Archive 1604663688

হজ্জ : ২০১৭ সলের পোষ্ট একসাথে #archive

24-Jan-2017 23:40:30

হজ্জের জন্য সবাই যেহেতু টাকা দিয়ে দিয়েছেন তাই এখন পেকেজের মন্দগুলো লিখছি। কারন এখন আর এজেন্সিগুলোর ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। আগে এই সব লিখলে এজেন্সির মালিকেরা আমাকে... আমাকে ....<লিখার অযোগ্য> :-)

প্রথম পর্বে: টাকা বাচানোর জন্য যা করে, এর মাঝে হজ্জের জন্য ক্ষতিকর যা কিছু।

১। মিনার দিনগুলোতে মিনাতে না রেখে, মুজদালিফা এলাকাতে রাখা:

মিনার তাবুগুলোর ভাড়া বেশি। হাজ্জিরা মিনা মুজদালিফার পার্থক্য টের পায় না। তাই মিনার দিনগুলোতে মিনার পেছনে মুজদালিফাতে হাজ্জিদের রাখে।

এর পর তাদের ব্যখ্যা:
"এতে আমাদের কোনো হাত নেই।"
"মুয়াল্লেম যেখানে দেয় সেখানেই থাকতে হবে।"
"এই উপমহাদেশের সবাই এইখানেই থাকে।"
"এটাই মিনা।"
এই সব।

মিনার দিনগুলোতে মিনাতে থাকা হানাফি ফিকাহ অনুযায়ি অনেক উচু স্তরে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এবং সালাফি হাম্বলি মতে ওয়াজিব।

মুজদালিফাতে থাকলে সেটাও মিনার মত হবে এরকম উলামাদের ফতোয়া আছে।
কিন্তু আমার মনে রাখতে হবে আমি এটা করছি টাকা বাচানোর জন্য। এবং এর সাথে আরো বেশ কয়েকটা মাসলা-সমস্যা জড়িত।

এর সমাধান হলো:
সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জে যাওয়া। কারন বাংলাদেশের সরকারী হাজ্জিদের মিনাতেই রাখা হয়। অথবা অল্প দু একটা যে কাফেলাগুলো এখনো মিনাতে হাজ্জি রাখে তাদের সাথে যাওয়া। চার বছর আগে এরকম দেখেছিলাম চট্রগ্রামের মেয়র কাফেলা এবং আরেকটা যার নাম মনে নেই। গত বছর এরকম কেউ ছিলো কিনা সেটা খুজে দেখতে হবে।

২। জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন মসজিদুল হারামের কাছে না রাখা।

ঐ সময়ে মক্কার বাড়ির ভাড়া সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই হজ্জ কাফেলাগুলো বাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাজ্জিদের হয় মদিনা শরিফে, বা মসজিদুল হারাম থেকে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কোথাও রাখে।

এর পক্ষে তারা বলে,
"ঐ সময়ে মক্কায় প্রচন্ড ভিড় থাকে"
"হজ্জের সময়ে আপনারা মিনাতে থাকবেন, তাই মিনার কাছের বাড়িতে আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি।"
"শুধু এক সপ্তাহের জন্য দূরে থাকবেন, আমরা বাস দিয়ে আপনাদের নামাজ পড়ানোর ব্যবস্থা করবো"

এই সব।

অথচ, জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ইবাদতের সোয়াব হলো রমজানের শেষ দশ রাতের ইবাদতের সোয়াবের মত। এটা মিস হয় টাকা বাচানোর জন্য।

তাই কয় স্টারের হোটেল - সেটার থেকেও আমার কাছে জরুরী হলো এই দুটো পয়েন্ট। যেহেতু সোয়াবের জন্য যাচ্ছি।

#HabibHajj

25-Jan-2017 07:51:26

হজ্জের কাফেলার সমস্যা সমুহ - cont./2


সমস্যা : হজ্জ শেষে ফিরার আগে দূরের কোনো বাসায় রাখা।

এটা করে এভাবে

  • হজ্জের এক মাস আগে মক্কায় নিয়ে হারাম শরিফের কাছের কোনো হোটেলে রাখবে।
  • হজ্জের দুই সপ্তাহ আগে মদিনা শরিফ নিয়ে যাবে।
  • এর পর হজ্জের কয়েকে দিন আগে মক্কায় ফিরিয়ে এনে এত দূরে কোনো বাসায় রাখবে যেখান থেকে হারাম শরিফে গাড়িতে করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
  • দেশে ফিরার পূর্ব পর্যন্ত সেখানেই রাখে।

    তাতে তাদের খরচ বাচে:

  • এক মাস আগে হোটেলগুলোর রেট অনেক কম থাকে। তখন কাছের ভালো হোটেলে রাখে। এবং দেশের হাজ্জিদের ঐ হোটেলগুলোর গল্প, দুরত্ব এই সব বলা হয়। কিন্তু হজ্জের সময়ে এবং হজ্জের পরে মূল হোটেল হয় অনেক দূরে।

    সমস্যা:

  • দেশে ফিরার আগে যে ২ সপ্তাহ মক্কাতে থাকতে হবে তখন হারাম শরিফে নামাজ পড়া যায় না। বাসে করে গিয়ে কিছু ওয়াক্ত পড়া ছাড়া। অন্তরে কালো দাগ পড়ে।


    এর পরের সমস্যা : সোজাসাপ্টা মানুষদের প্রমিজড পেকেজে না দিয়ে কম দামিদের সাথে রাখা।

