Archive 1604892424

তর্ক : #archive 2012-2015

31-Oct-2012 19:02:53

ফেসবুকে অনেক সময় কোরআন শরিফের আয়াত এর কোটেশন দিয়ে কাউকে এমন বিষয়ে বলতে দেখি যা আমি যা জানি তার বিপরিত। কিন্তু অন্য আয়াত দিয়ে জবাব দিতে পারি না। শুধু ওই হাদিসটার কথা মনে করে যেখানে রাসুলুল্লাহ সা: দেখেছিলেন দুই জন সাহাবি কোন একটা বিষয় নিয়ে তর্ক করছে। এক জন তার যুক্তির পক্ষে কোরআন শরিফের কোন এক আয়াত বলছে। অপর জন অন্য একটি আয়াত তার যুক্তির পক্ষে বলছে। সেটা দেখে রাসুলুল্লাহ [উনার উপর সালাম] রেগেছিলেন এবং বলেছিলেন আগের উম্মত এ কারনে ধংশ হয়ে গিয়েছিল।

সে ক্ষেত্রে করনীয় কি? আমি যেটা করি সেটা হল, চুপ থাকি। নিজে আগে ধংশ থেকে বাচব।

05-Jan-2013 16:47:47

"বান্দারা আমার ব্যপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে: আমি কাছে, ..."

- বাকারা ২: ১৮৬ http://quran.com/2/186/

যে প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি:

  • আল্লাহ কোথায়? এ তর্কে আমাদের লিপ্ত হওয়া কি উচিৎ?
  • 15-Feb-2013 21:08:49

    যুক্তি দিয়ে নয় বরং অন্তর দিয়ে ভাল ও মন্দের পার্থক্য করবে। যদি মু'মিন হও তবে তোমার অন্তরে আল্লাহ বিচক্ষনতা দিবেন যা দিয়ে তুমি হক আর না-হককে চিনতে পারবে।

    সাবধান! এর পর কারো কারো সাথে তর্কে যাবে না, কারন হিকমত যুক্তি দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। তুমি যুক্তিতে হারবে, আর পথ ভ্রষ্ট হবে।

    মনে রাখবে: তোমার নবী তর্ক করে দ্বীন ইসলামকে প্রচার করে যান নি।

    - Anonymous Muslim father's advice to son.

    27-Feb-2013 19:40:34

    কারো সাথে তর্ক শেষ করে চলে আসার সময় প্রতিপক্ষের চেহারায় সবসময় একটা বিজয়ী ভাব দেখতে পারি।
    কিন্তু তর্ক এড়িয়ে চলে আসলে, প্রতিপক্ষের চেহারা এমন ভাবে ঝুলে পড়ে যেন সে তর্কে হারলো।

    04-Jun-2015 15:49:30

    ফিকাহ, মাসলা ও ফতোয়া নিয়ে মুসলিম সমাজে তর্ক, ঝগড়া, ঘৃনা এবং মারামারি বনাম ঐ মুসলিম জাতীর পতনের মাঝে একটা সম্পর্ক আছে। একটা জাতীর পতনের আগে তাদের উলামাদের মাঝে তর্ক-বিদ্বেষ মারামারির পর্যায়ে পৌছে যায়।

    এর পর ঐ জাতীর পতন হয়। মোগল সম্রাজ্যের পতনের আগে এটা দেখা গিয়েছিলো। স্পেনের পতনের আগে। রাশিয়ায় মুসলিমদের পতনের আগে।

    এটাকে বরং বলা যায় আসন্ন পতনের এক লক্ষন। একটা পূর্বাভাষ। A time to get ready.

    দেশে আহলে হাদিসের প্রচাল চলছে ৯০র দিক থেকে। হানাফি আলেমদের পক্ষ থেকে তেমন কোনো বিরোধিতা ছাড়াই। বিরোধিতাটা আরম্ভ হয়েছে আমি বলবো মোটামুটি ২০১২ এর পর থেকে। এই বিরোধিতা আরম্ভ হবার পর এখন দুই দলের মাঝে তর্ক চরমে উঠছে।

    আমার Forecast? এটা আরো বাড়বে। এবং এর পর ঐতিহাসিক ভাবে যা হয়, হয়তো তাই হবে। Time to get ready.

    আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।

    17-Sep-2015 12:40:35

    জীবনের সময়গুলো কাটানো যায়।
  • আমার স্বিদ্ধান্ত ঠিক, এটা অন্যকে বুঝানোর দ্বারা।
  • তার কাজ ভুল, এটা তার কাছে প্রমান করার দ্বারা।
  • অন্য কোনো দল ভালো নাকি মন্দ এই ব্যপারে আমার মত তাকে গ্রহন করানোর দ্বারা।

    অথবা সময় কাটানো যায়,

  • ইবাদতে। আমার রবকে সন্তুষ্ট করার জন্য।
  • তর্কে যে বইয়ের রেফারেন্স তারা দেয়, সরাসরি ঐ বইগুলো পড়ে।
  • এবং তর্কের চ্যলেঞ্জের মাঝে চুপ থেকে, নিজের কাজের প্রতি মনোযোগি হয়ে।

    দ্বিতীয় কাজগুলোকে আমি প্রথম কাজ থেকে উত্তম মনে করি।

  • 08-Dec-2015 17:55:45

    আমার পোস্টের বিষয়গুলোর ব্যপারে কিছু আপত্তি উঠেছে। তাই অডিয়েন্স আরো অনেক ছোট করে এনেছি। এর পরও কারো আপত্তি থাকলে আরো ছোট করে আনবো ইনশাল্লাহ।

    ফ্রেন্ড লিস্টে আছে মাত্র ৭০ জন। তার মাঝে অনেকে পাবলিক পোস্ট ছাড়া আর কিছু দেখতে পায় না।

    শিক্ষনীয় কিছু হলে গ্লোবাল পোস্ট দেই। বিতর্কিত হলে ফ্রেন্ডস অনলি। এবং আমি বেশির ভাগ যা বলি তাতে শিক্ষনীয় কিছু নেই। যাস্ট একটা লগ রাখি কখন কি চিন্তে করছি তার।

    09-Dec-2015 12:44:03

    জামাতে ইসলামির এফিলিয়েটেড একটা আনুষ্ঠান দেখছিলাম ইউটুবে। দেশপ্রেম, দেশকে ভালোবাসা আর দেশের গানে ভরপুর। এর পক্ষে কোরআন হাদিসের প্রমান আর শিক্ষা। "দেশ প্রেম ঈমানের অংশ"।

    কেন? জানিনা। হয়তো, নিন্দুকের সমালোচনা থেকে বাচতে।

    আমাদের আব্দুননূর তুষার ৮০ দিকে শুভেচ্ছা নামে একটা ম্যগাজিন অনুষ্ঠান করতেন বিটিভিতে। তখন উনাকে আমাদের প্রগতিশীলরা সম্পর্কিত করতেন রাজাকারদের সাথে। কারনটা জানি না, সম্ভবত উনার বাপ বা অন্যকারো কারনে। উন্মাদ পত্রিকায় তখন উনার রাজাকার এফিলিয়েশন নিয়ে মশকরাও করা হতো।

    এই আব্দুননূর তুষার ২০১০ এ এসে হয়ে উঠেছেনে শাহবাগীের চেয়ে বড় শাহবাগী। তাদের পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তিবাদী। মুখপাত্র।

    কেন? জানিনা। হয়তো, নিন্দুকের সমালোচনা থেকে বাচতে।

    আমাদের হায়দার হোসেনেও তার "৩০ বছর" গানের বিতর্কের পর ঐ শাহবাগীদের পক্ষ নিলো।

    কেন? হয়তো, হয়তো উনি সত্যি সত্যি মনে প্রানে শাহবাগী। নাকি সমালোচনার কোনো রোল ছিলো এখানে?

