কমন প্রশ্ন। প্রচুর বার শুনেছি। এই রকম প্রশ্ন শুনলে আমার প্রথম রিয়েকশন হয় কথা লম্বা করে ২ ঘন্টার তর্কে না গিয়ে, কিভাবে এটা ২ মিনিটে শেষ করা যায়।
- "হানাফিদের মতে এই ভাবে, আর সালাফিদের মতে ঐ ভাবে। তাই আগে স্বিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি হানাফি নাকি সালাফি?"
কোনো দিককে প্রমোট করা বা একটাকে ভুল বা অন্যটাকে ঠিক প্রমান করা আমার উদ্যেশ্য না। I want to just end this discussion. উনি যে দিকে যেতে চান উনাকে আমি রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারি।
- "মানে কোনটা ঠিক? সেটা জানতে চাচ্ছি।"
জটিল প্রশ্ন। এটার জবাব দিতে গেলে আবার ২ ঘন্টার তর্ক।
- "দুটোই ঠিক। যে যেটা অনুসরন করে।"
- "মানে, কোরআন হাদিস মতে কোনটা ঠিক?"
এখনো বুঝার চেষ্টা করছি উনি সালাফি নাকি হানাফি মত চাচ্ছেন? কোরআন-হাদিস-মতে যেহেতু বলেছেন তাই হয়তো উনি সালাফি মত অনুসরন করতে চাচ্ছেন। বা হয়তো উনি হানাফি কিন্তু এই সব তর্কে নতুন এসেছেন বলে মনে করছেন কোরআন হাদিসে শুধু একটা কথাই আছে এবং সেটাই ঠিক।
- "কোরআন হাদিস মতে কি হবে সে ব্যপারে উলামা কিরামগনের মাঝে মতভেদ আছে। আপনি কোন মতটা অনুসরন করবেন সেটার জন্য আপনাকে নিজে কোরআন হাদিস পড়ে দেখতে হবে কোনটা আপনার কাছে বেশি সঠিক।"
Win (Y) ডিসকাশনকে শর্ট কাট করে আনতে পেরেছি। এখন শুধু ক্লোজিং। :-)
Just another regular day in life.
২
ব্যক্তিগত ভাবে আমি বলি কাউকে ঐ মাজহাব অনুসর করতে:
এর বাইরে যদি কেউ এতটুকু জানে যে সে তার পথ বের করে নিতে পারবে, well then be it.
৩
এই মাসলাগত মতভেদগুলো ডকুমেন্ট করতে চাচ্ছি সংক্ষেপে, যেন আমার পরিচিত মানুষদের মাঝে কনফিউশন কমে।
২
বর্তমানে বিশ্বের দিকে তাকালে spanish inquisition কথা মনে হয়। দিকে দিকে বুরকা ব্যনের খবর প্রতি সপ্তাহে। আজকের খবর মেয়েকে ছেলেদের সাথে সাতার শিখতে হবে for the sake of social integrity. Inquisition ওয়ালারা ঐ একই কথা বলতো।
৩
মনে হয় বেহায়াপনার একটা half-life আছে। আগে ২০ বছরে মানুষ আল্লাহর নিয়ন্ত্রনকে ছেড়ে দিয়ে নিজের ভালো লাগার উপর ভিত্তি করে যে পরিমান মুক্তি আনতো। সে পরিমান মুক্তি এর পর তারা আনলো ১০ বছরে। এর পর ৫ বছরে। এর পর প্রতি ২ বছরে। এখন প্রতি বছর।
"গোল্ডের চেইন পড়া ছেলেদের জন্য তো হারাম।"
"মুসাফিরের জন্য পড়া জায়েজ আছে। কারন যদি তার টাকা হারিয়ে যায় তবে স্বর্ন বিক্রি করে বাসায় ফিরে আসতে পারবে।"
