে নেয় সব পাঠক এসব জানে এবং বুঝে।

যদিও সে ডিফাইন করে নি।


তবে বাচ্চারা এগুলো বুঝে না। তারা পৃথিবীকে দেখে ব্লেক এন্ড হোয়াইট হিসাবে। হয় কেউ ১০০% ভালো নচেৎ কেউ ১০০% খারাপ।

তাই তাদেরকে এগুলো ভেঙ্গে বুঝাতে হয়। এক্সেপশনগুলো এক্সপ্লেইন করতে হয়।

তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে বাচ্চা বড় হয়ে রিয়েলাইজ করে:

অধিকাংশ বিতর্কে সত্যটা থাকে একটা গ্রে জোনে।
দুই পক্ষের কেউই ১০০% সঠিক না।

02-Mar-2017 21:17:02

প্রশ্নোত্তর:


"কমেন্টের উত্তর দেন না কেন?"
পরিচিতদের প্রশ্নের উত্তর দেই।

তবে, অপরিচিতদের সাথে তর্ক এড়িয়ে চলি কারন এতে আমার লাভ নেই।


"রেফারেন্স বা ব্যখ্যা চাইলে দেন না কেন?"
রেফারেন্স যেগুলো দেই সেগুলো স্টেটাসে দিয়ে দেই।

তবে, রেফারেন্স না দিয়ে যে কথা বলি সেগুলো কমেন্টে কেউ রেফারেন্স চাইলেও দেই না, কারন রেফারেন্স দেবো না ধরে নিয়েই সেটা প্রথমে লিখেছিলাম।


"ভুল ধরিয়ে দিলে সেটা শুদ্ধ করেন না কেন?"
ফেকচুয়াল ভুল ধরিয়ে দিলে সেটা সংগে সংগে শুদ্ধ করে, কমেন্টরকে জাজাকাল্লাহ বলে দেই।

তবে, মত-পথ-ব্যখ্যা-ইন্টারপ্রিটেশনের ভুল ধরলে, we agree to disagree strategy follow করি। তর্ক না করে চুপ।


"ফ্রেন্ড রিকু পাঠিয়েছিলাম, এক্সেপ্ট করেন না কেন?"
পরিচিতদের এক্সেপ্ট করি।

তবে, অপরিচিতদের যদি এড করি, এবং ফেসবুক যদি আমাকে ফটো ভেরিফিকেশনে দেয় আমি আটকিয়ে যাবো। Follow করলে ফ্রেন্ডের সমান বেনিফিট পাবেন। :-)

05-Mar-2017 20:29:40

প্রসঙ্গ : অপরিচিতদের প্রশ্নের জবাব।


Axiom বা common ground বলে একটা জিনিস আছে তর্ক-আলোচনায়। দুই পক্ষই যেটাকে ঠিক ধরে।

এটা জরুরী এই কারনে যে common ground টাকে প্রথমে ঠিক ধরতে হয়। এর পর দুই পক্ষ আরগুমেন্টে নামে "common ground যদি সত্য হয় তবে আমার কথা ঠিক নাকি আপনার?"

যেমন, "ভাই আমরা এটা মানি বুখারি এবং মুসলিম শরিফের সব হাদিস সহি। তাহলে রাসুলুল্লাহ ﷺ বিদায় হজ্জের সময় যে দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি বলেছিলেন, সে দুটো কি কি?"

যে কংক্লুশনে আসুক, common ground ঠিক থাকলে দুই পক্ষ সেটা মেনে নিবে।


Axiom না মিললেও তর্ক করা যায়। তার যুক্তি দিয়ে তাকে ঘায়েল।

যেমন, "যদি আপনার কথা ঠিক ধরি যে বিজ্ঞানের সব রুল সত্যি, তবে মরুভুমিতে বৃষ্টির পর একটা গাছ যে বড় হয়ে উঠে, সেটা থার্মোডিনামিক্সের দ্বিতীয় সূত্রের বিপরিত।"

এর পর আমি তর্কে হেরে গেলেও, আমি আমার ধর্মকে ছাড়বো না, ইনশাল্লাহ। কারন আমি তার axiom এ বিশ্বাসি ছিলাম না।

শুধু তাকে হারানোর জন্য তর্ক করেছি।


মনে করেন ফেসবুকে কেউ আমাকে একটা প্রশ্ন করলো।

এর পর তার জবাব দেবার আগে আমাকে বুঝতে হয় সে সালাফি, নাকি হানাফী, নাকি জিহাদি, নাকি আওয়ামি, নাকি নাস্তিক?