    এটা করে এভাবে

  • বলবে আমাদের প্যকেজ ৬ লক্ষ, ৫ লক্ষ, ৪ লক্ষ, ৩ লক্ষ টাকার। ৫ লক্ষের প্যকেজে ১০০ মিটার দূরে হোটেল। ৩ লক্ষের প্যকেজে ১ কিলোমিটার। এই রকম।

    কিন্তু:
    সেখানে গিয়ে দেখবেন এই চারটা প্যকেজ আসলে একই প্যকেজ। সবাইকে একই হোটেলে রাখছে। একই খাবার।
    "তাহলে বেশি রেইট দিলাম কেন?" জিজ্ঞাসা করলে।
    "আপনারা হলেন ভিআইপি গেষ্ট, বিশেষ মর্যাদার"
    "আপনাদেরকে ৪ জনের ছোট রুম দিয়েছি, ৫ জনের বড় রুমের বদলে"
    "হজ্জে আসছেন এখন চিল্লা পাল্লা করে হজ্জ নষ্ট করবেন না"

    বুঝবেন যে ঠকেছেন। এটা আগে থেকে বুঝার উপায় নেই। কারন তখন তারা বলছিলো "আমরা এই রকম না।"

    উল্লেখ্য এটা মন্ত্রী মিনিষ্টার বা বড় পদের লোকদের ক্ষেত্রে করার সাহস পায় না। তাই সেরকম কেউ হলে আপনার চিন্তা নেই। তাদেরকে মূল কাফেলার বাইরে একটা ফেমিলি প্যকেজে দিয়ে একজন লোক লাগিয়ে দেয়। কিন্তু এর বাইরে আমার-আপনার মত আম-জনতা এই প্রতারনায় পড়ে।

    এর সমাধান হলো:
    সবচেয়ে সস্তা রেটের পেকেজে যাওয়া। গিয়ে দেখবেন সব এক। দেশে যতই বড় গলায় "পার্থক্য আছে", "আমরা এই রকম না" বলুক না কেন।

    উল্লেখ্য: সস্তা পেকেজ আরম্ভ হয় ২ লক্ষ ৬০ থেকে। এরা ৪ লক্ষের পেকেজের সাথে একই সাথে থাকবে।

    পেকেজ এক, কিন্তু যার কাছ থেকে যা নিতে পারে তার উপর ভিন্ন ভিন্ন নাম। :V :V

    #HabibHajj

  • 25-Jan-2017 14:07:00

    হজ্জ কাফেলা প্রসংগ cont/3


    "আপনার লিখা পড়ে আমি চিন্তিত। তাহলে কোন কাফেলার সাথে যাবো?"

    হজ্জের দিনগুলোতে মিনাতে থাকতে চাইলে সরকারী ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। বেসরকারীরা মিনাতে তাবু দিতে পারবে না, তা না। কিন্তু তারা এই এক্সট্রা খরচটা করতে চায় না।

    প্লাস, সরকারী বাসা হজ্জের আগে পরে এবং হজ্জের সময় একই জায়গায় থাকে। শিফটিং হয় না।


    "আমার বাপ-মাকে সংগে নিচ্ছি। সরকারী ভাবে গেলে কে দেখবে? অথচ অমুক ভাই বলেছে তাদের কাফেলার সাথে গেলে তারা সব দেখে শুনে রাখবে।"

    সত্য কথা হলো এদেশে নেতাদের যত আধিক্য থাকুক না কেন। হজ্জে গেলে নেতা খুজে পাওয়া যায় না। নেতা-প্রজা নির্বিশেষে প্রত্যেকে, "কে আছে? কে সাহায্য করবে?" করতে থাকে। তাই নিজেরটা নিজেকে দেখতে হয়। সরকারী হোক বা বেসরকারী।

    তবে এজেন্টরা আপনাকে আস্বস্ততার বানী শুনাতে পারবে। এগুলো শুধু কথা হলেও এটা এক ধরনের সাপোর্ট। এই সাইকোলোজিক্যল সাপোর্ট যদি আপনার প্রয়োজন আছে মনে করেন তবে এজেন্টদের দিয়ে গেলেই ভালো হবে।


    "যদি বেসরকারী ভাবে যাই তবে কোনটায় গেলে ভালো হবে?"

    এ ক্ষেত্রে আমার উপদেশ হবে বড় এজেন্টগুলোকে ধরা। যারা ৫০০-৬০০ এর উপরে লোক নেয়। এবং ১৫-২০ বছর ধরে আছে এমন। এরা আপনার পেছনে ঘুরবে না। আপনাকে এদের পেছনে ঘুরতে হবে।

    বাজারে গিয়ে দেখবেন, যে কম দামে ভালো মাল বিক্রি করে তার দোকানে মানুষ লাইন ধরে থাকে। বাকি যারা আছে তারা কাস্টমারদের ডাকে।

    #HabibHajj

    31-Jan-2017 11:21:21

    মাজহাবগত পার্থক্য - ৯ : হজ্জ

    মিনাতে নামাজ কসর হবে কিনা এবং প্রথম দিনের কাজগুলো আগে পরে করা যাবে কিনা এই দুটো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। বাকিগুলো যে যার মত করে কোনো সমস্যা ছাড়া।


    সালাফি: মিনা-আরাফার দিনগুলোতে নামাজ কসর করতে হবে। মুকিম হোক বা মুসাফির।

    হানাফি: মুকিমরা পুরো নামাজ পড়বে। হজ্জের ১৫ দিন আগে যারা মক্কায় এসে থেকেছে তারা পুরো চার রাকাত পড়বে।


