১
ওজিফা আদায়ের বেষ্ট উপায় হলো নামাজের আগে পরে মসজিদে বসে পশ্চিম মুখি হয়ে। কিন্তু সব শর্ত না। ওজু না থাকলেও চলে, পশ্চিম মুখি হবারও দরকার নেই। এখন মসজিদও না। কিন্তু বসে পড়তে হবে। এটা মিনিমাল। শুয়ে না।
২
রাতে তাহাজ্জুদ পড়ার আগে গোসল করে নেবার উপদেশ দিতেন আশরাফ আলি থানভি উনার মুরদিদের। ভারতের উত্তরে শীত আর গ্রাম অঞ্চলে এটা কষ্টকর ছিলো। আমাদের শহরে এখন অত কষ্টকর না।
কারন কি? এটা সবসময়ের ভাবনা।
এখন বুঝার ব্যপার হলো এটা নিয়ম না। বরং ব্যতিক্রম।
নিয়ম হলো হাদিসে যা আছে : জান্নাতি কে? নম্র, ভদ্র, সচ্চরিত্র মানুষ। যাদের দুনিয়ায় দেখলে আমরা মনে করি জান্নাতি।
জাহান্নামি কে? রুক্ষ, উগ্র, রাগি, মেজাজি, উচু গলার ঝগড়াটে মানুষ।
হাদিসগুলো খুজলে পাবেন। আমি কোট করছি না।
মানে যে জীবনকালে জান্নাতিদের মতো চলে যে জান্নাতি।
যে জাহান্নামিদের মতো চলে সে জাহান্নামি।
কিন্তু শেষ মুহুর্তের টুইস্টটা আতংকজনক।
কারা হিদায়াত প্রাপ্ত হবে কারা বিপথগামি?
বিপথগামিতা যে কোনো ধারায় আসতে পারে।
সালাফিদের ধারায় আসে খারেজি হওয়া দ্বারা।
হানাফি-সুফি ধারায় নিজেকে মুজাদ্দেদ মনে করা দ্বারা।
দিনের শেষে এটা তকদির। যাকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাত বা জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছিলেন।
তবে দুনিয়ার নিদর্শন যদি দেখি তবে এটা পিতা মাতার অসন্তুষ্টি অবাধ্যতা আমার কাছে এখনো সবচেয়ে বড় কারন মনে হচ্ছে।
পিতা মাতার কথা মেনে নিয়ে, তাদের সন্তুষ্ট রেখে কম দ্বিনদ্বার, সাধারন আর দশজনের মতো মুসলিম হলেও শেষে আমি সফল জীবন যাপন করলাম। মৃত্যুর আগে টুইস্টটা হবে ভালোর দিকে।
অবাধ্যতায়, অনেক উপরে উঠার পরেও আমার পতন হবে স্পেকট্রেকুলার, দুঃখজক, দুনিয়া কাপানো। শেষ টুইস্টটা হবে মন্দ।
যদিও আমার পিতা মাতা আমার মতো সত্যিকারে বিখ্যাত কেউ ছিলেন না।
কিছু উদাহরন দিতে পারতাম। কিন্তু দিলাম না। দাবিগুলোকে দলিল প্রমান দিয়ে শক্ত করে আমার লাভ নেই।
এখনো পথ খুজছি।
জাজাকাল্লাহ।
ব্যসিক্যলি মনোযোগের ফোকাস থাকবে তিলওয়াতের দিকে।
বাকিগুলো এর পর অপশনালি আসবে।
কোনো অনুভুতি না আসলেও সমস্যা নেই।
মনোযোগ তিলওয়াতের দিকে থাকাটা হলো আসল।
(collected)
হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদে মিল্লাত হজরত থানবী রহঃ ইশরাদ করেন, খুশু বা একাগ্রচিত্ততা হলো নামাজের রূহ বা আত্মা।
বাস্তব অভিজ্ঞতা এ কথার প্রমাণ, একাগ্রচিত্ত হওয়ার প্রচেষ্টায় খুব বেশি লিপ্ত হয়ে পড়লে প্রথমে ক্লান্তি-শ্রান্তি ও পরে বিরক্তির সৃষ্টি হয়ে যায়।
এজন্য এক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা আবশ্যক।
আর তার সীমা হলো নামাযের মধ্যে যে শব্দ মুখে উচ্চারণ করা হয় তা শুধু নিজের মুখস্ত থেকে পড়ে যেতে থাকবে না বরং প্রত্যেকটি শব্দের প্রতি এমনভাবে ধ্যান করবে যেন অপরিপক্ক হাফেয কুরআন শরীফের শব্দগুলো চিন্তা করে মুখে উচ্চারণ করে।
এর মধ্যেও যদি কখনো গাফলতি এসে যায়, তবে সেজন্য অস্থির না হয়ে এবং সামনের চিন্তা পরিত্যাগ করে তৎক্ষণাৎ ঐ বর্ণিত পদ্ধতির উপর পুনরায় আমল শুরু করবে অর্থাৎ যে শব্দ উচ্চারণ করা হচ্ছে তার প্রতি ধ্যান করতে থাকবে।
নামাযের মধ্যে "ইস্তিগরাক" বা একেবারে ডুবে যাওয়ার মত অবস্থাও কাম্য নয় যে, তার আর অন্য কিছু কোনো খবর থাকবে না।
"ইস্তিগরাক" বা একেবারে ডুবে যাওয়া এক জিনিস আর খুশু বা একাগ্রতা হলো ভিন্ন জিনিস।