এত কিছু কেন?
কারন এদের প্রত্যেকের axiom আলাদা আলাদা। মানি বা না মানি।

পরিচিতদের বিশ্বাস আমি জানি। তাই তাকে জবাব দিতে পারি।
কিন্তু অপরিচিতদেরটা জানি না, তাই চুপ থাকি।

"কিন্তু আমরা তো অনুসরন করবো শুধু কোরআন হাদিস!"

এখানেও আরো অনেক কথা থাকে। অপ্রস্তুত অবস্থায় সেগুলো শুনলে আপনি ফিতনায় পড়ে যেতে পারেন। তাই চুপ থাকলাম।

"আমার ভাই এত কিছু জানার দরকার নেই, আমি বুঝি যে .... "

ঠিক! সে জন্য আমি চুপ থাকি।

09-Mar-2017 14:16:23

প্রসংগ : বই পড়ে দ্বিন শেখা


কলেজ জীবন পর্যন্ত আমার দ্বিন শেখার মাধ্যম ছিলো শুধু বই। যেহেতু ইন্টারনেট, ফেসবুক, মোবাইল, হালাকা, মানহাজ কিছু তখন ছিলো না।

পরবর্তিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস শিখেছি, শুনেছি, জেনেছি। তার পরও খেয়াল করে দেখেছি বই থেকে যা শিখেছি সেগুলো ছিলো সবসময় সঠিক। বইয়ে পাই নি কিন্তু মুখে যা কিছু শিখেছি সেগুলো পরবর্তি সময়ে ভুল প্রামানিত হয়েছে।


যেমন,
মাসলা মাসায়েল: বেহেস্তি জেওর থেকে যেগুলো জেনেছি সেগুলো সময়ের সাথে সাথে সঠিক ছিলো। মানুষের মুখে এর উল্টো যা শিখেছি সেগুলো ছিলো ভুল। [হানাফি মাজহাবের জন্য]

সুফি কিচ্ছা-কাহিনী: গাজ্জালির বই থেকে যা জেনেছি সেগুলো পরবর্তিতে কাউকে মিথ্যা বলতে শুনিনি। কিন্তু এর বাইরে মানুষের মুখে যা শুনেছি, সেগুলো প্রমানিত হয়েছে ভুল, কোনো কিতাবে নেই।

বিভিন্ন আয়াতের তফসির: তফসিরের বইয়ে যা পড়েছি, যেগুলো সময়ের সাথে সাথে এখনও একই আছে। এর বাইরে "<এটা> বলতে প্রচলিত ব্যখ্যা বুঝায় না, বরং বুঝায় <আমাদের দলের বিশ্বাসের সমর্থন>" এরকম ব্যখ্যা সময়ের সাথে সাথে বহু নতুন আসতে ও যেতে দেখেছি। কোনোটা ২০ বছরের বেশি টিকে নি।


তবে শুধু বই থেকে দ্বিন শেখার প্রতি বিতৃষ্না আছে অনেকের মাঝে। তাদের মত হলো এটা করলে মানুষ গোমরাহ হয়ে যাবে। বরং মানুষের উচিৎ "আমাকে, বা আমার উস্তাদ থেকে, বা আমার আলিমদের" কাছে জিজ্ঞাসা করে শেখা।

এটা করলে ভালো। তবে আলেম যদি হক পন্থি না হয় তবে সেও গোমরাহ হবে। তাই এরকম করাও হক পথ পাবার কোনো নিশ্চয়তা না।


একবার হজ্জে যাবার পর, ১৩ তারিখ স্বেচ্ছায় মিনাতে ছিলাম।

ফেরার পরে একজন আলেম বললেন এটা করা নিষেধ।
দ্বিতীয় আলেম ধমক দিয়ে বললেন এটা করা শুধু নিষেধ না, বরং করলে গুনাহ হবে এবং দম দিতে হবে।

অথচ হজ্জের মাসলার কিতাবে পড়ে এসেছি এই রকম করা উত্তম। এবং রাসুলুল্লাহ ﷺ এরকম করেছিলেন।

