#archive -- Jan-Feb-Mar-2020.
এটা আসে,
এটা চলে যায়,
এই মুহুর্তে আমাদের কাজ বস্তুতঃ ইবাদতে নিজেদের মশগুল রাখা। কিছু দিন পরে "বিশৃংখলা" [ বা যে নামে ডাকেন ] আরম্ভ হয়ে গেলে আর সময় পাবেন না।
প্লাস/ ফিতনার সময় ইবাদতের সোয়াব পঞ্চাশ জন শহিদের সমান বলা আছে। সে সময় নিজেকে ঘরে বেধে রাখা খুবই মুশকিল যেহেতু। আর আমি যাই করি না কেন ফিতনা বাড়বে।
এখন সেই ফিতনা কিনা সেটায় প্রশ্ন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ৫০ শহিদের সোয়াব না পেলেও নরমাল আমলের সোয়াব পেতে থাকবো। "বিশৃংখলা" আরম্ভ হয়ে গেলে পরে এই সুযোগটা আর পাবো না। ব্যস্ততার আগে ইবাদত।
১। পাচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে।
২। তাহাজ্জুদ। ৪ রাকাত স্টেন্ডার্ড। ৪ পৃষ্ঠা করে ১৬ পৃষ্ঠা।
৩। কোরআন তিলওয়াত, মুখস্ত, আরবি শিক্ষা।
৪। সকাল সন্ধা তসবিহ, কমন কিছু দোয়া, ওজিফা।
৫। ওজুর আগে মিসওয়াক।
গুনাহ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখি।
তর্ক থেকে বাচিয়ে রাখি। নিজে যেটা ঠিক মনে করি সেটার উপর আমল করি অন্যটাকে আক্রমন না করে।
"যদি দ্বিন শেষ হয়ে যেতে থাকে আমার চোখের সামনে?"
শেষ হবে না। শান্ত থাকেন। ১৪০০ বছর টিকে আছে এই দ্বিন। শেষ হয়ে যাচ্ছে মনে করে অস্থির হয়ে আমি যাই করি তাতেই দ্বিনের আরো ক্ষতি হবে।
ফিতনার সময় যত ইনএকটিভ থাকতে পারবেন তত বেশি সোয়াব পাবেন একটিভ লোকদের থেকে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের হকের উপর রাখুন।
"মডারেট মোজলেমদের" জন্য এই পোষ্ট ছিলো। যারা কোনো দলের পক্ষে এখনো কাজ করছেন না।
লিংক কমেন্টে।
তাই অর্থহীন তর্ক থেকে বেচে থাকি। যার যার মাজহাব মাসলাক মানহাজ জেনে তার উপর আমল করি। যে কেউ বিপরিত দলিল নিয়ে আসলে বুঝি যে তার কথার উল্টো দলিলও বহু আছে। খুজলেই পাবো। কিন্তু সময় নষ্ট। দরকার নেই।
পার্থক্য দেখানোর সময় "এটাই ইসলামের কথা" "এটাই হক" "এটাই ঠিক" এই রকম না বলে বলি "এটা দেওবন্দি মত" "এটা সালাফি মত" "এটা আযহারি মত" "এটা জিহাদি মত" "এটা তবলিগের মত" এরকম। যে যেটা অনুসরন করে।
"শুধু কোরআন হাদিসের" মত চান? তবে কাউকে জিজ্ঞাসা না করে, নিজে পড়ে দেখেন কি বুঝেন। তখন এটা আপনার মত।
মতভেদ হয় শাখায়। মূল জিনিস সবারই ঠিক। সেখানে মতভেদ নেই।
১
বৃদ্ধ বাপ, মাকে দেখতে হয়। বা নানা নানিকে। বা সন্তানকে যে পঙ্গু। বা বিধবা মেয়েকে সংগে সন্তান?