কিন্তু সে যে এখন মুসাফির না সেটা আর তাকে বললাম না। তার কাছে তার যুক্তি আছে ধরে নিচ্ছি।
২
"ভাই জিহাদ তো খলিফা-সরকার ছাড়া হয় না।"
"ডিফেন্সিভ জিহাদে খলিফা লাগে না। কাফেররা আক্রমন করলে নিজে নিজে যুদ্ধ করা যায়।"
এদেশে যে কাফেররা আক্রমন করে নি সেটা বললাম না। তার কাছে তার যুক্তি আছে ধরে নিচ্ছি।
৩
ফেসবুকে এক ছুন্নি ভাইয়ের সাথে কথা।
"আপনারা যে বলেন রাসুলুল্লাহ ﷺ সর্বত্র বিরাজমান এবং উনার শরীর মুবারক মাটির বদলে নূর দ্বারা তৈরি ছিলো। কিন্তু কোরআন শরিফে তো আছে _____। এবং আমাদের উস্তাদরাও বলে গেছেন ______"
জবাব দিলো,
"আপনাদের দেওবন্দি আলেম আর আমাদের আলেমদের মাঝে পার্থক্য কি জানেন? আপনাদের আলেমরা কোরআন শরিফ পড়তো কি করে নবীর সম্মানকে খাটো করা যায় সেটা খুজার জন্য। আর আমাদের আলেমগন পড়েন কি করে নবীর সম্মানকে বাড়ানো যায় সেটা বের করতে।"
হুম। এটিচিউড। পার্থক্য আছে।
আমি খাটো বা উচু না। সত্যকে খুজতে থাকি।
৪
এক ভাই আমাকে বললো,
"আপনি কোরআন হাদিস পড়েন কি করে জিহাদ থেকে গা বাচানো যায় সেটা খুজতে। আর আমরা পড়ি এর পক্ষে প্রমান খুজতে। এ জন্য আপনি শুধু ঘরে বসে থাকার হাদিস আর ফতোয়াগুলো পান। কারন কোরআন থেকে যে যেটা চায় সে সেটার পক্ষে প্রমান খুজে বের করতে পারবে।"
হুম।
পক্ষে বিপক্ষে না। সত্যটা তাহলে কি করে বের করতে হবে বলে আপনার ধারনা?
প্রশ্নটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম না।
উনি মাথা গরম মানুষ। তর্ক বাড়বে। :-)
হুম।
অথচ এতদিন জানতাম এর উল্টো; মানে উনারা তাকফিরি নাকি তাকফিরি না, সেটা নিয়ে তর্ক আছে।
wondering, এই ক্লাসিফিকেশনে তাহলে আমি কোন দলে পড়বো? :-)
এটা নতুন ডেভালেপমেন্ট তাই শেয়ার করলাম।
ফতোয়ার লিংক কমেন্টে।
"আপনার এই পোষ্ট পড়ে মানুষ ভুল বুঝতে পারে"
আমার পোষ্ট সবগুলোই আমার আত্মিয়-বন্ধুদের মাঝের কোনো না কোনো গ্রুপকে টার্গেট করে দেই। তারা ঠিক বুঝবে এরকম করে লিখে।
"এটা যে লিখলেন, এটা কি জায়েজ?"
কোনো আলেমের কাছে জিজ্ঞাসা করে আপনাকে জেনে নিতে হবে।
"কিন্তু আমি জানি যে এই এই।"
হ্যা। (এটা মাজহার ভাইয়ের জবাব :-) )
"এই বিষয়ে নেটে এইখানে ফতোয়া আছে ____"
ভাই আমি হানাফি/দেওবন্দি/অধিকাংশের ফতোয়া অনুসরন করি ভাই। এই ফতোয়া যদি এই ক্রাইটেরিয়াতে না পড়ে তবে সেটা আমার অনুসরন করার কোনো কারন নেই।
তবে আপনাকে এই ফতোয়া অনুসরন করতে হবে, নয়তো ফতোয়া মার্কেটিয়ে পড়ে যাবেন। :-)
"আপনি দলিল দিলে সেটা গ্রহন করেন না কেন?"
