Archive 1604893076

তর্ক : #archive 2016

03-Jan-2016 23:45:21

একটি গাধা আর শিয়ালের মাঝে তর্ক আরম্ভ হলো মটরশুটির রং নিয়ে।

গাধা বলে, মটরশুটির রং হলুদ।

শিয়াল বলে, মটরশুটির রং সবুজ।

দুজনে গেলো বনের রাজার কাছে।

সিংহ রাজ হুকুম দিলেন শিয়ালকে এক মাসের জেল দাও আর গাধাকে ছেড়ে দাও।

শিয়াল প্রতিবাদ করে সিংহ রাজকে জিজ্ঞাসা করে, মটরশুটির রং সবুজ না?

সিংহ বলে, হ্যা, ঠিক।

শিয়াল বলে, আমর কথা ভুল না হলে আমাকে শাস্তি দিলেন কেন?

সিংহ বলে, এটা ঠিক যে তোমার কথা ভুল ছিলো না। কিন্তু তোমার কাজ ভুল ছিলো। তুমি গাধার সাথে তর্কে গিয়েছো।

(প্রেকটিস হিসাবে অনুবাদ করা) :-D

#HabibTranslation

27-Jan-2016 23:07:11

আমার এই ফেসবুক আইডিতে আত্মিয় পরিচিতরা শুধু ফ্রেন্ড। অপরিচিত কাউকে এড করছি না। তার পরও রিকু পাই প্রতিদিন কয়েকটা করে। সবগুলো ইগনোর করি।

বিতর্কিত কোনো কথা গ্লোবাল শেয়ারে দেই না। এবং মাঝে মাঝে ফালতু জিনিসের উপর পোস্ট দিয়ে বুঝাই আমি "ইসলামিস্টদের" কেউ না।

ফেসবুকের শান্ত পানিকে, শান্তই রাখতে চাই। ঘুটিয়ে তোলার ইচ্ছে নেই। কারন এতে আমার লাভ নেই। কোনো দলের পক্ষে ওকালতি করছি না যেহেতু।

এর পরও ভয় পাচ্ছি পানি আস্তে আস্তে ঘুটছি কিনা। কারো লাইমলাইটে চলে আসছি কিনা। এবং এটা আমার রিয়েল আইডি যেহেতু, তাই এডভার্স ইফেক্ট তৈরি হলে এটা আমার জন্য ক্ষতিকর হবে।

03-Feb-2016 23:16:21

ইবন মাজায় বর্ণিত একটি হাদীসে আল্লাহ্‌র রাসূল (সা.) বলেন, "যে জ্ঞান অর্জন করে 'উলামাদের টক্কর দেয়ার জন্য, অথবা অবাঞ্ছিতদের সাথে তর্ক করার জন্য, অথবা মানুষের মুখ নিজের দিকে ঘোরানোর জন্য - তার স্থান জাহান্নাম।"

Collected from আসিফ সিবগাত।

08-Mar-2016 23:58:23

ইদানিং তর্ক আর ভালো লাগে না।

ইদানিং প্রশ্ন আর ভালো লাগে না।

ইদানিং নতুন লিখকের ইসলামি বই পড়তে আর ভালো লাগে না।

যারা আমাকে বুঝাতে চায়, তারা আমার জান্নাতের দায়িত্ব নেবে না।

12-Apr-2016 19:57:42

চেষ্টা করি মুসলিমদের মত-পথের ভুলগুলো নিয়ে সমালোচনা না করার জন্য। এটা আলেমদের কাজ। এবং তারা এটা পরিপূর্ন ভাবে করছে। এবং এই কাজে আলেমদের কোনো ঘাটতি নেই যে সেটা পূর্ন করতে অন্য কারো এগিয়ে আসবার কোনো প্রয়োজন আছে।

এধরনের আলোচনা আসলেই দলিল আর তর্কের প্রসংগ চলে আসে। এবং এ ব্যপারে আলেমরা এক্সপার্ট। আমি না।