    হানাফি: ঈদের দিন প্রথমে পাথর মারতে হবে, এর পর কোরবানী এর পর মাথা চাছা। এই সিরিয়াল মেইন্টেইন করা ওয়াজিব। আগে পরে হলে দম দিতে হবে।

    সালাফি: উপরের সিরিয়ালটা উত্তম। কিন্তু ওয়াজিব না বা ভাঙ্গলে দম দিতে হবে না।


    সালাফি: হজ্জের ফরজ ৪ টা ইহরাম, আরাফা, তোয়াফ, সায়ি।
    হানাফি: ৩ টী ইহরাম, আরাফা, তোয়াফ। এর বাইরে সায়ি ওয়াজিব।


    সালাফি: মিনার দিনগুলোতে মিনাতে থাকা ওয়াজিব। না থাকলে দম দিতে হবে।

    হানাফি: মিনাতে থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যান্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা থেকে এটা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু না থাকলে দম দিতে হবে না যেহেতু ওয়াজিব না।


    হানাফি: তোয়াফে জিয়ারা ১২ তারিখের মধ্যে করা ওয়াজিব। না করলে পরবর্তিতে তওয়াফ করে নিয়ে দম দিতে হবে।

    সালাফি: ১২ তারিখের মাঝে করা শর্ত না। পরেও যে কোনো দিন করা যায় এবং এর জন্য দম দিতে হবে না।


    সালাফি: তোয়াফে জিয়ারায় রমল হবে না।
    হানাফি: তোয়াফে জিয়ারার পরে সায়ি করতে হলে রমল করতে হবে।


    বর্তমানে পাথর মারার ২য় ও ৩য় দিনে সৌদি আলেমগন ভীড়ের জন্য সকাল থেকে পাথর মারা অনুমতি দেন। এটা সম্ভবতঃ আরম্ভ হয়েছে ২০০৭ সাল থেকে।

    হানাফি মাজহাবে জোহরের আগে ঐ দিনগুলোতে পাথর মারলে হবে না। সময় মত দ্বিতীয়বার মারতে হবে। বা দম দিতে হবে।

    #HabibDiff
    #HabibHajj

    24-Mar-2017 18:59:26

    প্রসংগ : হজ্জ


    শেষ খবর: এবার প্রতি দুই জন যারা হজ্জে যাবার জন্য টাকা জমা দিয়েছেন তাদের মাঝে ১ জন যেতে পারবে। ৭০ হাজার লোক টাকা জমা দিয়েও, যেতে পারবে না।

    সমস্যা কোটার জন্য। বাংলাদেশর কোটা ১৩০ হাজার। গত বছরের ৪০ হাজার আছে লাইনে।


    বলছিলাম আগে টাকা দিয়েন না। পাবলিক শুনলো না। এজেন্সি নাকি বলেছে আগে টাকা দিলে আগে সিরিয়াল দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। এখন?

    অনেক এজেন্সি একজনও পাঠাতে পারছে না। কিন্তু বুগি ঝুগি বুঝিয়ে হাজ্জিদের বলছে "কিছু টাকা বেশি দেন, সিরিয়াল এমনে ওমনে আগে ঢুকিয়ে দেবো।"

    পারবে না। এটা আরেক খেল।


    সরকারী এখনো আমার কাছে সেইফ মনে হচ্ছে। ১০ হাজার হাজ্জির কোটা ছিলো, ৩ হাজার এপ্লিকেন্ট। টাকা দিলেই যাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।

    কিন্তু জনগন আগেই এজেন্সিকে টাকা দিয়ে আটকে আছে। এখন আর ফ্লিপ করার সুযোগ নেই।

    আর সরকারী না যেতে পারলে ঐ বছরই টাকা ফিরত পায়। এজেন্সিগুলো সামনের বছর পাঠাবো বলে টাকা আটকে রাখে।

    #HabibHajj

    24-Mar-2017 19:44:44

    হজ্জ : গত ৪০ বছরে।

    ৮০ দিকে :
    সারা দেশ থেকে হজ্জে যেতো ২ থেকে ৩ হাজার। সবাই সরকারী। এপ্লিকেশন যদি বেশি পড়তো তবে লটারি হতো। এ থেকে সেই লটারি বিজয়ীদের নাম "ব্যলটি"।

    বেসরকারী নন-ব্যলটি হাজ্জি ছিলো। কিন্তু তারা ছিলো সেকেন্ড ক্লাস, কেউ এরকম পারত পক্ষে যেতো না।

    এ সময়ে পর পর তিন বছর জাহাজে করে লোক পাঠানো হয়। সেটা ছিলো আলাদা এক্সপেরিয়েন্স। ধিরে ধিরে মক্কার কাছে আসছি, সবার সাথে গল্প করে নামাজ পড়ে।

    এর শেষ দিকে সৌদি সরকার কোটা সিসটেম করে ভিড় কমানোর জন্য। প্রতি হাজার মুসলিমের জন্য ১ জন প্রতি বছর। বাংলাদেশের কোটা ছিলো ১ লক্ষ। যেতো ৬ হাজার।

    ৯০:
    এর শেষের দিকে বেসরকারী এজেন্সিগুলো আসে। সরকারীতে আর লটারি লাগে না। যারা এপ্লাই করে সবাই যেতে পারে।