তবে তারা মানতে নারাজ। একজনের সংগে বই ছিলো, উনি বই দেখেও বললেন এরকম করা ঠিক না। আমি যেন বেশি বেশি বই না পড়ে, বরং বেশি বেশি আলেমদের কথা শুনি।

মাথায় সুরা বাকারার আয়াত মুখস্ত ছিলো: ফামান তায়াজ্জালা ফি ইয়াউমাইনি...।

তবে তাদের বললাম না।
তর্কও করলাম না।

আমার পথ আমাকে চিনতে হবে।
আমার জবাব হাশরের মাঠে আমাকে দিতে হবে।

তাদের ভুলকে আমি অজুহাত হিসাবে পেশ করতে পারবো না।
এবং তারা আমার পক্ষে সেই দিন কোনো ওকালতিও করবে না।

#পথ_মত

18-Mar-2017 07:40:05

বয়সের সাথে সাথে ভালো মন্দের বোধ আর তর্ক।

১০ বছর : Ask
বড় কেউকে জিজ্ঞাসা করে "সে ভালো নাকি খারাপ?" উত্তর "খারাপ।" অকে, এর পর টিভিতে ডিসুম ডুসুমে কাকে সাপোর্ট করবে সে এখন জানে।

২০ বছর : Explore
পৃথিবীটা ব্লেক এন্ড হোয়াইট। কে হক আর না-হক খুজার সময়। অনেক প্রশ্ন অনেক তর্ক। তবে এর উদ্দ্যেশ্য থাকে বুঝা কোনটা ভালো, কোনটা মন্দ। এই অনুসন্ধানে তার গাইড হয় তার দ্বিনি বড় ভাই।

- ডিসিশন রেপিডলি পরিবর্তিত হতে পারে। হলে তার আগের গাইডদের মনে করতে থাকে ইভিল, "তারা তো আমাকে পথভ্রষ্ট করতে লেগেছিলো।"

- বয়স্ক যারা সরাসরি বলে না "সে ভালো, সে মন্দ" তাদেরকে মনে হয় দুই মুখি। দুই দিকেই ভালো থাকতে চায়।

- বড়রা তর্ক করতে চায় না কারন, "তারা জানে কম" : -)

৩০ বছর : Decided
তার পথ সে বের করে নিয়েছে। এর বাইরে আর যারা আছে সবাই পথভ্রষ্ট। তার ডেফিনিশনে সে পথটাকে রাখে সংকীর্ন। খুব বেশি মানুষ ঐ পথে থাকে না, অল্প লোকই হক।

এখনও সে প্রচুর তর্ক করে। তবে এটা হয়

  • কিছুটা নিজের বিদ্যার বহর দেখাতে।
  • কিছুটা অন্যদের কাছে চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দিতে যে সে হক পথে আছে।
  • কিছুটা অন্যদের কাছে নিজের মতের দাওয়াহ দিতে।

    ৪০ বছর : Gray zoned
    বুঝে যাদের সে ১০০% ভালো মনে করতো, তারা কেউ আসলে অত ভালো না।
    আবার যাদেরকে সে ১০০% খারাপ মনে করতো তারা কেউ অত খারাপ ছিলো না।

    পারত পক্ষে এখন সে তর্ক করে কম। তবে নিজ মত-পথের পক্ষে কথা বলে, তর্ক এড়িয়ে।

    ৫০ বছর : Respect all
    নিজের প্রতিপক্ষকে সম্মান করে, যদিও মতভেদ থাকে। ইয়ং কেউ তর্ক করতে আসলে হেসে কাটিয়ে দেয়।

    এ সময়ে দেখা যায় দুই ভিন্ন মতের শায়েখ পাশা পাশি বসে খুব সম্মানের সাথে কথা বলছে, যদিও তাদের ইয়ং অনুসারিরা মারা মারি করছে।

    ভালো মন্দ সব কিছুর পেছনে কারন দেখতে পারে, প্রয়োজন বুঝতে পারে। এবং অধিকাংশ সময় সে দেখতে পারে : স্রষ্টার সৃষ্টিতে ভুল নেই।

    ৬০ বছর :
    কি হয় জানা নেই। : -)

  • 18-Mar-2017 15:38:37

    প্রশ্নোত্তর : কোনটা ঠিক?