প্রিয় নবী ﷺ -এর নামাযের মধ্যে কখনো ইস্তিগরাক এর অবস্থা হতো না।
ঐ হাদিস এ কথার পক্ষে প্রমাণ যে হাদীসে প্রিয় নবী ﷺ- এর বর্ণনা ইরশাদ হয়েছে যে, নামাযের জামাআত চলাকালীন সময়ে যদি কোনো ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কানে আসতো তবে প্রিয় নবী হযরত ﷺ নামায সংক্ষেপ করে দিতেন।
কারণ, ঐ বাচ্চার মা তার কান্না কারণে নামাযের মধ্যে অস্থিরতা অনুভব করবে। যদি ইস্তিগরাকের অবস্থাই হতো তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কিভাবে প্রিয় নবী ﷺ এর কানে পৌছতো।
আর প্রকৃত কথাও এই যে,' ইস্তিগরাক' হলো মানুষের ইচ্ছা বহির্ভূত একটি অবস্থা।
আর ইচ্ছা বহির্ভূত কোনো কিছুর দ্বারা তারাক্কী বা উন্নতি হয় না।
বরং তারাক্কী বা উন্নতি ঐ সকল আমলের দ্বারাই হয়ে থাকে, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায় সম্পাদন করে থাকে।
খুশু বা একাগ্রতা একটি ইচ্ছাধীন কাজ আর সেটাই মূলতঃ নামাযের মধ্যে কাম্য।
মাজালিসে হাকিমুল উম্মত
পৃষ্ঠা নং ২১১-২১২
কিন্তু কতটুকু ঘুম পেলে? কারন ঘুমতো সব সময় পেতে থাকে।
এখানে বুঝার ব্যপার হলো হাদিস শরিফে এই ব্যপারে দুটো কথা এসেছে।
- যদি দাড়ানো থেকে পড়ে যেতে থাকেন তবে ঘুমিয়ে পড়েন। নামাজ না পড়ে।
- যদি এত ঘুম পায় যে তিলওয়াত জড়িয়ে যাচ্ছে, বা কি পড়ছেন নিজেই বুঝছেন না, বা এক সুরার আয়াত থেকে অন্য সুরার আয়াতে চলে যাচ্ছেন তবে ঘুমিয়ে পড়েন। নামাজ না পড়ে। যদিও যত রাকাত পড়বেন মনে করেছিলেন সেটা পড়েন নি।
কোরআন শরিফ পড়ার ব্যপারেও এরকম কথা আছে।
যতক্ষন ভালো লাগে পড়েন। এর পর যখন আর ভালো লাগছে না তখন পড়া বন্ধ করে দেন। ফোর্স করার দরকার নেই এতটুকু পড়তেই হবে।
এখনে আরেকটা ব্যপার হলো দেখছেন আপনার উস্তাদ রাতে লম্বা তাহাজ্জুদ পড়ে আবার সকালেও ঘুমায় না। কিন্তু আপনি এটা করতে পারছেন না। এর কারন আপনার উস্তাদের বুজুর্গি না, বরং বয়স।
বয়স বাড়তে থাকলে মানুষের ঘুম কমে আসে। আপনার উস্তাদও যখন আপনার বয়সে ছিলো তখন এত নামাজ পড়তে পারতেন না। ঘুমাতে হতো।
তাই ডেসপারেট না হই। অতিরিক্ত নিজেকে না ঠেলি। একটা স্টিডি ফ্লোতে আমল করতে থাকি। আল্লাহ তায়ালা বয়স দিলে দেখবেন ইনশাল্লাহ এতে অনেক দূর যেতে পারবেন যদি লেগে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।
তর্কে না যাওয়া।
মানুষের সাথে ঝগড়ায় না যাওয়া।
নিজে নিজে আমল করতে থাকা। চুপ চাপ।
আমি ঠিক হলেও তর্কে না যাওয়া।
সে ভুল হলেও তর্কে না যাওয়া।
শত মানুষ তর্ক করছে। তারা সবাই জান্নাতে যাবে।
কিন্তু আমি করলে আমি যেতে পারবো না।
এটা পড়ে : أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
কারন সংক্ষিপ্ত। তৌবা এবং ইস্তেগফার দুটোই আছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ পড়তেন। এবং বার বার পড়ার সময় ক্ষমার দিকে নজর থাকে, পড়ার দিকে না।
কখন? শেষ রাতে। তাহাজ্জুদের শেষে। বা ফজরের আগে। কোরআন শরিফে মু'মিনদের ব্যপারে সে কথা বলা আছে। "রাতে কম ঘুমাতো, সেহরির সময় তারা ইস্তেগফার করতো" সুরা জারিয়াত।
আর যে কোনো সময় গুনাহ হয়ে গেলে। মু'মিন নিয়ত করে গুনাহ করে না। গুনাহটাকে সঠিক মনে করে করে। যখনই উপলব্ধিতে আসবে যে এটা ভুল ছিলো, গুনাহ হয়েছে -- তখন আর যুক্তি না খুজে সংগে সংগে উপরের কথাগুলো ধিরে বার বার পড়ে ইস্তেগফার করা।
ইস্তেগফার না করলে কি হয়? নেক আমলের তৌফিক ছুটে যায়। হটাৎ করে নামাজ পড়তে ভালো লাগছে না।
