Archive 1604661575

হজ্জ : ২০১৬ এর পোষ্ট সমুহ একসাথে #archive

29-Mar-2016 21:15:57

উসমান রা: এর খিলাফতের সময়।
হজ্জের দিনগুলোতে।
মিনা-তে।

সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রা: মসজিদে ঢুকে জিজ্ঞেস করলেম, "আমীরুল মু‘মিনীন যােহরের নামায কয় রাকাত আদায় করেছেন?"

লোকেরা জবাব দিলেন, "চার রাকা‘আত৷"

ইবনে মাসউদ রা: ও চার রাকাত আদায় করলেন।

তখন লোকেরা বললাে, "আপনি তো আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এখানে দুই রাকাত আদায় করেছেন।
আবু বকর রা: এখানে দুই রাকাত আদায় করেছেন।
উমর রা: এখানে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন।"

ইবনে মাসউদ রা: বললেন, "হ্যা। এখনো আমি সে হাদীস শোনাচ্ছি। তবে আমি ইখতিলাফ পছন্দ করি না৷"

(আল বিদায়া, ৭ম খন্ড)
_____
১৪শ বছর পরে।

হজ্জের সময় বাংলাদেশিদের তাবু গুলোতে জোহরের নামাজ দুই রাকাত নাকি চার রাকাত পড়া হবে, সেটা নিয়ে ঝগড়া চলে।

শেষে ভিন্ন ভিন্ন জামাত।

_____
ইখতেলাফ -- ঐক্য -- আমিরের অনুসরন।
আর আমি যেটা জানি ভুল -- সেটাও ঐক্যের জন্য মেনে নেয়া।

16-Aug-2016 23:50:55

হজ্জের উপর কিছু টিপস:

হজ্জের মাসলা মাসাইল হজ্জের যাবার আগে সব শিখে যেতে হবে। ঐ খানে গিয়ে --লোকে যা করে দেখে দেখে করবো -- হলে হজ্জ নস্ট হবার আশংকা থাকে।

কারন দেখবেন লোকে কি করবে সেটা অধিকাংশই জানবে না। অপনাকে জিজ্ঞাসা করবে।

এবং যারা জানে তাদের মাঝে মাসলা মাসায়েল নিযে দ্বিমত ঝগড়া চলতে থাকবে। আপনি কনফিউজড হবেন।

২০ পৃস্টার কোনো পেপার ব্যক দিযে হজ্জের মাসলা সব শিখতে পারবেন না। হজ্জের উপর ২০০ পৃস্টার মোটা কোনো বই আগা থেকে গোড়া পড়ে যেতে হবে।

পড়া শেষ হলে টেস্ট:
১। ইহরাম অবস্থায় অজুর সময় দেখলেন হাতে দুটো দাড়ি ঊঠে গিয়েছে। কি করতে হবে?
২। ইহরাম অবস্থায় হাটতে গিয়ে পা কেটে গেলো, কি করতে হবে?
৩ কতটুকু সময় মুজদালিফাতে থাকলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে, দম দিতে হবে না?

এই ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি বইটাতে পান, তবে চলবে। নচেৎ শেখাটা ইনকমপ্লিট। আরো মোটা বই পড়তে হবে।

#HabibHajj

17-Aug-2016 19:16:58

হজ্জের আরো টিপস:

হজ্জের পরে দিনের সকালে সবাই পথ হারিয়ে ফেলে।

এজন্য মোবাইল ফোনের GPS দিয়ে কিভাবে লোকেশন মার্ক করে এর পর ট্রেক করে আবার ঐ জায়গায় ফিরে আসতে হয় সেটা দেশের থেকেই শিখে যেতে হবে।

"আমরা পুরো গ্রুপ এক সাথে থাকবো তাই হারাবো না" -- এই চিন্তা ভুল। কারন গ্রুপের কেউ পথ চিনে না। এক জন অন্য জনের দিকে তাকিয়ে থাকে। এর পর এমন একজন লিড দেয় যে নিজেও রাস্তা চিনে না।।

৫০ থেকে ১০০ জনের পুরো গ্রুপ পথ হারিয়ে সারা দিন তাবুর খোজে ঘুরতে থাকা একটা কমন দৃশ্য।

এর সমাধান হলো নিজের রাস্তা নিজেই চিনে নেবার চেস্টা করা। এর জন্য মোবাইল ফোনের GPS.