    বছরে হাজ্জি ১০ হাজার।

    অন্যান্য দেশগুলোতে একজন ৫ বছরে একবার হজ্জ করতে পারবে। বাংলাদেশে এই নিষেধ নেই। যেহেতু হাজ্জি কম।

    ০০:
    হাজ্জি ২০ হাজার। খরচ ১ লক্ষ টাকা। এখনো যে চায় সে যেতে পারে। সরকারীতে ৬ মাস আগে টাকা জমা দিতে হয়। বেসরকারীতে হজ্জের ১ মাস আগে টাকা দিয়েও যাওয়া যায়।

    প্রচন্ড ভীড়ের কারনে প্রায় প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর আসতো পা চাপা পড়ে।

    ১০:
    হজে যেতে পারবে ১৩০ হাজার লোক, টাকা জমা দেয় ১৭০ হাজার লোক। বছর বছর লোক জমছে, ভীড় বাড়ছে। এদেশেও ৫ বছরে একবার হজ্জে যাবার অনুমতি।

    ৮০ দশকের ব্যলটি-ননব্যলটি টাইপের লটারির আবার ফিরে এসেছে।

    জনসংখ্যা এই সময়ে তেমন বাড়ে নি।
    মানুষ যে আরো বড়লোক হয়েছে তাও না।
    শুধু হাজ্জি বেড়ে গিয়েছে অনেক।

    #HabibHajj

    27-Mar-2017 21:38:35

    প্রসংগ : হজ্জ


    আজকে জানলাম: বাংলাদেশে এখনো এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই যে ৫ বছরে একবার হজ্জে যেতে পারবে। যেটা খবরে এসেছিলো, সেটা ইম্পলিমেন্ট হয় নি।

    অথচ গত ৪ বছর ধরে আমি যত এজেন্সির সাথে কথা বলেছি, সবাই বলেছে, "আমরা স্টাফ হিসাবে দেখিয়ে, ব্যবস্থা করে দেবো।" :-)


    দুই জন এক রূম নিয়ে যদি থাকতে চায় তবে হজ্জের প্যকেজ দুই জনে মিলে ১০ লক্ষ টাকা। হাজবেন্ড ওয়াইফ যার যাচ্ছেন তারা এরকম করতে পারেন।


    এক সপ্তাহের সফরে ওমরা করে অসতে পারেন কেউ চাইলে। খরচ পড়বে ১৩০ থেকে ১৫০ হাজার টাকা।

    #HabibHajj

    28-Mar-2017 20:56:48

    প্রসঙ্গ : হজ্জ


    গতকাল জানলাম :

  • ৫ বছরে একবার হজ্জে যেতে পারবে এ নিষেধাজ্ঞা এ দেশে নেই। একবার কথা উঠেছিলো, পাশ হয় নি।

    অথচ, গত কয়েক বছরে যত এজেন্সির সাথে কথা বলেছি, কেউ কথাটা আমাকে বলে নি।

    দুজন মিলে আলাদা রুম নিয়ে থাকতে চাইলে,

  • হজ্জে লাগবে প্রতিজন ৫ লক্ষ।
  • উমরাহতে ১৩৫ হাজার। ১০ দিনে। প্লাস খাওয়া যাতায়াতের জন্য আরো ২০ হাজার।


    হজ্জে অধিকাংশ সময় কাটে তোয়াফ করে। তোয়াফের অধিকাংশ সময় দোয়া।

    আগে হাজ্জিদের দোয়ার বই দেয়া হতো সৌদি সরকার থেকে, এখন হয় না।
    একটা কিনে নিতে হবে।

    সুযোগ না হলে এখানে আছে।
    https://habibur.com/umra.pdf

    এর ৩৮ পৃষ্ঠা থেকে শেষ পর্যন্ত দোয়া।
    প্রিন্ট করে, নয়তো মোবাইলে পড়া।

    এটা ৭ ভাগে ভাগ করে নিলে হিসাব রাখা সহজ হয়।
    উপরের PDF এ ২ পৃষ্ঠায় এক চক্কর, ১৪ পৃষ্টা মোট।


    অগে মক্কা নাকি মদিনা সফর?

    আগে মদিনা সফরে আবেগ থাকে।
    হজ্জের পরে ক্লান্তি চলে আসে।

    #HabibHajj

  • 21-Apr-2017 13:46:30

    প্রসংগ : মদিনা - ১


    জু্ম্মার আজান সৌদিতে একটা হয় দেখেছিলাম। যতটুকু মনে পড়ে। তবে এখন ভিন্ন। জোহরের ওয়াক্ত হবার ৩০ মিনিট আগে প্রথম আজান হয়। এর পর ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে আজান দিয়ে খুতবা।

    জুম্মায় মক্কা-মদিনাতে এখন দুটো আজান হয়।


    লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালেমার এর অংশ হিসাবে সাথে মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ আছে কিনা, এটা নিয়ে এদেশে স্বল্প কিছু আলেমদের বিরোধিতা আছে। ইউটুবে তাদের কথা আছে। ফেসবুকে খুজলেও একটা ছবি পাবেন কোনো মসজিদের দেয়ালে বড় করে লিখা কালেমার দ্বিতীয় অংশটা কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

    তবে মসজিদে নববীর ঝাড়বাতির প্রতিটা বাতির গায়ে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" লিখা আছে আরবীতে। পূর্ন।