"যদি তাদেরকে না দেখতে হতো তবে আমার কামাই দিয়ে সংসার চলে যেতো।"
না। বরং তাদের কারনে তোমাকে আল্লাহ তায়ালা রিজিক পাঠাচ্ছেন। "তোমাদের মাঝে দুর্বলদের কারনে তোমাদের উপর রিজিক আসে।"
তোমার বৃদ্ধ পিতা মারা যাক। দেখো কামাইয়ে বরকত কিভাবে কমে যায়।
২
পঙ্গু। "যদি আমার পাটা ঠিক থাকতো" "আমার রক্তে এই রোগটা না থাকতো"
জান্নাতে সব মুসলিমরাই যাবে। কিন্তু জান্নাতকে আটটা স্তরে ভাগ করো। সারা জীবন নেক আমল করেও পঞ্চম স্তরে যেতে পারা সৌভাগ্যের ব্যপার। অষ্টম স্তর ঐ মেঘের রাজ্যে - আল্লাহর আরশের কাছে।
সারা জীবন পঙ্গু থাকার কারনে যদি আল্লাহ তায়ালা আমাকে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ স্তরেও উঠান তবে এটা বিশাল সৌভাগ্যের বেপার। আমি আমল করে যেটা কখনো পেতাম না।
৩
"কিন্তু সারা জীবন?"
সারা জীবন কত? ৭০ বছর? হাশরের মাঠে মানুষ একত্রিত হয়ে দাড়িয়ে থাকবে ৮০ বছর যে সে কোনো ফিরস্তা বা আল্লাহকে দেখছে না। শুধু অপেক্ষা। আল্লাহ তায়ালা আসবেন। প্রচন্ড ঘামে গরমে রোদে।
৮০ বছর ধরে তুমি অনবরত দাড়িয়ে।
দুনিয়াতে তোমার এক পায়ের কাটানো জীবনের থেকে লম্বা।
৪
অন্ধ। সারা জীবন অন্ধ। "এই দুনিয়ার রং রূপ কিছু তার দেখা হলো না।"
সে প্রথম চোখ খুলে আল্লাহকে দেখবে। এর পর জান্নাতের রং রূপ দেখবে। দুনিয়ার থেকে হাজার গুন যার সৌন্দর্য। সেই প্রথম দেখার আনন্দ তার অনন্ত কাল থাকবে। কখনো শেষ হবে না।
৫
বহু পথ হেটে এসেছি আমাদের রব।
পেছনে আরো সবাই আসছে।
আপনার কাছেই আমাদের ফিরে আসা।
১
যে কোনো তসবিহ পড়তে পড়তে নামাজে যাই।
যেমন একটা : দিনে ২০০ বার কেউ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু। লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদ। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।" পড়লে তার থেকে বেশি আমল ঐ দিন কেউ করতে পারবে না। নামাজে যাবার সময় আর আসার সময় পড়লেও ২০০ বার হয়ে যাবে।
আরো সোয়াব আছে। এখানে পাবেন
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10156096288873176
এধরনের সোয়াবের কথা আরো তসবিহের ক্ষেত্রেও বলা আছে।
২
১০ মিনিট আগে গিয়ে প্রথম কাতারে বসি।
তাতে।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10155997091403176
জোর করে প্রথম কাতারে জায়গা নিলে গুনাহ। রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে জাহান্নামের ব্যপারে সাবধান করেছেন। আগে গিয়ে প্রথম কাতারে দাড়িয়ে প্রথম তকবির যখন মুসুল্লিরা বলে, ঐ তকবিরের মুহুর্তে বিশাল সোয়াবের ভাগি হয়। যেটা পরের কাতারে ধপ করে কমে আসে। আর প্রথম তকবিরের পরে যারা আসে, তারা পায় না।
প্রতি নামাজের আগে মেসওয়াক করা।
- রাসুলুল্লাহ ﷺ বাহির থেকে এসে যখনই ঘরে ঢুকতেন, মিসওয়াক করতেন।
তাহাজ্জুদকে ফরজ করে দেয়া হতো কিন্তু উম্মাহর কষ্টের জন্য করা হয় নি যেমন -- তেমনি অন্য হাদিসে আছে মেসওয়াক করাকে প্রতিবার ওজুর সময় ফরজ করে দেয়া হতো কিন্তু উম্মাহর কষ্টের জন্য করা হয় নি।
১০ সুন্নাহর কথা স্পষ্ট করে বলা আছে হাদিসে, এর একটা মিসওয়াক।
অন্য হাদিসে ৪ টা সুন্নাহ নবীদের, এর একটা মিসওয়াক।
তাই প্রতি নামাজের আগে ওজুর সময় মিসওয়াক করতে হবে।
FAQs:
"মিসওয়াক কোথায় পাবো?"