18-Aug-2016 15:39:04

হজ্জের টিপস - ৩

হজ্জের সময়ের দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর অধিকাংশ হয় পাথর মারা সময়। "হজ্জে এসে মরলে শহিদ হবো" এই এটিচিউডটা একার জন্য ঠিক আছে। তবে মহিলা-বৌ-বাচ্চা নিযে গেলে এর দেখভাল করার দায়িত্ব আপনার। দুর্ঘটনায় পড়ে আপনার দায়িত্বের কেউ আহত বা নিহত হলে এবং আপনি বেচে গেলে, সারা জীবন আপনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। দেখা বিষয়।

তাই,
পাথর মারার জন্য একবার রওনা দিলে আর ফিরের আসার, বা অপেক্ষা করার উপায় নেই। আপনাকে হেটে যেতে হবে স্রোতের সাথে। স্রোতের সামনে যদি মানুষ মারা যেতে থাকে তবে আপনিও সবাইকে নিয়ে সেখানে পৌছে যাবে। আগে থেকে বুঝে রাস্তা বদলানোর উপায় নেই।

তাই কোন সময় বের হবেন এটা খুব সিরিয়াস ইসু।

আমার টিপস:
প্রথম দিন পাথর মারার জন্য: নিজে একা হলে জোহরের পরে যান। মহিলা-বৃদ্ধ থাকলে সবাইকে নিয়ে ইশার পরে যান।

শেষ দিন পাথর মারার জন্য: বিকাল ৩ টার পরে যান।

সবচেয়ে বিপদজনক সময়:
প্রথম দিন: সকাল ৮টার দিকে।
শেষ দিন: দুপুর ১২টার দিকে।

প্রথম আর শেষ দিন ব্যতিত অন্যান্য দিন তেমন কোনো বিপদ থাকে না, আল্লাহর রহমতে।

19-Aug-2016 15:18:41

হজ্জ টিপস - ৪

আরাফা থেকে সন্ধায় ফিরে আসার সময় হেটে ফিরা সবচেয়ে কম কস্টের। গাড়ি ধরতে চাইলে রাত ১২ টা পর্যন্ত রাস্তায় ছুটা ছুটি করতে হবে। অন্যদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করতে হবে। এর পর সারা রাত গাড়িতে দাড়িয়ে থাকতে হবে জ্যামে। না পারবেন ঘুমাতে, না টয়লেট করতে।

হেটে ফিরলে রাত ৯টার দিকে মুজদালিফায় পৌছে। নামাজ পড়ে। ঘুম দিতে পারবেন।

মুজদালিফায় পৌছে স্রোতের সাথে না হেটে বরং ডান ঘুরে গিয়ে রাস্তাগুলো ক্রস করে সাইডে চলে আসলে বাথরুমগুলো খালি পাবেন।

মূল রাস্তার উপর বাথরুমের লাইনে ৩০ জন থাকে। ৩০০ গজ উত্তরে চলে গেলে ৩ জন।

হজ্জে সবচেয়ে কস্টের রাত হলো এই রাত্রটা। এই রাতে রাসুলুল্লাহ ﷺ এর শেষ দোয়াটা কুবল হয়েছিলো।

#HabibHajj

20-Aug-2016 14:11:34

হজ্জের আহকামে হানাফি এবং সালাফি-হাম্বলি মাজহাবের কিছু পার্থক্য:


মিনার দিনগুলোতে মিনাতে থাকা হাম্বলিদের মতে ওয়াজিব। না থাকলে দম দিতে হবে।

হানাফি মাজহাবে মিনাতে থাকা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যান্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা থেকে এটা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু না থাকলে দম দিতে হবে না যেহেতু ওয়াজিব না।


তোয়াফে জিয়ারা হানাফি মাজহাবে ১২ তারিখের মধ্যে করা ওয়াজিব। না করলে পরবর্তিতে তওয়াফ করে নিয়ে দম দিতে হবে।

সালাফি-হাম্বলি মাজহাবে ১২ তারিখের মাঝে করা শর্ত না। পরেও যে কোনো দিন করা যায় এবং এর জন্য দম দিতে হবে না।


তোয়াফে জিয়ারায় হাম্বলিরা রমল করতে নিষেধ করে।
হানাফি মাজহাবে রমল করতে হবে যদি পরে সায়ি থাকে।