____
চেষ্টা করি, যে-সকল মুসলিমরা ভুল পথে চলছে তাদের প্রতি ঘৃনা না রাখার জন্য। কারন এক্সপরিয়েন্স থেকে দেখেছি, কোনো মুসলিমের ভুল নিয়ে যদি আমি অতিরিক্ত তামাশা করি তবে কিছু দিন পর আল্লাহ তায়ালা আমাকে এক্সাক্টলি ঐ ভুলে ফেলে দেন যেটা নিয়ে কিছুদিন আগেও আমি হাসা হাসি করেছিলাম।

____
কিন্তু এই অতিরিক্ত নিরবতার একটা সাইড ইফেক্ট আছে। নিরবতা দেখে মানুষ মনে করে: আমি তাদের সমর্থন করছি।

এটা শাহবাগের দিনগুলোতে দেখেছি। কয়েকটা নিউট্রাল পোস্ট দিয়েছিলাম যেন শাহবাগীদের প্রতি আমার অতিরিক্ত ঘৃনা যেন আমার অন্তরকে ছেয়ে না ফেলে। সেটা দেখে রাতা-রাতি এক দংগল শাহবাগী জুটে যায়, "ওই এই দিকে আয়! একজন হুজুর পাওয়া গেছে আমাদের পক্ষে।" :-P

____
আজকে একজন আমার ওয়াইফকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলো, "পহেলা বৈশাখ আসলে হাবীব না দান করা বাড়িয়ে দেয়?" এটা ভুল কথা। কখনো করি নি।

আবারো বুঝলাম, আমাকে এক্সপ্লিসিট হতে হবে। স্পস্ট করে বলতে হবে।

কিন্তু কতটুকু বলতে হবে আমি জানি না।
এবং কোন জায়গায় গিয়ে থেমে যেতে হবে সেটাও জানি না।
এখনো আমি পথ খুজছি।

20-Apr-2016 15:01:25

ফেসবুকে এখন যেহেতু চারিদিকে তর্ক।

তাই তর্কের সময় বিপরিত পক্ষকে চুপ করানো, বা ডিসক্রেডিট করার কিছু প্রচলিত ফরমুলা দিলাম। সুযোগ বুঝে কাজে লাগাতে পারেন। :-P

____
যদি দেখেন সে জানে কম, তাহলে তাকে এই ডায়লগ ছাড়তে হবে

"মোল্লাদের সব কথা বিশ্বাস না করে কোরআন হাদিস নিজে একটু পড়ে দেখেন কি আছে। এত বই পুস্তক পড়া সময় পেলেন কিন্তু কোরআন শরিফে আল্লাহ তায়ালা কি বলেছে সেটা পড়ার সময় পেলেন না?"

____
যদি দেখেন সে কোরআন হাদিস কিছু জানে, তখন আর উপরেরটা না। এই ডায়লগ ছাড়তে হবে

"কোন আলেমদের কাছে শিখেছেন? আলেমের কাছ থেকে না শিখে নিজে নিজে কোরআন পড়ে বুঝতে গেলে এই রকম উল্টা বুঝবেন।"

____
বিপরতি পক্ষ কোনো আলেমের কাছ থেকেও শিক্ষা নিয়ে এসেছে? হাল ছাড়বেন না। এখনো ডায়লগ আছে। ছাড়ুন,

"নিম হেকিম খতরে জান, নিম মোল্লা খতরে ঈমান। এইসব আধা আলেমরাই ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে।"

এখন যদি ঐ ব্যক্তি যদি দাবি করে

03-May-2016 00:11:35

বেসিকেলি দল-মতের সাপোর্টারদের সবার উচিৎ নিজ দলের আলেমদের থেকে ইলম অর্জন করা। তাহলে আর তর্ক থাকে না।

সেটা না করে ভিন্ন আইডোলজির আলেমের কাছে নিজ দলের মতের সাপোর্ট খূজলে ফিতনা বাড়ে।

ভুল খুজতে থাকলে সব আলেমের মাঝেই কিছু না কিছু ভুল খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু বড় কোনো দোষ না থাকলে তার ভুলগুলো নিয়ে জাগলিং খেলায় আমি কোনো সর্থকতা দেখি না।

____
এর পরও কোন আলেমদের থেকে আমি ইলম গ্রহন করি, আর কাদের থেকে করি না তার কিছু এক্সাম্পল।

"ইলমের খিয়ানত" কেউ করেলে, আমার কাছে সে বাতিল। বিভ্রান্ত করার জন্য সে ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্য গোপন করেছে।