বয়সের দোষে। আমার বয়স প্রায় ৫০।
তাই আপনি যে দলিলগুলো দিয়েছেন এগুলো আমার কাছে নতুন না। বহু বছর ধরে এগুলোর বহু ব্যখ্যা, বিপরিত ব্যখ্যা, জবাবের-পাল্টা-জবাব এসব পড়ে এসেছি।
নতুন কিছু পেলে শেয়ার করি। সেটাও বছরে একটা দুটোর বেশি পাই না। এবং এগুলো অনুবাদ করা হয় নি, এরকম বই পড়ে পাই।
ফেসবুকের কারো কমেন্ট থেকে এমন নতুন কিছু পাই না যেটা আগে শুনিনি, বা সেটা নিয়ে লম্বা আলোচনা-তর্ক আপনার আগের দুই তিন জেনারেশনের সাথে করে আসি নি।
"কিন্তু আগের জেনারেশন তো ভুল ছিলো।"
আপনার পরের জেনারেশনও আপনাকে ভুল বলবে।
"তাই বলে দলিল অগ্রাহ্য করবেন?"
ভাই বয়সের দোষ, এবং অন্য কোনো কাজ না পেয়ে, বহু সময় নষ্ট করে আমি শিয়াদের দলিল পড়েছি। নাস্তিকদের দলিল পড়েছি। কোরআনিয়ানদের দলিল পড়েছি। রাফেজিদের দলিল পড়েছি। কাদিয়ানিদের দলিল পড়েছি। রিযভি-বেরলভিদের দলিল পড়েছি। খাওয়ারিজদের দলিলও পড়েছি।
তাই শুধু দলিল থাকলেই যদি আমি ঐ দলিল অনুসরনে বাধ্য হতাম, তবে এদের কোনো এক গ্রুপের অনুসারী হয়ে যেতাম আল্লাহ না করুন।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে রক্ষা করেছেন।
"না দলিল পেলেই যে অনুসরন করতে হবে তা বলছি না। আপনার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে।"
ওয়েল, সেটাই করছি।
কিন্তু আমি যেটাকে সঠিক হিসাবে বুঝেছি সেটা আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। তাই থেকে সমস্যা।
কিন্তু এটা আমার সমস্যা না, আপনার সমস্যা।
১
"কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করেছেন যে,
যখন আল্লাহ তায়ালার আয়াতের প্রতি অবিশ্বাস ও বিদ্রুপ শুনবে,
তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না,
যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে যায়।
তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে।
আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় একত্রিত করবেন।"
সুরা নিসা - ১৪০
ব্যসিক্যলি কেউ যদি ইসলামের কিছুকে গালি দিতে থাকে, বা দোষ ধরতে থাকে তবে তার সাথে তর্ক করে ইসলামকে ডিফেন্ড করার বদলে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
২
এর এক্সেপশন কি আছে। যেমন হাদিসে?
আছে। যখন মুসলিম কবিদের বলা হয়েছিলো কাফের কবিদের জবাব দিতে। ডিটেলস হাদিসগুলো কোট করছি না, খুজে নিতে পারবেন।
তবে আমি এটা দেখি এক্সপার্টদের তর্ক করার অনুমতি হিসাবে। আমাদের মত আম-লোকদের না।
৩
নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে গিয়ে নাস্তিক হয়ে গিয়েছে এরকম বহু উধাহরন আমি নিজে দেখেছি।
দুটো উদাহরন দিচ্ছি :
৫/৭ বছর আগে আরব এক লোক নাস্তিকদের যুক্তি খন্ডন করে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতো। এই রকম ২০-২৫ টা ভিডিও আপলোড করার পরে শেষ একটা ভিডিও দিয়ে সে ঘোষনা দেয় "...আমি নাস্তিক হয়ে গিয়েছি।"
মালেয়শিয়ার এক মসজিদের ইমাম। reddit নামে একটা সাইটে নাস্তিকদের গ্রুপে গিয়ে তর্ক করতো। এর পর এক দিন সে ঘোষনা দেয় "আমি আমার বিশ্বাস হারিয়ে নাস্তিক হয়ে গিয়েছি। ইসলামের সব মিথ্যা মনে হচ্ছে। আমি এখন কি করবো?"
