http://www.arabnews.com/news/featured/612881
.
http://www.arabnews.com/news/featured/612881
- "তার পর?", বুঝতে পারছি সে ভাল বিপদে পড়েছে।
- "আমি আরবি পারি না, তাই মাউলানা সাহেবকে সংগে নিয়ে দৌড়ে গেলাম। উনি বললেন মহিলাকে কি হয়েছে।"
- "পেয়েছো মানি ব্যগটা?", অস্থির আমি কনক্লুশনটা শুনতে চাচ্ছি।
- "হ্যা, পেয়েছি। জিজ্ঞাসা করলো কত টাকা ছিল। বললাম এত, তার পর মানি ব্যগটা সে বের করে আমাকে দিয়ে দিল!"
আমার মুখ তখন হ্যা হয়ে আছে।
- "গত কাল রাত্রে হারিয়েছিলে, আর আজকে বিকালে গিয়েছো? কালো মাহিলারা যারা রাস্তায় খাবার বিক্তি করে তাদের কাছে?", কনফার্ম হতে চাচ্ছি।
- "হ্যা। তার পর আমি খুশি হয়ে তাকে কিছু টাকা সাধলাম। সে বললো, হাজ্জি, আমরা মিসকিন না! কিছুই নিলো না।"
কথাগুলো বলে প্রচন্ড ক্লান্ত তৌসিফ তাবুর বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।
আমার মুখ তখনো হা হয়ে আছে।
ওবামা কিছু দিন আগে ডিকলেয়ার করেছিলেন আমেরিকায় ইবোলা নিয়ে কোনো আতংকের কারন নেই। কারন আমেরিকার চিকিৎসা এত এডভান্সড যে ইবোলা আক্রান্ত কোনো রোগী যদি এ দেশে ঢুকেও পড়ে, এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে তা ছড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
এর পর ইবোলা আক্রান্ত এক রোগী আমেরিকায় ঢুকলো। তার থেকে এক নার্সে ছড়ালো। এর পর আজকের খবর ২য় নার্সেও ইবোলা আক্রমন করেছে।
সত্যিই কি ডিসেম্বর নাগাদ প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার লোক ইবোলা আক্রান্ত হবে? আল্লাহ জানেন। এবার হজ্জের আগে আমি আশংকা করেছিলাম হজ্জ থেকে ইবোলা ছড়িয়ে পড়বে। উল্টোটা হয়েছে। একজনও ইবোলা রোগি এবার হজ্জে সানাক্ত বা আক্রান্ত হয় নি। বরং ইবোলা থেকে সবচেয়ে নিরাপদ যে দেশকে ভাবতাম সে দেশে থেকে খারাপ খবর আসছে।
আমরা ভাবি এক। আল্লাহ তায়ালা করেন আরেক।
.
http://news.yahoo.com/second-texas-healthcare-worker-tests-positive-ebola-090736415.html
গেলাম হাসপাতালে।
বললো,
"রক্তের ব্লাড গ্রুপের রিপোর্ট এনেছেন?"
"না।"
"রিপোর্ট লাগবে। ওই দিকে গিয়ে টেস্টগুলো করিয়ে আসেন।", আংগুল দিয়ে দেখালো।
"আমার গ্রুপ জানা আছে। মুখে বললে হবে না?"
"না হবে না। রিপোর্ট লাগবে।"
বুঝলাম টাকা খাওয়ার ধান্ধা। জীবনে বহুবার ব্লাড টেস্ট করিয়েছে। আরেকবার করানোটা মিনিংলেস।
লাস্ট যেখানে গ্রুপ টেস্ট করিয়েছিলাম সেখান আমার রক্ত নেবার পর জিজ্ঞাসা করেছিল
"গ্রুপ জানা আছে?"