তখন বসে বা দাড়িয়ে, কিন্তু শুয়ে না, কিছুক্ষন ইস্তেগফার করি ঐ গুনাহটার জন্য যেটার পরে আমলের তৌফিক ছুটে গিয়েছে -- ইনশাল্লাহ আবার আল্লাহ তায়ালা তৌফিক ফিরিয়ে দেবেন।
কদরের রাত্রের জন্যও রাসুলুল্লাহ ﷺ একটা দোয়াই শিখিয়েছেন, সেটা হলো ইস্তেগফার।
বড় ইস্তেগফারগুলো মাঝে মাঝে পড়ি। যেমন সাইয়েদুল ইস্তেগফার।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কবুল করুন।
এটা বাথরুমে কল ছেড়ে পারবেন না। বরং গ্লাসে পানি নিয়ে বারান্দায় বসে ওজু করে প্রেকটিশ করতে হবে। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু এর পর প্রেকটিশ হয়ে যাবে।
অল্প পানি দিয়ে ওজু করলে ওজুর নূরটা দেখবেন বাড়ছে। এটা একটা অনুভুতি। সপ্লেশ করে ওজু করে যেটা পাওয়া যায় না।
লক্ষনীয়, হানাফি মাজহাবে কেবল হাত পা পানি দিয়ে মুছলে ওজু হবে না। কিন্তু এতটুকু অল্প পানি দিয়ে ধুলেন ধোয়ার পরে কুনুই বেয়ে এক দুই ফোটা পানি পড়েছে তবেই ওজু হবে। বিস্তারিত পাবেন বেহেস্তি জেওরে।
যেহেতু আমরা স্পলেশ করে ওজু করে অভ্যস্ত। প্রথম দিকে প্রচুর পানি লাগবে বারান্দায় ওজু করতেও। এর পর মাসে মাসে এটা কমে আসবে। শেষে দেখবেন খুব অল্প পানিতেও ওজু করে ফেলছেন। এবং এতে আরো পবিত্র লাগছে।
কতটুকু পানি দিয়ে ওজু করা সুন্নাহ? এতে মাজহাব গত মত :
হানাফি : ৪ গ্লাস পানি। শাফি, মালেকি, হাম্বলি : ২ গ্লাস পানি।
সফরের সময় এই জিনিটা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। প্লেনে সিটে বসেও ওজু করে ফেলতে পারবেন এবং নিজের কাপড়ে কয়েক ফোটা পানি পড়বে শুধু, *যদি* আগে থেকে কম পানিতে ওজু করা সবসময়ের অভ্যাস হয়ে থাকে।
এটার আরম্ভটা হবে কয়েক গ্লাস পানি নিয়ে বারান্দায় বসে ওজু করা দ্বারা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।
— বুখারী: ৩৯
আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ ... আয়িশা থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে ও মধ্যমপন্থায় নেক আমল করতে থাক। আর জেনে রাখ যে, তোমাদের কাউকে তার আমল বেহেশতে নেবে না এবং আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল হলো, যা নিয়মিত করা হয়। তা অল্পই হোক না কেন।
— বুখারী, অধ্যায়: ৬৮, হাদীস: ৬০২০
তোমরা সরল পথে থাকো, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, সকাল-সন্ধ্যায় চল (ইবাদত কর) এবং রাতের কিছু অংশে। আর তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, তাহলেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবে।
— সহীহ আল বুখারী, খণ্ড ৮, হাদীস ৪৭০
আদম ... আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কস্মিনকালেও তোমাদের কাউকে নিজের আমল নাজাত দেবে না। তাঁরা বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনাকেও না? তিনি বললেনঃ আমাকেও না। তবে আল্লাহ তা'আলা আমাকে রহমাত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। তোমরা যথারীতি আমল কর, ঘনিষ্ঠ হও। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর কাজ কর। মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। আকড়ে ধর মধ্যমপন্থাকে, অবশ্যই সফলকাম হবে।আর তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ‘আমাল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তাওবাহ করার সুযোগ পাবে।
— সহীহ আল বুখারী, খণ্ড ৭, হাদীস ৫৭৭ (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৫৮)