আর হাম্বলিদের মতে হজ্জের সায়ি ফরজ। হানাফি মাজহাবে ওয়াজিব। তবে এটা নিয়ে কনফিউশন হয় না, কারন সায়ি সবাই করে। বাকিগুলো নিয়ে কনফিউশন হয়। এজন্য বলা।

03-Sep-2016 13:16:59

হজ্জ বা উমরা করার জন্য এখন সৌদি সরকারকে ২০০০ রিয়াল বা ৪০ হাজার টাকা ট্যক্স দিতে হবে। শুধু প্রথমবার যে যাচ্ছে তার জন্য এটা মাফ।

হজ্জের পথে ট্যক্স কালেকশন অনেক পুরানো সমস্যা। পুরানো মাসলার কিতাবে এটা নিয়ে আলোচনা আছে। যদি হজ্জে যাবার পথে ট্যক্স দিতে হয় তবে কি হজ্জে যাবে নাকি যাবে না?

উত্তরে আলোচনা করা হয়েছে ট্যক্স দিলে জালেমকে সাহায্য করা হয়, তাই এটা নিষেধ। শেষে কংক্লুশন: কারো যদি হজ্জ ফরজ হয় তবে ট্যক্স দিয়ে হলেও সে হজ্জে যাবে।

কিন্তু আগেও তো সৌদি সরকার ট্যক্স নিতো?

না এর আগে নিতো না। যে ফিসটা নিতো এটা "মুয়াল্লেম ফি"। মানে মিনার, আরাফার তাবুর খরচ, মক্কা-মদিনা যাতায়াতের বাস ভাড়া এই সব বাবদ।

তাহলে নতুন এই ট্যক্সে কারন? গভার্মেন্টের ফান্ড বাড়ানো। তেলের দাম কমে যাওয়ায় সরকার টানে আছে।

সৌদি সরকারকে ভালো ইসলামি সরকার বলতাম এর একটা কারন তারা জনগন থেকে ট্যক্স আদায় করতো না।

সময় বদলাচ্ছে।

09-Sep-2016 21:22:56

মক্কায় হাজ্জীরা সবাই আজ সন্ধার পর থেকে মিনায় রওনা দেয়া আরম্ভ করবে ইনশাল্লাহ।

সুন্নাহ হলো কালকে ফজরের নামাজ মক্কায় পড়ে। এশরাকের পর ইহরাম বেধে রওনা দিয়ে জোহরের আগে মিনায় পৌছে মিনায় জোহরের নামাজ পড়া। কিন্তু ভীড়ের কারনে আজ রাত থেকেই নেয়া আরম্ভ হয়।

কালকে সকালে হেটে যেতে চাইলে, মারওয়া পাহাড় থেকে কিছু দূরে, দুটো টানেল আছে অন্য এক পাহাড়ের ভেতর দিয়ে। এটা দিয়ে হেটে ১ ঘন্টায় মিনা যাওয়া যায়। তবে কোনো অপরিচিত জায়গার ম্যপ দেখে গন্তব্য খুজে পাবার প্রেকটিশ না থাকতে এটা করা অনুচিৎ হবে।

10-Sep-2016 12:43:05

হজ্জে মিনার প্রথম দিন যে সমস্যা গুলো হয়, এবং সমাধান:

সমস্যা: বাথরুমে বিশাল লাইন!

সমাধান: নামাজের আগে বাথরুমে না গিয়ে নামাজের পরে যেতে হবে। নামাজের অগে প্রতি দরজায় ৬ জন করে থাকলে পরে ১ জনও থাকে না। আর এই ভীড় দেখে ভয় পাবার কিছু নেই। ভিড় শুধু প্রথম দিন থাকে। এর পর আর দেখা যায় না।

সমস্যা: ছেলে-মেয়ে এক তাবুতে ঢুকিয়ে দিয়েছে কারন এজেন্সির লোক পর্দা বুঝে না। অথবা কোনো এক ফেমিলি তাবুতে ঢুকে আর কাউকে ঢুকতে দেবে না, কারন ভেতরে মহিলা আছে।

সমাধান: সাধারনতঃ কিছুক্ষন অপেক্ষা করলেই এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। ছেলে মেয়ে আলাদা তাবুতে ভাগ হয়ে যাবে। এর আগে চেচামেচি হয়, কিন্তু আমাকে চুপ করে সাইডে বসে থাকতে হবে। লা জিদারা ফিল হজ্জ -- হজ্জে ঝগড়া ঝাটি নেই।