    "মাজহাবগত পার্থক্যে আপনি কোনটা ঠিক সেটা বলে দিচ্ছেন না কেন?"

    : কারন "কার মত কি" সেটা আমি বলছি শুধু। "কার মত ঠিক" সে তর্কে যাচ্ছি না।


    "তাহলে মানুষ কিভাবে বুঝবে কোনটা ঠিক, তারা তো বিভ্রান্ত হবে।"

    : আমি বলবো একটা ঠিক। অন্যরা বলবে অন্যটা ঠিক। তাই মানুষ এর পরও বিভ্রান্ত হবে।


    "তাহলে হক কে চিনবো কিভাবে?"

    : হককে চিনার ব্যাপারেও মাজহাবগত পার্থ্ক্যে মত দলে-মতে পার্থক্য আছে। বলবো কার মত কি?

    18-Mar-2017 20:02:16

    প্রসংগ : তর্ক।


    لاَ تُمَارِ أَخَاكَ وَلاَ تُمَازِحْهُ وَلاَ تَعِدْهُ مَوْعِدَةً فَتُخْلِفَهُ
    ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
    তোমার ভাইয়ের সাথে তর্ক করবে না,
    তার সাথে কৌতুক করবে না,
    তারা সাথে ওয়াদা করে ভাংগবে না।

  • তিরমিজি


    مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ لِيُبَاهِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيَصْرِفَ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ فَهُوَ فِي النَّارِ

    ইবনে উমর রা: বলেছেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
    যে ইলম শিখলো এই উদ্যেশ্যে যে,
    সে বোকাদের সাথে তর্ক করবে,
    অথবা আলেমদের সাথে প্রতিযোগিতা করবে,
    অথবা মানুষের মনোযোগ আকর্ষন করবে
    তবে তার স্থান আগুনে।

  • ইবনে মাজা

    একই হাদিস হুযাইফা রা: বলেছেন।
    একই হাদিস আবু হুরাইরা রা: বলেছেন।
    একই হাদিস কাব বিন মালির রা: বলেছেন।


    مَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَهُوَ بَاطِلٌ بُنِيَ لَهُ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ وَمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَهُوَ مُحِقٌّ بُنِيَ لَهُ فِي وَسَطِهَا وَمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ بُنِيَ لَهُ فِي أَعْلاَهَا

    আনাস বিন মালিক রা: বলেছেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
    যে মিথ্যা বলে না, যদিও দোষ করেছে, তবে জান্নাতের পাশে তাকে একটা ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।
    যে তর্ক করে না, যদিও সে সঠিক, তবে তাকে মাঝখানে দেয়া হবে।
    আর যার সুন্দর স্বভাব তাকে জান্নাতের উচ্চে তৈরি করে দেয়া হবে।

  • তিরমিজি।

    أنا زعيم ببيت في ربض الجنة لمن ترك المراء، وإن كان محقاً، وببيت في وسط الجنة لمن ترك الكذب، وإن كان مازحاً، وببيت في أعلى الجنة لمن حسن خلقه
    এ হাদিসটা আবু দাউদে একটু ভিন্ন করে আছে: "যে কৌতুক করেও মিথ্যা বলে না"


    لاَ تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ وَلاَ لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ وَلاَ تَخَيَّرُوا بِهِ الْمَجَالِسَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَالنَّارُ النَّارُ
    যাবের বিন আব্দুল্লাহ রা: বলেছেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
    আলেমদের সামনে দেখানোর জন্য ইলম শিখবে না।
    বোকাদের সাথে তর্ক করার জন্য শিখবে না,
    মজলিশে ভালো অবস্থানের জন্য শিখবে না।
    যে এরকম করবে, তবে আগুন! আগুন!