    বুঝলাম, এই মতটা সৌদি সরকারী আলেমদের মত না।


    অনূরূপ বাংলাদেশের মসজিদের মেহরাবের উপরে "আল্লাহু" ও "মুহাম্মদ" ﷺ লিখা নিয়েও তর্ক আছে। ইউটুব খুজলে তাদের আপত্তির যুক্তি পাবেন। তাদের মতে একই লেভেলে দুটো না লিখে আল্লাহু উপরে লিখতে হবে। যেমন কিনা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আংটি মুবারকে লিখা ছিলো।

    তবে ফেক্ট হলো, মসজিদে নববীর দেয়ালে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ ﷺ পাশা পাশি লিখা আছে।

    মানে এটাও সৌদি সরকারী আলেমদের মত না।

    22-Apr-2017 16:43:54


    আযাদ মসজিদ, গুলশান।
    নামাজ পড়ে বেরিয়ে দেখি লিখা "ফটো তোলা নিষেধ!"

    বাইতুল মুকাররমে আগে লিখা দেখেছিলাম "ছবি তোলা নিষেধ"। এখন আছে কিনা জানি না।

    দুটোর কোনোটাই সিকিউরিটির জন্য না।
    এই পয়েন্টগুলো যেন টুরিষ্ট স্পটে কনভার্টেড না হয় তার জন্য।


    এগুলোর থেকে হাজার গুন পবিত্র হলো রওজা শরিফ আর কাবা শরিফ।

    প্রথম যখন ক্যমেরা মোবাই বের হলো তখন সেখানে "হারাম পুলিশ" সবাইকে বাধা দিতো ছবি তোলা থেকে। ৮০ হাজার টাকা দামের N93 আছার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে পুলিশ এরকম ঘটনার কথা পেপারে আসতো।


    এখন সৌদিতে "হারাম" পুলিশ নেই। যারা সব কিছুতে "হারাম হারাম" করতো বলে মানুষ অপছন্দ করতো।

    তাই পবিত্র স্থানগুলোতে ক্যমেরা মোবাইল ভিডিও ছবি শুধু চলে তা না, বরং এগুলো এখন স্পেশাল ফিয়েচার।

    শেষ যুগে ধনীরা হজ্জ করবে প্রমোদ ভ্রমনের জন্য, এই হাদিস হয়তো ফলতে চলছে।


    কাবা শরিফের একটা পয়েন্ট আছে যেখানে দাড়িয়ে কোনো লোক এমন কোনো দোয়া করে নি যেটা কবুল হয় নি। মানে সব দোয়াই কবুল। চাইলেই হলো। দুজন দাড়াতে পারে প্রচন্ড ভীড়।

    রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন আমি ওখানে দোয়া করেছি কবুল হয়েছে।
    যে সাহাবী হাদিসটা বর্ননা করেছেন উনিও বলেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
    উনার থেকে আরম্ভ করে যত বর্ননাকারি ঐ হাদিস বর্ননা করেছেন সবাই বলেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
    যে মুহাদ্দিস এটা লিখেছেন, তিনিও টিকা লিখেছেন আমি করেছি কবুল হয়েছে।
    বাংলা অনুবাদকারী পর্যন্ত লিখেছেন আমি করেছি, কবুল হয়েছে।

    এখন সেই জায়গায় গেলে দেখা যায়, মানুষ দাড়িয়ে ভিডিও করছে।

    ইউটুবে খুজলে ভিডিওগুলো পাবেন। "মুলতাজাম" দিয়ে সার্চ দিলে।


    রওজা শরিফ।

    গেটের সামনে দাড়ালে ১০ ফুট দূরে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কবর দেখা যায়। সবুজ কাপড়ে ঢাকা।

    সবাই সেখানে দাড়িয়ে সালাম দেয়। উনি প্রত্যেকের সালামের জবাব দেন। কেউ জবাব শুনতে পারে, কেউ পারে না। প্রচন্ড ভীড় অল্প অল্প করে পার হয়ে যেতে হয়।

    তবে এখন সেখানে গেলে দেখা যায় সবাই রওজা শরিফের ভিডিও করছে।


    কমেন্টে একজন পাকিস্তানী বুজর্গের লেকচারের ইউটুব লিংক।

    উনি বলছেন, বাংলাদেশে এক বুজুর্গের সাথে তার কথা হয়েছে। নাম রুহুল আমিন। উনি ৮৮ বার রাসুলুল্লাহ ﷺ কে স্বপ্নে দেখেছেন। উনাকে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যারা আমার রওজার কাছে এসে ছবি তোলে আর ভিডিও করে তারা আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।

    https://www.youtube.com/watch?v=R4_xT7D7Ob4


    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উনার শত্রুদের একজন হওয়া থেকে রক্ষা করুন।
    উনার বন্ধুদের অন্তর্ভুক্ত যেন করেন।

    02-Jun-2017 15:07:16


    জু্ম্মার আজান সৌদিতে এখন দুটো হয়। হারামাইনে।

    প্রথম আজান হয় জোহরের ওয়াক্তে আরম্ভ হবার ৩০ মিনিট আগে।
    দ্বিতীয় আজান: ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে।

    দ্বিতীয় আজান দিয়েই খুতবা আরম্ভ হয়।


    কিছু আলেম বলেন --"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" কালেমার এর সাথে "মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ" নেই। ইউটুবে তাদের ভিডিও আছে। ফেসবুকে কিছুদিন আগে একটা ছবি সার্কুলেশন হয়েছিলো যেখানে কোনো এক মসজিদে কালেমার দ্বিতীয় অংশটা কাগজ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।