    হিন্দুরা যখন গরুর গোস্ত খায় তখন মুসলিমদে থেকেও বেশি খায় বলে শ্রুতি আছে।

    আমাদের দাউদ হায়দার জার্মানিতে গিয়েও নাকি খৃষ্টানদের থেকে বেশি শুকেরের গোস্ত খেতেন।
    ________
    Stick with your believe, And what you think is right. Let not the criticism of criticizers sway you from your path.

    মানুষকে খুশি করা আমার উদ্যেশ্য হলে আমি আল্লাহকে হারাবো।

    11-Dec-2015 12:31:10

    সব দলের দুই সাইড আছে। আমি সব দলের ভালো-মন্দ দুটো দিক দেখতে পছন্দ করি।

    তবে কোনো দলের ভালো কিছু থাকলেই আমি ঐ দলের সমর্থক না, বা কোনো দলের মন্দ থাকলেই আমি তার বিরোধি না। দু পক্ষেরই ভালো মন্দ থাকলেও আমি এক পক্ষের সমর্থক।

    মাঝে মাঝে সেল্ফ কন্ট্রাডিকটিং মনে হয় যখন আমি যুক্তি প্রেজেন্ট করি এক পক্ষের কিন্তু সমর্থন করি অন্য পক্ষকে। এটা স্পস্ট করে বুঝানোর জন্য যে তোমার যুক্তিগুলোকে আমি স্বিকার করছি। কিন্তু আমি সমর্থন করি ঐ পক্ষকে, রিগার্ডলেস।

    কোন দলের বিরোধিতা করার জন্য ঐ দলকে এবসোলিউট খারাপ প্রমান করাকে শর্ত মনে করি না। এবং বিপরিত পক্ষের সবগুলো যুক্তিকে ভাঙ্গা আমি জরুরি মনে করি না।

    এটা তর্ক এড়ানোর জন্য, করি। সত্যকে চিনতে হয় বিচক্ষনতা দিয়ে, যুক্তি দিয়ে না।

    যে জানতে চায় তাকে জানাই। কিন্তু যে আগে থেকে জানে এবং অলরেডি স্বিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, তার সাথে তর্কে জড়াই না।

    কারন এটাই: ভালো-মন্দ যুক্তি উভয় পক্ষের আছে। কিন্তু আমি এক পক্ষের সমর্থক, উভয় পক্ষে না।

    13-Dec-2015 12:35:35

    যারা মাঝে যতটুকু ভালো আছে তা থেকে শিক্ষা নেই। যদি তার মাঝে কোনো মন্দ থাকে তবে তার খারাপ টাকে বাদ দেই।

    যে দলের মাঝে যতটুকু ভালো আছে সেটা থেকে শিক্ষা নেই। মূলধারার বাইরে যা শেখায় সেটা বাদ দেই।

    যে আলেমের থেকে যতটুকু শিক্ষনীয় আছে তা শিক্ষা গ্রহন করি। বিতর্কিত মতগুলোকে বাদ দেই।

    18-Dec-2015 10:41:17

    অনেক সময় "তথ্য ঠিক" সেটা মানি, কিন্তু শুধু ঐ তথ্য থেকে যে ব্যখ্যা পাওয়া যায় সেটা মানি না।

    কারন এর বাইরেও তথ্য আছে, যেগুলো দিয়ে ভিন্ন কোনো ব্যখ্যা পাওয়া যায়।

    এসব জায়গায় আমি যেহেতু আলেম না তাই তর্কে যাই না। কিন্তু স্পস্ট করে বলে দেই, "তোমার রেফারেন্স হাদিসগুলো ঠিক আছে, কিন্তু এর উপর তুমি যে ব্যখ্যা দিচ্ছ সেটা আমি গ্রহন করছি না।"

    এখানে এরকম একটা ঘটনা নিচে বর্ননা করা হয়েছে। যেখানে মিশরবাসী লোকটির তথ্য ঠিক, কিন্তু ব্যখ্য ভুল ছিলো। সঠিক ব্যখ্যা দিয়েছেন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা:।

    Published
    9-Nov-2020