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় উত্তম আদর্শ, সুন্দর বেশভূষা এবং মধ্যমপন্থা নবুঅতের পঁচিশ ভাগের একটি ভাগ।
— আবূ দাঊদ ৪৭৭৮, তিরমিযী ২০১০
হাকাম বিন হাযন কুলাফী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে মানব সকল! তোমাদেরকে যে সকল কর্মের আদেশ করা হয়, তার প্রত্যেকটাই পালন করতে তোমরা কক্ষনই সক্ষম হবে না। তবে তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর এবং সুসংবাদ নাও।
— আহমাদ ১৭৮৫৬, আবূ দাঊদ ১০৯৮, সহীহুল জামে’ ৭৮৭১
একদম চুপ করে বসে থাকি। আর দেখতে থাকি। বিখ্যাত হবার চেষ্টা না করি। লিড দেবার চেষ্টা না করি। গাইড দেবার চেষ্টা না করি। মুসলিমদের উদ্ধারের চেষ্টা না করি।
আমার প্রতিটা কথা এখন আমার দিকেই তীরের মতো ফিরে আসবে কিছু দিন পরে। আমার প্রতিটা কাজে মুসলিমদের অবস্থা আরো খারাপ হবে, তাদের মাঝে দ্বন্ধ আরো বাড়বে।
এবং অন্য কেউ যদি আমার মন্দের প্রতিশোধ নাও নেয়, সময়টা এখন এমন যে আল্লাহ তায়ালা এর প্রতিশোধ নিয়ে নিচ্ছেন সংগে সংগে। যা দেখছি, যা বুঝছি।
চুপ থাকি। Self reminder.
শেষে ইব্রাহিম দেওলা সাহেবের নসিহা : (collected)
কয়েকদিন পূর্বে ভাই রিজওয়ান প্যাটেল পাঁচ জন সাথী সহ আলমী শূরার মুরুব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেউলা সাহেব (দাঃবাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন, মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব (দাঃবাঃ) কিছু মূল্যবান কথা বলেনঃ- "এটা এমন এক সময় যে এখন আমাদের দুয়া ও বেশী বেশী ইস্তেগফার এর দ্বারা আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জা হওয়া উচিত, পাঁচ হিজরীতে হুজুর (সাঃ) ও সাহাবাদের উপর যে হালত এসেছিলো তা চরমে ছিলো, সাহাবারা হুজুর (সাঃ) কে তাদের হালত বর্ণনা করলে হুজুর (সাঃ) তাদেরকে আস্সস্তি প্রদান করে জানান যে এবার হালাত শেষ পর্যায়ে এসে গেছে, অতিশীঘ্রই হালাত বদলাতে শুরু হবে, এবং পরের বছর থেকে হালাত সহজ হতে শুরু হয়ে যায়, সুতরাং ঘাবড়াবেনা, হালাত বদলে জাবে ইন শা আল্লাহ "
ইলম শিখি আমল করার জন্য। তর্কের জন্য না। তর্কের জন্য শেখা যেমন বিপক্ষের বই আমি পড়ি এর ভুলগুলো বের করে মানুষকে জানানোর জন্য। অথবা কোরআন হাদিস ও দ্বিনী বইয়ের রেফারেন্স কালেক্ট করে রাখি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ফেসবুকে দলিল হিসাবে দেবার জন্য।
আমলের জন্য শেখা হলো যেটা আমি ঠিক মনে করি এবং যেটা গ্রহন করতে চাই কেবল সেটা শিখা।
হিফজ মনে রাখার জন্য একটা আমল। উল্লেখ্য, এটা কেবল হানাফিদের জন্য। হাদিসটা জয়িফ তাই সালাফিরা আমল করতে পারবে না। স্কিপ করে যান। হানাফিদের জন্য সমস্যা নেই।
তিরমিজি শরিফের হাদিস। আলি রাঃ একবার রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বললেন আমি স্বরন রাখতে পারি না। রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন তুমি শুক্রুবার রাতে, মানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দাড়িয়ে চার রাকাত নামাজ পড়বে। চার সুরা দিয়ে : সুরা ইয়াসিন, দুখান, সিজদাহ, মুলক। শেষে কিছু হামদ, ইস্তেগফার, দুরুদের পরে। এই দোয়া পড়বে।
আলী রাঃ ৫ থেকে ৭ সপ্তাহ এই আমল করে আসার পরে বললেন : আগে আমি ৪ আয়াত মুখস্ত করলেও ভুলে যেতাম, আজকে ৪০ আয়াত মুখস্ত করেছি।
হাদিসটা পাবেন এখানে। আরবি আর ইংরেজি অনুবাদ সহ।
https://sunnah.com/tirmidhi/48/201