সমস্যা: নামাজ ২ রাকাত নাকি ৪ রাকাত পড়তে হবে এটা নিযে গন্ডোগোল। সালাফিদের মতে ২ রাকাত। হানাফিদের মতে ৪ রাকাত। শেষে আলাদা আলাদা জামাত।

সমাধান: ইমাম সাহেব যত রাকাত পড়বেন, আমিও তত রাকাত।

সমস্যা: বিকাল ৪ টা হয়ে যাচ্ছে, সবার পেট চু চু করছে। অন্য সব তাবুতে খাবার দিয়ে দিয়েছে, অমাদের কাফেলার খাবারের খবর নেই।

সমাধান: না খেয়ে লম্বা সময় থাকার অভ্যাস করে আসতে হয়। ধর্য্য ধরে সবর করতে হয়। আগে থেকে কিছু খাবার সংগে রাখতে হয়।

সমস্যা: মোবাইলের চার্জ দেবার সকেট একটা, মোবাই কয়েকশ।
সমাধান: হজ্জে যাবার আগে ১০ গজ তারের একটা মাল্টিপিন কানেকটর বানিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নিজেও ব্যবহার করতে পারবো, অন্য হাজ্জিদেরও উপকার হবে।

সমস্যা: বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আন্দোলনে কেন শরিক হচ্ছি না, এটা নিয়ে ধমকা ধমকি। :-P "আপনারা বসে থাকলে তো হবে না!"

সমাধান: ধমক খেয়েও হাসি মুখে চুপ করে বসে থাকতে হবে :-D কাজ করার জন্য কাফেলার লোক আছে।

সমস্যা: প্রত্যেক তাবুতে মাইক লাগিয়ে এমন লম্বা বয়ান, দোয়া চলছে যে ঘুমাতে পারছি না। "ভাই জরুরী কথা! কেউ ঘুমাবেন না"

সমাধান: :-D

#HabibHajj

10-Sep-2016 19:49:34

আজকে ইশার পর থেকে হাজ্জিদের আরাফার মাঠে নেয়া আরম্ভ হবে। নিয়ম হলো কালকে ফজরের পর রওনা হওয়া। কিন্তু ভীড়ের কারনে রাত থেকেই নেয়া আরম্ভ হয়।

রাতে আরাফায় গেলে সমস্যাগুলো:
রাতে না ঘুমিয়ে বাসের জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে। একটা বাস আসছে, ধাক্কাধাক্কি। আবার এর পরেরটার জন্য অপেক্ষা। এরকম।

আরাফার মাঠে পৌছলেও রাতে ঘুমাতে পারবো না মশার জন্য। আরাফার মাঠে মশা আছে "নিম গাছ" আছে বলে। মিনাতে মশা নেই।

টয়লেট আরাফায় আরো কম, স্বল্প সময় থাকতে হয় বলে।

সমাধান,
মুয়াল্লেমের লোকদের [এরা আরব] বলতে হবে: বরং কালকে সকালে আমি হেটে যাবো। বলে তাবুতে শুয়ে থাকতে হবে। ফজরের সময় নামাজ পড়ে, দেখবেন সব চলে গিয়েছে একটা বাস দাড়িয়ে আছে ফজরের পরের লাস্ট ব্যচ নিয়ে যাবে বলে। এরকম গোয়ার পাবলিক আরো দুচার জন থাকে :-) এদের সাথে চড়ে বসতে হবে।

বাস না পাওয়া গেলে হেটে যেতে হবে। তাই হেটে আরাফায় যাবার মত সাহস, শক্তি, মানসিকতা না থাকলে এটা করা নিষেধ।

এই সময়টা খুবই ইমোশোনাল সময়। বহু কস্ট করে বহু দূর থেকে আল্লাহ তায়ালা এই পর্যন্ত নিযে এসেছেন। এখন এই শেষ ২০ কিলোমিটার নিয়ে গেলেই হজ্জ হবে, ইনশাল্লাহ।

এই পর্যন্ত এসেও আল্লাহ তায়ালা কিছু লোককে ফিরিয়ে দেন। এক দম্পতি মিনার প্রথম দিনের কস্ট দেখে, "আমরা হজ্জ করবো না, টাকা আছে পরে আবার আসবো" বলে মক্কায় ফিরে গিয়েছে। তাদেরকে "আর সামান্য একটু গেলেই হজ্জ হয়ে যাবে" বলে আটকানো যায় নি।