রাস্তায় যে কোনো মসজিদের কাছে দেখবেন এখন ক্যমিক্যল দেয়া প্যক প্লাসটিক কভারে মিসওয়াক পাওয়া যায় ১০ টাকায়। একটা কিনলে ১ মাস যাবে।
"হারিয়ে যায়"
বাথরুমের শেলফে রাখেন, বা যেখানে আপনি ওজু করেন সেখানে। পকেটে না।
"পেষ্ট ব্রাস ব্যবহার করলে হবে না?"
প্রতি নামাজের আগে বা ওজুর আগে আপনি ব্রাশ করতে পারবেন না।
বিশেষ করে আল্লাহ তায়ালা নৈকট্যের জন্য এটা দরকার। মুখে গন্ধ যেন না থাকে। নামাজে আপনার তিলওয়াত মুখ থেকে বের হচ্ছে যেহেতু। এই তিলওয়াত আল্লাহর কাছে চলে যায়।
উনি ﷺ মৃত্যুর আগে মিসওয়াক করেই মারা গিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
মূল কথা : বরং ইবাদতে মন দিন।
[ পোষ্টটা শুধু মাত্র মডারেট মোজলেম ভাইদের জন্য। জিহাদিরা স্কিপ করে যান, এতে আপনাদের শিক্ষার বিপরিত সব কিছু পাবেন। আপনার রক্ত টগ বগ করবে। "চুপ থাকতে পারবেন না"। You have been warned. ]
প্রথম কথা :
গত ১৪০০ বছর ধরে অধিকাংশ দ্বিনদ্বার লোকই প্রতিক্ষায় ছিলো পাঞ্জেরির জন্য। কেউ পায় নি। গত কয়েকশ বছর ধরে সমস্ত মু'মিন আশায় ছিলো তারা "শহিদ" হবে। ৯৯.৯৯% ই হয় নি।
কিন্তু তারা প্রত্যেকেই যার যার ইবাদত আর নেক আমল নিয়ে আখিরাতে রওনা হয়েছে।
৯৯% সম্ভাবনা আপনি আর আমিও পাবো না। এটা তিক্ত সত্য যা মৃত্যুর প্রান্তে দাড়িয়ে মানুষ উপলব্ধি করে। কিন্তু সারা জীবন সে যেই নেক আমল করছি সেটা আমার সম্বল। যে আমলগুলো আমি ক্ষুদ্র মনে করে করেছি। কারন স্বপ্ন ছিলো বড় জি** করতে পারলে এই ছোগুলো গুরুত্ব কম। কিন্তু বড়টা কখনো আসে নি। ছোটগুলোই তখন আমাদের সম্বল, যেগুলো জমে জমে অনেক বড় হবে ইনশল্লাহ।
দ্বিতীয় কথা :
যদি পাঞ্জেরি আসেও তবে তার আগে, এখন করোনা ভাইরাস যেমন গন মানুষকে মারছে, এর শত গুন বেশি ঘটনা ঘটা আরম্ভ করবে। যে মুহুর্তে দেখবেন জেরুজালেম মুসলিমদের দখলে চলে গিয়েছে তখন থেকে। পাঞ্জেরি তখনো আসে নি কিন্তু দুনিয়া জুড়ে ভুমিকম্প আরম্ভ হবে। এমন ভুমিকম্প যার কথা সরাসরি সুরা জিলজালে বলা আছে। সাথে রোগ বালাই, উল্কাপাত, জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ। দুনিয়ার ৯০% মারা যাবে।
আরবি ভাষাটা শিখে ফেলুন। রাতারাতি হবে না। কিন্তু প্রতি বছর যত শিখতে পারবেন তত এগুবেন।
- আরবি ভাষা জানা থাকলে বড় হয়েও ২ বছরে কোরআন শরিফ মুখস্ত করে ফেলতে পারবেন।
- ছোটদের লাগবে ২ মাস।
- মুখস্ত না করলেও যখনই কোথাও কোরআন শুনবেন মনে হবে আপনাকে কেউ নসিহা করছে। অন্তর ঠান্ডা হবে। পথ পাবেন।