শেষ দোয়াটা আছে নিচে।
আর দোয়ার আগে যে ইস্তেগফার হামদ পড়ার কথা বলা আছে সেগুলো একসাথে পাবেন এক দোয়াতে "ফাজায়েলে কোরআনের" একেবারে শেষে। সম্পুর্ন হাদিসটা সেখানে দেয়া আছে নিচের দোয়া সহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي بِتَرْكِ الْمَعَاصِي أَبَدًا مَا أَبْقَيْتَنِي وَارْحَمْنِي أَنْ أَتَكَلَّفَ مَا لَا يَعْنِينِي وَارْزُقْنِي حُسْنَ النَّظَرِ فِيمَا يُرْضِيكَ عَنِّي اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لَا تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلَالِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُلْزِمَ قَلْبِي حِفْظَ كِتَابِكَ كَمَا عَلَّمْتَنِي وَارْزُقْنِي أَنْ أَتْلُوَهُ عَلَى النَّحْوِ الَّذِي يُرْضِيكَ عَنِّيَ اللَّهُمَّ بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ وَالْعِزَّةِ الَّتِي لَا تُرَامُ أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ يَا رَحْمَنُ بِجَلَالِكَ وَنُورِ وَجْهِكَ أَنْ تُنَوِّرَ بِكِتَابِكَ بَصَرِي وَأَنْ تُطْلِقَ بِهِ لِسَانِي وَأَنْ تُفَرِّجَ بِهِ عَنْ قَلْبِي وَأَنْ تَشْرَحَ بِهِ صَدْرِي وَأَنْ تَغْسِلَ بِهِ بَدَنِي فَإِنَّهُ لَا يُعِينُنِي عَلَى الْحَقِّ غَيْرُكَ وَلَا يُؤْتِيهِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
২/ জানাজায় দাড়িয়ে কোনো কথাই যেন না বলা হয়। এও না যে, "ওমুক আপনাদের মাঝে ছিলো, তার পাওনা থাকলে..." এইসব হাবিজাবি কথা।
৩/ মোবাইল করে আত্মিয়দের মৃত্যুর খবরও যেন না দেয়া হয়। শুধূ মাত্র দাফন কাফনের জন্য যাদের সাহায্য লাগবে তাদের ছাড়া।
পরে মানুষ বাসায় এসে যদি জিজ্ঞাসা করে "ওমুক আছে?", তখন জানিয়ে দেবে, "না উনি তো নেই। মারা গিয়েছেন।"
____________________
হুযাইফা রা: বর্ননা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ ﷺ "নাআই" করতে নিষেধ করেছেন।
ইমাম তিরমিযি মতে এটা হাসান সহি
http://sunnah.com/bulugh/3/24
[ নাআই হলো কারো মৃত্যুর খবর ঘোষনা করা। ]
আবদুল্লাহ বর্ননা করেছেন রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "নাআই" থেকে সাবধান, কারন নাআই হলো জাহিলিয়াতের আমল। আবুল্লাহ বলেন "নাআই" হলো মৃত্যুর খবর ঘোষনা করা।
তিরমিযি। দারুসাসালাম পাবলিকেশনের মতে জয়িফ।
http://sunnah.com/tirmidhi/10/20
হুযাইফা রা: এর পরিবারের কেউ মারা গেলে উনি বলতেন, কাউকে এই খবর দিও না। কারন আমি ভয় করি তাহলে এটা "নাআই" হয়ে যাবে। আমি আমার এই দুই কানে শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ "নাআই" করতে নিষেধ করেছেন।
- ইবনে মাযা
দারুসসালাম পাবলিকেশনের মতে জয়িফ।
http://sunnah.com/urn/1288260
আমল রিপোষ্ট : হানাফি/দেওবন্দিদের জন্য মূলতঃ
https://www.facebook.com/habib.dhaka/videos/10157173332833176/
এটা আমি দৈনিক একবার করে পড়ছি এখনো। পড়লে করোনায় মারা যাবে কি যাবে না সেটা জানি না। তবে পড়তে থাকলে আতংকটা চলে যাবে ইনশাল্লাহ।
১০ মিনিট লাগে পড়তে।
[ ভিডিওর জন্য উপরের লিংক যদি লোড না হয় তবে এখানে পাবেন ভিডিও ছাড়া :
https://www.facebook.com/amitalha87/posts/249870299357938
]
যারা জামাতে নামাজ পড়াই ছেড়ে দিয়েছিলেন ৩ ফিট দূরত্ব দেখে তারা এখনো দেখবেন আগ্রহ পাবেন না মসজিদে যেতে। যতক্ষনা না পরিস্থিতি "ঠিক আগের মতো" ফিরে যায়।
কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক আগের মতো ফিরবে না সামনের বহু বছরেও। এর মধ্য থেকেই আমল করে যেতে হবে। এটাই কামাই।
মানে কেবল স্টাফ। সৌদি ভিআইপিরাও না।
শিক্ষা :
"হজ্জ করা একেবারেই সহজ। টাকা জমা দিলেই হয়।"
তবে এখনই করে নাও। মনে হচ্ছে এরকম যুগ যুগ ধরে থাকবে? ভুল। কিছু দিন পরে আর এরকম থাকবে না। কঠিন হয়ে যাবে।
"লকডাউনে চাইলেই সারাদিন একজন নামাজ পড়তে পারে। ব্যপার না"
তবে পড়ে নাও। দ্রুতই এটা চলে যাবে, তখন এই সুযোগ থাকবে না।
"চাকরি নেই। তাই সারাদিন ইবাদত করা যায়।"
তবে করে নাও। কারন কিছু দিন পরে ব্যস্ততা চলে আসলে আর ইবাদতের সুযোগ পাবে না।
সময় থাকতে আমল করে নাও। মনে হতে পারে এই সুযোগ যুগ যুগ ধরে থাকবে। থাকবে না। খুব দ্রুত ভিন্ন কোনো পরিস্থিতি চলে আসবে।
"কিন্তু কষ্ট!!! চাকরি নেই। টাকা নেই। পেরশানি, অস্থিরতা।"
কষ্টটা চলে যাবে ইনশাল্লাহ। কষ্টের সময়ের আমলটা রয়ে যাবে।
কষ্টটা তুমি সময়ের সাথে ভুল যাবে।
আমলটা তোমার সুখ স্মৃতি।
তোমার সঞ্চয়, তোমার সম্বল।
আল্লাহ কাছে উচ্চ মর্যাদা -- আমল দিয়ে মানুষ পৌছতে পারে না। সারা দিন আমল করুক আর সারা রাত।
এই মর্যাদার সুযোগ আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে দেন তাকে কষ্টে ফেলে। বিপদ, দুর্যোগ, পরিক্ষা -- যে সময় তার কাজ হলো সবর, শোকর করা।
কোরআনের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় এগুলোর বর্ননা -- আমাদের শিক্ষার জন্য।
বেশি আমল মানুষকে আত্মতৃপ্তি দেয়, রিয়া না দিলেও।
কষ্ট আর কষ্টে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকা, তাকে বিনয়ী করে, আল্লাহর নিকটবর্তি করে, আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আগের গুনাহ মাফ করুন।
১
বাসায় ওজু করে মসজিদে রওনা হওয়া। মসজিদে গিয়ে সেখানকার ওজুখানায় ওজু না করে।
বাসায় ওজু করে যে মসজিদে রওনা হলো সে যেন ইহরাম বেঝে হজ্জের জন্য রওনা হলো।
প্রথম দিকে মসজিদে নববিতে ওজুর কোনো ব্যবস্থাও ছিলো না। সবাই বাসায় ওজু করে আসতো।
২
আরো উত্তম। বাসায় সুন্নাহ পড়ে এর পর মসজিদে যাওয়া। সোয়াব বেশি। আর বাসায় ফরজের বাইরের নামাজগুলো পড়ার জন্য উৎসাহিত করা আছে হাদিসে।
৩
আরো উত্তম। আজান দেবার আগে ওজু করে নেয়া। তখনই মসজিদে যেতে হবে শর্ত না। কিন্তু জামাতের ৪৫ মিনিট আগে ওজু করে তৈরি হয়ে আমি আমার কাজ করতে পারি। যে সময় যাওয়াকে উত্তম মনে করি সে সময় আমি রওনা হলাম।
ফজরের নামাজ শেষে ঐ ভাবে হাটু ভাজ করা বসা অবস্থায় যে পড়বে
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ
لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
يُحْيِي وَيُمِيتُ
وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
১০ বার। তবে তাকে
রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্নিত তিরমিযি শরিফের হাদিস। যেটা হাসান গরিব সহি।
https://sunnah.com/tirmidhi/48/105
আল্লাহ তায়ালা আমলের তৌফিক দিন।
মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার করা
১
মালিকের কম্পানি খারাপ কাজ করেছে? মালিকের কর্মচারি যে আমার সামনে দাড়িয়ে সে এর জন্য দায়ি না। গ্রামিন ফোন টাকা খায়? এর টেলিফোন সাপোর্টে যে কথা বলছে সে এর জন্য দায়ি না।
তাই তাদেরকে গালি না দেই। এরকম কেইস আপনি হাজার হাজার পাবেন প্রতিদিন। যাকে কড়া কথা বলছি সে এর জন্য দায়ি না।
২
আমার অনেক শক্তি? অনেক ক্ষমতা? সে আমার অধ্বস্তন?