কবুলিয়াত উনার হাতে।
যাকে ডাকেন, সে লাব্বায়েক বলে হাজির হয়।
উনি স্রষ্টা যা ইচ্ছে করেন। আমরা দাস।

#HabibHajj

11-Sep-2016 14:35:21

আরাফার দিনের টিপস:

- রোজা না রাখলেও এই দিন রাসুলুল্লাহ ﷺ সারা দিন প্রায় কিছু খান নি। প্রচুর খাবার বিতরন করা হয়, কিন্তু বেশি খেলে বার বার টয়লেটে যেতে হবে।

- তাবুতে বসে থাকলে হজ্জের খুতবা শুনা যাবে না। তাই ট্রেকার জেনারেশনের উচিৎ জোহরের আগে মসজিদে নামিরার কাছে গিয়ে খুতবা শুনে জোহর-আসর একসাথে পড়ে নেয়া। মোবাইলে GPS ট্রেকিং জানা না থাকলে হারিয়ে যেতে হবে।

- প্রচন্ড গরমের কারনে এইদিন বেশি আবেগ অনুভুতি না আসলেও চিন্তিত হবার কারন নেই। হাজিরা আর দোয়া করাটা মুখ্য। হজ্জের অনুভুতির ধাক্কা আসে হজ্জ শেষ হবার পরে।

- জোহরের সময়ে রোদের জন্য তাবুতে বসে থাকতে হয়। রাসুলুল্লাহ ﷺ আসরের পর বেরিয়ে গিয়ে টিলার উপর উঠে দোয়া করেছিলেন।

_______
Trackers Only: পায়ে হেটে হজ্জ।

মিনা থেকে পায়ে হেটে রওনা দিতে হবে আজকে ইশরাকের পর। আরাফার মাঠ চার ঘন্টার রাস্তা। তবে বাংগালিরা যেখানে তাবু নেয় সেখান থেকে আরাফার দূরত্ব আড়াই ঘন্টা এবং সেখান থেকে মিনা দেড় ঘন্টা।

সংগে একটা ছাতা, মাদুর আর দুই লিটার পানি ও কিছু খাবার নিতে হবে। পথে লক্ষ লক্ষ লোক লাব্বাইক বলতে বলতে যেতে থাকবে। তাই দুরত্বের কোনো কস্ট লাগবে না ইনশাল্লাহ। হাটার রাস্তা আর গাড়ির রাস্তা আলাদা। তাই রাস্তায় কোনো গাড়ি থাকবে না, সাবই হাটছে।

সকাল ১০-১১ টার দিকে আরাফায় পৌছে মাঠের বাইরে বিশ্রাম নিতে পারেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ জোহরের নামাজ আরাফার বাইরে পড়ে, এর পর আরাফার মাঠে ঢুকেছিলেন।

মসজিদে নমিরায় ঢুকে যেতে হবে। গেটে প্রচন্ড ভীড় দেখে ঘাবড়ানোর দরকার নেই। সামনে হাটতে থাকলে দেখা যাবে ভীড় শেষ হয়ে বিশাল এলাকা খালি পড়ে আছে।

মসজিদে নামিরার সামনের অর্ধেক হলো আরাফার বর্ডারের বাইরে। এখানে অপেক্ষা করতে হবে নামাজের জন্য। নামাজের আগে অজু লাগলে বোতলের আধাগ্লাস পানি দিয়ে ওজু করে নিতে হবে। ইউটুবে আছে কিভাবে আধাগ্লাস পানি দিয়ে ওজু করতে হয়।

খুতবার পর জোহর-আসর একসাথে পড়াবে। এর পর সবাই বেরুনো আরম্ভ করবে। কিন্তু এখন বের হতে গেলে প্রচন্ড ভীড়ে পড়তে হবে দরজায়, রাস্তায়, সব জায়গায়।

বরং মসজিদের পেছনে আরাফার-অংশে চলে আসতে হবে। এখানে দুপুরটা কাটিয়ে ভীড় আর সূর্যের তাপ একটু কমে গেলে বাইরে বের হয়ে দোয়া। সন্ধ্যা পর্যন্ত।।

#HabibHajj

Published
6-Nov-2020