তার সমস্যা আরো ছিলো। সে মসজিদের ইমাম এবং সে চাকরি ছাড়ার জন্য তৈরি ছিলো না।
শেষে তাকে উপদেশ দেয়া হয়, তুমি তোমার কুফরির কথা লুকিয়ে রেখে ইমামতি করতে থাকো। মুক্তাদিদের নামাজের কি অবস্থা হবে, আল্লাহ জানেন।
৫
পশ্চিমা স্কলাররা এত "মডারেট" কেন জানেন?
কারন তাদের ইসলামের প্রতিটা খুটিনাটি জিনিস কোনো অবিশ্বাসির কাছে ডিফেন্ড করতে হয়। যুক্তি দিয়ে বুঝাতে হয় এটাই ঠিক। কিন্তু আমরা যারা মুসলিম প্রধান দেশে থাকি তাদের এটা করতে হয় না।
এই ডিফেন্স কিছু দূর পর্যন্ত করা যায়। কিন্তু এক সময় আটকিয়ে যেতে থাকে। প্রতিদিন ঘর থেক বাইরে পা দিয়ে যদি অন্যের কাছে নিজের দ্বিন ডিফেন্ড করতে হয় তবে একসময় এর প্রভাব পড়বে।
"মাছির এক পাখাতে রোগ অন্য পাখাতে শিফা?"
ডিফেন্ড করতে পারছি না?
সমাধান: "এটা আল্লাহর কথা না, বরং তোমরা আল্লাহর কথা কোরআনে মনোযোগ দাও।"
এভাবে "কুরআনিয়ান" আইডোলজির এর দিকে সে এক কদম বাড়লো।
বা, "আইশা রা: ৯ বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বিয়ে করেছিলেন?"
ডিফেন্ড করতে পারছি না?
সমাধান: হাদিস কম আর যুক্তি বেশি দিয়ে প্রমানের দিকে চলে গেলাম -- উনার বয়স তখন আসলে ১৬ ছিলো।
এর উপর আছে ইসলামের স্লেইভারি, কিতাল, শাতিমের হুকুম এরকম আরো অনেক।
৬
এটা মনে রাখতে হবে:
- কোনো নাস্তিকের কাছে আমার দ্বিনকে ডিফেন্ড করার সামর্থের উপর আখিরাতে আমার মুক্তি নির্ভর করে না। নির্ভর করে: ইসলাম মানা আর পালন করার উপর।
- ইসলামের সব কিছু সবার কাছে ডিফেন্ডেব্যল হওয়া শর্ত না। এটা চেষ্টা করেছিলো গোড়া ইলমুল কালাম বা ফিলসফির চর্চাকারীরা ৬০০ হিজরির দিকে। আল্লাহ তায়ালা বাগদাদ শহর ধ্বংশ করে দিয়েছিলেন এর peak এ।
- রাসুলুল্লাহ ﷺ এর দাওয়াতের পদ্ধতি যুক্তি তর্ক স্টাইলে ইনটিলেকচুয়াল ছিলো না। বরং ছিলো একই কথা বার বার রিপিট করে দাওয়া দিয়ে যাওয়া। যেটা সৈয়দ হাসান আলী নদভী উনার কিতাবে বর্ননা করেছেন।
৭
ইসলামের কিছু জিনিস আছে একেবারে অন্ধের মত বিশ্বাস করতে হয়।
একই জিনিষ, বিশ্বাসিদের ঈমান এটা শুনার পর বাড়বে, আবার অবিশ্বাসিরা এটা শুনে নিশ্চিৎ হবে এটা মিথ্যা।
আমি একটা উদাহরন দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু মানুষ আবার ফিতনায় পড়ে যায় কিনা এই সব শুনে সে আশংকায় চুপ থাকলাম।
কিন্তু নাস্তিকরা এগুলো জানে। এট লিষ্ট বাংগালি নাস্তিকরা না জানলেও বিদেশি নাস্তিকরা এটা জানে এবং আপনি তাদের সাথে তর্ক করতে গেলে এটা আপনার কাছে এক সময়ে প্রেজেন্ট করবে।
নিজেকে প্রশ্ন:
আমার ঈমান কি ঐ থ্রেসহোল্ডের উপরে যে সেটা শুনার পর আমার ঈমান আরো বাড়বে?