তবে প্রচন্ড শক্তি নিয়ে সোজা হয়ে দুর্বল কিন্তু দোষির সামনে দাড়িয়ে খুবই নম্র ভাষায় দরদ দিয়ে কথা বলে অনেক বেশি গেইন করতে পারবো। যেটা তাকে গালি দিয়ে বা রাগ দেখিয়ে পারবো না।
৩
আখলাক।
নেক আমল আমাকে জান্নাতে নিবে না। আমার আখলাকের উপর আল্লাহর ফয়সালা।
নম্র স্বভাবের মানুষ জান্নাতে যাবে।
রূঢ় স্বভাবের মানুষ জাহান্নামি।
দুটোর কথাই হাদিসে আছে। খুজে পেলে শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।
নিজের জন্য এগুলো শেয়ার করলাম।
নিজের সংশোধনের জন্য উপদেশ।
কারন তর্ক আর 'সে খারাপ আমি উত্তম' ধারনা করা আরম্ভ করলে আপনি একে বহু দূর নিতে পারবেন।
১
আমাদের সময় ৮০র দিকে সুন্নাহ নিয়ে তর্ক ছিলো কে কলার সহ জামা পড়েছে কে পড়ে নি সেটা নিয়ে।
যেমন কেউ দ্বিনের কথা বলছে। অন্য একজন এসে বলবে : আপনি যে দ্বিনের কথা বলছেন আপনার মাঝেই তো সুন্নাহ নেই। কলার সহ জামা পড়েছেন। রাসুলুলুল্লাহ ﷺ কি কখনো কলার সহ জামা পড়েছে? আর যার মাঝে সুন্নাহ নেই তার কথা শুনা নিষেধ।
আর এ যুগে শার্ট প্যন্ড পড়া ক্লিন সেইভ ছেলে ফেসবুকে অন্যদের মডারেট মুসলিম বলে গালি দিচ্ছে। মানে সে নিজেকে মডারেট মনে করছে না।
২
উত্তম হতো যদি নিজেদের মাঝে সার্কেল করে আমরা "এটা-ওটাকে সুন্নাহ ধরে নিয়ে আমল করবো" বলে সবাই নিজেরা আমল করতো। কোনো তর্ক নেই। আক্রমন নেই। বরং উৎসাহ দেই। যে আগ্রহী সে আমল করবে। যে করবে না তাকে ঘৃনা না করি। খারাপ মুসলিম ধারনা না করি।
কোনটা সুন্নাহ কোনটা সুন্নাহ না এটা যুগের সাথে বদলাতে দেখেছি। একেক কালে একেকটা। একেক দলের কাছে একেকটা। একেক সময় একেকটা "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন" সুন্নাহ।
তাই আমল করা ঠিক আছে। ঠোকা ঠুকিটা খারাপ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের দ্বন্ধ আর অন্য মুসলিমদের ঈমানকে মূল্যহীন ধারনা করা থেকে হিফাজত করুন। এক সাথেই আল্লাহর দিকে ফিরবো।
১
যাকে আল্লাহ তায়ালা যত পছন্দ করে তাকে তত কষ্টে রাখেন দুনিয়াতে। যে যতটুকু সহ্য করতে পারবে ততটুকু। কাউকে তার সাধ্যের বেশি না।
কিন্তু এটাই জান্নাতে তাকে অনেক উপরে তুলে দেবে, যেটা ইবাদত করে সে কখনো পৌছতে পারবে না।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এর যখন জ্বর হতো তখন সাধারন মানুষের দ্বিগুন জ্বর হতো। কষ্টের জন্য। যা দ্বারা আল্লাহ উনাকে ﷺ আরো সম্মানিত করবেন।
বুখারি শরিফের হাদিস
https://sunnah.com/bukhari/75/21
২
অন্তরের ফয়সালা আল্লাহর সাথে।
যে অন্তরে মুসলিমদের প্রতি যত কম হিংসা, ঘৃনা রাখতে পারে। সাথে যত বেশি তার অন্তর সে আল্লাহ আর উনার রাসুল ﷺ এর প্রতি ঝুকায়। আল্লাহর ফয়সালার প্রতি যে যত সন্তুষ্ট থাকে। সাথে ইখলাস। আর নিজেকে আল্লাহর সামনে হীন মনে করা।
৩
শেষ ফায়সালা আল্লাহর।
খওফের সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে কদরের ভয়। আল্লাহ তায়ালা যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। আমার তকদিরে যা লিখা আছে তাই হবে আমি এর কিছু পরিবর্তন করতে পারি না। আবেদ এইগুলো চিন্তা করে কান্না করতে থাকে। কারন কোনো পরিমান আমলই তার মুক্তির জন্য যথেষ্ট না।
শেষে আল্লাহর ইচ্ছা।
৪
আল্লাহ তায়ালা কারো পরওয়া করেন না।