"ফিকহি ইখতিলাফ" -- গ্রহনযোগ্য। এ ক্ষেত্রে ইখতিলাফি বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নেই।

"কিচ্ছা কাহিনী" -- গ্রহনযোগ্য। এর মাঝে যতটুকু শিক্ষনীয় আছে ততটুকু, এবং এগুলো কিচ্ছা হিসাবে।

"স্বরোচিত মিথ্যা" -- বাতিল। কাজ্জাব।

"বাহাস" -- গ্রহনযোগ্য। শিক্ষনীয় ব্যপার আছে যেহেতু।

"মুসলিমদের প্রতি নন স্টপ ঘৃনা ছড়াতে থাকলে" -- বাতিল। আদব একটা বড় ব্যপার।

___
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর রাখুন।

23-Jul-2016 23:53:01

Bro Advice:
ফেসবুকে তর্ক করা -- খারাপ।
বৌকে ফেসবুক শেখানো -- আরো খারাপ।
বৌ যখন তর্কে প্রতিপক্ষকে সাপোর্ট করে লাইক দিতে থাকে -- মইরা যা।

06-Sep-2016 23:54:33

তর্কে কোরআন শরিফের কোনো আয়াত দলিল হিসাবে পেশ করলে আমি চুপ করে যাই:


রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
তোমরা কোরআন নিয়ে তর্ক করো না, এটা নিয়ে তর্ক করা কুফরি।

  • জামে সগির ৯৭৩০ [সহি]


    রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
    কোরআন নিয়ে তোমরা [একে অন্যের সাথে] তর্ক করো না। আল্লাহর কিতাবের এক অংশ দিয়ে অন্য অংশকে মিথ্যা বলো না। ওয়াল্লাহ! মু'মিন কোরআন নিয়ে তর্কে হেরে যাবে, আর মুনাফিক কোরআন নিয়ে তর্কে জিতে যাবে।

  • সিলসিলা আহাদিস আস-সহি ৩৪৪৭ [সহি]


    রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় করি যে তোমাদের মাঝে কোনো লোক এত বেশি কোরআন পড়বে যে তার চেহারায় এর প্রভাব দেখা যাবে। সে মাশাল্লাহ ইসলামের জন্য বর্ম হয়ে যাবে।

    এর পর সে কোরআনকে ছেড়ে দিবে, এবং কোরআনকে পেছনে ফেলে দিবে। এর পর তার প্রতিবেশির দিকে সে দৌড়ে যাবে নিজের তলোয়ার নিয়ে। তার প্রতিবেশিকে সে শিরকের দোষে দোষারোপ করবে।

    একজন জিজ্ঞাসা করলেন: ইয়া নবী আল্লাহ ﷺ, এদের মাঝে কে শিরক করেছে? অভিযোগকারী নাকি অভিযুক্ত?

    উনি ﷺ বললেন: অভিযোগকারী।

    - ইবনে হিব্বান ৮১ [সহিহ]

  • 07-Sep-2016 15:59:40

    একটা dilemma তে পড়েছি। এই আইডি থেকে আমি কোনো তর্ক চালাতে চাচ্ছি না।

    যে যার আইডলজি-মত-পথ-ব্যক্তিকে অনুসরন করলে আমার কোনো আপত্তি নেই। তর্কের প্রয়োজন দেখছি না।

    এখানে তর্ক চলতে দিলে আরো তর্কবাগিশ জমে যাবে।
    এর পর গালা-গালি রিপোর্টিং আরম্ভ হয়ে যাবে।

    বিরোধিদের সাথে মত বিনিময় আমার উদ্দ্যেশ্য না।
    পরিচিতদের সাথে মত বিনিময় আমার উদ্যেশ্য।

    তাই বিরোধি মতের সবাইকে ব্লক করে দেবো কিনা চিন্তা করছি।

    30-Sep-2016 21:14:22

    সন্তানদের জন্য:

    কারো বিরোধিতায় যদি তুমি "অবসেসিভ" [বাংলায় "মরিয়া"?] হয়ে যাও, তবে আশংকা আছে তোমার মাঝে ঐ দোষগুলো চলে আসবে যেই দোষগুলোর জন্য তুমি তাকে দায়ি করছো।

    কোনো দল ভুল পথে আছে? তাদের ভুল ধরতে যদি তুমি মরিয়া হয়ে যাও তবে এটা তোমার ক্ষতির কারন হবে।

    কেউ তোমাকে তর্কে পরাজিত করেছে? যদি হক পথে থাকো তবে মাথা নিচু করে চুপ করে চলে আসবে। সত্যকে সত্য বুঝতে তর্কে বিজয়ী হতে হয় না। মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে তর্কে জিততে হয়, কারন এ ছাড়া তাদের উপায় নেই।

    অবসেসিভলি যদি তুমি বামদের সাথে তর্ক করো তবে তুমি নিজেকে দেখবে ফার রাইটে চলে গিয়েছো।

    অবসেসিভলি যদি তুমি খাওয়ারিজদের সাথে তর্ক করো তবে তুমি নিজেকে দেখবে দরবারী হয়ে গিয়েছো।

    অবসেসিভলি যদি তুমি বেরলভীদের সাথে তর্ক করো তবে তুমি দেখবে আহলে বাইতদের থেকে তোমার দুরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে।

    Take it easy. সব বাতিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দায়িত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে দুনিয়াতে পাঠান নি। বাতিলকেও আল্লাহ তায়ালা টিকিয়ে রাখবেন পথ ভ্রষ্টদের জন্য। তোমাকে এর মাঝে সত্যের পথ খুজে নিয়ে ঐ পথে চলতে হবে। অন্যদের শুধু জানিয়ে দেয়াই যথেষ্ঠ তুমি কোনটাকে সত্য মনে করো। সব কথা যুক্তি দিয়ে প্রমান করা তোমার কাজ না।

    দিনের শেষে, তোমাকে আর আমাকে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন উনার ইবাদতের জন্য। এটাই মুখ্য। এটাই উদ্যেশ্য।

    07-Oct-2016 23:36:05

    ২০০১:


    ছোট বেলা থেকে আমি প্রো-আমেরিকা ছিলাম। এদেশের বামরা ছিলো প্রো-রাশিয়া। আমেরিকার বিরুদ্ধে তাদের প্রচার প্রপাগান্ডার অভাব ছিলো না। আমি সাধারনতঃ প্রোপাগান্ডা যে দিকে তার বিপরিত পক্ষে অবস্থান করতাম। :-P

    প্রো-আমেরিকা হবার কারনগুলো ছিলো:
    ১। আফগান যুদ্ধে আমেরিকার সাহায্য।

    ২। কমুনিজমের বিরুদ্ধে আমেরিকার অবস্থান। কমুনিস্টরা ছিলো পুরো ইসলাম বিদ্বেষী। এবং এখন যেমন এক্সট্রিমিস্টদের সাথে তর্ক করি -- ঐ সময়ে এরকম তর্ক করতাম কমুনিস্টদের সাথে।

    ৩। সৌদি এবং অন্যান্য সুন্নি স্টেইটগুলো ছিলো প্রো-আমেরিকা। ইরান এবং এধরনের "ইভিল" স্টেইটগুলো ছিলো প্রো-রাশিয়া।

    এই অবস্থা চলে ২০০১ পর্যন্ত। এবং ঐ বছর আজকের তারিখে আমেরিকা আফগানিস্তান যুদ্ধ আরম্ভ করে। এই দিনই আমি আমেরিকার পক্ষ ত্যগ করি।


    আফগান যুদ্ধের আগে দিয়ে আফগানীদের অবস্থা এমনিতে শোচনীয় ছিলো। তালিবানরা ক্ষমতায়। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা হয়ে যায় একেবারেই খারাপ। তালেবানদের একটা ওয়েব সাইট ছিলো যেখান থেকে তারা মুসলিমদের কাছে সাহায্যের আবেদন করে। তাদের ফরেন মিনিস্টার গিয়ে উঠানো টাকা নিযে আসতো।