"হ্যা। বি প্লাস।"
এর পর ভেতরে গিয়ে রক্তটা ফেলে দিয়ে দুই মিনিটের ভেতর একটা কাগজে বি প্লাস লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো।
এর থেকে ভালো কাজ আমি নিজেই করতে পারি।
সোজা বাসায় চলে এলাম। এসে এম এস ওয়ার্ডে একটা ব্লাড গ্রপের টেস্টের রিপোর্ট টাইপ করে নিলাম। ভুয়া একটা ডায়াগন্টিক সেন্টার আর আন্দাজে একটা এড্রেস, ফোন নম্বর দিয়ে। এর পর কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট দেবার পর আমি নিজেই টাশকি। এটা ভুয়া ধরার কোনো উপায় নেই।
তার পরও ভয়ে ভয়ে নিয়ে গেলাম। এরা নার্স মানুষ কি বুঝে কে জানে, আমি তো আর ডাক্তার না।
দেয়ার পর, ওটা পেয়ে দেখি মাথাগুজে কি কি যেন লিখা আরম্ভ করেছে। বুঝলাম এ যাত্রা পাশ।
লাইনের পেছন থেকে এক জন তখন নার্সকে বলছে,
"আপা আপনারা হাজ্জীদের অনেক খেদমত করছেন। আপনাদের জন্য দোয়া করবো"
"হ্যা ভাই দোয়া কইরেন। আপনাদের জন্যই তো আমরা আছি।", হাসি মুখে নার্সের জবাব।
"আপা, আমি শুনেছি, যারাই দোয়া চায় তাদের জন্য আরাফার মাঠে হাজিদের দোয়া চলে আসে... ... ",আর কি কি যেন বলছে। বোঝা যাচ্ছে নার্সের জন্য ভালই দোয়া করা হবে।
ইতিমধ্যে আমার টিকা দেয়া শেষ। সিল ছাপ্পর দিয়ে কাগজটা ফিরত দিলো। বাহিরে এসে কাগজের দিকে তাকালাম। নার্সের সই ও নিচে তার নাম: "শীলা দত্ত"।
এক্সপেরিয়েন্স থেকে জানি অতিরিক্ত খারাপ কিছু চোখে চোখে পড়লে বুঝতে হবে এর কোনো ব্যখ্যা আছে, আমি জানি না। কোনো কিছুই এত খারাপ না। তার পরও এর আর অন্য কি ব্যখ্যা হতে পারে চিন্তে করেও কিছু বের করতে পারলাম না।
এক সপ্তাহ পর কল আসলো আমার মোবাইলে,
"হজ্জ অফিস থেকে বলছি, আপনার টিকিট নিয়ে যান।"
"কোথা থেকে? আপনাদের অফিস থেকে?"
"হ্যা"
"ওই দিন বন্ধ ছিল কেন?"
"বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে, এ এলাকার জন্য সরকারী নিয়ম।"
"সাইন বোর্ড ছিল না কেন?"
"অফিস বন্ধ করার আগে, ফুটপাথের উপর থেকে সাইন বোর্ডগুলো ভাজ করে ভেতরে ঢুকিয়ে রাখি।"
"ফোন কি বন্ধ ছিল?"
"বোধ হয় টিকিটের জন্য বিমান অফিসে ছিলাম। ভিড়ে পড়লে মোবাইল বন্ধ রাখি।"
এ ব্যপারে ফতোয়া খুজে প্রথমে জানলাম: হারাম শরিফের জামাতের সাথে পড়লে নামাজ হয়ে যাবে। এটা ঐক্যের জন্য।
শুনে খুশি হলাম। হবে না বললেও আমি ইনশাল্লাহ পড়তাম, কারন জামাত ছাড়ার কোনো মানে নেই।
মনে করেছিলাম এটা শুধু মসজিদুল হারামের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু মদিনা শরিফে?
জানলাম তাও হবে। কেন, সেটা আর খুজলাম না।
কিন্তু জেদ্দায়? ওখানে যদি আমি কোনো মসজিদে পড়ি?
জানলাম হাম্বলি মাজহাবের যে কোনো ইমামের পিছনে হবে। যদি ইমামের নমাজ তার ওয়াক্ত মোতাবেক হয় তবে আমারও হবে।
ভালো কথা।
এবার নতুন সমস্যা হল ইমাম যদি বাংলাদেশী ও হানাফি হয়? যেমন মিনার দিনগুলোতে সবাই মক্কার আসরের সময় ধরে আজান দিয়ে তাবুতে নামাজ পড়ে। তারা এত সব মাসলা-হিসাব বুঝে না। আমি নিজে বোঝাতে গেলে ফিতনা দেখা দিবে। তখন কি করব?