- শুধু বাংলা বা ইংরেজি অনুবাদ পড়েও বুঝতে পারবেন, কিন্তু সেই ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড মনে থাকবে না। দরকারের সময় অন্তরে আয়াতগুলো জাগবে না।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10156385347248176
নসিহা :
কোরআন শরিফ মুখস্ত করে ফেলুন। যত পারেন একের পর এক সুরা।
- যদি শেখার মতো একটা কিতাবই থাকে দুনিয়ায় তবে এই কোরআন।
- সব অর্থ না বুঝলেও যদি মুখস্ত করে ফেলেন তবে প্রয়োজনের সময় আয়াতগুলো অন্তরে পাবেন।
- বাংলা অনুবাদ জানা থাকলেও দ্রুত ভুলে যাবেন। আরবি ভুলবেন না।
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154795672493176
নসিহা :
প্রতিদিন কোরআন শরিফ পড়ুন।
- যা মুখস্ত করেছেন সেগুলো রিভিউ।
- প্রতিদিন ২০ মিনিট। সে সময় না পেলে নামাজের আগে অপেক্ষার সময় মোবাইল থেকে।
- শেষ রাতে নামাজে। কমপক্ষে ১৬ পৃষ্টা।
- প্রতিদিন পড়া দ্বারা আয়াতগুলো অন্তরে জ্বলতে থাকবে। যেন এগুলো আপনার সংগি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন
#হিফজ_টিপস
১
সূর্য উঠার আগে আর অস্ত যাবার আগে আল্লাহ জিকির করার কথা বলা আছে। আমরা করি ঐ সময়ে নামাজ পড়ে। নামাজ একটা জিকির। এর পরও তসবিহাত পড়ার জন্য এই সময়গুলো উত্তম।
তসবিহাতের জন্য ১০ মিনিট। এর বেশি হলে নিয়মিত হয় না।
২
তসবিহের জন্য ওজিফা দেয়া থাকে সকল তরিকাতে। যেমন তবলিগে ১০০ বার করে সুবহানল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহুআকবার, এস্তেগফার, দুরুদ শরিফ।
অন্যান্য পীরদের ওজিফায় থাকে এগুলো কিন্তু সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ সবগুলো আলাদা আলাদা করে ১০০ বার পড়তে হয়।
চরমোনাইয়ের জিকিরও এই।
"কখন পড়তে হবে?"
সূর্য ডুবার আর উঠার আগে। আসরের ওয়াক্তে আর ফজরের ওয়াক্ত।
"কতক্ষন?"
১০ মিনিট। এর বেশি হলে রেগুলার রাখতে পারবেন না।
"কি পড়বো?"
সুবহানাল্লাহ - আলহামদুলিল্লাহ - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ - আল্লাহু আকবার -
আল্লাহুম্মাগফিরলি - আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা মুহাম্মাদ।
এগুলো ১০০ বার করে।
"এই? সবসময়?"
হাদিসের কিতাব পড়তে থাকলে এগুলোর আরো উন্নত বেশি সোয়াবের কথামালায় দোয়া পাবেন সেগুলো। আস্তে আস্তে এগুলোর বদলে আরো বড়গুলো নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু এগুলো বেইস। বাকি সব এগুলোকে কেন্দ্র করে।
"যেমন উদাহরন?"