    ঐ সময়ে খরা চলছিলো, দুর্ভিক্ষে মানুষ মারা যাচ্ছে। দলে দলে তারা পাকিস্তান বর্ডারের কাছে চলে আসতে থাকে। প্রচন্ড শীত পড়ে। এক রাতে ৩০০ জন মারা যায় ক্ষুধা আর শীতে।

    সেই সপ্তাহেই আমেরিকা আফগানিস্তান আক্রমন করে। এর সাথে আফগানিস্তানে আরম্ভ হয় ভুমিকম্পের পর ভুমিকম্প।


    আজকের দিনটার কথা এখনো মনে আছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর পার হয়ে গেলো।

    পানি এর পর বহুদূর গড়িয়ে এসেছে।
    আমার সময়ও বোধহয় শেষ হয়ে আসছে।
    পরিক্ষা হলে অন্যদের পরিক্ষা চলতে থাকবে আমার পরিক্ষার সময় শেষ হয়ে যাবর পরও।
    পরিক্ষার হল আমার বাসস্থান না।
    আমার বাসস্থান হয় জান্নাতে নয়তো জাহান্নামে।

    08-Oct-2016 14:16:01

  • আপনি ফোন নম্বর দেন না কেন?

    - যারা আমার সাথে কথা বলতে চায় তাদের একাংশ কোনো না কোনো পার্টি এফিলিয়েটেড। তারা পরবর্তিতে যদি সরকার বিরোধি কোনো কাজে জড়িয়ে যায়, তবে র‍্যাব তাদের কল লিস্ট ধরে চেক করবে। আমি ক্রসে পড়ে যাবো। সেজন্য।

    - হুম। তাহলে তাদের সাথে দেখা তো করতে পারেন নাকি?

    - কোনো রেস্টুরেন্টে? এবং তখন কথা হবে সমসাময়ী ঘটনাবলী আর কোন দল হক এর উপর। চিন্তা করে দেখেন, আপনি রেস্টুরেন্টে বসে আছেন আপনার পাশে দুইজন সিরিয়া আর আইএস নিয়ে তর্ক করছে। আপনি তখন কি করবেন?

    - ঠিক আছে। ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্টে তো এড করতে পারেন?

    - "ফ্রেন্ডস অনলিতে আমার পারিবারিক ছবি..."

    - ভাই রাখেন আপনার সেই গৎ বাধা কথা। "কমন ফ্রেন্ডসে" এ আমি স্পস্ট দেখতে পারছি অনেককে ফ্রেন্ড করেছেন। এরা সবাই আপনার আত্মিয়?

    বুঝলাম এটা কঠিন চিজ। তাই সত্য কথা বললাম,

    - ফ্রেন্ড লিস্টে ঢুকানো আরম্ভ করলে সবাইকেই ঢুকাতে হবে। কিন্তু সবার মন সামলিয়ে কথা বলা যাবে না। এবং এরা যদি আমাকে ফেসবুকে রিপোর্ট করা আরম্ভ করে তবে আমার একাউন্ট উধাউ হয়ে যাবে।

    - নন ফ্রেন্ডরাও তো রিপোর্ট করতে পারে।

    - ফ্রেন্ডরা রিপোর্ট করলে বেশি ইফেক্ট পড়ে। এর পর ফেসবুক ফটো ভেরিফিকেশন দিবে "কোনটা তোমার কোন ফ্রেন্ডের ছবি? বের কর!" হাজার হাজার অপরিচিত লোক ঢুকানোর কারনে কারো ছবি চিনবো না। একাউন্ট ডিসেবেলেড হয়ে যাবে।

    - তাহলে অলরেডি যাদের ঢুকিয়েছেন?

    - চেহারা বা পরিচয়ে যাদেরকে চিনি তাদের ঢুকিয়েছি শুধু। এবং ফ্রেন্ডলিস্টে ঢুকালেও অনাত্মিয় সবাইকে "রেস্ট্রিকটেড" করে রাখি। তারা কেউ ফলোয়ারদের থেকে বেশি কিছু পড়তে পারে না।

    - তাহলে রেস্ট্রিকটেড করে আমাকে ঢুকান!