কঠিন সমস্যা।
ফতোয়া খুজতে লাগলাম। যাকে বলে "ফতোয়া মার্কেটিং"।
পেলাম: সাহেবাইন, মানে ইমাম মুহাম্মদ ও ইউসুফের মতে আসের নামাজ সময়, আহলে হাদিসের সময় মতই হয়। তাই কোনো হানাফী মাজহাবের অনুসারী যদি এই মাসলার ক্ষেত্রে সাহেবাইনদের অনুসরনের নিয়ত করে তবে তার নমাজ হবে।
দুর্দান্ত ফতোয়া। পেয়ে খুবই খুশি হলাম। কারন অধিকাংশ দেশে এবং এয়ারপোর্টে ওই সময়ই আসরের নামাজ হয়। এখন নিশ্চিন্তে সেগুলো ধরা যাবে।
তবে এখন থেকে আমাকে জোহরের নামাজ ৩ টার আগে পড়তে হবে। এর পরে পড়লে কাজা।
দেখি লংকা কান্ড। উনি এসকেলেটর থেকে পড়ে গিয়েছেন। অটো সিড়ির নিচের চোখা সুইগুলো মাথা কেটে ফেলেছে গভীর ভাবে। অনবরত রক্ত পড়ছে।
সংগে কেউ নেই। দুই ঘন্টা লাগলো উনাকে নিরাপদে নিয়ে, পানি দিয়ে, এম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে, হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম। একলা ছিলাম বলে উনাকে সময়টা দিতে পেরেছিলাম।
কাট ২/
ফেরার সময় এয়ার পোর্টে। দুজন বাংগালি জিজ্ঞাসা করলো,
"আপনি একা?"
"হ্যা"
"আমরা বড় বিপদে পড়েছি। এক লোক স্ট্রোক করেছে। তাকে ঠেলে শুধু প্লেনে তুলে দিতে হবে। বাংলাদেশে তার আত্মিয় এয়ার পোর্ট থেকে তাকে রিসিভ করে নিবে।"
চিন্তে করলাম, এখানে আরেকটা উপকারের সুযোগ?
তবে বললাম "না। আপনার সাথে এই দুই মিনিটের পরিচয়ে আমি এ কাজ করতে রাজি না।"
"শুধু ঠেলে প্লেনে তুলে দেবেন। আর কোনো কাজ নেই।"
"আমি এটা করতাম যদি মক্কায় থাকতে আমাকে এটা বলতেন। এখানে দাড়িয়ে আমি রাজি হবো না"
প্লেনে উঠার সময় দেখি অন্য একজনকে রাজি করিয়ে তারা ওই রোগীকে পাঠিয়ে দিয়েছে। রোগীর অবস্থা সিরিয়াস দেখে তাকে প্লেনে তোলা হলো না, প্লেন এক ঘন্টা দেরি হলো, আর যে লোক রোগীকে ঠেলে নিয়ে এসেছে তাকে ৪০০ রিয়েল দিতে হলো এম্বুলেন্স ফি হিসাবে।
প্লেন দেরির জন্য সবাই ওই লোকের উপর আগুন। গালাগালি করছে।
বিমানের ইনচার্জ তাকে জেরা করলো,
"রোগী আপনার কি হয়?"
"কেউ না।"
"তাহলে আনলেন কেন? আপনি জানেন তার জন্য আমার চাকরি চলে যেতে পারে? আমরা তাকে প্রথাম দেখেই বলে দিয়েছিলাম এই রোগী প্লেনে যেতে পারবে না। এর পর ঐ হজ্জ এজেন্সির দুইজন এই টিকিটে অন্য এক এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে বোর্ডিং কার্ড নিয়েছে। এর পর আপনাকে দিয়ে এ রোগিকে পাঠিয়ে দিয়েছে।"
প্রথম কেস আর দ্বিতীয় কেসে পার্থক্য কি?