এখানে কিছু লিখেছিলাম
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10153478124853176
কিন্তু এগুলো সময়ের সাথে সাথে আবিষ্কার করবেন। আপাততঃ উপরেরটুকু দিয়ে আরম্ভ।
"আর কিছু?"
বিভিন্ন দোয়া যেগুলো প্রতিদিন পড়তে হয় সেগুলো। যেগুলোর ব্যপারে অনেক সোয়াব বা হিফাজতের কথা বলা আছে।
কিন্তু সময় সেই ১০ মিনিটই। এর মাঝে যা হয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।
১
নামাজের আগে ৫-৬ মিনিট সময় নিলে ৪ পৃষ্ঠা কোরআন শরিফ পড়ে ফেলা যায়। নিয়মিত করলে, মানে নামাজের আগে গিয়ে পড়া বা দেরি হলে অবশ্যই পরে, তবে ৫ ওয়াক্ত নামাজে দিনে ১ পারা হবে।
শর্ত,
মুখস্তের জায়গা থেকে পড়তে হবে, রিভিউ।
পকেটের মোবাইলে কোরআন থাকতে হবে।
২
নামাজের গুরুত্ব ওজিফার থেকে বেশি। ওজিফা পড়তে হবে জামাতে নামাজ পড়ার পরে। ফজর বা আসরের নামাজ মসজিদে না পড়লে ঐ সময়ের ওজিফা নেই। ওজিফা তরক হবে।
ওজিফা অর্থ প্রতিদিন যে তসবিহ দোয়া নিয়ম করে পড়া হয়।
এখন আল্লাহকে ভয় করার সময়।
প্রচন্ড ভয়।
তৌবা করার সময়।
আগের জীবনের সমস্ত গুনাহ আর অবাধ্যতার জন্য।
সাহায্য চাইবার সময়, যেমন ডুবন্ত মানুষ যেরকম সাহায্য চায়।
সামনের সময় হয়তো আর কখনো আগের মতো হবে না।
সর্বোত্তম আমল নিয়ে দুনিয়া থেকে যাবার তৌফিক দান করেন, মালিক।
আপনাকে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট করে।
এখন আল্লাহকে ভয় করার সময়। সর্বোচ্চ ভয়।
১
কাজী ইব্রাহীম সাহেব বলেছেন ৭ বার সুরা ফাতিহা পড়ে ফু দিতে রোগের জন্য। যে কোনো রোগে।
২
হানাফি-দেওবন্দিদের জন্য শুধু। ফজরের সুন্নাহ নামাজ আর ফরজের মাঝের সময়টায় ৪১ বার সুরা ফাতিহা পড়তে হবে। কিন্তু বিসমিল্লাহর পরে ওয়াকফ করার যাবে না, পরের আলহামদুলিল্লাহর সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে। এভাবে ৪০ দিন। এটা যে কোনো আমলের কিতাবে পাবেন। ফাজায়েলে আমলে এর বর্ননার স্ক্রিন শট কমেন্টে দিলাম। এটা শুধু রোগ না বরং যে কোনো দোয়া কবুলের জন্য আমল।
৩
আমি বলবো : ফজরের ওয়াক্তে আর আসরের ওয়াক্তে ৭ বার সুরা ফাতিহা পড়ুন। মানে সকালে ও বিকালের ওজিফায়। আশা করেন ইনশাল্লাহ নিরাপদ রাখবেন এই করোনা ভাইরাস থেকে।
৪
সুরা ফাতিহা পড়ার সময় বিসমিল্লাহ সহ পড়তে হবে প্রতিবার। কারন বিসমিল্লাহ ফাতিহার অংশ। নয়তো ৭ আয়াত হয় না। ৬ আয়াত হয়। কোরআনের বাকি সুরাতে দেখবেন বিসমিল্লাহকে আয়াত নম্বর দেয়া হয় না। সুরা ফাতিহাতে দেয়া হয়।