    - ভাই আপনার বয়স হলো ২০ এর কোঠায়। এই বয়সের ছেলেপেলেরা সবাই "ভেলিডেশন" চায়। শুধু এড করলে হবে না। কিছু পর পর তাদের স্টেটাসে লাইক কমেন্ট করতে হয়। নচেৎ তারা ধারনা করে আমি হয়তো রাগ করেছি। মেন্টালি একটা স্টেবেল পজিশনে যেতে তাদের সময় লাগে। এটা তার দোষ না, বরং বয়সের একটা স্বাভাবিক ইফেক্ট।

    - আমি এরকম করবো না...

  • 08-Oct-2016 18:38:50


    বিশ্বাস যখন মানুষের রক্তের সাথে মিশে যায়, তখন সে সেটা নিয়ে আর তর্ক করে না। "ইসলাম সত্য কিনা" এটা নিয়ে কোনো মুসলিম এই কারনে হিন্দুর সাথে তর্ক করে না। এটা তার মনে স্বতঃসিদ্ধ, বিন্দু মাত্র কোনো সন্দেহ নেই।

    এর বিপরিতে, মনে সন্দেহ থাকলে মানুষ তর্ক করে। যদিও সে দাবি করে "এই ব্যপারে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই।"


    মনে করেন: আমি নিজেকে হক পন্থি মনে করে নাহক পন্থি একজনকে রাস্তায় হত্যা করে আসলাম। এর পর আমার মনে হালকা সন্দেহ: জিনিসটা কি ঠিক করেছি? আমি এখন তর্ক করবো। এর মূল কারন নিজেকে নিজে প্রবোধ দেয়া।

    এর পর যে কেউ ঐ না-হককে আমার সামনে হক বলবে আমি রেগে যাবো। তাকে প্রচন্ড ভাবে আক্রমন করবো।

    আমি বুঝতে পারছি আমার অস্তিত্ব এখন এটা না-হক প্রমান করার উপর নির্ভর করছে। কারন আল্লাহ না করুন, যদি ঐ পক্ষও হক হয় তবে মুসলিমকে হত্যা করার জন্য আমি জাহান্নামি।


    আমার তর্ক আমার বিশ্বাসের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের এমন পরিক্ষায় ফেলা থেক রক্ষা করুন যে পরিক্ষা আমাদের স্থবির আর নিরাশ করে দেয়।

    10-Oct-2016 15:53:35

    অল্প কথায় "না":


    প্রচলিত "বেশি কথা" পদ্ধতি:

    তার প্রতিটা কথা জবাবে প্রথম থেকেই "না না" করতে থাকা:

  • আপনি আমার অবস্থাটা তো বুঝতে পারছেন।
  • না ভাই, আমি পারবো না।
  • দেখেন ভাই। আপনি চাইলেই পারবেন।
  • না না

    কথা ঘুরাতে থাকবে যতক্ষন না আপনি রাজি হন।

    পরে অন্যরা যখন জিজাসা করবে,

  • কিভাবে রাজি হলেন? আপনার আক্কেল নেই?
  • কি করবো। এমন করে ধরলো..... :-(


    সঠিক পদ্ধতি, অল্প কথায়:

    আপনি চুপ করে যান। তাকে বলতে দেন। "হুম" "হ্যা" এই ধরনের কোনো শব্দ করবেন না। কারো কথার জবাব না দিলে তার কথা দ্বারা প্রভাবিত হবেন না ইনশাল্লাহ। সত্য মিথ্যা যাই বলুক।

    তার কথা শেষ হলে, এবার সে যা কিছু বলেছে সেগুলো রিপিট করুন
    এটা সবচেয়ে জরুরী। নচেৎ সে মনে করবে আপনি তার কথা শুনেননি, বা বুঝেন নি।

    - আমি যা বুঝলাম, আপনি বলছেন যে আমার বাপে মার যাবার আগে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন এই কনট্রাকট আপনাকে দেবে? ঠিক?

    - হ্যা।

    - এবং আপনি আমার আব্বার অনেক কাছের লোক, ঠিক?

    - হ্যা।

    - এবং আপনি ছাড়া অন্যকে এই কাজ দিলে কেউ ঠিক মত করতে পারবে না, ঠিক?

    - হ্যা :-D

    - আর কিছু আছে? আমি সব বুঝতে পারছি?