জানি না।
কখন সাহায্য করলে উপকার করা হবে কখন করলে বিপদে পড়তে হবে তার কোনো ফরমুলা আমার জানা নেই।
মনে মনে বললাম এই অপমানকর পজিশনে আজ আমি নিজেও পড়তে পারতাম। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোনো সহায় নেই।
ধারনা: হজ্জ একবার করলেই হয়, বছর বছর করা ভালো না।
উত্তর: বছর বছর হজ্জ করা আরো ভালো।
http://islamqa.info/en/41143
ধারনা: বার বার হজ্জে না করে, ঐ টাকাটা গরিবদেরকে দান করলে আরো বেশি সোয়াব।
উত্তর: স্পেশাল কয়েকটি কেস ব্যতিত, গরিবদের দান করার থেকে নফল হজ্জে সোয়াব বেশি।
http://islamqa.info/en/36875
ধারনা: নিজের নামে বার বার নফল হজ্জ করার বদলে, মৃত আত্মিয়দের নামে কিছু বদলি হজ্জ করা ভালো।
উত্তর: নফল হজ্জ নিজের নামে করা বেশি ভালো। শুধু পিতা মাতার ফরজ হজ্জ থাকলে সেটার বদলি করাটা এর ব্যতিক্রম।
http://islamqa.info/en/46547
ধারনা: বছর বছর হজ্জে গিয়ে মক্কা শরিফে ভিড় বাড়িয়ে, ফরজ হজ্জ করতে আসা হাজ্জীদের কষ্ট দেয়ার কোনো মানে আছে?
উত্তর: এক জন বিচক্ষন লোক হজ্জে গিয়ে অন্য হাজ্জিদের কষ্ট না দিয়েও হজ্জ শেষ করে ফিরতে পারেন।
http://islamqa.info/en/41977
রেফারেন্স প্রতিটা উত্তরের নিচের লিংকে দেয়া আছে।
মদিনা থেকে বেরিয়ে মক্কার দিকে আসার পথে ৩০-৪০ কিলোমিটার দুরে একটা জায়গা আছে যেখানকার প্রচুর ভিডিও ইউটিউবে আছে।
এখানে পানি ঢেলে দিলে ঢালের উল্টো দিকে চলে যায়। গাড়ির গিয়ার নিউট্রালে দিযে রাখলে গাড়ি ঢাল বেয়ে নিচে না নেমে পাহাড়ের উপর দৌড়াতে থাকে হাই স্পিডে।
আমাদের মত ফিজিক্স পন্থিদের জন্য এখানে কোনো মেজিক নেই। ইলিউশন। হয়তো পাহাড়গুলোর মাথা সব এক দিকে কাত হয়ে আছে তাই এ রকম মনে হয়।
তবে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা স্টেবেল না।
বিভিন্ন নামে এলাকাটা পরিচিত। মেগনেটিক পাহাড়, জীনের পাহাড় এসব।
হাদিসে বর্নিত বাইদাহ এই জায়গা। যে বছর মাহদী মক্কায় আত্মপ্রকাশ করবেন তার পর মদিনার দিক থেকে উনার মোকাবিলায় যে বাহিনী আসবে তারা এখানে মাটি ধ্বসে নিচে পড়ে যাবে।
এটাই হলো মাহদির আলটিমেট সত্যতা। এই ভুমিধ্বসের খবর পাবার পর ইরাক ও সিরিয়া থেকে সব দ্বীনদ্বার লোকেরা উনার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য আসা আরম্ভ করবেন।
(প্রথম কমেন্টে একটা ভিডিও)
কিন্তু আরেকটা banned ট্রাভেল এজেন্সি হলো "Grameen Holy Dance!" হুম!
এবার যারা যাচ্ছেন তাদের জন্য হজ্জ মোবারক। আর যাবার সুযোগ নেই। কোটা filled up.