জাজাকাল্লাহ।
১
সংক্ষেপে :
২
নেটে জনপ্রীয় একটা উপদেশ, কিছু তরল খান গলা পরিষ্কার করতে। আর রশুন। এটা চীন দেশের আদি লিখায় আছে মহামারি থেকে বাচতে, পানির বদলে এক ঢোক মদ খেতে। রসুন নাকে ঢুকাতে।
কিন্তু মদ হারাম। পিয়াজ রসুন মাকরুহ না, কিন্তু ফেরেস্তাদের দূরে রাখে।
উল্টো আমার আমল :
এলকোহলে গলা পরিষ্কারের উল্টো : প্রতি ওয়াক্তে ওজুর সময় মিসওয়াক করি।
রসুনের গন্ধের উল্টো : প্রতি ওয়াক্তে আতর ব্যবহার করি।
৩
সুরা মুদদাসসিরে উনিশের উল্লেখ আছে। এই সুরা তার আগের সুরার সাথে সম্পৃক্ত। এই সূরায় মূলতঃ কি বলা আছে? রাসুলুল্লাহ ﷺ কে তাহাজ্জুদ পড়ার হুকুম দেয়া হয়েছে, পবিত্রতার সাথে। তাই তাহাজ্জুদের পাবন্দি করি। গুরুত্বের সাথে। কারন দুনিয়ার বাকি সব কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তাহাজ্জুদ অন্তরের পবিত্রতা। হাত ধোয়া বাহিরের। ভেতরেরটার গুরুত্ব যদি ৭০% হয় তবে বাইরেরটা ৩০%।
সংক্ষেপে বলেছেন :
এর পর সেই আমলের বর্ননা যেটার কথা বলেছিলাম।
লিংক কমেন্টে।
ঐ সময়ে দুর্ভিক্ষ, মহামারি বাংলায় লেগে থাকতো। আমি যে বইগুলো পড়তাম সেগুলো ছিলো তখন থেকে আরো ২০ বছর আগের ছাপানো মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার যুগের বই।
হাদিসের বইয়ের টিকায় লিখা ছিলো : "আমরা গ্রামে গ্রামে খবর নিয়ে দেখেছি এই দুর্ভিক্ষে মসজিদে নিয়মিত নামাজি কেউ মারা যায় নি।"
নেক আমলে লেগে থাকি। এটা সময়।
করোনাতেও তাই।
এখন,
- করোনার কেইস দেখলাম ক্ষমতায় উপর ওয়ালাদের আগে ধরছে। সব দেশে। মন্ত্রী আমলা এমপি প্রেসিডেন্ট।
- লক্ষ ড্রেসড গার্ড দিয়ে করোনা ঠেকানো যাচ্ছে না। সেই আর্মড ফোর্সে করোনা ধরে তারা যাকে ঘিরে রেখেছে তার কাছে রাতারাতি পৌছে যায়।
বাংগালির আশার কিছু আর আছে?
একটাই দেখছি : কাজী ইব্রাহীম সাহেবের স্বপ্ন যেন সত্য হয়।
এই ব্যপারে আমার অবস্থান হলো আসবেন না।
কারন সে পরিবেশ তৈরি হয় নি। উনি ঐ পর্যন্ত আসবেন না, যতক্ষন না মানুষ অপেক্ষা করতে করতে কাহিল হয়ে বলে "এখন আর এসেও কিছু করতে পারবেন না।"
আমার এই কথাটা খুবই অ-জনপ্রীয়। আগেও যখনই বলতাম তখন কিছু লোক তেড়ে আসতো। এখন কমেন্ট বন্ধ তাই হয়তো কিছু বলতে পারবে না।
তাই, দেখতে থাকেন। এই বছরের শেষ পর্যন্ত গেলে না আসলে প্রমান।
কিন্তু আমলে লেগে থাকি। আমাদের বিচার হবে আমলে। মাহদি পর্যন্ত পৌছবে আমাদের মাঝে হাতে গুনা কয়েকজন মাত্র।