  • ইবনে মাজা।


    مَا ضَلَّ قَوْمٌ بَعْدَ هُدًى كَانُوا عَلَيْهِ إِلاَّ أُوتُوا الْجَدَلَ
    আবু উমামা রা: বলেছেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

    সঠিক পথ পাবার পর কোনো কওম পথভ্রষ্ট হয়েছে শুধুমাত্র তর্কাতর্কির জন্য।
    এর পর উনি এই আয়াত তিলওয়াত করলেন
    ‏(‏ما ضَرَبُوهُ لَكَ إِلاَّ جَدَلاً بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ ‏)
    অর্থ, তারা শুধু তর্কের জন্য আপনার সামনে এই কথাগুলো নিয়ে আসে, এরা ঝগড়াটে জাতি। ৪৩:৫৮

  • তিরমিজি।

    ______
    নিজের জন্য পোষ্ট। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হিফাজত করুন।
    #HabibHadith

  • 23-Mar-2017 14:30:28

    প্রসঙ্গ : কোনটা হক?


    এব্যপারে অনেক মত আছে।

  • বাতিলের তীরকে ফলো করো।
  • ইহুদি নাসারারা কার বিরোধিতা করে সেটা দেখো।
  • তোমার বুদ্ধি বিবেক খাটাও।
  • কোরআন হাদিস অনুসরন করো।


    "তার পরও আমি কনফিউজড। আসলে কোনটা ঠিক?"

    এই সময়ে আমি কাউকে এটা ঠিক, ওটা ঠিক এই রকম উপদেশ দেই না। বরং বলি:

    প্রথমতঃ তোমার অহংকারকে দূর করো।
    দ্বিতীয়তঃ এর পর আল্লাহর কাছে আন্তরিক ভাবে দোয়া করো।

    উনি তোমাকে পথ দেখিয়ে দেবেন যেমন উনি আরো অসংখ্যা মানুষকে দেখিয়ে থাকেন।

    মানুষ পথ ভ্রষ্ট হয় নিজের দম্ভের জন্য এবং জালেমদের আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না।

    সবাই পথ পাবে না। কিছু লোক শুধু পাবে। এটা কোরআন শরিফেই বলা আছে।

    আমাদের টার্গেট আমরা যেন তাদের মাঝে থাকি। এজন্য প্রতি রাকাতে আল্লহার কাছে দোয়া করি পথ দেখানোর জন্য, সুরা ফাতিহাতে।

    তর্ক তোমাকে পথ দেখাবে না। বরং অহংকারী করবে। আর যার পক্ষে আছো তার দিকে ঠেলে দেবে।


    "অহংকারী না হবার মানে কি?"
    মানে আল্লাহর কাছে বসে আমি বুঝতে পারছি না স্বিকার করে আন্তরিক ভাবে দোয়া করা।

    ফেসবুকে কারো যুক্তি দলিল না মানলে সে তোমাকে অহংকারী

  • 30-Mar-2017 12:02:22

    Self Reminder: তর্কে আমার কোনো লাভ নেই।

  • তর্ক দ্বারা আমার অহংকার বৃদ্ধি পায়।

    - তার কথাগুলো সঠিক হলে, কিছু দিন পরে আমি এই তর্কের জন্য আফসোস করবো।

    - সে ভুল হলেও তার সাথে তর্ক করে আমি ক্ষতি গ্রস্থ হবো। আমি আমার পথ ছেড়ে বেশি ডান বা বেশি বামে চলে যাবো তার মত থেকে আমার মতের দূরত্ব দেখাতে। এটা আমার পথভ্রষ্টতা।

    - এবং তর্ক না করার ব্যপারে উৎসাহ দিয়ে অনেক আয়াত ও হাদিস পেয়েছি।


    "কিন্তু তার ভুল সংশোধন করবো না?"

    - তর্ক দিয়ে সেটা হবে না। তার মতের উপর সে আরো কঠোর হয়ে যাবে।

    - বরং সে খুজতে থাকলে আল্লাহ তায়ালা তাকে পথ দেখিয়ে দেবেন।


    এবং,
    তর্কে পরাজিত হলে, আমি জান্নাত হারাবো না, আখিরাতে আমার ক্ষতি হবে না।
    তর্কে বিজয়ি হওয়া আমার উদ্যেশ্য হওয়া উচিৎ না, বরং নিজে হক পথে চলতে পারা উদ্যেশ্য হওয়া উচিৎ।

    মাথা নিচু করে, অপরিচিত অবস্থায়।

    আল্লাহ তায়ালা আমাকে
    যাদের উপর উনি গজব দেন নি তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
    এবং যারা পথভ্রষ্ট না তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

  • Published
    9-Nov-2020