হজ্জের এক সফর। মক্কার মসজিদে বসা। পাশে আরব এক লোক কিছুক্ষন কোরআন পড়লেন। তার পর দাড়ালেন নামাজ পড়তে। নামাজে পড়লেন দুই হাত সাইডে ঝুলিয়ে রেখে। মাঝে দেখলাম কোরআন শরিফটা খুলে পড়ছেন নামাজের মাঝে দাড়ানো অবস্থাতেই। সিজদায় যাবার একটা নিয়ম আছে "আগে হাটু, পরে হাত" উনি সেগুলোও করলেন না। সিজদাতেও কোরআন শরিফটা হাতে রাখলেন।
তবে,
উনি এত ধ্যান, এত আবেগ আর এত বেশি নিজের অন্তরকে আল্লাহর কাছে শপে দিয়ে, উনাকে ডেকে এই দুই রাকাত নামাজ পড়লেন আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম।
আমি কখনো এত আবেগের সাথে নামাজ পড়িনি। কারন কি?
বুঝলাম। নামাজে আমার ধ্যন চলে যায় হাতর আংগুল আর বাহুর পজিশনের পারফেক্টনেসের দিকে। এত বেশি মনোযোগ ঐ দিকে দেই যে সামনে দাড়ানো আমার রবের কথাও খেয়াল থাকে না।
হানাফি মাজহাব মতে ঐ লোকের নামাজ কেন হয়নি আমি বলতে পারবো। হাম্বলি/মালেকি মাজহাব মতে কেন হয়েছে সেটাও বলতে পারবো। এগুলো শিখেছি।
যেটা শিখিনি সেটা হলো "যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো।"
কে জানে, এই সংক্রান্ত প্রোফেসিগুলো জেনেই হয়তো মক্কাবাসীরা স্বেচ্ছায় এতদিন পর্যন্ত শহরটাকে সেই পুরানো শহরের মত রেখে দিয়েছিলো যুগ যুগ ধরে। মক্কা বাসীরা কাবার ঘর থেকে নিজের ঘর উচু করতো না।
Things have changed. And rapidly since around 2010. And here is the next stone: "World's largest hotel to be built in Mecca."
জীবনে যে কয়টা স্পষ্ট ভবিষ্যতবানী পূর্ন হতে দেখেছি তার মাঝে এটা একটা।
.
http://www.telegraph.co.uk/travel/destinations/middleeast/saudiarabia/11618600/Worlds-largest-hotel-to-be-built-in-Mecca.html
সব মিলে এবার দেড় হাজার মারা গিয়েছে, যেটা কিনা ১৯৯০ সালের টানেল দুর্ঘটনার নিহতের থেকে কিছু বেশি।
অন্য খবরে, এখন পর্যন্ত ১৬০০ হাজ্জির মৃত্যু গননা করা হয়েছে এবার মিনার ট্রেজেডিতে। এটা ১৯৯০ সালের টানেল দুর্ঘটনা থেকেও বড়। সমসাময়িক ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
কষ্ট লাগে যখন দেখি সৌদি সরকার এই ব্যপারে মুখ খুলে না। এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন দেশের ছাপানো মৃতের সংখ্যা যোগ করে টোটাল বের করতে হয়। এটা সৌদি সরকারের দুর্বলতার লক্ষন। বাদশাহকে হতে হয় মাথা উচু, সাহসী।
.
https://www.washingtonpost.com/opinions/a-storm-brews-in-saudi-arabia/2015/10/13/886328c0-71e1-11e5-9cbb-790369643cf9_story.html
অর্থাৎ নিখোজ প্রায় সবাই মৃত। আমার বাচ্চার স্কুলের এক পরিবারের তিন বোন আর মা এর মাঝে ২ জন মৃত, ২ জন নিখোজ। তাই নিখোজের অনুপাতটা প্রেকটিক্যলিও একই রকম।
তাহলে মোট শহীদ এই বছর: তিন হাজার!!!
____________
উল্লেখ্য এখানে সৌদি নাগরিক, সৌদি প্রবাসী, এবং অবৈধ ভাবে যারা হজ্জ করতে গিয়েছে তাদের ধরা হয় নি। এবং হজ্জে বিদেশি হাজ্জিদের থেকে তাদের সংখ্যাই থাকে বেশি।