______
তবে আরমান খান ভাই বুজুর্গ মানুষ। অল্প ডান বাম মত-পার্থক্য যে কোনো দুজনের মাঝে আছে।
জাজাকাল্লাহ।
১
তাকি উথমানি সাহেবের বর্নিত আমলটা করছি। প্রতিদিন এক ওয়াক্তে। যদিও উনি প্রতিদিন পড়ার কথা বলেন নি।
আরম্ভ করার পর পর একটা জিনিস হয়েছে, মনে যে আতংক ছিলো সেটা আল্লাহ তায়ালা হটাৎ করেই সরিয়ে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
২
নামাজ মসজিদে পড়ছি এখনো। যতদিন মসজিদ খোলা আছে। বন্ধ হয়ে গেলে যুদ্ধ করার দরকার নেই। শান্ত থাকি। যে দিকে আল্লাহ তায়ালা নিয়ে যান।
৩
উথমানি সাহেবের আমলের ব্যপারে উনি বলেছেন চলতি বিপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করবেন। করোনা ভাইরাসের জন্য স্পেশাল না।
আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের এই বিপদে পথ দেখান।
ব্যসিক্যলি এখন কাজ হলো নিজের ঈমানকে আকড়িয়ে থাকা। আমলের যে লিষ্ট দিতাম বহু বছর ধরে সেটার সময়ও হয়তো শেষ। এখন দৌড়ের উপর থাকতে হবে। ডেসপারেটলি ঈমানকে আকড়ে থাকতে হবে। এর উপর যেন মৃত্যু হয়।
যেমন,
<কিছু কঠিন সিনারিও, লিষ্টটা লিখেও মুছে দিলাম, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, যদি হয় তবে মানুষ দেখতে পারবে> --- প্রতিটা অবস্থায় ঈমানের উপর থাকতে হবে।
যেন, "মালিক আপনার উপর ভরসা। সহজ করেন। কিন্তু এত কষ্টেও আমি আপনার উপর সন্তুষ্ট।"
এটাও পারা যাবে না, যদি না এখনই ঐ অবস্থার উপর নিজের ঈমানকে না তুলি।
বলা আছে : দাজ্জাল আসার পরে মানুষের ঈমান আনা তার কোনো উপকার করবে না। যদি না সে এর আগেই ঈমান এনে থাকে।
ঈমানকে আকড়িয়ে থাকি। এটাই এখন একমাত্র কাজ।
আল্লাহ তায়ালা যেন তৌফিক দেন পরে এর উপর কিছু আলোচনা করার, কিভাবে।
ফিরার সময় আল্লাহু আকবার বলতে বলতে আসি।
আমার আমল শরিয়তের দলিল না। সন্দেহের ক্ষেত্রে নিজ নিজ আলেমদের বলে দেয়া আমল অনুসরন করি।
ফাজায়েলে আমল থেকে। এক বুজুর্গ বলছেন। ঈদের দিন। একজন ফকির এসে বলে :
"এখানে কি কোন পরিস্কার জায়গা আছে? এক ফকির মরতে পারে?"
বাজে কথা। তাই জবাব দিলাম :
"ভিতরে আসো। যেখানে ইচ্ছে গিয়ে মরে পড়ে থাকো।"
সে আসলো। ওযু করলো। দুই রাকাত নামাজ পড়লো।
এক জায়গায় শুয়ে মারা গেলো।
আবাক! বুঝলাম বুজুর্গ ছিলো।
দাফন কাফনের ব্যবস্থা করি। কাফন সরাতে হটাৎ সে চোখ খুলে।
বলিলাম : "মৃত্যুর পরেও জীবন?"