নাকি এত নিচে যে সেটা শুনে আমারও ঈমান চলে যাবে?
৮
১ নং পয়েন্টের আয়াতটা আবার পড়ে দেখেন। বলা হচ্ছে নাস্তিকদের সাথে থাকলে তোমরাও নাস্তিক হয়ে যাবে। এজন্য অনেক আলেম তাদের সাথে তর্ক করতে নিষেধ করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এটা ঠিক, তাদের জবাব দিতে হবে। কিন্তু সেটা এক্সপার্টদের উপর ছেড়ে দিন।
And in any case, আমার ঈমান যেন এই সকল যুক্তির উপর নির্ভর না করে।
৯
"এইভাবে আল্লাহ [একই উক্তি দ্বারা]
কাউকে বিপথগামী করেন,
আবার কাউকে সৎ পথ দেখান।" --
সুরা বাকারায় এই কথা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন মাছির উদাহরন দেবার পর।
সুরা মুদাসসিরে একই কথা বলেছেন জাহান্নামের ফিরিস্তাদের সংখ্যা বলার পর।
তর্কে জিতাটা আমার জন্য শর্ত না।
ইসলামের প্রতিটা পয়েন্টের পেছনের যুক্তি জানাও আমার জন্য শর্ত না।
বরং সাহাবা কিরামদের মত আমরাও এই কথা বলি:
"আমরা শুনলাম, আমরা মানলাম, আমাদের রব,
আমরা আপনার কাছে ফিরে আসছি।"
আপনাদের কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ন। এবং সময় বলে দিবে ইনশাল্লাহ কত লোক আপনাদের জবাবগুলো জেনে নাস্তিকতার ধংশের ফাদ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
বাংলায় এই ধরনের কাজের একটা বড় অভাব ছিলো। যেটা আরিফ আজাদ ভাই এবং আরো অনেক ভাই পূর্ন করছেন। যাদের সবাইকে আমি চিনি না।
আমরা চাই বা না চাই নাস্তিকদের এই ভুল যুক্তিগুলো আমাদের ইয়ং জেনারেশনের কাছে পৌছছে। এবং তারা এর সঠিক উত্তরের খোজে ছিলো।
এই শুন্যতা পূর্ন করা উম্মাহর জন্য জরুরী ছিলো।
এই দায়িত্ব পূরনে আল্লাহ তায়ালা একটা গ্রুপকে নিযুক্ত করে দিয়েছেন। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এটা শুধু আলেমদের দ্বারা সম্ভব ছিলো না, কারন এখানে বিজ্ঞানের অনেক বিষয় আছে যেগুলো বিজ্ঞান যারা পড়েছেন এবং এই লাইনে এক্সপার্ট তারা আরো সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কাজের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
এবং আপনাদের অন্তর ঈমানকে আরো বাড়িয়ে দেন।
আবার ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এটা দ্বারা কেউ যদি আপনাদের কাজে ডিমটিভেটেড হয়ে থাকেন তার জন্য। আমার পোষ্টটা আরো স্পেসিফিক ভাবে লিখা উচিৎ ছিলো যে আমি সাধারন জনগনকে বুঝাচ্ছিলাম, যারা এই ব্যপারে জানে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করুন।
এর মাঝে কম্প্রোমাইজ মানে হলো সত্যতে ছাড় দেয়া। এই সময়ে মানুষ অনেক তর্কপ্রীয় হয়।
এই তর্কের ইচ্ছাটা যত না তার বিশ্বাস থেকে আসে তার থেকে বেশি আসে তার সন্দেহ থেকে। "আমি জানি এটা ঠিক। কিন্তু আসলেই কি ঠিক?" একটা সন্দেহ আছে মনের গহিনে। সেই থেকে বাকি সব মতের বিরুদ্ধে তর্ক।
বড় বোনও আমার থেকে বেশি বড় ছিলো না। তাই মাঝে মাঝে তর্ক হতো "না এই লোকটা ভালো না, ঐ লোকটাই ভালো।"