    - না এটাই।

    - এখন আমি বলছি, যদিও আপনি বলছেন আমার আব্বা আপনাকে কাজ দেবার ওয়াদা করেছেন, এবং আপনি ছাড়া অন্য কাউকে কাজ দিলে এই কাজ করতে পারবে না, এবং আপনি আমার আব্বার কাছের লোক ছিলেন। এগুলো সব বুঝে আমি স্বীদ্ধান্ত নিলাম: আমি আপনাকে কাজ দিচ্ছি না।

    এর পর তার "কেন?" এর জবাব দেবেন না। বা এই কথাগুলো দ্বিতীয়বার রিপিট করবেন না। আপনার পক্ষের যুক্তি তার কাছে তুলে ধরার দরকার নেই। বা তার দাবি যে ভুল সেটাও তাকে বুঝানোর দরকার নেই।

    বেশি প্রশ্ন করতে থাকলে বলেন "এটার জবাব একটু আগে আপনাকে দিয়েছি, শুনেছেন তো?"

    কথা শেষ :-P


    "মানুষ অকারেনই বেশি কথা বলে, বেশি তর্ক করে" ~ জনৈক।

  • 12-Oct-2016 15:15:47


    ফিতনার ব্যপারে কিছু পোস্ট করলে মাঝে মাঝে কমেন্ট আসে, "তাহলে আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর? আলী রা:? এদের ব্যপারে কি বলবেন?"

    এই সব ব্যপারে আমি সাধারনতঃ কোনো কমেন্ট করি না। ডিফেনস এনালাইসিস কিছুই না।

    ছাত্রাবস্থায় যে কয়েকটা জিনিস শিখেছিলাম তার মাঝে এটা ছিলো যে: আহলে সুন্নাহর শিক্ষা হলো সাহাবা কিরামগনের নিজেদের মাঝে যে ঘটনা গুলো হয়েছিলো সেগুলোর ঘটনা শুধু বর্ননা করে যাওয়া। কিন্তু এই ব্যপারে কোনো কমেন্ট না করা।

    যাদেরকেই দেখেছি এই ব্যপারে বিচার বিশ্লেষন করে কোনো "হক দল" বের করে তার পক্ষ নিয়েছে তারা নিজেরা পরবর্তিতে ঐ ধরনের ফিতনায় পড়ে গিয়েছে যেটা নিয়ে সাহাবা কিরামগনকে প্রথমে দোষারোপ করেছিলো।


    "তকদির" বা "কদর" এর ব্যপারে একটা কথা আছে: এই ব্যপারে তর্ক করো না। বেশি কথা বলো না। জাস্টিফাই করার চেষ্টা করো না। "আগে থেকেই যদি সব ঠিক করা থাকে তাহলে.....?" "এর ব্যখ্যা কি?" "এটা তো হতে পারে না" এই সব ব্যখ্যায় যেও না।

    বরং আমি জেনে নেই তকদির কি, কি বিশ্বাস করতে হবে, এবং এর পর অন্ধভাবে বিশ্বাস করি। আমার বোধে আসুক বা না আসুক।

    ফিতনাও অনেকটা এরকম। বেশি ব্যবচ্ছেদ এনালাইসিস জাসটিফিকেশন করতে থাকেল ঐ ফিতনায় নিজে পড়ে যাবার আশংকা আছে।


    আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পরিক্ষা করেন, আল্লাহ মানুষকে বিচার করেন।
    মানুষ আল্লাহকে পরিক্ষা করে না, বা রবের কাজের বিচার করে না।

    আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর রাখেন।

    18-Oct-2016 15:22:28

    উস্তাদকে বললাম,
  • উস্তাদ! ফ্রেন্ড ফলোয়ার অনেক হয়ে গিয়েছে, সবাই ভালো কথা শুনতে চায়, কিন্তু আমার অন্তরে মুনাফেকি।

    - তুমিই প্রথম না, যে এই পরিস্থিতিতে পড়েছে...

    - তাহলে?