    একই ভাবে মসজিদের দেয়ালে "আল্লাহু" ও "মুহাম্মদ" ﷺ এর নাম পাশা পাশি লিখা নিয়েও উনারা আপত্তি করেন। তাদের মতে একই লেভেলে দুটো না লিখে আল্লাহু উপরে লিখতে হবে। যেমন কিনা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর আংটি মুবারকে লিখা ছিলো।


    মদিনাতে মসজিদে নববীর ঝাড়বাতির প্রতিটার গায়ে লিখা আছে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" সম্পূর্ন।

    এবং এর দেয়ালে "আল্লাহ" এবং "মুহাম্মদ ﷺ" পাশা পাশি লিখা আছে। একই লেভেলে।

    এটা প্রমান করে যে ঐ দাবিগুলো সৌদি সরকারী আলেমদের মত না।

    #HabibSees

    09-Aug-2017 13:42:10

    হজ্জ ফ্লাইট, খবর পড়ে যা বুঝছি।


    পাচ বছরে একবার হ্জ্জ ওমরাতে গেলে দ্বিতীয়বার ঢুকার জন্য ৪০ হাজার টাকা ট্যক্স দিতে হবে সরকারকে। তেলের দাম কমে গিয়েছে বলে সৌদিদের ফান্ডে টান পড়েছে, সে জন্য এই নিয়ম। এটা কয়েক বছর ধরে সৌদি সরকার নিউজে বলছে। এজেন্সিগুলো শুনে নি। হয়তো তাদের অলটারনেট ব্যবস্থা জানা ছিলো।

    কিন্তু এই বছর, ভিসা আটকিয়েছে।


    দ্বিতীয়তঃ বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো গ্রেড D বা এই রকম সৌদি সার্ভিস প্রোভাইডার ভাড়া করে খরচ কমানোর জন্য। এই বছর সৌদি সরকার ঐ গ্রেডের তাবু কমিয়ে দিয়েছে। এর থেকে উপরের গ্রেডের নিতে হবে কিছু বেশি টাকা দিয়ে। ওগুলো খালি আছে। লাস্ট গ্রেডে কোনো খালি নেই।

    দেশি এজেন্সিগুলো এই টাকা দিতে রাজি না। ভিসা আটকিয়ে আছে।

    উল্লেখ্য হজ্জের সময়ে গ্রেড D রাখে মুজাদালিফাতে। অন্য গ্রেডগুলো রাখে মিনাতে। আর বেশি কথা বললাম না।


    আজকেও দুই ফ্লাইট বাতিল, কালকের আরো দুই ফ্লাইট বাতিল। কারন হাজ্জি নেই। ভিসা এখনো হয় নি বলে। হজ্জের আর ২০ দিন। আগেও ফ্লাইট বাতিল হতো। কিন্তু হজ্জের এত কাছে এসে হতো না।

    29-Aug-2017 15:32:46

    মক্কা থেকে মিনা, মুজদালিফা, আরাফার দূরত্ব। হজ্জের সময়ে প্রচন্ড গাড়ির সমস্যা থাকে বলে এই ডিসটেন্সগুলো অনেকে হেটে আসা যাওয়া করে।

    ১। মক্কা থেকে মিনা : হেটে ১ ঘন্টা।
    ২। মিনা থেকে মুজদালিফা : হেটে ১ ঘন্টা।
    ৩। মুজদালিফা থেকে আরাফা : হেটে ২:৩০ ঘন্টা।

    এর মাঝে ২ নম্বর ডিসটেন্সটা ঈদের দিন সকালে নারি পুরুষ বৃদ্ধ জোয়ান নির্বিশেষে সবাইকে হেটে যেতে হয়। এই রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই।

    সব কিছু হেটে করতে চাইলে হজ্জের ৬ দিনে মোট ১৩০ কিলোমিটার হাটতে হয়। কোরবানী তওয়াফ সব মিলে।

    29-Aug-2017 21:16:21

    আজকে সন্ধ্যা থেকে হাজ্জিরা হজ্জের জন্য মিনাতে যাওয়া আরম্ভ করেছে।

    এবছর শেষ পর্যন্ত ১৩০ জন হাজ্জি ভিসা পেয়েও যেতে পারে নি বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে বলে।

    আজকের দিনের উপর গত বছরের পোষ্ট।

    30-Aug-2017 10:32:01

    হাজ্জিরা আজকে মিনায় পৌছে যাচ্ছে। মিনায় প্রথমদিন যে সমস্যাগুলো হয় তার উপর একটা comical look কমেন্টে।

    আজকে রাত থেকে হাজ্জিরা আরাফায় যাওয়া আরম্ভ করবে ইনশাল্লাহ। এর উপর একটা serious take কমেন্টে।

    30-Aug-2017 11:16:50

    আরাফার দিন রোজা: এর সোয়াব হলো গত এক বছর আর সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

    জিলহজ্জের ৯ তারিখ আরাফা। সৌদিতে ৯ তারিখ কালকে বৃহস্পতিবার। আর বাংলাদেশে ৯ তারিখ হলো আগামি শুক্রবার, সৌদিদের পর দিন।

    তাহলে কবে রোজা রাখতে হবে?