জবাব দিলো : "হ্যা। আল্লাহর সব প্রেমিক মৃত্যুর পরও জিবিত থাকে।"
- ফাজায়েলে সাদাকাত।
- চ্যালেঞ্জ না দেই। বা এই ধরনের চিন্তা অন্তরে না আনি। যেমন, "এই যে দেখেন আমি কি করছি!" "আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না" "কিচ্ছু হবে না" -- আল্লাহ তায়ালা অহংকারিদের পছন্দ করেন না।
- দ্বীনি আমল থেকে পিছিয়ে না আসি। মাথা নিচু করে আমল করে যাই। অহংকার ছাড়া। চুপচাপ, গোপনে। ঔদ্ধত্য না দেখিয়ে। যে জন্য আমাদের জন্ম। যে জন্য আমাদের পৃথিবীতে পাঠানো।
- কে ভুল, কে খারাপ, কে ভীতু -- অন্যের ব্যপারে কোনো খারাপ কথা অন্তরে না আনি। এই ধরনের আলোচনায় না যাই। আমরা সবাই ভুল কোনো না কোনো ক্ষেত্রে। সবাই ভীতু কোনো না কোনো সময়। এজন্যই আমরা আল্লাহর কাছে হাত তুলি তৌবা করি।
মানুষকে আল্লাহ তায়ালা অতি দূর্বল করে সৃষ্টি করেছেন। উনি সহায়।
একা একা করি। নিজে নিজে করি। জামাতের সাথে না। বেশি সোয়াবের নিয়তে ১০ জনকে সংগে নিয়ে না। আমরা সবাই করবো ঘোষনা দিয়ে না। আরেক জনকে একই আমল করার জন্য হুকুম দিয়ে না। না করলে কারো উপর রাগ দেখিয়ে না। যে করে না তাকে গোমরাহ মনে করে না।
একা একা। নিজে নিজে।
সবাই জিজ্ঞেস করলেন হযরত আপনি এমন কোন আমল করলেন যে রোগী মুহূর্তেই সুস্থ হয়ে গেলো!? শাহ সাহেব বললেন, সূরা ফাতিহা পড়েছি৷ সবাই তো আরও অবাক৷ পুনরায় তারা প্রশ্ন করলেন যে, আমরাও তো সূরা ফাতিহা পড়েছি, কিন্তু কাজ হয় নি কেন? শাহ সাহেব বললেন, তোমরা ফাতিহা পড়েছো জামালী, আর আমি পড়েছি জালালী৷
আমলের ব্যপারে যতটুকু ইলম থাকলে আমল করা যায় অতটুকু ইলমই উত্তম। এর থেকে বহু গুন বেশি থাকলে একজন সেই ইলম নিয়ে "জাগল" খেলতে থাকে। এটা ঠিক, না এটা ভুল, সেটা ধোকা, ঐটার গুরুত্ব নেই।
এটা দ্বারা রিসার্চার হওয়া যায়, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা ঐ নৈকট্য পাওয়া যায় না যেটা অন্য কেউ তার ইলম কম, কিন্তু সেটা নিয়েই সব সময় আল্লাহর সামনে বসে যে তসবিহ পড়ছে, আল্লাহর হামদ করছে সে যতটুকু এগিয়ে যায়।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এ জন্য অনুপকারি ইলম থেকে বাচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন।
এই উম্মতকে আল্লাহ তায়ালা এজন্য করেছেন "উম্মি"। তাদের নবিও উম্মিদের নবি।
তবে যুগটা এমন যে মোবাইল খুললে ৪০ হাজার কিতাব। আমরা "উম্মির" ঐ অর্থ করতে পছন্দ করি যে অর্থ বলে এর মানে "ইহুদি না"। এখন যে ব্যক্তি উম্মি কথাটার পুরানো প্রচলিত অর্থ করলো, সে যেন রাসুলুল্লাহ ﷺ কে অপমানিত করলো, এই উম্মাহকে অপধস্ত করলো।
বাগদাদের পতন হয়েছিলো এর ইলমের শিখরে থাকার সময়। স্পেনের পতনের আগে উম্মির অর্থও এর আলেমরা ঐ করতো যেটার জোরালো প্রচার কিছু দিন আগে আমি ফেসবুকে দেখেছি।
আল্লাহ তায়ালা হিফাজত করুন।
মাফ করুন।
রক্ষা করুন।
দ্বিন টিকে থাকে। কিন্তু যে জাতি এই দ্বিনকে বহন করে তাদের ধ্বংশ করে দেন। অন্য জাতির উপর উনি দায়িত্ব তুলে দেন।