২
বয়স ২০:
একটা দল চয়েস করে নিয়েছি। দলের বড় ভাইয়েরা বলে দেন, কে ভালো আর কে মন্দ। তর্ক করি, কিন্তু যুক্তিও বড় ভাইরাই বলে দেন। আমি তাদের কথাই এবসোলুট ধরে নেই। বাকি সবাই পথভ্রষ্ট ও বিভ্রান্তকারী। কারন হক পন্থি শুধু আমাদের দলটাই।
ফোরটি আপদের সাথে তর্ক করতে গেলে তারা বিরক্ত হতো। বলে "সেই দিনকার পোলা...."। এরা মনে হতো বুড়া ধামড়া। এরা যুক্তি তর্ক বুঝে না। কি একটা পেয়েছে সারা জীবন ঐটা নিয়ে আছে। তারা hopeless। বরং আমরা যুবকরাই হক খুজে পেয়েছি। কারন আমরা অনেক পড়তে পারি, চিন্তা করতে পারি।
৩
বয়স ৩০:
হকের গন্ডি এখন অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে। একটা দল শুধু হক এখন আর তা মনে করি না।
১
প্রথম কথা: consumerism আর capitalism এক জিনিস না।
consumerism: মানে বেশি বেশি খাবো, ভোগ করবো। এটা খারাপ জিনিস।
capitalism: মানে আমার ব্যবসা করার আর প্রফিট করার পূর্ন স্বাধিনতা আছে। এটা ভালো জিনিস।
আমি consumerist না, তবে আমি capitalist.
প্রায় সব ক্ষেত্রে দেখি ছেলেপেলেরা consumerism কে গালি দিতে গিয়ে capitalism কে গালি দিয়ে বসে।
capitalism এর বিপরিত হলো socialism বা communism. যার শিক্ষা হলো কেউ লাভ করতে পারবে না, বা ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে। সরকার যার যা প্রয়োজন প্রত্যেককে শুধু ততটুকু খাবার-পানি দেবে।
তাই capitalism কে গালাগালি করলে আমার মনে হয় সে communism এর পক্ষে বলছে। নিজের মাঝে ৮০র চেতনা জেগে উঠে, যখন communist দের শত্রু জ্ঞান করতাম। Blame it on my up bring. :-)
২
দ্বিতীয়তঃ moderate আর secular এক জিনিস না।
moderate: মধ্যপন্থি। ইসলামের মাঝে যে মধ্য রাস্তায় চলতে পছন্দ করে। এটা ভালো।
secular: ধর্মনিরপেক্ষ। যারা বলে "ইসলাম কর ঘরের ভিতরে কর, বাহিরে না। কারন মনের ইসলামই হলো বড় ইসলাম।" এটা খারাপ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে উদিয়মান বুদ্ধিজিবি ছেলেপেলেরা secular দের গালি দিতে গিয়ে moderate দের গালি দিয়ে বসে।
moderate এর বিপরিতে এক প্রান্তে secularism অন্য প্রান্তে extremism.
তবে মধ্যপন্থায় চলার উৎসাহ দিয়ে হাদিস আছে। এবং আমি extremist দের কাছে নিজেকে moderate বলে পরিচয় দেই। আবার secular দের কাছে নিজেকে extremist হিসাবে প্রেজেন্ট করি।
কিন্তু কখনো নিজেকে secular বলি না।
এখন কোন দাগটাকে মাঝখানের দাগ বলা যায় এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। এবং এ ক্ষেত্রে contrast effect বলে একটা bias ও আছে। কিন্তু moderate হওয়াকে বাই ডেফিনিশন খারাপ মনে করি না।
৩
: ভাই আমি সহজ সরল মানুষ, আল্লাহর ইবাদত করি। আমার কি এগুলো বুঝার দরকার আছে?
: না, নেই।
: তবে জানলে ভালো, ঠিক?
: না, ভুল।