    এর ব্যপারে ১/ প্রচলিত ফতোয়া, ২/ হানাফি আলেমদের ফতোয়া, এবং ৩/ islamqa এর ফতোয়া তিনটাই হলো -- যে দেশে যে দিন ৯ তারিখ সে দিন। মানে বাংলাদেশে শুক্রবার রোজা রাখলে সেই সোয়াব পাবো।

    আর এর বাইরে কিছুটা আধুনিক ফতোয়া হলো যে দিন হাজ্জিরা আরাফার মাঠে যাবে সেদিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।

    পারলে দুই দিনই রাখি।

    31-Aug-2017 19:34:04

    আজকে মাগরিবের ওয়াক্ত হবার সাথে সাথে সমস্ত হাজ্জিরা আরাফা থেকে মুজদালিফায় রওনা হবে। মাগরিবের নামাজ না পড়ে। মাগরিব পড়তে হবে ইশার ওয়াক্তে।

    সমস্ত হাজ্জি যেহেতু এক সাথে রওনা হচ্ছে তাই প্রচন্ড ভীড়। হাটা রাস্তায় এই সময়ে আরাফার মাঠ থেকে বেরুনোর রাস্তার মুখে প্রচন্ড ভীড় চাপা চাপি হয়। আর মুজদালিফার মাঠে ঢুকার মুখে প্রচন্ড ভীড় আর চাপা চাপি। তবে বাকি রাস্তা খোলা মেলা এবং মরুভুমির রাস্তা দিয়ে রাতে হাটতে ভালো লাগবে। সবার সাথে।

    গাড়িতে আসলে গাড়ি রাত ৯ট ১০টা বা ১টা পর্যন্ত দেরি হতে পারে। এর পরও গাড়ির জন্য ধাক্কা ধাক্কি আছে। এর উপর গাড়ি রাস্তায় বেরিয়ে সারা রাত জ্যমে আটকিয়ে থাকতে পারে। দরজা খুলবে না, বা আপনি অপরিচিত জায়গায় নামতেও ভয় পাবেন। এই অবস্থায় সারা রাত টয়লেট আটকিয়ে থাকা আরেকটা কষ্ট।

    এজন্য এই রাস্তাটা হেটে আসা ভালো যারা হাটতে পারে।

    হেটে দুই ঘন্টা লাগবে আরাফা থেকে মুজদালিফা পৌছতে। ৮টার মাঝে পৌছে মাগরিব ও ইশা কয়েকজনে মিলে জামাতে পড়ে ঘুমিয়ে যেতে পারবেন ৯টার মাঝে। গাড়িতে যারা আসবে তারা তখনো আরাফার মাঠে গাড়ির জন্য দৌড়া দৌড়ি করছে। পৌছতে পৌছতে রাত ১টা যারা আগে পৌছবে। নয়তো সকাল।

    31-Aug-2017 21:54:10

    হজ্জ টিপস,


    মুজদালিফা ঢুকার পরে প্রথম কাজ হয় সোজা রাস্তা দিয়ে না হেটে ডান দিকের কোনো রাস্তা নিয়ে মাঠের সাইডে চলে যাওয়া। সোজা রাস্তায় টয়লেটে প্রচন্ড ভীড়। একেক দরজায় ২০-৩০ জন করে লাইন। সাইডে চলে গেলে কমে যায়। ২-৩ জন করে লাইনে।

    টয়লেটের সমস্যার জন্য এই দিন কম খাওয়া ভালো।


    বাংগালিরা যেহেতু মিনার দিনগুলোতে মিনায় না থেকে মুজদালিফার একাংশের তাবুতে থাকে। তাই নিজের তাবুতে ফিরে গেলেও ট্যকনিক্যলি ঠিক আছে। তবে কেমন যেন দল ছাড়া মনে হবে।

    বাকি সবাই রাস্তার সাইডে খোলা মাঠে ঘুমায়।


    এত কষ্ট না করে শর্টকাট হজ্জ করার উপায় আছে। মুজদালিফায় না থেমে, নিজের বাসায় চলে যাওয়া। এজেন্সি এই সময়ে মক্কার বাসা ছেড়ে দিয়ে মিনার কাছে কোনো এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়।

    এর পর বাকি দিনগুলো সেখানেই থাকা, এবং প্রক্সি দিয়ে পাথর মারা। টিকেট কেটে কোরবানী। এবং তিন দিনের মাঝে কোনো একদিন গিয়ে তোয়াফ করে আসা। যাদের সংগে মহিলা থাকে তারা সাধারনতঃ এরকম করে।

    01-Sep-2017 10:46:34

    হজ্জ এক্সপেরিয়েন্স:


    হাজ্জিরা আজকে সকালে উকুফে মুজদালিফা শেষে মিনাতে যার যার তাবুতে ফিরছে। প্রায় ৭০% হাজ্জি পথ হারিয়ে এই মাথা থেকে ঐ মাথা ঘুরতে থাকে, কাফেলার সর্দাররা সহ। এই সমস্যার সমাধানে বর্তমানে কাফেলাগুলো মিনার তাবুতে না ফিরে, মক্কার বাসায় চলে যায়।


    তবে টেকিদের জন্য সহজ সমাধান হলো গতকাল যখন তাবুতে ছিলেন তখন মোবাইলের GPS এ তাবুর পয়েন্ট টা মার্ক করে রাখা। এর পর ট্রেক করে ফিরে আসা। এরকম করলে সামান্য কোনো রাস্তাও ঘুরতে হবে না। সবার আগে ফিরে আসতে পারবেন।


    মিনার দিনগুলোতে মিনায় থাকা হানাফি মাজহাবে অনেক উচু স্তরের সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যান্য মাজহাবে ওয়াজিব, এবং না থাকলে দম দিতে হবে।