    - এর পর মানুষ দু দিকে যায়। এক: সে তার মুনাফেকিকে চেপে রেখে, মানুষ যেটা শুনতে চায় সেটা শুনিয়ে দিতে থাকে। যারা এরকম করতে পারে তাদের কথা দিনে দিনে আরো ইমোশোনাল, আরো জ্বালাময়ী হয়ে উঠে। কারন সে তার নিজের অন্তরের অবস্থা থেকে তার কথাকে আলাদা করতে পেরেছে...

    - আর দ্বিতীয়?

    - বেশি বেশি নসিহা দেবার বদলে, সে আল্লাহর দিকে ঘুরে নিজের মুনাফেকিকে দূর করার জন্য চেষ্টা করে।

    - তবে দাওয়াহ...?

    - দাওয়াহর বড় অংশ হলো তোমার তাকওয়া, তোমার আমল। অন্যরা এগুলো থেকে প্রভাবিত হবে। তোমার বড় বড় যুক্তি তর্ক কথা থেকে না।

    - হুম। আর এখলাসের কি হবে?

    উস্তাদ হাসলেন,

  • বান্দার উপর আল্লাহর এটা আরেকটা পরিক্ষা।

    - বুঝলাম। আর কিছু?

    - তোমাকে উপদেশ দাতাদের কেউ তোমার পক্ষে হাশরের ময়দানে ওকালতি করবে না।

  • 19-Oct-2016 13:54:51

    অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে:

    ১ - হয় ফেসবুকের চারদিকে চলমান বিতর্কে আমাকে শরিক হবে। নয়তো -

    ২ - সব ফিড বন্ধ করে monologue মানে "একা একা কথা" চালাতে হবে। নচেৎ -

    ৩ - শুধু jokes আর funny pic পোস্ট করতে হবে।

    Wondering: আখেরাতের জন্য কোনটা সেইফ?

    27-Oct-2016 22:47:12


    মাঝে মাঝে মনে হয়, দরকার কি? এই সব একটিভিস্টি ছেলেপেলেদের সাথে এত তর্ক করার প্রয়োজন কি? দিনের শেষে তারাও কম্বলি, আমিও কম্বলি। দুজনের কেউই সত্যিকারে কিছু করছি না। ফেসবুকে থিউরিটিক্যল যুদ্ধ চালিয়ে গিয়ে লাভ আছে?

    তার পর মনে হয়, না বরং কিছু কিছু বলে যাই। নচেৎ আমার নিরবতাকে কেউ এর পক্ষে আমার সম্মতি ভেবে ভুল করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমার উপর কিছু দায়িত্ব আসে।


    মাঝে মাঝে মনে হয় ফিতনা নিয়ে এত হাদিস প্রচার করে লাভ কি? কিছু দিন পরই এই সব ফিতনা ইনশাল্লাহ শেষ হয়ে যাবে। এবং আসল জিনিস চলে আসবে। তখন এই হাদিসগুলোর আর প্রয়োজন পড়বে না।

    তার পর মনে পড়ে, না বরং ফিতনা চলতে থাকবে ঈসা আ: এর পরবর্তি যুগ পর্যন্ত। ঈসা আ: এর পরবর্তি দ্বিতীয় খলিফাকে ধরে পাথরের উপর জবাই করবে মুসলিমরা। এর পর আবার ফিতনা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়বে। ইসলাম দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। এ ভাবেই কিয়ামত।

    ঘটনা ঘটতে থাকবে আল্লাহ তায়ালা যেভাবে লিখে রেখেছেন সেভাবে। কিন্তু হয়তো এগুলো জেনে আমার পরবর্তি সন্তানেরা ফিতনা থেকে বেচে থাকতে পারবে যদি আল্লাহ তায়ালা বাচান।


    মাঝে মাঝে মনে হয় এত ডিজিটাল বই প্রচার করে লাভ কি? যেখানে হাদিসে বলা আছে শেষ যুগে জমি চাষ করা হবে ষাড় দিয়ে?

    তখন মনে হয় হয়তো দুনিয়ার কোনো প্রান্তে কেউ এগুলো প্রিন্ট করে রাখবে। ধংশস্তুপের মাঝ থেকে সেই কাগজ পড়ে অজানা কেউ উপকৃত হবে।

    হয়তো।

    Published
    9-Nov-2020