দুনিয়াতে যাকে সবচেয়ে দ্বিনদ্বার হিসাবে মানুষ মানে, তাকে আল্লাহ তায়াল আখিরাতে লাঞ্চিত করে সবার সামনে জাহান্নামে ফেলতে পরেন।
দুনিয়াকে যাকে সবাই চায় "সে জাহান্নামে যাক" তাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে জান্নাত দিতে পারেন।
উনার ইচ্ছা। উনার পছন্দ। উনি যার অন্তরে যা জানেন। যে অন্তর যেভাবে সৃষ্টি করেছেন। যার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
সামনে হয় আমার ধ্বংশ।
বা আমার মুক্তি।
আমি জানি না। আল্লাহ জানেন।
বুঝতে হবে যে এগুলো কোনো কিছুই আপনার জন্য ফরজ না। ওয়াজিবও না। অধিকাংশ সুন্নাহও না।
আপনাকে আল্লাহ তায়ালা যে অবস্থায় যেভাবে রেখেছেন তার উপর সন্তুষ্ট থেকে আল্লাহর উপর ঈমান রেখে ইসলামের মূল ভিতের ৫টার উপর আমল করতে থাকেন, ইনশাল্লাহ আখিরাতে আপনার মুক্তির আশা করতে পারেন।
এর বেশি যা আছে সেগুলো নিয়ে বিচলিত না হই। এগুলো অনেকটা pushing the border. আমাদের কাজ হলো তাদের কাহিনি থেকে শিক্ষা নেয়া। লিটারেলি ফলো করা না।
কেউ যদি আমার পোষ্ট দেখে বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন।
মডারেট লাইফ। মধ্যপন্থা।
- আল্লাহ তায়ালা যে অবস্থায় রেখেছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকবো।
মৃত্যুর সময় একসময় চলে আসবে। নিজের গুনাহের জন্য ভয় আর আল্লাহর উপর রহমতের আশা রেখে দুনিয়া থেকে গিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করবো।
আল্লাহ তায়ালা এর আগে আমাদেরকে পথভ্রষ্টতা থেকে রক্ষা করুন।
জ্বিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত হলো জিকিরের ইবাদত। খুব বেশি বেশি আল্লাহর তসবিহ-তাহলিল-তকবির।
সবচেয়ে উত্তম হলো এটা পড়া
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ
لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ
وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ
আরাফার দিন, অন্যান্য দিন। এই দশ দিন। সব সময়।
এখানে এর আরো অনেক অনেক সোয়াবের কথা লিখেছিলাম।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10156096288873176
- উনাদের অতিরিক্ত প্রশ্ন না করি। বরং যতটুকু বলেন ততটুকুর উপর আমল করি। বাকিগুলোর ব্যপারে স্বাধিনতা আছে।
- কতটুকু ফরজ-ওয়াজিব-সুন্নাহ বলা আছে কতটুকু বলা নেই এর জন্য বেহেস্তি জেওর, ফতোয়ায়ে আলমগিরি বা এরকম কোনো একটা বই পড়ে নেই। এর সাথে আলেমদের কথা মিলালে যতটুকু বলা আছে ততটুকুই হুকুম নিষেধ।
- আলেমদের সাথে তর্ক না করি। যেন উনাদের কারো সাথে শত্রুতা না হয়। দ্বিমতের ক্ষেত্রে চুপ থেকে সরে যাই। যাকে সঠিক মনে করি তাকে অনুসরন করি। কারো ব্যপারে অন্তরেও অপছন্দ না রাখি।
- রাসুলুল্লাহ ﷺ এর ইলমের উত্তরাধিকারি হিসাবে আলেমদের আল্লাহ তায়ালা রাজনৈতিক ক্ষমতা দেবেন না, দুনিয়ার সম্পদ দেবেন না, আগের যুগেও কখনো দেন নি। এটা মাথায় রাখি। তাই তাদের সাথে নম্র ব্যবহার করি। বিপদাপদে সাহায্য করি।
- আবারও যাকে আপনি ভালোবাসেন তার এত কাছে যাবার দরকার নেই যে তার দোষগুলো চোখে পড়ে। ভালোবাসা ছুটে যায়। সব মানুষেরই যথেষ্ট দোষ আছে যে মানুষ তাকে কবরও দেবে না। তাই একটু দূরত্ব রাখি। পেসিভলি শিখি।