    আজকের দিনটা সবচেয়ে পরিশ্রমের। পাথর মেরে, কোরবানী দিয়ে এর পর মাথা কামালে কাজ শেষ। সবগুলো শেষ করতে করতে বিকাল ৩টা বেজে যায়। প্রচন্ড রোদে হাটতে হবে। পানির বোতল সংগে রেখে। কিছুক্ষন পর পর মাথায় শরিরে গব গব করে পানি ঢেলে।


    এই দিন পাথর মারতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। দুই বছর আগে ৬ হাজার মারা গিয়েছিলো। ভিড় হয় সকাল ৮ টায়। এর জন্য প্রথমে তাবুতে এসে এর পর সকাল ১০ টা পাথর মারা টার্গেট করে রওনা দিলে ভালো। মারার জন্য বেস্ট হলো এসকেলেটরে তিন তলা থেকে। কমপ্লেক্সটা ৬ তলা।


    নিজে কোরবানি দিতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হলো সরকারী কসাইখানা মুয়াইসাম এ চলে যাওয়া। পাথর মারা জায়গা থেকে মুআইসামের রাস্তা বড় বড় সাইনবোর্ড দিয়ে মার্ক করা আছে। সাইনবোর্ড আর ডিরেকশন ধরে ২-৩ ঘন্টা হাটতে হবে। পুরোটাই হাটার রাস্তা, কোনো গাড়ি নেই। দুটো টানেল আছে এখানে। ১৯৯০ সালে এই টানেলে দেড় হাজার হাজ্জি মারা গিয়েছিলো।


    মুয়াইসামে ফিক্সড প্রাইস। ৫০০ থেকে ৬০০ রিয়ালে একেকটা দুম্বা। প্রি পে করে ভেতরে গিয়ে নিজে দুম্বা পছন্দ করে ধরে নিয়ে আসলে কসাইরা আপনার সামনে জবাই দিয়ে দেবে। অপনি দোয়া পড়বেন আর নিয়ত করবেন।

    গোস্ত দিয়ে দেবে মেশিনে প্রসেস করে। যদি আপনি না নেন তবে এটা দান হিসাবে বাংলাদেশে বা আফ্রিকায় পাঠিয়ে দেবে।

    তবে এখানেও ভিড়, লাইন আছে। ২ ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয়।


    মাথা কামানোর জন্য ২০ রিয়াল। বাংলা টাকায় ৪০০ টাকা। এর পর আপনি ফ্রি। হজ্জের বড় কাজ শেষ। এহরাম ভেঙ্গে গিয়েছে। ফিরার সময় প্রচন্ড রোদে এহরামের কাপাড় মাথায় দিয়ে ফিরতে পারবেন। এহারম অবস্থায় মাথায় কাপড় দেয়া যায় না।

    GPS ট্রেকার থাকলে সেটা এখনও দুর্দান্ত কাজে লাগবে। ফিরার জন্য শর্টকাট রাস্তা চিনতে।


    তাবুতে ফিরে বিশ্রাম। তখন হয়তো ৩ টা। সারা দিনে ৮ ঘন্টা হাটা প্রচন্ড রোদে।

    তবে আজকে অর্ধেক রাত ঘুমাতে পরবেন শুধু। মাঝ রাতে আবার উঠে যেতে হবে। সেটা পরে....

    02-Sep-2017 08:47:24

    হজ্জ এক্সপেরিয়েন্স:


    প্রথম দিনের, মানে ঈদের দিনের পরিশ্রমের পর আজকে আধা রাত ঘুমিয়ে ১২ টায় উঠে যেতে হবে। মোবাইলে এলার্ম এই সময়ে কাজে লাগে। এখন তোয়াফের জন্য হারাম শরিফে যেতে হবে।

    এই ৬ কিলোমিটার রাস্তা হেটে যাওয়া ভালো যদি সংগে মহিলা না থাকে। টানেলের ভেতর দিয়ে শর্ট কাট। ১ ঘন্টা লাগবে।

    গাড়িতে গেলেও ১ ঘন্টা হাটতে হবে গাড়িতে উঠার আগে আর নামার পরে। এর উপর বাসে গেলে ভাড়া ১ হাজার বাংলা টাকা, ট্যক্সিতে ৫ থেকে ১০ হাজার।


    রাতে প্রচন্ড পরিশ্রান্ত বলে অনেকে চিন্তা করে: সম্ভব না, বরং সকালে যাবো। সকালে গেলে প্রচন্ড ভিড়ে পড়তে হবে তোয়াফের সময়। সবাই সকাল যায় বলে।


    হারামে পৌছে ফজরের নামাজের আগে তোয়াফ। আর নামাজের পরে সায়ি। সায়ির সময়ে দেখবেন তোয়াফে প্রচন্ড ভীড় বেড়ে যাচ্ছে। সায়ি শেষ করে হেটে আবার মিনায় ফিরত। তখন লক্ষ লক্ষ লোক মক্কায় যাচ্ছে তোয়াফের জন্য।


    ফিরতে ফিরতে সকাল ১০ টা। আজকেও ১০ ঘন্টা প্রায় পুরোটা হাটার উপর। পায়ে ঠোসা পড়ে যাওয়া কমন।


    এর পর কিছু বিশ্রাম করে বিকাল ৩ টার দিকে যেতে হবে পাথর মারতে। এর পর আজকের কাজ এখানে শেষ।

    Published
    6-Nov-2020